আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ
‘নুরু! এই নুরু! তুই গাছে হেলান দিয়ে বসে বসে ঘুমাচ্ছিস, আর ওদিকে দেখ গে সর্বনাশ হয়ে গেছে! তোর দলের একটা মোষ দহে পড়ে গেছে। টপ টপ যা। এতক্ষণে মনে হয় তলিয়ে গেল!’
ঘুম-জড়ানো চোখেই ধড়ফড় করে উঠে দাঁড়াল নুরু। মাটি থেকে গামছাটা তুলে, ধুলো ঝেড়ে কোমরে বাঁধল। বাঁ-হাতে নিল পাচন লাঠিটা। গোরু-মোষের দলটা সামনেই চড়ছে। মোষগুলোর দিকে চেয়ে দেখল, নিবারণ ঘোষের লেজকাটা মোষটা নেই। বুকটা ছ্যাঁৎ করে উঠল নুরুর। পাগলের মতো ছুটতে লাগল দহের দিকে।
বন্যার পর পলি-বালি ফেলে ফেলে নদীটা অনেক দূর সরে পড়েছে। নদীর খামখেয়ালিপনায় জন্ম হয়েছে একটা চরের। আগে সবাই বলত, নতুন চর। সেই যে বছর লাগারডাঙার ঘোষদের একটা মোষ জল খেতে নেমে দহে পড়ে মরে গেল, সেই থেকেই মানুষের মুখে মুখে চরটার নাম হয়ে গেল মোষমরার চর। ওই চরের দহে প্রতিবছর কারও না কারও মোষ মরেই। রাখালরা তাই ভুল করেও ওইখানে গোরু-মোষ চরায় না। জায়গাটা ভয়ে ভয়ে পার করে, অনেক দূরে ফাঁকা ময়দানে ছেড়ে দেয়।
চরের ধারে বেশ কয়েকজন জড়ো হয়েছে। নুরুকে পাচন হাতে আসতে দেখে জেলেপাড়ার বংশী বলল, ‘বাঁচাতে পারলমনি ভাইপো। নড়াচড়া বন্ধ হয়ে গেল।’
দহের দিকে তাকিয়েই পাথরের মতো দাঁড়িয়ে পড়ল নুরু। মুখে কোনও কথা বেরল না। কচুরিপানার ফাঁকে অনেকটা জায়গা জুড়েই মোষটার দাপাদাপির চিহ্ন। দেখলেই বোঝা যায়, বাঁচার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছিল প্রাণীটা।
চরের ধার ঘেঁষে ডোবা মতো নিচু অংশটা নরম পাঁক-মাটিতে ভর্তি। বন্যার জল এখানে ঘুরতে ঘুরতে গর্তের সৃষ্টি করেছে। নদীখাতের এই নিচু অংশটাই দহ। শীতকালে নদীর জল শুকিয়ে গেলে বোঝা যায়, এই দহ থেকে ঝরে ঝরে জল নামে। সামনের অংশটা স্রোতে ভেসে আসা কতকগুলো কচুরিপানা দখল করে নিয়েছে। ওপর থেকে দেখলে মনে হবে শক্ত ডাঙা, কিন্তু পা দিলেই সর্বনাশ! চোরাবালির মতো টেনে নেবে নিজের গহ্বরে।
নদীতে নেমে যাওয়া একটা খালে জেলেপাড়ার কয়েকজন লোক মাছ ধরছিল। হঠাৎ তারা দহের দিক থেকে কীসের যেন ঘাঁই মারার শব্দ শুনতে পায়। কৌতূহলবশত খাল থেকে উঠে দহের কাছে এসে দেখে, একটা মোষ বিষ খাওয়া মাছের মতো খাবি খাচ্ছে। সঙ্গে কারও দড়িও ছিল না। এত তাড়াতাড়ি কী করবে কোনও উপায় খুঁজে পায় না কেউ। দেখতে দেখতেই তলিয়ে গেল মোষটা।
দহে মোষ পড়ার খবর শুনে অনেকেই ছুটে আসল। ভিড় জমে গেল মোষমরার চরে।
সামসের মল্লিক বলল, ‘আরে ও জয়নালের পো! বলি, মোষটা পড়ল কী করে অ্যাঁ? রাখালি করচিস, কুনু কাণ্ডজ্ঞান নাই বাপু! গাছতলায় বসে বসে ঘুমলে হবেক!’
