Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

বিদিশা কি ভানুমতী?
আশিস ঘোষ

বিদিশাকে বললাম— যাই এবার?
—কেন?
—অনেকক্ষণ তো এসেছি—
—তা হোক, বোসো না, কেউ তো বাড়ি নেই—
বেশি কথা বা শব্দ, আলো এখন ভালো লাগছে না। বিদিশাকে বলতেই, ও টিউব লাইট নিভিয়ে জিরো পাওয়ারের নীল আলো জ্বালিয়ে দিল। জানলার পর্দা হাওয়ায় উড়ছে। বাইরের রাস্তায় গাড়ির শব্দ। বিদিশা আমার দিকে চেয়ে আছে। কিছুই বলছে না। এগিয়ে ওর একটা হাত ধরতে ইচ্ছে করছে। ধরব কি? কিন্তু হাত বাড়াতেই ও চট করে সরে গেল। মুখে অদ্ভুত শব্দ করল। কী যে করি! এভাবে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকা যায় না। জানলাটা দিলে হয়, কিন্তু ও তো জানলা ধরেই দাঁড়িয়ে। আজ বিকেলেই তো ফোন করেছিলাম। ওর দাদা-বউদি বাড়ি নেই শুনে বলেছিলাম,— দেখলে তো ঠিক সময়েই ফোন করেছি—
—কেন?
—জমিয়ে আড্ডা দেওয়া যাবে।
—যাঃ, ওরা যদি এসে পড়ে?
—এলই বা, আমি কি চোর না ডাকাত?
—তা নয়, তবে এ বাড়িতে কেউ তো তোমাকে চেনে না।
—চেনে না, আজ চিনবে। আর তাছাড়া—
—কী, তাছাড়া?
—বাড়িতে তুমি একা, এমন সুযোগ ছাড়া যায় না—
—অসভ্য!
কথাটা হঠাৎ মনে পড়তেই, ওর দিকে চেয়ে হাসলাম। জিজ্ঞাসু চোখে তাকিয়ে, বিদিশা কী যেন বলল। ঠিক বোঝা গেল না। হাওয়ায় দেওয়ালে ক্যালেন্ডারের পাতা নড়ে উঠতেই, এগিয়ে ওর একটা হাত ধরলাম। ঘরের দরজাটা কেঁপে উঠল। পাশের বাড়িতে কে যেন শব্দ করে হাসছে। জানলার বাইরে ঘোলাটে জ্যোৎস্না। ধোঁয়া কিংবা কুয়াশা।
আমার সামনে এখন যে মেয়েটা দাঁড়িয়ে তার নাম বিদিশা। ওকে আমার ভালোলাগে। অনেক চেষ্টা করেও কথাটা ওকে গুছিয়ে বলতে পারিনি।  হয়তো সেও কিছু বলতে চায়, পারে না। অথচ দু’জনেই জানি, ব্যাপারটা কী। মাথার ঠিক উপরেই ফ্যান ঘুরলেও, কেমন যেন গুমোট। রুমাল বের করে মুখ মুছলাম। হাত তিনেক দূরে সোফায় গা এলিয়ে বিদিশা বসে। বিনুনি সামনে চলে এসেছে। খুচরো চুল হাওয়ায় উড়ছে। কী করি এখন? একটু ইতস্তত করে সোফায় গিয়ে বসতেই, ওর হাতের বালা আর আমার হাতের ঘড়িটা ঠুকে গেল। হাতের মধ্যে হাত। দূরে কোথাও ঘড়িতে ঘণ্টার শব্দ। রাত আটটা। শব্দটা মিলিয়ে যেতেই, নীচে রাস্তায় একটা গাড়ি এসে দাঁড়াল।
বিদিশা জানলার দিকে গেল। নীচের দিকে একটু ঝুঁকে বলল, ওরা আসছে। উঠে দাঁড়ালাম— তাহলে চলি আমি?
—দাদা-বউদির সঙ্গে দেখা করবে না?
—আজ থাক।
মুচকি হাসে বিদিশা— ভীতু কোথাকার!
জুতো পরতে পরতে বললাম— আর একদিন আসা যাবে।
—কিন্তু মশাই, সিঁড়িতে তো দেখা হয়ে যাবে।
—আমাকে তো চেনে না।
বিদিশা আর কিছু বলল না। জানলার দিকে গেল। আমি ততক্ষণে ঘরের বাইরে।
