Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

ছোঁয়া
বিতস্তা ঘোষাল
 

অফিস থেকে বেরিয়ে নীচে বেশ খানিকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে পর্ণা। এই দাঁড়িয়ে থাকাটা কোনও কিছুর অপেক্ষায় নয়। এটা তার অভ্যাস। আসলে একটানা চার দেওয়ালের ঘেরাটোপে কাজ করতে করতে ভীষণ হাঁফ ধরে যায়। গুমোট লাগে ঘরটা। এসি চললেও মনে হয় কেমন যেন মেঘলা আকাশ। অথচ বাইরে যাবার সময়টুকুই পায় না এসে থেকে। পরপর ফাইল, ভিজিটর মিট, মিটিং চলতেই থাকে।
একটা কর্পোরেট অফিসের পাবলিক রিলেশন অফিসার সে। ফলে ডেকোরাম আর দায়বদ্ধতার মাঝে মুক্তি খোঁজে সে নীচে নেমে এই সময়টুকুতে। 
তারপর গাড়িতে উঠে বাড়ির দিকে রওনা হয়। বন্ধ কাচের জানলা দিয়ে সে দেখে নিয়নের আলোয় সেজে উঠেছে শহর। অফিস ফেরত যাত্রীদের ভিড় রাস্তা জুড়ে। সবার শরীরেই ক্লান্তির ছাপ। কোনও মতে দেহটাকে ধরে রেখেছে বাড়ি ফেরার জন্য। সেখানে তার জন্য কেউ না কেউ অপেক্ষা করে আছে। এই অপেক্ষাগুলোর জন্যেই বাড়ি ফেরা। নইলে এক দেওয়াল ছেড়ে আরেক দেওয়ালে যাওয়া না যাওয়া সমান। 
এসব ভাবতে ভাবতেই মোবাইল বেজে উঠল।
‘হ্যালো, বলো সোনা।’
‘মা, তুমি কতদূর? কখন ফিরবে?’ ফোনের ওদিক থেকে অর্ণার গলা ভেসে এল।
‘এই তো ফিরছি। রাস্তায়।’ 
‘তাড়াতাড়ি এসো।’
‘আসছি তো। কী হয়েছে? আম্মা ঠিক আছে?’ পর্ণা তাড়াতাড়ি জিজ্ঞেস করল। বৃদ্ধা শাশুড়িকে নিয়ে তার দুশ্চিন্তার শেষ নেই। সব সময় মনে হয় কোনও অঘটন ঘটেনি তো!
‘না, মা। চলে এসো।’ বলে লাইন কেটে দিল অর্ণা।
মোবাইলটা হাতে নিয়ে পর্ণার মনে হল মেয়েটার গলার স্বরটা কেমন কান্না ভেজা শোনাল। কিছু কি হল? আজকাল সে অফিসে থাকাকালীন খুব একটা ফোন করে না অর্ণাকে। মেয়েটা বিরক্ত হয়। 
—মা, আমি এখন যথেষ্ট বড় হয়ে গেছি। নিজের খিদে পেলে খেয়ে নেব। আমার ওপর চব্বিশ ঘণ্টা মনিটরিং করা বন্ধ করো।
—তুমি আমার কাছে কখনওই বড় হবে না।
—তাহলে এক কাজ করো, নিজের কাজকর্ম ছেড়ে দিয়ে এবার থেকে বাড়িতেই বসে থাকো। আর কে, কী করছে লক্ষ করো।
পর্ণা চুপ করে যায়। মনে হয় তার আর তার মায়ের মধ্যেও কি এমন শীতল সম্পর্ক ছিল? বিয়ের আগের দিন পর্যন্ত মা খাইয়ে না দিলে তার পেট ভরত না। শ্বশুরবাড়ি থেকে বাপের বাড়ি এসে সে সিঁড়ি থেকেই চিৎকার জুড়ত— মা ভীষণ খিদে পেয়েছে। অনেক দিন খাওয়া হয়নি ঠিকমতো। খাইয়ে দাও।
শুধু কী তাই! প্রতিটি কথা খুঁটিনাটি বলে তবে যেন এতদিনের জমে থাকা স্রোতটাকে মুক্তি দিতে পারত।
অর্ণাও তার কাছে খেতে চায়। তবে মোবাইলে গেম খেলতে খেলতে খিদে পেলে তখনই একমাত্র সে বলে— মা খাইয়ে দেবে?
