আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ
শুরুতে স্তোত্রপাঠে সরস্বতী ও গণেশ বন্দনা করলেন শ্রীনা রায়। নবীন শিল্পী আড়ষ্টতা কাটিয়ে শেষে ভজনটি ভালোই গাইলেন। শ্রীখোল ও সানাই-এর অভিনব যুগলবন্দিতে হরেকৃষ্ণ হালদার ও হাসান হায়দার রাগ আনন্দীকল্যাণ বাজালেন।
ওমকার দাদারকর পরিবেশিত রাগ শংকরা খুবই মনোগ্রাহী ছিল। বিলম্বিত একতাল ও দ্রুত ত্রিতালের পর তারানাও ছিল বেশ উচ্চমানের। শেষের ভজনটিও খুব ভালো লাগে। প্রবীণ সেতার বাদক সুগর নাগ অসাধারণ বাদনে মুগ্ধ করলেন কেদার রাগে আলাপ, জোড় ও বেহাগড়াতে গৎ বাজিয়ে। তবলায় যোগ্য সঙ্গী ছিলেন প্রবীণ ছন্দশিল্পী সমর সাহা। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে বংশীবাদনে সুদীপ চট্টোপাধ্যায় রাগ ভীমপলশ্রীর সুরের সুরেলা আবহে সান্ধ্য আমেজ এনে দেন গায়কী অঙ্গের অসাধারণ বাদনে। মিশ্র কাফীতে গৎ দীপচন্দী তালে খুবই ভালো লাগায় অন্তিমে কাহারবায়। তবলায় সুন্দর সঙ্গত করেন উজ্জ্বল ভারতী। সুরেলা বাঁশির রেশ থাকতেই পরবর্তী কণ্ঠশিল্পী অর্ণব চট্টোপাধ্যায় পুরিয়া রাগের নিবেদনে মন ভরিয়ে দেন বিলম্বিত একতাল ও দ্রুত ত্রিতালের বন্দিশে। গারাতে ঠুমরিতে মাতিয়ে দেন। শেষ শিল্পীদ্বয় ছিলেন সম্মেলনের সেরা আকর্ষণ। দীর্ঘদিন পর এই দুই শিল্পী মঞ্চে এলেন একসঙ্গে— সরোদে তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার এবং তবলায় কুমার বসু। তাঁদের নিবেদনে মূর্ত হয়ে উঠল কাফী কানাড়া। পরবর্তীতে খাম্বাজ, পাহাড়ি ধুন ও বাহার রাগে শ্রোতারা সম্মোহিত হলেন। দু’দিনের অনুষ্ঠানে কণ্ঠসঙ্গীতে তবলায় সঙ্গত করেন বিভাস সাংহাই ও উজ্জ্বল ভারতী এবং হারমোনিয়ামে হিরন্ময় মিত্র ও দেবপ্রসাদ দে। ঘোষণায় ও সঞ্চালনায় মাতিয়ে দেন কৌশিক সেনগুপ্ত ও মালবিকা রায়চৌধুরী। সমগ্র অনুষ্ঠানের আয়োজনের প্রাণপুরুষ ছিলেন তন্ময় রায় চৌধুরী।
সুদেব চট্টোপাধ্যায়