ফ্ল্যাটের সিঁড়ির কয়েক ধাপ নামতেই, বিদিশার দাদা-বউদিকে দেখা গেল। যদিও ওরা আমাকে চেনেন না, কিন্তু ওঁদের সামনে দিয়েই তো নামতে হবে। কেমন যেন অস্বস্তি হচ্ছে। এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। কিন্তু কীভাবে? অগত্যা তিনতলার সিঁড়ি ধরলাম। তিনতলায় দু’দিকেই ফ্ল্যাট। দুটোই বন্ধ। এরপর বোধহয় ছাদের সিঁড়ি। কারণ বাড়িটা তো তিনতলা। ছাদে যাব? কেউ কিছু বলবে না তো? নিঃশব্দে ছাদে উঠলাম। আবছা অন্ধকার। কেউ নেই। আবছা আলোয় ফুলের টব, ভাঙা চেয়ার কিংবা কাগজের টুকরোও চোখে পড়ছে না। কখনও এমন ছিমছাম পরিষ্কার ছাদ দেখিনি। বেশ হাওয়া দিচ্ছে। একটু দাঁড়ালে হয়। কিন্তু অচেনা একটা বাড়ির ছাদে কতক্ষণ থাকা যায়। এখন সঙ্গে যদি বিদিশা থাকত।  কিছু একটা ছুতো করে তো চলে আসতে পারে। কিন্তু আমি এখানে ও জানবে কী করে? কয়েক পা এগিয়ে একটু ঝুঁকে নীচের দিকে চাইলাম। বাড়িটার সামনেই একটা দেবদারু গাছ। নীচেটা সিমেন্ট বাঁধানো। কে যেন বসে পা দোলাচ্ছে। ফাঁকা রাস্তা দিয়ে একটা লরি চলে গেল। পিছনে হঠাৎ খসখস শব্দ। ফিরে চাইলাম। সাদা বিড়াল একটা। বিড়ালটা আমাকে পাত্তাও দিল না। হেলেদুলে ছাদের অন্যদিকে চলে গেল। না, এভাবে আর দাঁড়িয়ে থাকা যায় না। সিঁড়ির দিকেই পা বাড়ালাম। নীচে নেমে আবার বিদিশার দরজার সামনে দাঁড়ালাম। দরজা বন্ধ। বেল টিপব? ও নিশ্চয় অবাক হবে। ওর দাদা-বউদি তো কিছুই জানে না। ভাববেন, এই এলাম। অবশ্য ওঁদের সঙ্গে আলাপ করা যেতে পারে। প্রথম আলাপে আমার সম্পর্কে ওদের কী প্রতিক্রিয়া হয়, দেখাই যাক না। হাত বাড়িয়ে কলিং বেল টিপলাম। কোনও সাড়া নেই। আবার টিপলাম। এবার দরজা খোলার শব্দ। সোজা হয়ে দাঁড়ালাম।
‘কাকে চাই?’ বিদিশার দাদা বোধহয়।
‘বিদিশা আছে?’
‘আপনি?’ ভদ্রলোক আপাদমস্তক আমাকে দেখছেন।
‘আমি বিদিশার বন্ধু।’ কী করে যে কথাটা বলে ফেললাম, জানি না। ওর সঙ্গে আমার সম্পর্কটা কি শুধুই বন্ধুত্বের?
ভদ্রলোক দরজাটা পুরোপুরি খুলে দিলেন।— আসুন, ভেতরে আসুন। জুতো না খুলেই ভিতরে ঢুকে সোফায় বসলাম। একটু আগে তো এখানেই বসেছিলাম। ফ্যান চালিয়ে ভদ্রলোক বোধহয় বিদিশাকেই ডাকতে গেলেন।
একাই বসে রইলাম। দেওয়ালের ক্যালেন্ডার হাওয়ায় দুলছে। জানলার পর্দা উড়ছে। ঠিক আগের মতোই। বিদিশার বউদি এলেন। হাসি হাসি মুখ।— আমি কিন্তু ভাই সব জানি— বিদিশা বলেছে। —প্রায় আঁতকে উঠলাম। একটু আগে যে এখানে ছিলাম, বিদিশা কি বলে দিয়েছে? আচ্ছা মেয়ে, যাই হোক। অবাক হয়ে চেয়ে আছি দেখে বউদি একটু মুচকি হেসে বললেন— বসুন আপনি, বিদিশাকে পাঠিয়ে দিচ্ছি।
চুপচাপ বসে রইলাম। টিভিটা বন্ধ। ফ্যানের হাওয়ায় একটু যেন শীত শীত করছে। কতক্ষণ বসে থাকব? পায়ের শব্দে মুখ তুলে চাইলাম। বিদিশা সামনেই দাঁড়িয়ে। একটু যেন গম্ভীর। কী ব্যাপার, তুমি হঠাৎ?
—হঠাৎ মানে?
পাশেই সোফায় বসতে বসতে বিদিশা বলল— বলা-কওয়া নেই, এভাবে এলে যে বড়? ওঁরা কী ভাবছেন বল তো?
এবার আমার অবাক হওয়ার পালা। বিদিশার চোখের দিকে চেয়ে বললাম— আমাকে দেখে অবাক  হচ্ছো কেন? একটু আগে তো এখানেই ছিলাম— অবাক হয় বিদিশা— বল কী? আমি তো এইমাত্র এলাম— ওঁরাও তো ছিলেন না। উঠে  গিয়ে পাশের ঘরে উঁকি দেয় বিদিশা।
ঘুরে দাঁড়িয়ে বলে— তোমার কি মাথা খারাপ হয়েছে? এই ফ্ল্যাটের চাবি আছে তোমার কাছে?