তার মন যে খাওয়ার দিকে এক ফোঁটাও নেই বুঝতে অসুবিধা হয় না পর্ণার। তবু নাড়ির টান। চুপ করে খাইয়ে দেয়, বুঝতে পারে মেয়েটা খাওয়ার দিকে মোটেই যত্ন নেয় না। কিন্তু এ কথা বললেই মেয়েটা আবার উত্তেজিত হয়ে পড়ে— আমাকে খাইয়ে খাইয়ে মোটা করে দিলেই তোমার শান্তি, তাই তো!
পর্ণা জানে কথায় কথা বাড়ে। তাই নীরব থাকে। মনে মনে বলে, যেদিন মা হবি, সেদিন বুঝতে পারবি মায়ের দুশ্চিন্তা।
বাচ্চারা খুব তাড়াতাড়ি বড় হয়ে যায়। ওদের একটা নিজস্ব জগৎ গড়ে ওঠে। সেখানে বারবার যদি বড়রা অধিকারবোধ প্রয়োগ করেন, সবকিছু চুপ করে একতরফা মেনে নিতে বাধ্য করেন, তবে তাদের বেড়ে ওঠার পথে শুধু যে স্বকীয়তা নষ্ট হয় তাই নয়, ব্যক্তিত্বের জায়গাটাও নড়বড়ে হয়ে যায়। কাজেই প্রতিটি পদক্ষেপ চোখে চোখে রাখুন, কিন্তু জোর করে সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেবেন না। মনস্তত্ত্ববিদ ডাঃ দেবাংশুর কথাগুলো পর্ণার মাথায় ঘুরতে থাকে।
অর্ণাকে সে ছোট থেকেই তাই নিজের মতো করেই বাড়তে গিয়েছে। খুব বেশি মাথা ঘামায় না প্রতিদিনের কাজে, পড়াশোনায়, খাওয়ায়। 
ছোট থেকে সাধারণ রেজাল্ট করা মেয়েটাই কিন্তু ক্লাস টুয়েলভের ফাইনাল পরীক্ষার আগে সাংঘাতিক সিরিয়াস হয়ে গেল। দিন রাত তার পড়া দেখে পর্ণারই বরং অস্বস্তি হতো।
—তুই এত কী পড়িস সারাদিন ধরে? একটু তো ওঠ। গল্প কর, ঘুরে আয়। না হলে টিভি দেখ। টানা এত পড়লে শেষে গিয়ে দেখবি মাথা কাজ করবে না।
—এ তো মহা ঝামেলা মা। আমি পড়ছি, তাতেও তোমার সমস্যা? ভালো রেজাল্ট না হলে একটাও মনের মতো কলেজে চান্স পাব না। তখন কোথায় পড়ব?
পর্ণা অবাক হয়ে ভাবে মেয়েটা এত বড় কবে হল!
শেষ পর্যন্ত নাইন্টি পার্সেন্ট নম্বর পেয়ে মেয়েটা নামী কলেজে যখন ভর্তি হল তখন পর্ণার বুকটা আনন্দে ভরে উঠল। স্কুলে দেওয়া সংবর্ধনায় অর্ণা তার সাফল্যের কারণ বলতে গিয়ে বলল, আমার মা-বাবা কখনওই আমাকে খালি পড়তে হবে, এই কথাটা বলেননি। রেজাল্ট কেমন হবে, নাম্বার এত পেতেই হবে— এ সব নিয়ে তাদের বিন্দুমাত্র মাথা ব্যথা ছিল না। তাঁরা আমাকে আমার মতো বাড়তে দিয়েছেন। আর তাই আমারও মনে হয়েছে এই স্বাধীনতার অপব্যবহার করা উচিত নয়।
অর্ণার এই কথা শুনে টিচাররাও একই কথা বলেছিলেন অভিভাবকদের উদ্দেশে। বাচ্চাদের ওপর জোর করে কিছু চাপিয়ে দেবেন না। ওদের স্পেস দিন নিজের মতো বড় হওয়ার।
অবশ্য অর্ণা কোনও ক্ষেত্রেই স্বাধীনতার অপব্যবহার করেনি। স্কুলে এমনকী কলেজে উঠেও বন্ধুদের সে দিব্যি বলে দেয়, আমি তো নাইট স্টে করতে পারব না, কিংবা না রে, আজ বেরতে পারব না তোদের সঙ্গে। মা পছন্দ করেন না রাত পর্যন্ত বাইরে থাকায়।
