Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

ছোট গল্প
সম্ভবামি যুগে যুগে

 

ঋতা বসু: মহাপ্রস্থানের পথে অর্জুনের পতনের পর ভীম ও যুধিষ্ঠির আরও উত্তরদিকে এগিয়ে গেলেন। সেই বরফে ঢাকা শ্বেত প্রান্তরে মৃত্যুর অপেক্ষা করতে করতে অর্জুনের মন আসন্ন স্বর্গ না নরক এই দুর্ভাবনার  থেকেও শেষজীবনের পরাজয় ও হতাশায় আচ্ছন্ন হয়ে রইল। তিনি চিরকালের শৌর্যাভিমানী। যেন তেন প্রকারে শত্রু সংহারই তার ধ্যান জ্ঞান। জ্যেষ্ঠভ্রাতার কথা অনুযায়ী সর্বশ্রেষ্ঠ ধনুর্ধর হিসেবে অহংকার বশতই নাকি এই পতন। তাই যদি হয় অর্জুনের দুঃখ নেই। সারাজীবন ধরে নিজেকে সর্বশ্রেষ্ঠ প্রমাণ করে এসেছেন। তার জন্য যদি কিছু অহংকার জন্মে থাকে তাহলে তিনি নিরুপায়।
 যাত্রার আগে গাণ্ডীব ধনু আর অক্ষয় তূণীর বিসর্জন দেবার সঙ্গে সঙ্গে অর্জুন গভীর মনঃকষ্টে আচ্ছন্ন হয়েছিলেন। এ কষ্ট, নিরাপত্তাহীনতা তার কয়েকদিন আগে থেকেই শুরু হয়েছে। যখন থেকে সামান্য ব্যাধের হাতে পরমসখা যাদবকুলচূড়ামণি কৃষ্ণের মৃত্যুর খবর শুনেছেন, তখন থেকেই বেদনার থেকে ভয়টাই বড় হয়ে উঠেছে। তা সত্ত্বেও দ্বারকায় গিয়ে দস্যুদের হাত থেকে কুলকামিনীদের রক্ষা করার প্রাণপণ চেষ্টা করেও বিফল হয়েছেন। অসহায় ক্রোধ আর গ্লানির সঙ্গে অনার্য দস্যুদের হাতে যাদবকুলের লাঞ্ছনা আর উৎকৃষ্ট রমণীদের অপহরণ দেখতে হয়েছে। কেউ কেউ স্বেচ্ছায় গমন করছে দেখে নিষ্ফল আক্রোশে মাথা কুটেছেন। গাণ্ডীব শরাসন ধারণ করেও তাদের পরাস্ত করতে পারলেন না। বাহুতেও যেন বল নেই। যে সমস্ত অস্ত্রের জন্য অর্জুন এতকাল অনায়াসেই শত্রু দমন করতে পারতেন বিস্মৃতির গাঢ় তমসায় ঢাকা পড়ে গিয়েছিল সেই সব দিব্যাস্ত্র। 
আর আজ নিঃস্ব রিক্ত অবস্থায় পথের ধারে পড়ে মৃত্যুর অপেক্ষা করছেন মহাকাব্যের মহাবীর। আচমকা কার হাতের ধাক্কায় চোখ মেলে তাকিয়ে দেখলেন কৃষ্ণবর্ণের এক বালক। দেখে মনে হয় নিম্নবর্ণের— ব্যাধ, নিষাদ, কীরাত শ্রেণির। অর্জুন জিজ্ঞেস করলেন— কে তুমি বালক? এই জনহীন মৃত্যু উপত্যকায় কী করছ? 
বালকের মুখে ব্যঙ্গের হাসি— আমাকে চিনতে পারছ না? 
অর্জুন বিস্ময়ে প্রায় বুজে আসা চোখ খুলে বললেন— না তো, আমরা কি পূর্বপরিচিত? 
—এতদিনের কথা যে তুমি সম্পূর্ণ বিস্মৃত হয়েছ। আমরা পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলাম। 
সে তার ডান হাতের তর্জনী তুলে ছিন্ন বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখানো মাত্র অর্জুনের মনে পড়ে গেল নিষাদরাজ হিরণ্যধনুর পুত্র একলব্য।
একলব্যের গলায় তীব্র ঘৃণা— তুমিও রাজপুত্র আমিও রাজার কুমার। বর্ণ ছাড়া আমরা সমগোত্রীয়। আমার সঙ্গে তোমার ব্যবহার কি রাজোচিত হয়েছিল? 
বালক হলেও অর্জুন তার কথায় ভীত হয়ে বললেন— আচার্য দ্রোণ গুরুদক্ষিণা চেয়েছিলেন তোমার কাছে। এরজন্য আমাকে দোষারোপ করছ কেন?
