গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
ইংলিশবাজার শহর সহ মালদহ সদর মহকুমার ব্লকগুলিতে ওই প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। স্থানীয় স্তরে জনপ্রতিনিধিদের একাংশ জমি মাফিয়াদের মদত দিচ্ছেন বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। ফলে স্থানীয়রা বেশিরভাগ সময় ভয়ে মুখ খুলছেন না। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বাসিন্দারা আবেদন জানিয়েছেন।
এব্যাপারে মালদহ সদরের মহকুমা শাসক পঙ্কজ তামাং বলেন, জলাশয় ভরাটের বিষয়টি মেনে নেওয়া যাবে না। এর আগে ভূমি দপ্তর ও প্রশাসন বেশ কিছু জায়গায় জলাশয় ভরাট বন্ধ করেছে। পুলিসের সহায়তা নিয়ে প্রয়োজনে ফের অভিযান চালানো হবে। ওই ধরনের বেআইনি কার্যকলাপ নজরে এলে ব্লক বা মহকুমা প্রশাসনের অফিসে অভিযোগ জানাতে পারেন। প্রয়োজনে অভিযোগকারীর নাম, ঠিকানা গোপন রাখা হবে।
মালদহে গত কয়েকবছরে জমির দাম বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে। ইংলিশবাজার শহরের কিছু জায়গায় কাঠাপিছু জায়গার দাম এক কোটি টাকা ছুঁয়েছে। কলকাতার মতো মেট্রো শহরেও তার থেকে অনেক কম দামে জমি পাওয়া যায় বলে ওয়াকিবহাল মহলের অভিমত। ফলে ইংলিশবাজার শহর এবং সংলগ্ন এলাকায় জমি মাফিয়াদের সক্রিয়তাও বরাবর বেশি থাকে।
লাগোয়া পুরাতন মালদহ শহর, সাহাপুর অঞ্চলেও জমির দাম হু হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ওইসব এলাকার জমি হাতবদল হচ্ছে। চড়া দামে ক্রেতারা তা কিনছেন। কেউ কেউ আবার কালো টাকা জমিতে বিনিয়োগ করছে বলেও অভিযোগ। জেলায় ‘প্রভাবশালীদের’ একাংশ বেনামে জমি কিনছেন বলেও স্থানীয়দের দাবি। এরইমধ্যে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রভাব খাটিয়ে জলাশয় ভরাট, বেআইনিভাবে জমির মিউটেশন, চরিত্রবদল সহ অন্যান্য কাজও রমরমিয়ে চলছে।
ইংলিশবাজার শহর এবং সংলগ্ন এলাকায় জলাশয় ভরাটের ফল ইতিমধ্যেই বাসিন্দারা ভুগতে শুরু করেছেন। একদিকে, তীব্র দাবদাহে বাসিন্দাদের প্রাণ ওষ্ঠাগত হচ্ছে। অন্যদিকে, সামান্য বৃষ্টিতেই শহরে জল জমছে। নিকাশি ব্যবস্থার আমূল সংস্কার না হলে আসন্ন বর্ষাতেও শহরবাসীকে জলবন্দি হতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে অবিলম্বে জলাশয় ভরাট বন্ধ করার দাবিতে পরিবেশবিদরা সরব হয়েছেন। ভোটের ফল প্রকাশের পর প্রশাসনও এব্যাপারে ময়দানে নামবে বলে আধিকারিকরা জানিয়েছেন।
হবিবপুরে পুকুর ভরাট। - নিজস্ব চিত্র।