পর্ণাই বরং বিরক্ত হয়ে বলে, তুই এত ঘরকুনো কেন? একটু খেলাধুলো, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা তো দিতে পারিস।
অর্ণা হাসে।—মা আমি ওদের সঙ্গে পাবে গেলে, স্মোক করলে, ডেটিং করলে তোমার ভালো লাগবে শুনতে? তাছাড়া ওরা যে পরিমাণ টাকা একদিনে ওড়ায়, তা আমি সারা মাসেও খরচ করি না।
—কিন্তু আমি তো তোমাকে ভালো টাকাই দিই।
—হ্যাঁ, তুমি দাও বলেই আমি বেহিসেবি খরচ করতে পারব না মা। বরং যা জমবে তা দিয়ে একদিন ফুটপাতের বাচ্চাগুলোকে কিছু কিনে দিলে আমি বেশি শান্তি পাই মা।
মেয়ের কথা শুনে মনে মনে খুশিই হয় সে। যাক, খুব খারাপ মানুষ করেনি মেয়েকে। সেদিক থেকে কিছুটা স্বস্তি পেলেও মাঝে মাঝে এই মেয়েকেই আবার বুঝে উঠতে পারে না সে। সারাদিন একা থাকে বাড়িতে বয়স্ক ঠাকুমার সঙ্গে। একটা অজানা আতঙ্ক যেন তাকে গ্রাস করে রাখে সবসময়। এই বুঝি আম্মার কিছু হয়ে গেল, এই বোধ হয় এ ঘর থেকে ও ঘর যেতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে গেল! 
পর্ণা বোঝে অর্ণার এই চিন্তা স্বাভাবিক। জন্ম থেকে এতগুলো বছর সে লেপ্টে আছে আম্মার সঙ্গেই। সে নিজে আর কতটা সময় দিতে পেরেছে তাকে! তাই আম্মার প্রতি এই মনোযোগ তাকেও নিশ্চিন্ত করেছে অনেকটাই। 
কিন্তু গত এক বছরে পৃথিবী জুড়ে মহামারীর ধাক্কা যে তার ঘরে না এসেও মেয়েটাকে আচ্ছন্ন করে ফেলবে, এটা পর্ণা অতটা বুঝতে পারেনি। যেদিন থেকে অর্ণা বন্ধুর ঠাকুমার হঠাৎ করে চলে যাওয়ার কথা শুনেছে, সেদিন থেকেই তার উৎকণ্ঠা চরমে পৌঁছেছে। বাড়ি ফিরেই তাদের স্নান, জামা কাপড় কাচা—  এসবের পাশাপাশি আরও নানা নির্দেশ জারি করেছে সে মা-বাবার প্রতি।
এগুলো তারা নিজেরাও মেনে নিয়েছে। কিন্তু মেয়েটা ঘুমতে ভুলে গিয়েছে। সামান্য শব্দ হলেই ছুট্টে গিয়ে দেখে আম্মা ঠিক আছে কি না!
বাথরুমে জল পড়ার শব্দ পেলে দরজার সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। দেরি হলে অস্থির হয়ে ওঠে। —মা, আম্মা বেরচ্ছে না বাথরুম থেকে। কিছু হল না তো! এসো তাড়াতাড়ি।
বাধ্য হয়ে সারারাত প্রায় জেগেই থাকতে হচ্ছে পর্ণাকে। ভোরের দিকে মেয়ে ঘুমিয়ে পড়লেও তাকে তখন উঠে পড়তে হয় সংসারের কাজ সারার জন্য। এর ফলে অফিসে গিয়েও একটা ক্লান্তি ঘিরে থাকছে সারাক্ষণ।
এসব ভাবনার মাঝে মোবাইলটা আবার বেজে উঠল। ছোট বোন ফোন করছে। হ্যালো, বলতেই বলল— অফিস থেকে বেরলি?
—হ্যাঁ। কেন?
—না, অনেকদিন আসিসনি। মনটা খারাপ করল।