নুরুর কাঁদোকাঁদো অবস্থা। কোনও উত্তর দিতে পারে না।
ভিড় থেকে একজন ফোড়ন কাটে, ‘এবার মজা বুঝুক! মোষের দাম গচ্চা দিক নিবারণকে।’
কিছুক্ষণের মধ্যেই খবর পেয়ে পড়িমরি করে ছুটে এল নুরুর বাপ। সব ব্যাপারস্যাপার শুনে রেগে বোম! হাতে একটা কঞ্চি তুলে নুরুকে মারতে গেল। কিন্তু নুরুর গায়ে কঞ্চির ঘা পড়ার আগেই কয়েকজন জাপটে ধরল জয়নালকে।
‘আহ! কর কী জয়নাল। ছেলেটাকে মারলে মোষটা ফিরে আসবেক?’
বুড়ো কাশীনাথ বলল, ‘মারধর করিস না বাপ। অমন ছেলেকে আর ঘরে রাখিস না, বাইরে খাটতে পাঠিয়ে দে। গোরু-মোষের রাখালি করা ওর কম্ম নয়। সেবার দেখলি তো, আমার ধানের বীজতলাটা কেমন খেয়ে ন্যাড়া করে দিল।!
দুই
নিবারণ ঘোষ গ্রাম-ষোলোআনাকে ডাক দিল। বিকালে পাঁচপাড়ার মাতব্বরদের ঘরে ঘরে বলে এসেছে। সবাই যেন সন্ধ্যায় আস্তানায় হাজির হয়ে যায়। খবরটা শোনার পর থেকেই জয়নালের বুকের ভেতরে শুরু হল ঢিপঢিপানি। নুরুর মা সান্ত্বনা দিল, ‘এত চিন্তা কর না গো! গাঁয়েতে পাঁচরকম ভালো-মন্দ মানুষই আছে। লেয্য বিচার করবেক বইকি!’
ময়না সান্ত্বনা দিলেও নুরুর বাপের মন মানে না। মাথার ওপর একরাশ দুশ্চিন্তার কালো মেঘ চক্কর কাটে। পরের জমিতে জন-মুনিষ খাটে জয়নাল। রাতদিন খেটেখুটে সংসারের তিন-তিনটে পেটের খোরাক জোগাড় করতেই হিমশিম খেয়ে যাচ্ছে। হঠাৎ যদি গ্রামের মাতব্বররা চাপ দেয়, তাকে মোষের পুরো দাম গচ্চা দিতে হবে, তাহলে কোথায় পাবে এত টাকা? কাকুতিমিনতি করলেও কি শুনবে!
