গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
বনদপ্তর অবশ্য জানিয়েছে, ওই জন্তু আসলে নীলগাই। বালুরঘাট শহরে বিপন্ন প্রজাতির নীলগাই কোথা থেকে আসছে, তা নিয়ে শোরগোল পড়েছে। শহরের পাওয়ার হাউস, স্টেট বাস গ্যারেজ, পুলিস লাইন এলাকা দিয়ে নীলগাইকে ছুটে যেতে দেখেন অনেকে। বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে তপন ব্লকেও নীলগাইয়ের দেখা মিলেছে। তবে এদিনের নীলগাই অনেকটাই আলাদা। বনদপ্তর মনে করছে, একাধিক নীলগাই এই জেলায় এসেছে। রবিবার সকাল হতেই বালুরঘাট শহরের বেশকিছু জায়গায় বনদপ্তরের কর্মীরা তল্লাশি চালান। তবে বারবার নীলগাই কোথা থেকে আসছে, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বনদপ্তর। এবিষয়ে বালুরঘাটের রেঞ্জার সুকান্ত ওঝা বলেন, ভোররাতে যে বন্যপ্রাণী দেখা গিয়েছে, সেটি নীলগাই। কোথা থেকে এসেছে, এখনই বলা যাচ্ছে না। সেটির খোঁজ চলছে। আমরা তদন্ত শুরু করেছি।
প্রত্যক্ষদর্শী গোবিন্দ সূত্রধর বলেন, মামার অসুস্থতার কারণে রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলাম। সেই সময় রাস্তায় ওই বন্যপ্রাণীটিকে দেখতে পাই। অনেকেই হরিণ ভাবছিলেন। কিন্তু নিমেষের মধ্যেই পালিয়ে যায়। পুলিসও এসেছিল। জন্তুটিকে পরে আর দেখা যায়নি।
নীলগাই বন্য জন্তু হলেও শান্ত স্বভাবের। দ্রুত ছুটতে পারে। তাই বনদপ্তর মনে করছে, নীলগাইটি বালুরঘাট শহর থেকে বেরিয়ে গিয়েছে।
বালুরঘাট বনদপ্তরের কর্মী দশরথ রায়ের কথায়, রবিবার সকাল থেকে শহর লাগোয়া এলাকায় তল্লাশি চালিয়েও খোঁজ পাইনি। সব জায়গাতেই আমাদের অফিসের ফোন নম্বর দিয়ে এসেছি। কেউ খোঁজ পেলে যোগাযোগ করতে সুবিধা হবে।
বালুরঘাটের কাছে বাংলাদেশ সীমান্ত থেকেও নীলগাইটি আসতে পারে। কিছুদিন আগে তপন ব্লকে নীলগাইয়ের সন্ধান পাওয়া যায়। পাহাড়পুর ফরেস্টেও এক সময় নীলগাইয়ের খোঁজ মেলে। অনেকে আবার মনে করছেন, পাচারের যোগ থাকতে পারে। সেই সব সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখছে পুলিস ও বনদপ্তর। বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা বলেন, নীলগাই শহরে দৌড়ে বেরানোর খবর পেয়েছি। পুলিসকর্মীরাও রাতে দেখেছেন। সাধারণ এই অঞ্চলে নীলগাই দেখা যায় না। আমরাও খতিয়ে দেখছি।
বালুরঘাটের রাস্তায় নীলগাই। - নিজস্ব চিত্র।