—আর আমার যাওয়া! অফিস থেকে বাড়ি আর বাড়ি থেকে অফিস... তারপর শাশুড়িকে একা রেখে বেরনো প্রায় অসম্ভব।
—তোর একারই শাশুড়ি আছেন। পৃথিবীতে আর কারওর প্রতি কোনও দায় নেই তাই তো তোর। অর্ণাও অনেকদিন আসে না। আমাদেরও তো মন খারাপ হয়!
—ঠিক। কিন্তু সেই একই সমস্যা। আমি বা তোর দাদাভাই না থাকলে আম্মাকে একা রেখে সেও কোথাও যেতে পারে না।
—তোদের কিন্তু বেশি বাড়াবাড়ি। আয়া মাসি রেখেছিস। তাও এত ঢং! আজ নয় অর্ণার অনলাইনে বাড়িতে বসেই ক্লাস চলছে, কলেজ বন্ধ। কিন্তু খুলে গেলে তো বেরতেই হবে।
পর্ণা চুপ করে শোনে। এই কথাগুলো তার মাথাতেও ঘোরে। কিন্তু অর্ণাকে বোঝাতে পারে না।
আরও কিছু কথা শুনিয়ে বোন ফোন কেটে দিল।
পর্ণা মেয়েকে ফোন করে। ওপাশ থেকে একটা ক্ষীণ স্বর ভেসে আসে।
—কী হয়েছে সোনা? কোনও অসুবিধা?
—না মা। আমি কি একটু একাও থাকতে পারি না? সবসময় তোমাদের মতো চলতে হবে? আমার কি কোনও স্পেস থাকবে না এ বাড়িতে? আমার থাকা নিয়ে এত অসুবিধা হলে বল, আমি অন্য কোথাও চলে যাব  স্টাডি বা জব নিয়ে।
—কী হয়েছে সেটা তো বল।
—কিছুই হয়নি মা। বাড়ি ফেরো।
পর্ণার একই সঙ্গে রাগ ও চিন্তা জন্মায়। জন্ম দিয়ে যেন মহা ভুল করে ফেলেছে সে। একটা বাচ্চা হওয়ার এটাই সমস্যা। যত রকম মুড পরিবর্তন তাকেই সামলাতে হবে। তাদের ছোটবেলায় এসব মুড সুইং দেখার অবকাশ ছিল না মায়েদের। সংসার, তিনটে বাচ্চা, অফিস সব নিয়ে সময় কোথায় পেত মা এই মন খারাপগুলো দেখার বা শোনার! অবশ্য তাদের কি আদৌ মন খারাপ হতো নাকি এত ঘন ঘন মনের গতিবিধি বদলে যেত! 
বাড়ি ঢোকা মাত্র শাশুড়িমা বললেন, ‘অর্ণার আজ কিছু হয়েছে।’ 
‘কেন মা?’
‘দুপুরে কিছু খায়নি। ঘর বন্ধ করে বসেছিল। মনে হল ফুঁপিয়ে কান্নার শব্দ পেলাম। তুমি কিছুই নজর রাখো না মেয়েটার দিকে। ঘরে গিয়ে শান্ত মাথায় জিজ্ঞেস করো— কী হয়েছে? আমার রীতিমতো ভয় করছিল।’
‘ভয়ের কী হল মা?’ বলে বাথরুমে ঢুকে গেল পর্ণা। 
কিন্তু ‘তুমি কিছুই নজর রাখো না মেয়েটার দিকে...’ শব্দগুলো মাথায় ঘুরতে লাগল। যবে থেকে সে অফিসে যাওয়া শুরু করেছে তবে থেকে এই অভিযোগ শুনতে শুনতে সেও ক্লান্ত। স্নান শেষ করে একটু বিরক্তি নিয়েই ঘরে ঢুকল।
 অর্ণা কাত করে শুয়ে ল্যাপটপে কাজ করছে। সে একবার উঁকি মেরে দেখার চেষ্টা করল কী করছে মেয়েটা। একটা সিনেমা দেখছে।
‘কী সিনেমা দেখছিস রে?’
‘১৯১৭।’
‘এটা সিনেমার নাম? নাকি সাল?’
‘মা এটা ইংরেজি ফিল্ম। এখন প্রশ্ন না করে চুপ করো। দেখতে দাও।’
‘একটা হামি—’ বলে মেয়ের মুখটা নিজের দিকে টেনে আনতে চেষ্টা করল পর্ণা।