—নিজেকে বাঁচাবার বৃথা চেষ্টা কোরো না। সবাই জানে দ্রোণের কাছে নির্জনে নাকে কান্না কেঁদেছিলে তুমি। তোমার থেকেও শ্রেষ্ঠ ধনুর্ধরের সন্ধান পেয়ে ভয় পেয়ে গিয়েছিলে। গুরুদেব কি কখনও প্রিয় শিষ্যের মলিন মুখ সহ্য করতে পারেন? ফলে আমার সবথেকে জোরের জায়গাটাকেই গুরুদক্ষিণা দিতে  হল। তোমাদের ব্রাহ্মণ-ক্ষত্রিয়ের জোট আমার শরক্ষেপণের পরীক্ষা নিয়ে আগের মতো জোর নেই দেখে অত্যন্ত সন্তুষ্ট চিত্তে বিদায় নিয়েছিলে সেদিন।
অন্তরের দোলাচল চেপে অর্জুন জিজ্ঞেস করল— সেই ঘটনা স্মরণ করে তুমি আজ এসেছ প্রতিশোধ নিতে? 
একলব্য অট্টহাস্য করে বলল— পাগল। মরার গায়ে খাঁড়ার ঘা দেওয়া তোমাদের একচেটিয়া। চিরকাল দুর্বলের ওপর জোর খাটিয়েই তোমরা রাজা। আমাকে তো তবু প্রাণে মারনি। বেশ আটঁঘাট বেঁধে যাদের হত্যা করেছ, যারা তোমাদের উন্নতি অগ্রগতির জন্য প্রাণ দিয়েছে ওই যে তারা আসছে দলে দলে দেখ—
একলব্যের কথা শেষ হতে না হতেই দেখা গেল দূরে অসুর, গন্ধর্ব, যক্ষ, রাক্ষস, নাগ তাদের দগ্ধ,অর্ধদগ্ধ শরীরে তুষারে ঢাকা পথ ধরে এগিয়ে আসছে। 
অর্জুন বিস্মিত ভীত কণ্ঠে বললেন— যুদ্ধে অনেক হত্যা করেছি, কিন্তু সে তো ক্ষত্রিয়ের পরম কর্তব্য। মারি অরি পারি যে কৌশলে, কিন্তু এই নিরীহ নিরস্ত্র প্রাণীদের বধ করেছি বলে তো মনে পড়ে না। 
একলব্য তিক্ত হেসে বলল— একদম বিস্মরণ তাই না? খেলার ছলে তুমি আর তোমার প্রিয় সখা খাণ্ডব বন দগ্ধ করেছিলে মনে নেই। 
—সে তো পরম পবিত্র অগ্নিকে রক্ষা করবার জন্য। অতিরিক্ত ঘি সেবনে অগ্নির ক্ষুধামান্দ্য রোগ হয়েছিল, তার নিরাময়ের জন্য পশুমাংসের প্রয়োজন হয়েছিল। 
—শুধু যদি পশু হত্যা করতে সেটা বিশ্বাস করা সম্ভব হতো। রাজারা চিরকাল মৃগয়ায় যায় তার জন্য এত আটঘাট বাঁধার দরকার হয় না। 
অর্জুন প্রতিবাদ করে কিছু বলবার চেষ্টা করতেই একলব্য তাকে থামিয়ে দিয়ে বলল— এখানেও সেই উচ্চবর্ণের জোট। তোমরা চাইছিলে নতুন রাজধানী খাণ্ডবপ্রস্থের রাজ্যসীমা বাড়াতে। ব্রাহ্মণরা চাইছিল, রাজাদের সাহায্যে নিজেদের ক্ষমতার সীমা বাড়িয়ে নিতে। মোটকথা ওই বনাঞ্চলটি তোমাদের দরকার। কিন্তু খাণ্ডববনবাসীরা যথেষ্ট শক্তি ধরে। ওই বনভূমি দখলের লড়াই চলছে অনেকদিন ধরেই। কিন্তু কিছুতেই আদিবাসীদের পুরোপুরি নির্মূল করা যাচ্ছিল না। তাই তোমরা ঠিক করলে এবার শুধু উচ্ছেদ নয় নির্বিচারে হত্যা করে শেষ করে দিতে হবে অরণ্যের শেষ প্রাণবিন্দু। অরণ্যের অধিকার ছাড়তে না চাওয়া খাণ্ডববনের অধিবাসীদের চরম শিক্ষা দিতে হবে।। মনে পড়ে তোমার সেইদিনের কথা? তোমরা খেলাচ্ছলে ধ্বংসে মেতেছিলে। সেই খেলার কত অস্ত্র। অগ্নি তোমার জন্য বরুণের থেকে চেয়ে নিয়ে এল গাণ্ডীব ধনু, অক্ষয় তূণীর, কপিধ্বজ রথ। যুদ্ধাস্ত্রে পূর্ণ বিশ্বকর্মার তৈরি চার ঘোড়ার রথ। কৃষ্ণ পেলেন সুদর্শন চক্র আর কৌমোদকী গদা।
