গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
সানস্ক্রিন একটি লোশন। সূর্যের আলট্রাভায়োলেট রে বা অতিবেগুনি রশ্মি আমাদের ত্বকের প্রভূত ক্ষতি করে। সেই ক্ষতি প্রতিরোধ করতে পারে এই লোশন।
সানস্ক্রিনের ধরন
এখন দুই ধরনের সানস্ক্রিন পাওয়া যায়। তা কেমিক্যাল সানস্ক্রিন হতে পারে। অথবা ফিজিক্যাল সানস্ক্রিনও হতে পারে। ফিজিক্যাল সানস্ক্রিন ত্বকের উপর পড়া ইউভি রে বা অতিবেগুনি রশ্মিকে প্রতিফলিত করে অতিবেগুনি রশ্মিজনিত ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে দেয়। তাই এমন সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার সবচাইতে ভালো। ফিজিক্যাল সানস্ক্রিন অত্যন্ত উপকারী। তবে ত্বকে লাগালে তা দেখতে খারাপ লাগে বলে অনেকে তা ত্বকে লাগাতে চান না। এগুলি ছাড়াও রয়েছে কেমিক্যাল সানস্ক্রিন ও মিক্সড সানস্ক্রিন।
রোদ থেকে কেন এত সুরক্ষা দরকার
সূর্য রোদে থাকে আলট্রাভায়োলেট রে বা অতিবেগুনি রশ্মি। এই রশ্মির আবার ভাগ আছে যেমন ইউভিএ, ইউভিবি, ইউভিসি ইত্যাদি। অতিবেগুনি রশ্মি আমাদের ত্বকে সানবার্ন তৈরি করে, ফলে লাল হয়ে ফুলে যায় ত্বক। সমুদ্রের ধারে বেড়াতে গিয়ে শরীরের খোলা জায়গাগুলোয় রোদ লেগে অনেকেরই ত্বক এমন লাল হয়ে যায়। ত্বকে জ্বালা জ্বালা ভাব দেখা যায়। কিছু আলট্রাভায়োলেট রে আবার ত্বকের অন্দরে প্রবেশ করে কিছু ক্যান্সার তৈরি করারও ক্ষমতা রাখে। তবে এই ধরনের ক্যান্সার আমাদের দেশে খুব পরিচিত নয়, তবে পশ্চিমীদেশগুলিতে অতিপরিচিত ক্যান্সারের অন্তর্ভুক্ত ত্বকের ক্যান্সার। মেলানোমা নামে ত্বকের এই ক্যান্সার অত্যন্ত ক্ষতিকর। আমাদের দেশে ত্বকের ক্যান্সারের তেমন প্রাদুর্ভাব না থাকলেও, ত্বকের যথেষ্ট ক্ষতি করে। তাই যাঁরা বাড়ির বাইরে বেরিয়ে কাজ করেন তাঁরা সম্ভব হলে অবশ্যই সানস্ক্রিন লোশন ত্বকে প্রয়োগ করুন। বাজারে অনেক ধরনের সানস্ক্রিন আছে। তার মধ্যে সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর (এসপিএফ) এর শতকরা হিসেবও লেখা থাকে। কোনও কোনও সংস্থার বিজ্ঞাপনে ৫০ শতাংশ, ৭০ শতাংশ, ৮০ শতাংশ এসপিএফ লেখা থাকে। তবে গবেষণায় দেখা গিয়েছে মোটামুটি ৩০ শতাংশের উপর সানস্ক্রিন ত্বকে লাগালেই মোটামুটি একটা প্রতিরক্ষা মেলে। ৫০ শতাংশের উপরে সানস্ক্রিন নিয়ে আখের লাভ তেমন কিছু হয় না!
সারাদিনে কতবার সানস্ক্রিন?
বাড়ি থেকে বাইরে বেরনর অন্তত ২০-৩০ মিনিট আগে ত্বকে সানস্ক্রিন লাগান। অনেকে একবার সানস্ক্রিন লাগানোর পরে ২ ঘণ্টা ব্যবধানে সানস্ক্রিন লাগাতে বলেন। তবে বাস্তবে তা সম্ভব হয় না। মোটমুটি ৩-৪ ঘণ্টা অন্তর ত্বকে সানস্ক্রিন প্রয়োগই যথেষ্ট। আসলে যত সময় এগয়, ততই সানস্ক্রিনের প্রতিরক্ষা কমতে থাকে। এই কারণেই বারবার ত্বকে সানস্ক্রিন লাগানোর দরকার পড়ে।
মিক্সড কেন ভালো
ফিজিক্যাল সানস্ক্রিনের মধ্যে জিঙ্ক অক্সাইড, টাইটেনিয়াম অক্সাইড। কেমিক্যাল সানস্ক্রিনের সঙ্গে তাই এই সানস্ক্রিন মিশিয়ে মাখলে তা প্রাপ্তবয়স্কের ক্ষেত্রে দুর্দান্ত উপকারে আসে।
ছোটদের ত্বকে কেমন সানস্ক্রিন
ছোটদের জন্য জিঙ্ক অক্সাইড বা টাইটেনিয়াম অক্সাইড নির্ভর সানস্ক্রিনই ভালো।
সতর্কতা
এই রোদে বাইরে বেরতে হলে শুধু সানস্ক্রিন নয়, তার সঙ্গে ছাতা, টুপি, ফুলহাতা বা হাত ঢাকা থাকে এমন শার্ট বা পোশাক পড়ুন। মাথা বা মুখ ঢাকুন কাপড়ে। তবেই মিলবে অনেকখানি প্রতিরক্ষা।