‘কেন বিরক্ত করছ? দেখছ তো আমি মুভি দেখছি। পছন্দ না হলে বলো আমি বাইরের ঘরে চলে যাচ্ছি।’ 
মেয়ের এরকম প্রতিক্রিয়া দেখে পর্ণা চুপ করে গেল। ঘর থেকে বেরিয়ে নিজের কাজ সেরে চায়ের কাপ নিয়ে বসল মাঝের ঘরে। এই ঘরটা থেকে আকাশ দেখা যায়। সেখানে অজস্র তারাদের ভিড়। সেদিকে তাকিয়ে সে মাকে খোঁজার চেষ্টা করল। কতদিন হয়ে গেল মা নেই। ছোটবেলায় দিদা মারা যাওয়ার পর সে কাঁদলে মা বোঝাত, ওই যে তারাটা দেখছিস ওটাই দিদা। যখনই তোর মন খারাপ করবে, আকাশের দিকে তাকাবি, দেখবি সবচেয়ে জ্বলজ্বল করছে যে তারাটা, সেটাই দিদা।
পর্ণা সবচেয়ে উজ্জ্বল তারাটা খোঁজার চেষ্টা করল আকাশের দিকে তাকিয়ে। এই এতগুলো বছরে তারাদের সংখ্যাটা বেড়ে গিয়েছে অনেকটাই। দাদু, দিদা, ঠাম্মা, কাকাই, মামু কত প্রিয় মানুষ। আর শেষ পর্যন্ত বাবা-মা। তবে আজ শুধু মাকেই দেখতে, কথা বলতে, ছুঁতে ইচ্ছে করছে। মনে হচ্ছে মায়ের থেকে জানতে, যখন আমরা ছোট ছিলাম আমাদের এইসব মন খারাপ তুমি কেমন করে সামলাতে মা? নাকি নিজের থেকেই সব প্রলেপ পড়ে যেত সময়ের সঙ্গে সঙ্গে!
একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এল তার বুকের মধ্যে থেকে। নিজের মনেই বলল, মাগো, আমি এবার তোমার কাছে চলে যেতে চাই। অনেক হল এই সংসার সংসার খেলা।আর ভালো লাগছে না।
‘বউমা অর্ণা কিছু বলল?’ শাশুড়ির কথায় সংবিৎ ফিরে এল পর্ণার।
‘না মা। বড় হয়েছে তো! যদি কিছু হয়ে থাকে নিজে থেকেই বলবে ঠিক।’
‘কী জানি বাপু আজকালকার মায়েদের বুঝতে পারি না। সবেতেই গা ছাড়া ভাব। একটাই তো মেয়ে, তার মনের হদিশও ঠিক মতো রাখতে পারো না! কেমন মা তুমি? সারাদিন খালি নিজেকে নিয়েই ব্যস্ত! আমারই হয়েছে যত জ্বালা!’
সে কথার সরাসরি উত্তর না দিয়ে পর্ণা বলল, ‘আমার মা চলে গিয়েছেন এতগুলো বছর হয়ে গেল। আমি তো বেঁচে আছি। আকাশের তারা হয়ে যাইনি। আমাকে ইচ্ছে করলেই ছুঁতে পারবে অর্ণা।’
তারপর রান্না ঘরের দিকে পা বাড়িয়ে বলল— ‘চিন্তা করবেন না, কিছু কিছু বিষয় ছেড়ে দিলেই ভালো। নইলে অকারণে জটিলতা, মতান্তর তৈরি হয় যে। আমারও তো বয়স বাড়ছে মা।’
সেদিন গভীর রাতে ঘুমের ঘোরে পর্ণা টের পেল অর্ণা তাকে শিশুর মতো আঁকড়ে ধরে। বুকের মধ্যে ঢুকে ফিসফিস করে সে বলল, আমাদের কলেজের একটা ছেলের মা চলে গিয়েছেন কাল। তুমি আমাকে ছেড়ে চলে যাবে না তো! পর্ণা উত্তর না দিয়ে মেয়েকে নিবিড়ভাবে দু’হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরল। 
অলঙ্করণ: সোমনাথ পাল
09th  May, 2021
পিশাচ সাধু
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব  ১১
জয়ন্ত দে

