গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
গবেষণাটি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্যাসিফিক নিউরোসায়েন্সেস ইনস্টিটিউটের ব্রেইন হেলথ সেন্টারের একদল গবেষক। চলতি সপ্তাহে জার্নাল অব আলঝেইমার ডিজিজে এক্সারসাইজ-রিলেটেড ফিজিক্যাল অ্যাকটিভিটি রিলেটেড টু ব্রেইন নামে প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষকেরা ১০ হাজার ১২৫ জনের এমআরআই (ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমেজিং) ফলাফল বিশ্লেষণ করে গবেষণাটি করেছেন। তাতে দেখা গেছে, মস্তিষ্কের যে অংশটি স্মৃতিশক্তি ও কোনো কিছু শেখায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, ব্যায়ামের সঙ্গে সেসব অংশের গভীর সম্পর্ক রয়েছে।
গবেষণায় উঠে এসেছে, কেউ দিনে ৪ হাজার কদমের কম হাঁটলে তাঁর মস্তিষ্কেও এর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। আর যাঁরা প্রতিদিন হাঁটেন বা দৌড়ান, তাঁদের মস্তিষ্কের সিদ্ধান্ত গ্রহণ ক্ষমতা ও স্মৃতিশক্তি ধরে রাখার কাজ যেই অংশটি করে, সেই অংশের কর্মদক্ষতার পাশাপাশি আকারও বাড়ে।
গবেষকেরা বলছেন, এই গবেষণার মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে হাঁটা বা দৌড়ানোর মতো শরীরচর্চা কেউ যদি নিয়মিত করেন, তাহলে তাঁর স্বাস্থ্য যেমন ভালো থাকে, তেমনি এর বড় প্রভাব পড়ে মস্তিষ্কেও।
গবেষণাটিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন সাইরাস এ রাজি। গবেষণার ফলাফল তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘কেউ যদি শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকেন অর্থাৎ কায়িক পরিশ্রম করেন, তাহলে তা তাঁর মস্তিষ্কের জন্য ভালো। আগেও এ নিয়ে গবেষণা হয়েছে। আমাদের গবেষণাতেও তারই প্রমাণ পাওয়া গেল।’
সাইরাস এ রাজি আরও বলেন, ‘শরীরচর্চা বা ব্যায়াম শুধু ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমায় না, একই সঙ্গে তা মস্তিষ্কের আকার ঠিক রাখতেও সাহায্য করে। বয়স বাড়তে থাকলে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।’
গবেষণাটির সহলেখক সোমায়েহ মেইসামি বলেন, ‘আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত শরীরচর্চায় মস্তিষ্কের আকার বাড়ে। বিষয়টি নিয়ে জানতে আরও বড় পরিসরে গবেষণা প্রয়োজন।’
সুরজিত মুখোপাধ্যায়