গুরুজনের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তা ও মানসিক উদ্বেগ। কাজকর্মে বড় কোনও পরিবর্তন নেই। বয়স্কদের স্বাস্থ্য সমস্যা ... বিশদ
কল্যাণের মধ্যে রয়েছে ছ’টি বিধানসভা কেন্দ্র। ডম্বিভেলি সহ তিনটি কেন্দ্র রয়েছে বিজেপির হাতে। বাকি তিনটির একটি একনাথ সিন্ধে পন্থী শিবসেনা, একটি মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা এবং একটি এনসিপির। তিনজন বিধায়ক থাকায় এই কেন্দ্রটি এবার দাবি করেছিল বিজেপি। সূত্রের খবর, বিজেপি এবার এই কেন্দ্র থেকে ডম্বিভেলির বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী রবীন্দ্র চ্যবনকে প্রার্থী করতে চেয়েছিল। কিন্তু ছেলের জন্য এই কেন্দ্রটির দাবি থেকে সরে আসেননি মুখ্যমন্ত্রী একনাথ। শেষ পর্যন্ত তাঁর জেদেরই জয় হয়। প্রার্থী হলেও বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা কতটা শ্রীকান্তের পাশে থাকবেন, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
কল্যাণের ভোটার বৈচিত্রও চোখে পড়ার মতো। মুম্বইয়ের কাছেই রয়েছে এই কেন্দ্র। ডম্বিভেলিতে দক্ষিণ ভারতীয়দের রমরমা। উল্লাসনগরে আবার সিন্ধিদের সংখ্যা বেশি। কল্যাণ সিটি এবং কল্যাণ গ্রামীণে গুজরাতি এবং মারাঠিদের সংখ্যাধিক্য। অম্বরনাথ বিধানসভা কেন্দ্রে সিন্ধি ও গুজরাতিদের সংখ্যা বেশি। আর মুম্ব্রা-কালওয়া কেন্দ্র মুসলিম প্রভাবিত। অনেকেই মনে করেন, ভোটার বৈচিত্রের কারণে কোনও রাজনৈতিক অঙ্কই এই কেন্দ্রে খাটে না। সেই অনিশ্চয়তাকে সঙ্গী করেই এবার কল্যাণ জয়ের স্বপ্ন দেখছেন বৈশালী দারেকার রানে। পাশাপাশি কেন্দ্র এবং রাজ্যের নানা নীতির বিরুদ্ধেও আক্রমণ শানিয়েছেন এই পোড়খাওয়া নেত্রী। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্র ও রাজ্যের নানা নীতির জন্য জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। জীবন ধারণের খরচ বেড়ে যাওয়ায় মানুষ উদ্বিগ্ন। ক্ষমতার অপব্যবহার, দাগী অপরাধীদের দলে নেওয়ায় মানুষ শাসকদলের উপর ক্ষুব্ধ। তাঁরা এবার পরিস্থিতির বদল চান।’ কল্যাণের জনসংখ্যা বাড়লেও সেই অনুযায়ী পরিকাঠামোর উন্নতি হয়নি বলেও উদ্ধবপন্থী শিবসেনার এই নেত্রী অভিযোগ করেছেন।