ঝগড়া এড়িয়ে চলার প্রয়োজন। শরীর স্বাস্থ্য বিষয়ে অহেতুক চিন্তা করা নিষ্প্রয়োজন। আজ আশাহত হবেন না ... বিশদ
সম্প্রতি আরবসাগরের তীরে এক জমজমাট স্টেজ শো অনুষ্ঠিত হয়ে গেল। অনুষ্ঠানটির পোশাকি নাম ছিল ‘বিশ্বজিৎ লাইভ’। বর্ষীয়ান এই অভিনেতা এই মাধ্যমে পৌঁছে গিয়েছিলেন তাঁর ফেলে আসা স্বর্ণযুগে। গেয়ে শোনালেন সাতটি গান। আজও বিশ্বজিতের সুরেলা কণ্ঠের জাদুতে অভিভূত শ্রোতারা।
বছরখানেক আগে ‘কুহেলি’, ‘বাবা তারকনাথ’-এর নায়ক নিজের কেরিয়ারের সুবর্ণজয়ন্তী পালন করেছিলেন এই শহর কলকাতাতে। সেবারও তাঁর কণ্ঠের জাদুতে বশীভূত হয়ে গিয়েছিলেন তিলোত্তমার শ্রোতারা। এবার পালা ছিল মুম্বইয়ের। মায়াবী নগরীর শ্রোতা-দর্শকরাও ‘বিশ সাল বাদ’-এর নায়কের পারফরম্যান্সে একইভাবে খুশি। হেমন্তকুমারের (মুখোপাধ্যায়) গাওয়া ‘ইয়ে আপনা দিল তো আওয়ারা’ বা ‘বেকরার কর কে হামে ইয়ু না যাইয়ে’ বিশ্বজিতের কণ্ঠে শুনে করতালি থামতে চায়নি প্রভাদেবীর রবীন্দ্র নাট্যমন্দির প্রেক্ষাগৃহের শ্রোতাদের। তাঁদের অনুরোধে আরও কিছুক্ষণ শো চালিয়ে যেতে হয়।
‘বিশ্বজিৎ লাইভ’ অনুষ্ঠানের এই সাফল্যে স্বভাবতই খুশি এই প্রবীণ অভিনেতা। তিনি বললেন, ‘ওই অনুষ্ঠানে যেমন সমঝদার শ্রোতারাও ছিলেন, তেমনই ছিলেন আম-আদমিরাও। দুই শ্রেণীর শ্রোতাদের মন ভরাতে পেরে আমি খুশি। স্বর্ণযুগের অনেকেই তো আর বেঁচে নেই, কিন্তু তাঁদের পরিবারের অনেকে এই শো-এ উপস্থিত থাকায় ভালো লাগল। বর্ষীয়ান আমিন সাহানি অসুস্থ শরীর নিয়েও প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমার শো উপস্থিত থাকায় আমি তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ।’ মুম্বইয়ের এই শো-এ মহম্মদ রফি, নৌশাদ, মজরুহ সুলতানপুরী, সাকিল বদাউনি, রবি, অশোককুমারের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সায়রা বানুর ফোনের রহস্যটা জানতে চাওয়ায় হেসে ফেললেন প্রবীণ এই অভিনেতা। বললেন, ‘এপ্রিল ফুল ছবিতে সায়রা আমার নায়িকা ছিল। ওই ছবিতে আমার লিপে রফি সাহাবের গাওয়া এপ্রিল ফুল বানায়া গানটি খুবই হিট করেছিল। সম্প্রতি সায়রার ৭৫তম জন্মদিন পালিত হয়েছে। শো-এর আগে মুম্বইয়ের এক সংবাদমাধ্যমে ইন্টারভিউতে বলেছিলাম, এই শো-এ এপ্রিল ফুল বানায়া গানটি গাইব। আর এটিই হবে সায়রাকে জন্মদিনে আমার তরফে উপহার। ওইদিন শো-এ গানটি গেয়েওছিলাম। আমার কণ্ঠে এপ্রিল ফুল বানায়া গানটি শোনার জন্য ভিডিও চেয়ে পাঠিয়েছে সায়রা।’ ২০২০ সালে সঙ্গীতশিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের জন্মশতবর্ষ। এই উপলক্ষে পরের বছর একটি অনুষ্ঠান করার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানালেন বিশ্বজিৎ।