 

সহজের ফোনটা পেয়ে কেমন যেন চুপচাপ হয়ে গেলেন পিশাচ সাধু। তাহলে তাঁর খারাপ কথাগুলো মিলে গেলেও কারও ভালো ভবিষ্যদ্বাণী করলে, তা মেলে না! বঁড়শি বারবার জানতে চায় তার কী হয়েছে। অনুমান করে ফেলে ফোন করেছিল সহজ। সে স্বামীকে বোঝায়, না মিলুক, তবুও তিনি যেন মানুষকে ভালো কথাই বলেন। বিশদ

09th  May, 2021
ছোট গল্প
সম্ভবামি যুগে যুগে

 

মহাপ্রস্থানের পথে অর্জুনের পতনের পর ভীম ও যুধিষ্ঠির আরও উত্তরদিকে এগিয়ে গেলেন। সেই বরফে ঢাকা শ্বেত প্রান্তরে মৃত্যুর অপেক্ষা করতে করতে অর্জুনের মন আসন্ন স্বর্গ না নরক এই দুর্ভাবনার  থেকেও শেষজীবনের পরাজয় ও হতাশায় আচ্ছন্ন হয়ে রইল। তিনি চিরকালের শৌর্যাভিমানী। বিশদ

25th  April, 2021
পিশাচ সাধু
পর্ব  ১০

তেত্রিশ দিন হয়ে গেল অথচ সহজের জীবনে ক্যাপ্টেনের করা ভবিষ্যদ্বাণী মিলল না। পরমেশ্বরের কথা শুনে ক্যাপ্টেনকে ফোন করে সহজ বলে দিল, ‘আপনি ফ্লপ! আপনার ভবিষ্যদ্বাণী ফ্লপ!’ সেদিন রাতেই বাড়ি ফিরে বাবার কাছ থেকে সহজ জানতে পারল, তার নামে একটি অফিসিয়াল চিঠি এসেছে। তারপর... বিশদ

25th  April, 2021
পিশাচ সাধু

 

হঠাৎ বর্ণিনীর সঙ্গে রাস্তায় দেখা হয়ে যায় সহজের। বনির গন্তব্য বিচিত্রদার বাড়ি। সহজকে সঙ্গী করে বনি। জনগণের স্বার্থে লড়াই করতে গিয়ে বহুবার পেটানি খাওয়া বিচিত্র ঘোষাল বিশ্বাস করে, এ দেশে একদিন বিপ্লব হবেই। কথায় কথায় বিচিত্রদাও সহজকে সাবধান করে দেয়, সে যেন পিশাচ সাধুর পাল্লায় না পড়ে। বিশদ

18th  April, 2021
মিষ্টু
উৎপল দাস

রিমা ভিতরে ভিতরে জ্বলে পুড়ে মরে। এ পৃথিবীতে কেউ নেই যে তার অবস্থা বোঝে। মিষ্টুকে বিদায় না করতে পারলে যেন ওর শান্তি নেই।  বিশদ

11th  April, 2021
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব   ৮

সহজের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার সময় পরমেশ্বর শান্ত গলায় বলেছিল— বিচিত্রদা সেই বিরল মানুষ যারা এখনও মনে করে বিপ্লব হবে। কখন হবে, কীভাবে হবে কেউ জানে না, শুধুমাত্র একটা স্ফুলিঙ্গ। সেই স্ফুলিঙ্গ থেকে দাবানল হয়ে যাবে। বিশদ

11th  April, 2021
বিদিশা কি ভানুমতী?
আশিস ঘোষ

বেশি কথা বা শব্দ, আলো এখন ভালো লাগছে না। বিদিশাকে বলতেই, ও টিউব লাইট নিভিয়ে জিরো পাওয়ারের নীল আলো জ্বালিয়ে দিল। জানলার পর্দা হাওয়ায় উড়ছে। বাইরের রাস্তায় গাড়ির শব্দ। বিদিশা আমার দিকে চেয়ে আছে। কিছুই বলছে না। বিশদ

04th  April, 2021
পিশাচ সাধু
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব   ৭
জয়ন্ত দে

দারোগা বাড়ির নিমন্ত্রণে ক্যাপ্টেন হঠাৎ উদয় হল কেন? এ প্রশ্ন সহজের মনে অবিরাম ঘুরপাক খাচ্ছে। নচের সঙ্গে কথা বলে মনে হল, ক্যাপ্টেনকে সেদিন দারোগা বাড়িতে পাঠিয়েছিল পরমেশ্বরের পার্টনার শঙ্কর। সহজের কাছে আস্তে আস্তে পরিষ্কার হতে থাকে পুরো স্কিমটা। এদিকে, ক্যাপ্টেনের ভবিষ্যদ্বাণীর আতঙ্ক থেকে কিছুতেই বেরিয়ে আসতে পারছে না নচে। তারপর... বিশদ

