গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
এদিন দুপুরে হেলিকপ্টারে পুরুলিয়া শহরের এমএসএ ময়দানে নামেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী আসার অনেক আগে থেকেই বড় হাটের মোড় এলাকায় ভিড় থিকথিক করছিল। এমএসএ ময়দান থেকে হেঁটে বেরতেই ‘দিদি দিদি’ বলে চিৎকার শুরু করেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। কেউ আবার উলু দিয়ে, কেউ শঙ্খ বাজিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। মন্ত্রী মলয় ঘটক ও প্রার্থী শান্তিরাম মাহাত দিদির সঙ্গেই পা মেলান। আদিবাসী নাচের শিল্পী ও ছৌনাচের শিল্পীদের উপস্থিতি মিছিল আরও বর্ণময় করে তোলে। পোস্ট অফিস মোড় হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর রোড শো চকবাজার, মধ্যবাজার, নামোপাড়া, রথতলা হয়ে পুরুলিয়া শহর তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ের সামনে শেষ হয়। রোড শো চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রী রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বহু মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। বিভিন্ন জায়গায় দাঁড়িয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। রাস্তার পাশে থাকা ছোট মেয়েকে ডেকে যেমন আদর করলেন, তেমনই সেখান থেকে খানিকটা এগিয়ে রাস্তার পাশে এক বৃদ্ধাকে দেখে জড়িয়ে ধরে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন বহু মানুষ। অনেকে বাড়ির ছাদ থেকেও মুখ্যমন্ত্রীকে দেখার চেষ্টা করেন। প্রিয় দিদিকে দেখার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে অনেকে দাঁড়িয়ে ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাশ দিয়ে পেরতেই তাঁর সঙ্গে সেলফি তোলার চেষ্টা করেন। কেউ আবার বাড়ির ব্যালকনি থেকেই মুখ্যমন্ত্রীকে ক্যামেরাবন্দি করে রাখলেন। রোড শো চলাকালীনই এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মন্ত্রী মলয় ঘটক এবং প্রার্থী শান্তিরাম মাহাতর সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। রোড শো শেষ করার পরও তাঁদের সঙ্গে বেশ কয়েক মিনিট একান্তে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। পুরুলিয়া শহরের রথতলা এলাকায় রোড শো শেষ হয়। রোড শো শেষ হওয়ার পর কর্মী সমর্থকদের কাছে গিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই গাড়িতে উঠে হেলিপ্যাডের উদ্দেশে রওনা দেন। শান্তিরামবাবু বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর সভায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে মানুষজন অংশগ্রহণ করেন। মূলত শহর ও শহর সংলগ্ন এলাকাগুলি থেকে বেশি মানুষ শামিল হয়েছিলেন।