গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
সিওয়ানের প্রধান পরিচিতি ভারতের প্রথম রাষ্ট্রপতি ডঃ রাজেন্দ্র প্রসাদের জন্মস্থান হিসেবে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে সিওয়ান আর শাহবুদ্দিন যেন সমার্থক হয়ে গিয়েছিল। ১৯৯৬ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সিওয়ানের সাংসদ ছিলেন তিনি। কিন্তু জোড়া খুনের মামলায় যাবজ্জীবন কারদণ্ড হয় শাহবুদ্দিনের। তারপর থেকেই প্রভাব কমতে থাকে তাঁর। স্ত্রী হেনাকে ২০০৯, ২০১৪ ও ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে সিওয়ান থেকে প্রার্থী করেছিল আরজেডি। কোনওবারেই জিততে পারেননি তিনি। এবার তাই হেনার বদলে সিওয়ানের বিধায়ক অবোধবিহারী চৌধুরীকে প্রার্থী করেছে আরজেডি। নীতীশ ফের বিজেপির হাত ধরার আগে অবোধ ছিলেন বিহার বিধানসভার স্পিকার। আর টিকিট না পেয়ে নির্দল হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে দেন হেনা। অটোরিকশা চিহ্ন পেয়ে তিনি আপাতত সিওয়ানের গ্রামে গ্রামে চষে বেরাচ্ছেন।
সিওয়ানে মুসলিম ভোটের সংখ্যা প্রায় তিন লক্ষ। এছাড়া আড়াই লক্ষ যাদব ভোট, প্রায় দেড় লক্ষ কুশওয়াহা ভোট রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে চার লক্ষ ‘উঁচু সম্প্রদায়’ ও আড়াই লক্ষ অত্যন্ত পিছিয়ে থাকা শ্রেণি (ইবিসি)-র ভোট। শাহবুদ্দিনের সময়ে মুসলিম ও যাদব ভোট তো বটেই, অন্য সম্প্রদায়ের ভোটও আরজেডির ঘরে আসত। তবে আরজেডিকে স্বস্তি দিচ্ছে গত লোকসভা নির্বাচনের ফল। সিওয়ান লোকসভার অন্তর্গত ছয়টি বিধানসভা আসনের পাঁচটিতেই জয়ী হয়েছিলেন মহাগঠবন্ধনের প্রার্থীরা।
জাতপাতের অঙ্ক কষে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপির জোটসঙ্গী জেডিইউও। গতবারের জয়ী সাংসদ কবিতা সিংকে টিকিট দেওয়া হয়নি। তাঁর বদলে প্রার্থী করা হয়েছে বিজয়লক্ষ্মী কুশওয়াহাকে। বাহুবলী নেতা অজয় সিংয়ের স্ত্রী কবিতাকে প্রার্থী না করায় ক্ষুব্ধ তাঁর সমর্থকরা। ফলে জেডিএউ প্রার্থীর জন্যও এবার কঠিন লড়াই।
তবে হেনা যে প্রচারে প্রভাব ফেলেছেন, তা সিওয়ানের বাসিন্দাদের কথাতেও স্পষ্ট। মাসুদাহা গ্রামের বাসিন্দা মোহন প্রকাশ যেমন বলছেন, ‘আমাদের সহানুভূতি হেনাজির দিকেই। কারণ উনি সাহাবের (শাহাবুদ্দিনের স্থানীয় নাম) স্ত্রী। প্রতিদিন উনি ৩০-৩৫টি জায়গায় যাচ্ছেন। উনি জিতবেন কি না জানি না, তবে প্রচুর ভোট পাবেন এটা নিশ্চিত।’ প্রচারে গিয়ে শাহবুদ্দিনের আমলে সিওয়ানে কী কী উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে, সেই কথাই তুলে ধরছেন হেনা। তাঁর কথায়, ‘আমি সফল না হওয়া পর্যন্ত ছাড়ব না। আমি সিওয়ানের মেয়ে ও শাহবুদ্দিনের স্ত্রী। ওঁর কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’