গ্রামের মধ্যবর্তী একটা স্থানের নাম আস্তানা। গ্রাম-ষোলোআনাকে কেউ ডাক দিলে এখানেই সবাই জড়ো হয়। সামান্য টুকিটাকি বিষয়ে পাড়ায় পাড়ায় বসলেই মিটে যায়। সন্ধ্যার একটু পরেই আস্তানায় লোকজন জড়ো হলে ষোলোআনার পক্ষ থেকে জয়নালকে ডাকতে পাঠানো হল। জয়নাল সুড়সুড় করে এসে এক কোণায় বসল। একটু পর নুরুও এল।
সামাদ মল্লিক এবার সবাইকে চুপ করিয়ে শুরু করল, ‘আজ নিবারণ কী জন্য ডাক দিয়েছে সেকথা সবাই মোটামুটি জানো। তাও আর একবার শুনে রাখো, মোষ-মরার চরে ওর যে মোষটা আজ মরল, রাখালির শর্ত অনুযায়ী নুরুর কাছ থেকে তার ক্ষতিপূরণ দাবি করছে।’
পালপাড়ার রাসু মোড়ল বলল, ‘রাখাল নাবালক ছেলে, উ কী করে ক্ষতিপূরণ দিবেক! রাখালের গার্জেন তো এসেছে। কী বলতে চাইছে বলুক।’
জয়নাল কাকুতিমিনতি করে উঠল, ‘তুমরাই লেয্য বিচার করো। মোষটা তো আমার ছেলে নিজের থেকে ঠেলে ফেলে দেয়নি। অবলা জীব, পিয়াসের টানে চলে গেছে। উয়ার মরণ ছিল!’
‘মরণ ছিল বললে তো হবেকনি। চরানোর জন্য মাসে মাসে গোরু পিছু টাকা দিই। দেখভালের দায়িত্ব কার? মালিকের, না রাখালের?’ নিবারণ ঘোষ সরাসরি প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়।
ইলিয়াস মণ্ডল গ্রামের প্রবীণ মানুষ। চুপচাপ বসেছিল এতক্ষণ। আজ একটা কথা জানানোর সুযোগ পেয়েছে। খ্যাকখ্যাক করে গলা ঝেড়ে বলল, ‘রাখালের উপর পুরো দোষটা চাপালে হবেকনি বাপু। আমার কথা তুমরা নাও মানতে পারো। অনেক বছর থেকেই তো দেখছি, একটা জিনিস তুমরা কি খেয়াল করে দেখেছ কেউ, প্রতিবছর ওখানে শুধু মোষই মরে কেন? নদীর পাড়ে তো অনেক গোরু-ছাগলও চরে!’
ভ্রুঁ কুচকে তাকাল সবাই ইলিয়াসের দিকে। সিদ্দিক মণ্ডল বলল, ‘কী বলতে চাইছ চাচা?’
‘বানের পর যখন চর জাগল ওখানে, প্রথম যে মোষটা পড়েছিল দহে, সেই লাগারডাঙার বাবু ঘোষের মরা মোষটাকে আমিও তো দেখতে গিয়েছিলাম বাপু। হারিয়ে যাওয়া মোষটাকে সারাদিন তন্ন তন্ন করে খুঁজেছিল রাখাল, কিন্তু কোথাও তার দেখা মেলেনি। পরের দিন দহে একটা কালো মাথা ভাসতে দেখা গেল। ঠিক যেন কেউ মোষের মাথাটা কেটে কাদার ওপর নামিয়ে দিয়ে গেছে। শুনেছি ওই মোষটা ছিল বাঁজা। কিছুতেই পাল ধরে রাখত না।’
রাসু মোড়ল বলল, ‘তার সঙ্গে মোষ মরার কী সাথ?’
‘সাথ আছে গো, সাথ আছে। তুমরাই মিলিয়ে দেখো। আগের বছর মজলিডাঙার যে মোষটা মরল, ওটা কী মোষ ছিল? তার আগের বার ধলাচাঁদের মোষটা? এখনও পয্যন্ত যেক’টা মোষ মরেছে, প্রত্যেকটা মোষই মদ্দা। বুঝলে এবার? ও আরও অনেক মোষের প্রাণ নেবে।’
নিবারণ ঘোষ এবার ধমকে থামিয়ে দিল ইলিয়াসকে, ‘তুমি চুপ করবে চাচা! ওসব আলফাল কিসসা এখন চালে তুলে রাখো তো! নিকুচি করেছে তুমার মোষমরার চরের! আমি বাপু স্পষ্ট কথা বলে দিচ্ছি, আমার মোষের পুরো দাম কিন্তু লাগবেক। তুমরা কী করছ করো, নাহলে আমি একাই ব্যবস্থা নিয়ে নেব।’
‘শান্ত হ নিবারণ, শান্ত হ!’ মনোয়ার মাস্টার চুপ করাল নিবারণকে। তারপর শান্ত গলায় বলল, ‘দেখ বাপ একটু বোঝার চেষ্টা কর! গাঁয়ে-ঘরে বাস একে-অপরের পাশে থাকতে হবে। গরিব মানুষ জয়নাল। গরিব না হলে কি আর ছেলেকে রাখালি করতে দেয়! কত আর বয়স নুরুর! এখন ওর স্কুলে পড়ার সময়!’