অর্জুন বললেন— বিশ্বাস কর গ্রীষ্মের প্রখর তপন তাপ থেকে বাঁচবার জন্য আমরা সবাই রাজধানী ইন্দ্রপ্রস্থ থেকে যমুনার ধারে নিয়ে গিয়েছিলাম। বিনোদনই আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল। খাণ্ডবদাহন অগ্নির মস্তিষ্কপ্রসূত। 
—অগ্নি নিজের হৃত পরাক্রম ফিরে পেতে চাইছিলেন। ব্রহ্মা চাইছিলেন দেবশত্রু অসুরদের শক্ত ঘাঁটি খাণ্ডববন ধ্বংস করতে। তোমরা চাইছিলে রাজ্যসীমা বাড়াতে— এই মণিকাঞ্চন যোগ হল বলেই তো এমন বিশাল বিপুল মারণযজ্ঞ সম্ভব হল। সেইদিনটা কল্পনা কর, একদিকে অগ্নিকে নিয়ে তুমি ও কৃষ্ণ হত্যাযজ্ঞের নীল নকশা তৈরি করছ। অন্যদিকে দ্রৌপদী, সুভদ্রা ও অন্যান্য পুরনারীরা ক্রীড়ামদে মত্ত। বিপুলনিতম্বা, পীনন্নোতপয়োধরা নারীদের বেণু বীণা মৃদঙ্গ সহযোগে সুমধুর সঙ্গীতসুধায় প্রকৃতি পর্যন্ত বিভোর। এই পটভূমিতে ন্যায় আর ঔচিত্যের আড়ালে নির্বিচার হত্যার ছক তৈরি হল । এই কালবেলায় অর্জুন নিজেই যখন মৃতপ্রায় কেন এই বালকটি অতীত খুঁড়ে তাঁর বেদনা আরও বাড়িয়ে চলেছে। মৃত্যুর আগেই এর হাতে  মরণের মতো চরম অপমান যেন না ঘটে। অর্জুন এই কালান্তক বালকটির হাত থেকে রক্ষা পাবার জন্য চারদিকে তাকিয়ে আড়াল খুঁজলেন। 
একলব্য তাঁর মনের কথা বুঝে ফেলে বলল— আমার থেকে পালালেও নিজের মৃত্যুর আগে একবার তোমার স্মৃতিতে ফিরে আসুক সেইসব হতভাগ্যেরা। 
—কিন্তু সবাইকে তো হত্যা করা হয়নি।
আবার অট্টহাস্য করে ওঠে একলব্য।
—খাণ্ডববনের চারদিকে আগুনের লেলিহান শিখা। সেই অগ্নিজাল থেকে ছেলেকে বাঁচাবার জন্য নাগরাজ তক্ষকের ছেলে অশ্বসেনকে তার মা গিলে ফেলেছিল। কিন্তু তোমার নজর এড়ানো কী সোজা কথা? তুমি সেই মায়ের মাথা কেটে ফেলেছিলে তীক্ষ্ণ অস্ত্রে। তোমার পলকের অন্যমনস্কতায় একমাত্র অশ্বসেন পালিয়ে বেঁচেছিল। আর চারটি মাত্র পাখি। নয়তো চারদিকে হাজার হাজার জনের আর্ত চিৎকারেও তোমার মন গলেনি। নারী পুরুষ বাছবিচার করনি। শিশু থেকে বৃদ্ধ রক্তস্রোত বইয়ে দিয়েছ অজস্র ধারে। রক্ত মেদ মজ্জায় পিছল হয়ে গিয়েছিল খাণ্ডববনের মাটি। এতটাই নিষ্ঠুরতা ছিল তোমাদের আচরণে। এদিকে ময়াসুরের আবেদনে গলে গেলে একেবারে? তুমি কী ভাবছ তোমার মতলব বুঝিনি? বাকিদের তো তোমার দরকার নেই কিন্তু এই অসুরটিকে তোমাদের প্রয়োজন। ত্রিভুবনে তুলনাহীন এক  রাজসভা গড়ে তুলবে ময়দানব যা ভবিষ্যতে প্রবাদে পরিণত হবে। ইন্দ্রপ্রস্থে পাণ্ডবদের অতুল কীর্তির কাহিনি ছড়িয়ে যাবে দেশে বিদেশে।
—দুর্গতকে রক্ষা করে প্রতিদান চাওয়া ক্ষত্রিয়ের স্বভাববিরুদ্ধ। আমিও চাইনি।  