04th  April, 2021
দহ
হামিরউদ্দিন মিদ্যা

ঘুম-জড়ানো চোখেই ধড়ফড় করে উঠে দাঁড়াল নুরু। মাটি থেকে গামছাটা তুলে, ধুলো ঝেড়ে কোমরে বাঁধল। বাঁ-হাতে নিল পাচন লাঠিটা। গোরু-মোষের দলটা সামনেই চড়ছে। মোষগুলোর দিকে চেয়ে দেখল, নিবারণ ঘোষের লেজকাটা মোষটা নেই। বুকটা ছ্যাঁৎ করে উঠল নুরুর। পাগলের মতো ছুটতে লাগল দহের দিকে। বিশদ

28th  March, 2021
পিশাচ সাধু
ধারাবাহিক উপন্যাস  পর্ব   ৬
জয়ন্ত দে

সহজের একটিমাত্র টিউশন টিকে আছে। মনোতোষ স্যারের কোচিং ক্লাস সে ছেড়ে দিয়েছে। সৃজনীকে পড়ানোর সময় মুখ ফস্কে সহজ বলে ফেলে, তার ভাগ্য খুলতে আর ঊনত্রিশ দিন বাকি। অথচ, প্রেমিকা বর্ণিনীকেও সে ক্যাপ্টেনের ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে কিছু বলেনি। এদিকে, সহজকে পরমেশ্বর সাবধান করে, ‘পিশাচের ফাঁদের পড়িসনি।’ তারপর... বিশদ

28th  March, 2021
ভুল ফোন
কৌশানী মিত্র

ছেলেটি নরম। মেয়েটি কঠিন। ছেলেটির চোখে সারাক্ষণ জল টলটল করছে। আসলে জন্মানোর পর শুধু লড়াই করতে করতে দু-দণ্ড বসে কাঁদতে পারেনি কোনওদিন। এখন যেটুকু যা আছে তাইই ইমনের সামনে উপুড় করে দিতে পারলে যেন বেঁচে যায়। বিশদ

21st  March, 2021
পিশাচ সাধু
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব   ৫
জয়ন্ত দে

নচে রেগে গিয়ে ক্যাপ্টেনকে রিকশসুদ্ধু খালে ফেলে দেওয়ার সুপারি দিল নেত্রকে। স্ত্রীকে নিয়ে নেত্রর রিকশয় উঠলেন ক্যাপ্টেন। রিকশ এগতে থাকে আর স্বামীকে একের পর এক অনুযোগ করতে থাকে বঁড়শি। তারপর... বিশদ

21st  March, 2021
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

পিশাচ সাধু ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন সহজের। নচেও তার ভবিষ্যৎ জানতে চায়। সাধু বলেন, ‘তুই অপঘাতে মরবি।’ শুনে প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত নচে। তারপর... বিশদ

14th  March, 2021
তন্ত্রমন্ত্র
সৌমিত্র চৌধুরী

ঠক ঠক ঠক। অন্ধকার ঘর। মিনিট পাঁচেক হল কারেন্ট চলে গিয়েছে। নিজের বিছানায় চাদর মুড়ি দিয়ে বসে আছি। তবুও মশার কামড়। স্বস্তিতে বসতেও পারছি না। তার মধ্যে দরজায় টোকা।  বিশদ

14th  March, 2021
একনজরে
শেষ পর্যন্ত বিস্তর টানাপোড়েনের পর আলোচনায় বসতে চেয়ে শ্রী সিমেন্ট কর্তারা বুধবার চিঠি দিল ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবকে। ওই চিঠিতে এসসি ইস্ট বেঙ্গলের সিইও শিবাজি সমাদ্দার বলেছেন, ‘অবিলম্বে আলোচ্য বিষয়গুলি জানান।’ ...

বিতর্ক যতই থাকুক, করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রের অন্যতম ভরসার জায়গা বিদেশি সাহায্য। বুধবার তা আরও একবার স্পষ্ট  করে জানাল মোদি সরকার। করোনায় সহায়তার জন্য এদিন সেই দেশগুলির ভূয়সী প্রশংসা করেছে কেন্দ্র। বলা হয়েছে, এর ফলে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই আরও সহজ হবে। ...

করোনার সংক্রমণ এড়িয়ে সুরক্ষিতভাবে বাড়িতে বসেই গয়না কেনার সুযোগ করে দিচ্ছে সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডস। অক্ষয় তৃতীয়া ও ঈদ উপলক্ষে থাকছে হরেক অফারও। ...