‘এ তুমার কেমন কথা হল মাস্টার! রাখালদের কুনু দায় নাই বলছ? তাইলে তো ওদের আরও লেজ মোটা হয়ে যাবেক।’ ঘোষপাড়ার কয়েকজন চ্যাংড়া ছেলে হইচই করে উঠল।
নুরু চুপচাপ শুনছিল সবার কথাবার্তা। কী আর করবে ও! লেখাপড়ার পাঠ কোনদিন চুকে গিয়েছে তার। কোনওরকম টেনেটুনে প্রাইমারি স্কুলটা গিয়েছিল। তারপর আর মন বসল না। একদিন মা বলল, ‘তুই লেখাপড়াও করবি না, আর সারাদিন টো টো করে ঘুরে বেড়াবি, তা তো চলবেনি বাপু। বাপটা তোর একলা খেটেখুটে মরবে কি?’
কিছুদিনের মধ্যেই নুরুর কাজ একটা জুটে যায়। মল্লিক পাড়ার ঝড়ু মল্লিক জয়নালকে জানায়, তার গোরুগুলো যেন নুরু চরাতে নিয়ে যায়। কিছু হাতখরচের টাকা দেবে মাসে মাসে।
ঝড়ু মল্লিকের গোরু নিয়ে যেতেই গ্রামের আরও অনেকে আবদার করতে লাগল। এখন সব মিলিয়ে চল্লিশ-পঞ্চাশটা গোরু-মোষ রোজ খুলতে হয়। প্রত্যেক মালিক মাসে মাসে গোরু পিছু পঞ্চাশ টাকা করে দেয়। তাতে কোনওরকম টেনেটুনে সংসারের হাটবাজার, তেল-মশলার জোগানটা হয়।
‘চুপ করো সবাই, চুপ করো!’ এবার গর্জে উঠল রাসু মোড়ল। ভিড়ের গুঞ্জন কমলে সরাসরি জয়নালের দিকে তাকিয়ে বলল, ‘জয়নাল, তুমার কী বক্তব্য স্পষ্ট করে বলোদিনি। ছেলে তুমার রাখাল। রাখালির সব শর্ত মেনেই তো ছেলেকে কাজে নামিয়েছ। এখন কাঁইকুঁই করলে তো চলবেকনি।’
জয়নাল চুপ করে বসে থাকে। তা দেখে সিদ্দিক মণ্ডল বলল, ‘গচ্চায় পড়েছ, এখন চুপ করে বসে থাকলে রেহাই নাই জয়নাল। যাহোক একটা মীমাংসা করে নিতে হবে। তোমাদের বিচার নিয়ে আমরা সারারাত বসে থাকব নাকি!’
জয়নাল এবার মুখ খুলল। বলল, ‘আমার কাছে তো লগদ টাকা জমানো নাই। গরিব মানুষ, হঠাৎ কী করে একটা মোষের দাম দিই বলো!’