—উপযুক্ত মুখপাত্র থাকতে তুমি নিজমুখে চেয়ে জাত খোয়াবে কেন? ধরে নিলাম দৈত্যকুলের বিশ্বকর্মা বিখ্যাত স্থপতি ময়াসুরের নাম তুমি জানতে না। কিন্তু প্রাণভয়ে সে নিজের পরিচয় দেবার পর তো জানলে তখনই সঙ্গে সঙ্গে অস্ত্র সংবরণ করলে। কেন? ওই বধ্যভূমিতে আর তো কারওকে দয়া করনি। তারপর সে যখন প্রতিদান দিতে চাইল ভালোমানুষ সেজে পাঠিয়ে দিলে তাকে কৃষ্ণের কাছে। কৃষ্ণের বেশি সময় লাগেনি কৃতজ্ঞতা আদায় করে নিতে। ময়াসুরের রাজি না হয়ে উপায় ছিল না। তারপর তোমরা গেলে যুধিষ্ঠিরের কাছে। তিনি ময়দানবকে সম্মান জানিয়ে রাজসভা নির্মাণের অনুমতি দিলেন। ধর্মপুত্র, ধর্মরাজ যুধিষ্ঠির কী জানতেন না কী পরিমাণ ধ্বংস আর ভস্মের ওপর শুরু হল নির্মাণ কার্য। কতটা আতঙ্ক আর ঘৃণা মিশে গেল তার স্ফটিকের সভাগৃহে। সব জানতেন। 
পোড়া আধপোড়া শরীরগুলো ক্রমশ আরও কাছে এসে পড়েছে। আগুনের তাপে তাদের শরীর গলে গিয়েছে। চোখের মণি বাইরে ঝুলে পড়েছে। কেউ সন্তানকে কেউ বাবাকে ভাইকে জড়িয়ে ধরেই দগ্ধ হয়েছিল। তারা সেই অবস্থাতেই এগিয়ে আসছে। হাজার হাজার পাখি পোড়া ডানা, চোখ, পা নিয়ে ঘষটে ঘষটে চলেছে। এই হিমশীতল ভূমিতে তৈরি হয়েছে মায়া জলাশয়। ভয়ঙ্কর তাপে তার জল ফুটছে টগবগ করে। রাশি রাশি মাছ, কচ্ছপ মরে ভেসে উঠেছে। গায়ে আগুন ও রক্ত নিয়ে ছোটাছুটি করছে যক্ষ রক্ষ মানুষ পিশাচ আর মনুষ্যেতর আরও হাজার প্রাণী। তারা সংখ্যায় এত যে দিকচক্রবাল রেখা ঢেকে গিয়েছে। রক্তে ভেজা কর্দমাক্ত পথ ধরে তাদের দীর্ঘ মিছিল আসছে তো আসছেই। 
একলব্য ক্রূর হেসে বলল— চামড়া পোড়া গন্ধ পাচ্ছ? তোমার আর তোমার প্রিয় সখার আগুন খেলার ফল।
 অর্জুন জীবনেও এত ভয় পাননি। কতবার মৃত্যুর সম্মুখীন হয়েছেন কিন্তু এমন অসহায় কখনও বোধ করেননি। এক অনার্য বালকের অপমানের যোগ্য প্রত্যুত্তর দিতে পারছেন না ভুবনজয়ী বীর— এ কী গভীর কলঙ্ক। যে বংশধরদের হাতে রাজ্যভার দিয়ে এলেন এত রক্তপাতে পাওয়া সেই রাজ্য চলে যাবে নিম্নবর্ণের হাতে, এভাবে অপমান করে যাবে ব্যাধের ছেলে এ কি কোনওদিন কল্পনাও করেছিলেন?  অর্জুনের চোখ থেকে মুক্তোবিন্দুর মতো অশ্রু টপটপ করে ঝরে পড়ল। তিনি তা গোপন করার জন্য মুখ ডুবিয়ে দিলেন নরম তুষারে। প্রিয় সখার মুখ ভেসে উঠল মানসপটে। ঘোর বিপদে যে শঙ্খচক্রগদাধারী পুরুষ তার রথের সম্মুখভাগে বিরাজ করতেন, যিনি ছিলেন  শত্রুর ত্রাস ও মিত্রের পরম সহায় এ ঘোর বিপদে তিনি কোথায়? যাঁর অভয়বাণীতে উদ্বুদ্ধ হয়ে ক্লীবতা ত্যাগ করে মুক্ত চিত্তে স্বজন গুরুজন বধে দ্বিধা করেননি, মৃত্যুর আগে  তাঁর বরাভয় হাতখানির জন্য অর্জুনের মন শিশুর মতো কেঁদে উঠল। তুষারে মুখ গুঁজে অর্জুন সেই শ্রীমুখের ধ্যানে মগ্ন হয়ে সাহস সঞ্চয় করার চেষ্টা করলেন। 
হঠাৎ পিঠে কার করস্পর্শ! এ তো ব্যাধের ছেলের কর্কশ হাত নয়। অর্জুনের সমস্ত শরীরে শিহরন খেলে গেল? মুখ তুলে দেখেন সেই চতুর্ভুজ পীতাম্বর পুরুষ মুখে স্মিত হাসি নিয়ে বরাবরের মতো চরম মুহূর্তে অর্জুনকে অভয় দিতে উপস্থিত। চারিদিক শান্ত। কৃতান্তের মতো ব্যাধবালক আর খাণ্ডববনের বিভীষিকা উধাও। 
