গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
কুনারবাবু আরও বলেন, প্রথম প্রস্তাব আসে তৃণমূল প্রার্থী কালীপদ সোরেনের তরফে। এরপর উপর মহলে জানানো হয়। আশা করছি তৃণমূল জিতবে। কিছুদিন ধরে ডায়ারিয়া রোগে আক্রান্ত হয়েছি। অসুস্থ রয়েছি। তবে আশা করছি তৃণমূলের হয়ে প্রচারে নামব।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গে একটা ব্যক্তিগত সম্পর্কও রয়েছে কুনারবাবুর। বিদায়ী সাংসদের স্ত্রীর পিসতুতো দাদা কালীপদবাবু। শোনা যায়, প্রচার শুরুর সময় বড় শ্যালক কালীপদবাবু আচমকা কুনারবাবুর বাড়িতে গিয়ে সহযোগিতা চেয়েছিলেন। কিছুদিন আগে কুনারবাবুর মেয়ের বিয়েতে কালীপদবাবু গিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক খুবই ভালো।
জানা গিয়েছে, ৮ মার্চ দলে চিঠি দিয়ে আচমকা দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কুনার হেমব্রম। দল ছাড়ার পর জেলাজুড়ে শোরগোল পড়ে যায়। কুনারবাবু তৃণমূলে যোগদান করতে পারেন বলে জল্পনা দেখা দেয়। পরের দিন অর্থাৎ ৯ মার্চ বাড়িতে বসেই বিজেপি প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, ঝাড়গ্রামে সাংগঠনিক দুর্বলতা রয়েছে। একুশের নির্বাচনের পর আমরা কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে পারিনি। এনিয়ে দলের নম্বর টু অমিত শাহকে জানালেও কোনও লাভ হয়নি। ঝাড়গ্রামের সাংসদ কি এবার তৃণমূলে যোগ দেবেন। সেই প্রশ্নের উত্তরে কুনারবাবু বলেন, সময় সব উত্তর দিয়ে দেবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে দেশজুড়ে মোদি হাওয়া উঠেছিল। সেই সময় জঙ্গলমহলের মানুষের মন পেতে কেন্দ্রের প্রথম সারির নেতারা ঢালাও প্রতিশ্রুতি দিতে জঙ্গলমহলে ডেলি প্যাসেঞ্জারি করতেন। তার ফলস্বরূপ ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্র যায় বিজেপির দখলে। বীরবাহা সোরেন টুডুর থেকে প্রায় ১২ হাজার ভোট বেশি পেয়ে জয়ী হন কুনার। তবে বিধানসভা নির্বাচনে কিছুই করতে পারেনি বিজেপি। জেলার চারটি আসন যায় তৃণমূলের দখলে। এরপর থেকেই সাংসদের সঙ্গে দলীয় নেতৃত্বের দূরত্ব তৈরি হয়। কুনারবাবুর ক্ষোভ ছিল, তিনি প্রায় ২২ কোটি টাকা খরচ করলেও দলের তরফে কোনও প্রচার ছিল না।
এদিন এপ্রসঙ্গে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ২০১৯ সালের ফল যখন বেরিয়েছিল, ১১ হাজার ৭০০ ভোটে বিজেপি এই সিট থেকে জিতেছিল। আজকে আপনারা দেখেছেন, যাঁকে প্রার্থী করেছিল, সেই কুনার হেমব্রম নিজের মুখে বলছেন, পাঁচ বছর বিজেপির সঙ্গে ঘর করেছেন। কিন্তু এই ভারতীয় জনতা পার্টি জনজাতি বিরোধী। আদিবাসী বিরোধী।
বিজেপির জেলা সম্পাদক দীনবন্ধু কর্মকার বলেন, কুনারবাবু সবচেয়ে বেশি টাকার কাজ করেছেন। তাতে কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতা ছিল। উনি দল পরিবর্তন করেছেন, সেটা ওঁর ব্যাপার। তবে দল ও কেন্দ্রের সহযোগিতার পরও দল ছাড়লেন। এটা খুব অবাক করা বিষয়।