রাসু মোড়ল বলল, ‘তারজন্য তুমাকে সময় দেওয়া হবে।’
নিবারণ ঘোষ হিসাব কষে নিল মনে মনে। তারপর জানাল, ‘মোষটার যা খাড়াই ছিল, এখনকার বাজারে চব্বিশ-পঁচিশ হাজার টাকা দাম হতো।’
দাম শুনে চমকে উঠল জয়নাল। এবার জোড়হাত করে অনুরোধ করল, ‘তুমরা গাঁয়ের পাঁচজনা আছো, একটা লেয্য বিচার করো। এত টাকা আমি কোথায় পাব?’
রাসু মোড়ল এবার মীমাংসা করে দিল। বলল, ‘শুন নিবারণ, তুইও একটু সহ্যধহ্য কর। জয়নালকে এতটা চাপ দিলে উ কি পারবেক? অর্ধেক টাকায় মেনে লে বাপ!’
নিবারণ মুখ গোঁজ করে বসেছিল। রাসু মোড়লের কথা শুনে বলল, ‘তুমরা যখন গাঁয়ের মাথা হয়ে বলছ, তাই দেক। তবে একটা কথা বলে দিলাম, ওর ছেলেকে আমি আর রাখাল রাখবনি।’
নিবারণের কথাতে আরও কয়েকজন সমর্থন জানাল, ‘হ্যাঁ, আমরাও আর উয়ার ওপর আস্থা পাচ্ছিনি। রাখালি করা উয়ার কম্ম নয়। সব হিসাব বুঝিয়ে, কাটছাঁট করে নিব। আজ নিবারণের মোষ মরল, কাল আবার অন্য কারও মোষ চলে যাবেক। নাকে কাঁদলে তো বার বার ছেড়ে দেওয়া যাবেকনি।’
রাসু মোড়ল বলল, ‘এসব তুমাদের নিজেদের ব্যাপার। যেটা ভালো বুঝবে, সেটাই করবে। এখন যেটা হচ্ছে সেটা আগে চুকুক।’ জয়নালের দিকে ঘুরে রাসু মোড়ল এবার বলল, ‘তুমি নিজের মুখেই বলো তো জয়নাল, কতদিনের মধ্যে টাকাটা দিতে পারবে?’
জয়নালের মাথার ওপর এখন কালবৈশাখীর ঝড়। সমস্ত ভাবনাচিন্তা ওলটপালট হয়ে যাচ্ছে তার। না আছে বাপুতি বিঘাখানেক জমি, না আছে জমানো পুঁজি। ভাত-মুড়ির চাল থেকে শুরু করে তেলটি, নুনটি সবই কেনা। কোথায় সে এত টাকা পাবে! তার উপর নুরুকে যদি কেউ আর গোরু-মোষ চরাতে না দেয়!
মোড়ল বলল, ‘এত ভাবনাচিন্তার কিছু নাই জয়নাল,একমাস সময় দেওয়া হল তুমাকে। সামনের মাসের আজকের তারিখের মধ্যে টাকাটা ফেলতে হবে। না পারলে আরও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা।’
বিচার শেষ হলে আস্তানার জমাটি অন্ধকারকে খণ্ড খণ্ড করে জড়ো হওয়া মানুষগুলি নিজের নিজের ঘরে ফিরতে লাগল। অন্ধকারে গা মিশিয়ে একপাশে অনেকক্ষণ বোবার মতো দাঁড়িয়ে ছিল নুরু। দেখল, বাবার চলনে কোনও গতি নেই। টলমল করছে। নুরু নিজেও টের পেল, চারদিকে চাপ চাপ অন্ধকার। কালো পাঁক-মাটি আর ঘোলা জল। দম বন্ধ হয়ে আসছে। ওঠার জন্য আপ্রাণ হাত-পা ছোড়ার চেষ্টা করেও নড়তে পারছে না। কী করে নড়বে! আজ দহে শুধু নিবারণ ঘোষের মোষই তো পড়েনি। মোষটা মরে তাদের দুই বাপ-বেটাকেও ফেলে গিয়েছে দহে।
অলঙ্করণ : সোমনাথ পাল