এতক্ষণ ধরে দেখা দুঃস্বপ্নের মুক্তিতে অর্জুন প্রিয় সখাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগলেন বালকের মতো। কৃষ্ণ তাঁকে সান্ত্বনা দিয়ে বললেন— কাঁদো কেন? আর কিছুক্ষণ বাদেই সব দুঃখ যন্ত্রণার অবসান-অক্ষয় স্বর্গবাস।        
—সেটা ভেবেই তো এতদিন নিশ্চিন্ত ছিলাম। পৃথিবীতে যে ধর্মরাজ্য গড়ার জন্য যুদ্ধ করেছি সারাজীবন তা অক্ষত থাকবে পুরুষানুক্রমে। আমাদের বংশধরেরা ক্ষমতা ভোগ করবে চিরকাল। কিন্তু কী দেখলাম? অচ্ছ্যুতের হাতে তোমার মৃত্যু, দ্বারকার সর্বনাশ। আমাকে অপমান করে গেল নিষাদ বালক। এইভাবে নিম্নবর্ণের হাতে তছনছ হতে দেখলাম আমাদের সাজানো বাগান। তাহলে কী লাভ হল জীবনভর সংগ্রাম করে? 
অর্জুনের এত আকুলতা সত্ত্বেও চিরকালের সঙ্কটমোচন সখার মুখে প্রসন্ন হাসি। একহাত অর্জুনের কাঁধে অন্য হাতে বরাভয়। 
অর্জুন বললেন— এই ভয়ানক দুর্দিনেও তোমার স্মিত প্রসন্ন মুখ দেখে আশ্চর্য হয়ে যাচ্ছি। 
—দুর্দিন বটে কিন্তু দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই। চক্রবৎ ঘুরে ঘুরে আসে এই রকম বিদ্রোহ। আগেও এসেছে। পরেও আসবে। তবে এই দশা বেশিদিনের নয়। এই মহা ভারতে উচ্চবর্ণ যে ভাবে শক্ত হাতে ক্ষমতার রাশ ধরে রেখেছে, বিদ্রোহ দমন করে অধিকারের পরিসর বাড়িয়ে নিয়েছে অনুরূপ ঘটনাই ঘটবে পরবর্তীকালে। যুগ ভেদে তা অন্য চেহারা নেবে। কিন্তু এতবড় আশ্বাসেও অর্জুন নিশ্চিন্ত হন না। বলেন— আমার বিশ্বাস হয় না। 
—তবে আর একবার বিশ্বরূপ দর্শন কর।
শ্রীকৃষ্ণ মুখ ব্যাদান করলেন। পলকের মধ্যে নিরন্তর বয়ে চলা কালস্রোতে অর্জুন ভেসে গেলেন। তিনি দেখলেন অরণ্য কেটে তৈরি হচ্ছে শহর অট্টালিকা প্রাসাদ। দলে দলে গৃহহীন দেশহীন কর্মহীন অভুক্ত শীর্ণ আবালবৃদ্ধবনিতা চলেছে শেষ সম্বল মাথায় নিয়ে। গ্রামের পর গ্রাম উচ্ছেদ হয়ে নদীর ওপর গড়ে উঠছে বাঁধ। শস্যশ্যামল খেত জ্বালিয়ে কলকারখানা। 
এই পৃথিবীকে অর্জুন চেনেন না কিন্তু কৃষ্ণের ক্রমাগত ধারাবিবরণীতে চিনে নিচ্ছেন হাজার হাজার বছর পরেও দমনের স্বরূপটিকে। ভারী খুশি হলেন ক্ষমতার কাছে দরিদ্র, সাধারণ মানুষ, ব্যাধ, শবর, শ্রমিক, অরণ্যচারী আদিবাসী একই রকম অসহায় আছে দেখে।
অর্জুন খানিকটা শান্ত হয়েছেন দেখে কৃষ্ণ বললেন— একটি দু’টি বিচ্ছিন্ন ঘটনায় তুমি হতাশ হয়েছ। এখন প্রত্যক্ষ করলে আমাদের নিরবচ্ছিন্ন প্রতাপ। তুমি নিশ্চিন্ত থাকো, অন্য নামে অন্য চেহারায় বীরভোগ্যা বসুন্ধরার দখল নিতে আমরাই আসব বারে বারে।
উত্তরসূরিদের জন্য ভূমি, ধনজন, সম্পদ  অক্ষত আছে দেখে প্রশান্তচিত্তে চোখ বুজলেন অর্জুন।   
অলঙ্করণ: সোমনাথ পাল
25th  April, 2021
ছোঁয়া
বিতস্তা ঘোষাল
 