শিলিগুড়িতে ফের ভাঙন ধরল বামফ্রন্টে। বিধানসভা ভোটে অশোক ভট্টাচার্যের ভরাডুবির দু’সপ্তাহের মধ্যে বুধবার বামফ্রন্ট ত্যাগ করলেন দুই নেতা। তাঁরা হলেন আরএসপির রামভজন মাহাত ও সিপিএমের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৩৮ - সম্রাট শাহজাহানের তত্ত্বাবধায়নে দিল্লির লাল কেল্লার নির্মাণ কাজ শুরু
১৮৩৬ - ভারততত্ত্ববিদ স্যার চার্লস উইলকিন্সের মৃত্যু
১৮৮৭ - বাঙালি কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক এবং প্রবন্ধকার রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৮৫৭: ম্যালেরিয়ার জীবাণু আবিষ্কারক রোনাল্ড রসের জন্ম
১৯১৮: নৃত্যশিল্পী বালাসরস্বতীর জন্ম
১৯৪৭: কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের মৃত্যু
১৯৫৬: আর্ট অফ লিভিং ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা তথা আধ্যাত্মিক নেতা শ্রীশ্রী রবিশঙ্করের জন্ম
১৯৬২: ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নিলেন সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণাণ
১৯৬৭: ভারতের তৃতীয় রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নিলেন জাকির হোসেন
১৯৯৫ - প্রথম নারী হিসেবে ব্রিটিশ বংশদ্ভূত এলিসনের অক্সিজেন ও শেরপা ছাড়াই এভারেস্ট জয়
২০০০ - ভারতের লারা দত্তের বিশ্বসুন্দরী শিরোপা লাভ
২০০৫ - বিশিষ্ট সঙ্গীতিশিল্পী উৎপলা সেনের মৃত্যু
২০১১: পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয় তৃণমূল কংগ্রেসের



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৬৭ টাকা ৭৪.৬৮ টাকা
পাউন্ড ১০১.৯৯ টাকা ১০৫.৫১ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৯ টাকা ৯০.৭১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,৪৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,৯৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭১,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭১,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৯ বৈশাখ ১৪২৮, বৃহস্পতিবার, ১৩ মে ২০২১। দ্বিতীয়া অহোরাত্র। রোহিণী নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/১/১৪, সূর্যাস্ত ৬/৪/৩৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে পুনঃ ১০/১৫ গতে ১২/৫২ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৯ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৩ গতে ১২/৫৫ মধ্যে। 
২৯ বৈশাখ ১৪২৮, বৃহস্পতিবার, ১৩ মে ২০২১। দ্বিতীয়া রাত্রি ৩/৩৬। রোহিণী নক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/৮। সূর্যোদয় ৫/১, সূর্যাস্ত ৬/৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে। কালবেলা ২/৫০ গতে ৬/৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১২/৫৬ মধ্যে। 
৩০ রমজান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
শিবপুরে জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বালকের মৃত্যু
কলকাতার পর এবার হাওড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল আজ ...বিশদ

07:43:56 PM

দুর্গাপুরে  দিদিকে গুলি, অভিযুক্ত ভাই
দুর্গাপুরে  দিদিকে গুলি করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ ভাইয়ের বিরুদ্ধে। আজ, ...বিশদ

05:17:18 PM

ধনেখালিতে ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু বিহারের দম্পতির
স্ত্রী জ্যোতিকে নিয়ে কলকাতায় শ্বশুরবাড়ি আসছিলেন বিহারের দ্বারভাঙ্গার বাসিন্দা সৌরভ ...বিশদ

04:07:09 PM

স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে এবার উঠতে পারবেন স্বাস্থ্যকর্মীরাও
রেলকর্মীদের জন্য ‘স্টাফ স্পেশাল’ ট্রেনে এবার থেকে উঠতে পারবেন স্বাস্থ্যকর্মীরাও। ...বিশদ

03:35:34 PM

গঙ্গায় মৃতদেহ ভেসে আসতে পারে, শুরু নজরদারি
উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের গঙ্গায় ভাসতে দেখা গিয়েছে অসংখ্য মৃতদেহ। আশঙ্কা, ...বিশদ

03:29:57 PM

পিছিয়ে গেল পরীক্ষা
করোনার জেরে পিছিয়ে গেল ইউপিএসসি-র প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। ইউপিএসসি-র প্রিলিমিনারি হওয়ার ...বিশদ

03:17:14 PM