গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
‘আমার একটা অদ্ভুত দুর্বলতা কাজ করে থিয়েটারের প্রতি,’ অকপট লোকনাথ। ‘মন্দার’ এভাবে তাঁর কেরিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেবে ‘দুঃস্বপ্নে’ও ভাবেননি তিনি। তারপর থেকে গোটা দশ-বারো ছবি আর গোটা পাঁচেক ওয়েব সিরিজ করলেন। ক্যামেরা ক্রমশ কেড়ে নিচ্ছে মঞ্চের মগ্নতা। বলছিলেন, ‘আমার সত্যিই খুব কষ্ট হচ্ছে। এতদিন যে শিল্প মাধ্যমটা নিয়ে বেঁচেছি, সেটা থেকে যেন দূরে সরে যাচ্ছি। আমি নিজের ক্ষতি করছি।’ এক ধরনের অনুশোচনা, আপশোস, আক্ষেপ, হতাশায় হু হু করে ওঠেন ‘আবার প্রলয়’ ওয়েব সিরিজের পরিতোষ সরকার। ‘দুর্বলতাটা এই জন্মে যাবে না। তাই ঠিকই করে রেখেছি, যখনই সুযোগ পাব, তখনই থিয়েটার করব,’ স্পষ্ট বললেন লোকনাথ।
সেই নাছোড় মনোভাব থেকেই দু-একটা পুরনো নাটকে অভিনয় করছেন এখনও। আসলে অভিনয় ছাড়া আর কিছু করতে শেখেননি লোকনাথ। ‘থিয়েটার করেই বাঁচতাম। থিয়েটার করেই খেতাম। এখন অভিনয়ের নতুন মাধ্যমে এসে আয়টা একটু বেড়েছে, এই আর কী,’ হাসতে হাসতে বলেন অভিনেতা। হাসিটা আর একটু চওড়া করে বলেন, ‘কিন্তু অন্য দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে গেলে ছাত্র ও শিক্ষার্থী হিসেবে নতুন ধরনের কাজের মধ্যে ঢুকতে পেরেছি। দীর্ঘ কুড়ি বছর থিয়েটার করার পর নতুন আর একটা জার্নি শুরু করেছি। অস্বীকার করার জায়গা নেই, এই মাধ্যমটাকেও আমি দারুণ উপভোগ করছি। মানুষের ভালোবাসা পাচ্ছি।’ লোকনাথের সংযোজন, ‘থিয়েটারে যেমন আমার নিজস্ব দর্শক আছে, তেমন এই মাধ্যমেও মানুষের মনোযোগ পেতে শুরু করছি।’
লোকনাথ নিজে নির্ঝঞ্ঝাট মানুষ। কিন্তু বড়পর্দা হোক কিংবা ওটিটির উঠোন, সব জায়গাতেই তাঁর অভিনীত চরিত্রেগুলো সব ঝঞ্ঝাট সৃষ্টিকারী। হাসেন স্বভাব লাজুক লোকনাথ। বলেন, ‘কী করব! ইচ্ছে করে তো আর কেউ দুষ্টু লোক সাজে না। আমি পরিচালকদের অনুরোধ করছি, এবার একজন বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর চরিত্র দিন।’