অফিস থেকে বেরিয়ে নীচে বেশ খানিকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে পর্ণা। এই দাঁড়িয়ে থাকাটা কোনও কিছুর অপেক্ষায় নয়। এটা তার অভ্যাস। আসলে একটানা চার দেওয়ালের ঘেরাটোপে কাজ করতে করতে ভীষণ হাঁফ ধরে যায়। গুমোট লাগে ঘরটা। বিশদ

09th  May, 2021
পিশাচ সাধু
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব  ১১
জয়ন্ত দে

 

সহজের ফোনটা পেয়ে কেমন যেন চুপচাপ হয়ে গেলেন পিশাচ সাধু। তাহলে তাঁর খারাপ কথাগুলো মিলে গেলেও কারও ভালো ভবিষ্যদ্বাণী করলে, তা মেলে না! বঁড়শি বারবার জানতে চায় তার কী হয়েছে। অনুমান করে ফেলে ফোন করেছিল সহজ। সে স্বামীকে বোঝায়, না মিলুক, তবুও তিনি যেন মানুষকে ভালো কথাই বলেন। বিশদ

09th  May, 2021
পিশাচ সাধু
পর্ব  ১০

তেত্রিশ দিন হয়ে গেল অথচ সহজের জীবনে ক্যাপ্টেনের করা ভবিষ্যদ্বাণী মিলল না। পরমেশ্বরের কথা শুনে ক্যাপ্টেনকে ফোন করে সহজ বলে দিল, ‘আপনি ফ্লপ! আপনার ভবিষ্যদ্বাণী ফ্লপ!’ সেদিন রাতেই বাড়ি ফিরে বাবার কাছ থেকে সহজ জানতে পারল, তার নামে একটি অফিসিয়াল চিঠি এসেছে। তারপর... বিশদ

25th  April, 2021
পিশাচ সাধু

 

হঠাৎ বর্ণিনীর সঙ্গে রাস্তায় দেখা হয়ে যায় সহজের। বনির গন্তব্য বিচিত্রদার বাড়ি। সহজকে সঙ্গী করে বনি। জনগণের স্বার্থে লড়াই করতে গিয়ে বহুবার পেটানি খাওয়া বিচিত্র ঘোষাল বিশ্বাস করে, এ দেশে একদিন বিপ্লব হবেই। কথায় কথায় বিচিত্রদাও সহজকে সাবধান করে দেয়, সে যেন পিশাচ সাধুর পাল্লায় না পড়ে। বিশদ

18th  April, 2021
মিষ্টু
উৎপল দাস

রিমা ভিতরে ভিতরে জ্বলে পুড়ে মরে। এ পৃথিবীতে কেউ নেই যে তার অবস্থা বোঝে। মিষ্টুকে বিদায় না করতে পারলে যেন ওর শান্তি নেই।  বিশদ

11th  April, 2021
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব   ৮

সহজের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার সময় পরমেশ্বর শান্ত গলায় বলেছিল— বিচিত্রদা সেই বিরল মানুষ যারা এখনও মনে করে বিপ্লব হবে। কখন হবে, কীভাবে হবে কেউ জানে না, শুধুমাত্র একটা স্ফুলিঙ্গ। সেই স্ফুলিঙ্গ থেকে দাবানল হয়ে যাবে। বিশদ

11th  April, 2021
বিদিশা কি ভানুমতী?
আশিস ঘোষ

বেশি কথা বা শব্দ, আলো এখন ভালো লাগছে না। বিদিশাকে বলতেই, ও টিউব লাইট নিভিয়ে জিরো পাওয়ারের নীল আলো জ্বালিয়ে দিল। জানলার পর্দা হাওয়ায় উড়ছে। বাইরের রাস্তায় গাড়ির শব্দ। বিদিশা আমার দিকে চেয়ে আছে। কিছুই বলছে না। বিশদ

04th  April, 2021
পিশাচ সাধু
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব   ৭
জয়ন্ত দে

