গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
উল্লেখ্য, গতবছর ডিসেম্বর মাসে ঝাড়গ্রাম থেকে কোচবিহারের রসিকবিলে সোহেল, সুলতান ও শাহাজাদ নামে তিনটি পুরুষ চিতাবাঘ নিয়ে আসা হয়েছিল। গরিমা ও রিমঝিম আগে থেকেই ছিল এখানে। সাতটি চিতাবাঘ শাবক জন্ম নেওয়ার ফলে রসিকবিলে মোট চিতাবাঘের সংখ্যা হয়েছে ১২টি।
কোচবিহারের এডিএফও বিজনকুমার নাথ বলেন, রসিকবিলে যে সাতটি চিতাবাঘ শাবকের জন্ম হয়েছে তারা সকলেই ভালো রয়েছে। দেড় মাস বয়স হয়েছে। মায়ের দুধের পাশাপাশি তিন-চার দিন ধরে এরা মাংস খাওয়া শুরু করেছে। তিন মাস পর্যন্ত এরা মায়ের দুধ খাবে। পর্যটকদের কাছে যাতে দ্রুত এদের নিয়ে আসা যায় তারজন্য পরিকাঠামো তৈরির পরিকল্পনা শুরু হয়েছে।
বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, চিতাবাঘের শাবককে তিন মাস বয়স পর্যন্ত আলাদা করে কোনও খাবার দেওয়ার নিয়ম নেই। তাই দেওয়াও হচ্ছে না। মায়ের দুধই এদের প্রধান খাদ্য। কিন্তু তার পাশাপাশি চিতাবাঘের শাবকগুলি এখন থেকেই ধীরে ধীরে তাদের মাকে দেওয়া মাংসেরই স্বাদ গ্রহণ করতে শুরু করেছে।
চিতাবাঘের শাবকগুলিকে যাতে পর্যটকদের সামনে দ্রুত নিয়ে আসা যায় তার জন্য এনক্লোজার তৈরি বানানো হবে। রসিকবিল মিনি জু’য়ে মোট এক হেক্টর এলাকাজুড়ে এনক্লোজারটি এখন। চিড়িয়াখানার নিয়ম অনুসারে এই বিরাট এলাকায় ৪০-৫০টি চিতাবাঘ রাখা সম্ভব। কিন্তু এখানে চিতাবাঘ দাঁড়িয়েছে ১২টিতে। যেহেতু এখানে পুরুষ, স্ত্রী ও শিশু চিতাবাঘ রয়েছে তাই আলাদা আলদাভাবে এদের পর্যটকদের সামনে নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে বনদপ্তরের। এক্ষেত্রে মা ও শাবক চিতাবাঘ বা পুরুষ ও স্ত্রী চিতাবাঘকে এক সঙ্গে তুলে ধরার চিন্তাভাবনা রয়েছে। আগামী পাঁচ-ছ’মাসের মধ্যে এগুলি গড়ে তোলা হবে। ফাইল চিত্র।