দারোগা বাড়ির নিমন্ত্রণে ক্যাপ্টেন হঠাৎ উদয় হল কেন? এ প্রশ্ন সহজের মনে অবিরাম ঘুরপাক খাচ্ছে। নচের সঙ্গে কথা বলে মনে হল, ক্যাপ্টেনকে সেদিন দারোগা বাড়িতে পাঠিয়েছিল পরমেশ্বরের পার্টনার শঙ্কর। সহজের কাছে আস্তে আস্তে পরিষ্কার হতে থাকে পুরো স্কিমটা। এদিকে, ক্যাপ্টেনের ভবিষ্যদ্বাণীর আতঙ্ক থেকে কিছুতেই বেরিয়ে আসতে পারছে না নচে। তারপর... বিশদ

04th  April, 2021
দহ
হামিরউদ্দিন মিদ্যা

ঘুম-জড়ানো চোখেই ধড়ফড় করে উঠে দাঁড়াল নুরু। মাটি থেকে গামছাটা তুলে, ধুলো ঝেড়ে কোমরে বাঁধল। বাঁ-হাতে নিল পাচন লাঠিটা। গোরু-মোষের দলটা সামনেই চড়ছে। মোষগুলোর দিকে চেয়ে দেখল, নিবারণ ঘোষের লেজকাটা মোষটা নেই। বুকটা ছ্যাঁৎ করে উঠল নুরুর। পাগলের মতো ছুটতে লাগল দহের দিকে। বিশদ

28th  March, 2021
পিশাচ সাধু
ধারাবাহিক উপন্যাস  পর্ব   ৬
জয়ন্ত দে

সহজের একটিমাত্র টিউশন টিকে আছে। মনোতোষ স্যারের কোচিং ক্লাস সে ছেড়ে দিয়েছে। সৃজনীকে পড়ানোর সময় মুখ ফস্কে সহজ বলে ফেলে, তার ভাগ্য খুলতে আর ঊনত্রিশ দিন বাকি। অথচ, প্রেমিকা বর্ণিনীকেও সে ক্যাপ্টেনের ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে কিছু বলেনি। এদিকে, সহজকে পরমেশ্বর সাবধান করে, ‘পিশাচের ফাঁদের পড়িসনি।’ তারপর... বিশদ

28th  March, 2021
ভুল ফোন
কৌশানী মিত্র

ছেলেটি নরম। মেয়েটি কঠিন। ছেলেটির চোখে সারাক্ষণ জল টলটল করছে। আসলে জন্মানোর পর শুধু লড়াই করতে করতে দু-দণ্ড বসে কাঁদতে পারেনি কোনওদিন। এখন যেটুকু যা আছে তাইই ইমনের সামনে উপুড় করে দিতে পারলে যেন বেঁচে যায়। বিশদ

21st  March, 2021
পিশাচ সাধু
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব   ৫
জয়ন্ত দে

নচে রেগে গিয়ে ক্যাপ্টেনকে রিকশসুদ্ধু খালে ফেলে দেওয়ার সুপারি দিল নেত্রকে। স্ত্রীকে নিয়ে নেত্রর রিকশয় উঠলেন ক্যাপ্টেন। রিকশ এগতে থাকে আর স্বামীকে একের পর এক অনুযোগ করতে থাকে বঁড়শি। তারপর... বিশদ

21st  March, 2021
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

পিশাচ সাধু ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন সহজের। নচেও তার ভবিষ্যৎ জানতে চায়। সাধু বলেন, ‘তুই অপঘাতে মরবি।’ শুনে প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত নচে। তারপর... বিশদ

14th  March, 2021
তন্ত্রমন্ত্র
সৌমিত্র চৌধুরী

ঠক ঠক ঠক। অন্ধকার ঘর। মিনিট পাঁচেক হল কারেন্ট চলে গিয়েছে। নিজের বিছানায় চাদর মুড়ি দিয়ে বসে আছি। তবুও মশার কামড়। স্বস্তিতে বসতেও পারছি না। তার মধ্যে দরজায় টোকা।  বিশদ

14th  March, 2021
একনজরে
বিতর্ক যতই থাকুক, করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রের অন্যতম ভরসার জায়গা বিদেশি সাহায্য। বুধবার তা আরও একবার স্পষ্ট  করে জানাল মোদি সরকার। করোনায় সহায়তার জন্য এদিন সেই দেশগুলির ভূয়সী প্রশংসা করেছে কেন্দ্র। বলা হয়েছে, এর ফলে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই আরও সহজ হবে। ...

করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও সুষ্ঠুভাবে রেশনে খাদ্যসামগ্রী দেওয়ার উপর বিশেষ জোর দিচ্ছেন রাজ্যের নতুন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেশন গ্রাহকদের বাড়ি বাড়ি খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে ...

শিলিগুড়িতে ফের ভাঙন ধরল বামফ্রন্টে। বিধানসভা ভোটে অশোক ভট্টাচার্যের ভরাডুবির দু’সপ্তাহের মধ্যে বুধবার বামফ্রন্ট ত্যাগ করলেন দুই নেতা। তাঁরা হলেন আরএসপির রামভজন মাহাত ও সিপিএমের ...

করোনার সংক্রমণ এড়িয়ে সুরক্ষিতভাবে বাড়িতে বসেই গয়না কেনার সুযোগ করে দিচ্ছে সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডস। অক্ষয় তৃতীয়া ও ঈদ উপলক্ষে থাকছে হরেক অফারও। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৩৮ - সম্রাট শাহজাহানের তত্ত্বাবধায়নে দিল্লির লাল কেল্লার নির্মাণ কাজ শুরু
১৮৩৬ - ভারততত্ত্ববিদ স্যার চার্লস উইলকিন্সের মৃত্যু
১৮৮৭ - বাঙালি কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক এবং প্রবন্ধকার রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৮৫৭: ম্যালেরিয়ার জীবাণু আবিষ্কারক রোনাল্ড রসের জন্ম
১৯১৮: নৃত্যশিল্পী বালাসরস্বতীর জন্ম
১৯৪৭: কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের মৃত্যু
১৯৫৬: আর্ট অফ লিভিং ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা তথা আধ্যাত্মিক নেতা শ্রীশ্রী রবিশঙ্করের জন্ম
১৯৬২: ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নিলেন সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণাণ
১৯৬৭: ভারতের তৃতীয় রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নিলেন জাকির হোসেন
১৯৯৫ - প্রথম নারী হিসেবে ব্রিটিশ বংশদ্ভূত এলিসনের অক্সিজেন ও শেরপা ছাড়াই এভারেস্ট জয়
২০০০ - ভারতের লারা দত্তের বিশ্বসুন্দরী শিরোপা লাভ
২০০৫ - বিশিষ্ট সঙ্গীতিশিল্পী উৎপলা সেনের মৃত্যু
২০১১: পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয় তৃণমূল কংগ্রেসের



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৬৭ টাকা ৭৪.৬৮ টাকা
পাউন্ড ১০১.৯৯ টাকা ১০৫.৫১ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৯ টাকা ৯০.৭১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,৪৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,৯৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭১,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭১,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৯ বৈশাখ ১৪২৮, বৃহস্পতিবার, ১৩ মে ২০২১। দ্বিতীয়া অহোরাত্র। রোহিণী নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/১/১৪, সূর্যাস্ত ৬/৪/৩৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে পুনঃ ১০/১৫ গতে ১২/৫২ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৯ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৩ গতে ১২/৫৫ মধ্যে। 
২৯ বৈশাখ ১৪২৮, বৃহস্পতিবার, ১৩ মে ২০২১। দ্বিতীয়া রাত্রি ৩/৩৬। রোহিণী নক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/৮। সূর্যোদয় ৫/১, সূর্যাস্ত ৬/৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে। কালবেলা ২/৫০ গতে ৬/৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১২/৫৬ মধ্যে। 
৩০ রমজান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
শিবপুরে জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বালকের মৃত্যু
কলকাতার পর এবার হাওড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল আজ ...বিশদ

07:43:56 PM

দুর্গাপুরে  দিদিকে গুলি, অভিযুক্ত ভাই
দুর্গাপুরে  দিদিকে গুলি করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ ভাইয়ের বিরুদ্ধে। আজ, ...বিশদ

05:17:18 PM

ধনেখালিতে ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু বিহারের দম্পতির
স্ত্রী জ্যোতিকে নিয়ে কলকাতায় শ্বশুরবাড়ি আসছিলেন বিহারের দ্বারভাঙ্গার বাসিন্দা সৌরভ ...বিশদ

04:07:09 PM

স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে এবার উঠতে পারবেন স্বাস্থ্যকর্মীরাও
রেলকর্মীদের জন্য ‘স্টাফ স্পেশাল’ ট্রেনে এবার থেকে উঠতে পারবেন স্বাস্থ্যকর্মীরাও। ...বিশদ

03:35:34 PM

গঙ্গায় মৃতদেহ ভেসে আসতে পারে, শুরু নজরদারি
উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের গঙ্গায় ভাসতে দেখা গিয়েছে অসংখ্য মৃতদেহ। আশঙ্কা, ...বিশদ

03:29:57 PM

পিছিয়ে গেল পরীক্ষা
করোনার জেরে পিছিয়ে গেল ইউপিএসসি-র প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। ইউপিএসসি-র প্রিলিমিনারি হওয়ার ...বিশদ

03:17:14 PM