এবার বিরক্ত হলাম। বলে কী মেয়েটা? এতক্ষণ এখানে ছিলাম। ঘরের টিবি-সোফা-জানলার পর্দা, ক্যালেন্ডার— এরা সবাই সাক্ষী। ও বলছে, আমি নাকি এই প্রথম এলাম। মজা করছে? চলে গিয়ে আবার ঘুরে আসায় অসন্তুষ্ট হয়েছে? মেয়েরা সত্যিই রহস্যময়ী। বললাম— বিরক্ত করায় ক্ষমা চাইছি।
ক্ষমা-টমা কী বলছ! বোসো, সারাদিন পর ফিরলাম তো, একটু হাত-মুখ ধুয়ে আসি। বলতে বলতে বিদিশা চলে গেল। কিছু বলার সুযোগই হল না। এরকম হল কেন? আমি তো আমার মতোই আছি। এই তো দুটো হাত, পা, চোখে চশমা, পরনে ট্রাউজার, গায়ে জামা। জামার নীচে গেঞ্জি। গেঞ্জির নীচে আমার বুক। বুকের মধ্যে শব্দ। ঘরের সবকিছুই আগের মতো আছে। গোলমালটা কোথায়? তবে কি সত্যিই আসিনি? এতক্ষণ তবে ছিলাম কোথায়? রুমালে চশমার কাচ পরিষ্কার করলাম। দরজার আবার শব্দ। কে এল? আমার কি দরজা খোলা উচিত? বিদিশার দাদা-বউদি কিংবা বিদিশা তো আসছে না। ওরা তো ঘরেই আছে। তাহলে?
আবার শব্দ। এবার পর পর দু’বার। অগত্যা উঠে গিয়ে দরজা খুলতেই হল। আর খুলতেই—
—এ কি! তুমি কোত্থেকে? অবাক হয়ে বিদিশার দিকে চাইলাম। -তুমি-তুমি তো ঘরেই ছিলে, বাইরে গেলে কখন?
ভিতরে ঢুকতে ঢুকতে বিদিশা বলল, —কী যা-তা বলছ! আমি তো এই এলাম। —হাতের ব্যাগটা টেবিলে রাখল বিদিশা। মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বলল— এভাবে না বলেকয়ে, হুট করে চলে আসার মানে কী? দাদা-বউদির সঙ্গে দেখা হয়েছে?
কী বলি? এমন ধাঁধায় পড়ব জানলে, কে আসত? বিদিশাকে ভালোলাগা বা ভালোবাসা আমার মাথায় থাক। এখান থেকে এখন বেরতে পারলে হয়! বললাম, কী ভেবেছ বল তো?
—কেন? খোঁপা খুলতে খুলতে সোফায় গা এলিয়ে দেয় বিদিশা।
—কত আর জাদু দেখাবে? তুমি কি ভানুমতী? হাসল বিদিশা। যেন কিছুই হয়নি— বোসো, দাঁড়িয়ে রইলে কেন?
ভীষণ রাগ হচ্ছে। এখানে আর দাঁড়িয়ে থাকার মানে হয় না। দরজার দিকে এগতে এগতে বললাম— চলি তাহলে? প্রায় লাফিয়ে উঠে বিদিশা পথ আগলে দাঁড়াল— এই, কী হচ্ছে?
—পথ ছাড়। যতটা সম্ভব গম্ভীর হওয়ার চেষ্টা করলাম। আমার চোখের দিকে চেয়ে বিদিশা বলল— এলেই যদি চলে যাচ্ছ কেন? দরজা খুলতে গিয়েও থমকে দাঁড়ালাম। ও আমার দিকেই চেয়ে। কেন জানি না মনে হল, যদি আরও কিছুক্ষণ এখানে থাকি তো, আরও একজন বিদিশা এসে হাজির হবে। তখন হয়তো...
দরজা খুলে বাইরে গেলাম। সিঁড়ির প্রথম ধাপে পা দিতে দিতে শেষবারের মতো পিছন ফিরতেই, দেখি বিদিশা দাঁড়িয়ে। কেমন অদ্ভুতভাবে চেয়ে আছে।      
অলঙ্করণ: সোমনাথ পাল
04th  April, 2021
ছোঁয়া
বিতস্তা ঘোষাল
 

অফিস থেকে বেরিয়ে নীচে বেশ খানিকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে পর্ণা। এই দাঁড়িয়ে থাকাটা কোনও কিছুর অপেক্ষায় নয়। এটা তার অভ্যাস। আসলে একটানা চার দেওয়ালের ঘেরাটোপে কাজ করতে করতে ভীষণ হাঁফ ধরে যায়। গুমোট লাগে ঘরটা। বিশদ

09th  May, 2021
পিশাচ সাধু
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব  ১১
জয়ন্ত দে

 

সহজের ফোনটা পেয়ে কেমন যেন চুপচাপ হয়ে গেলেন পিশাচ সাধু। তাহলে তাঁর খারাপ কথাগুলো মিলে গেলেও কারও ভালো ভবিষ্যদ্বাণী করলে, তা মেলে না! বঁড়শি বারবার জানতে চায় তার কী হয়েছে। অনুমান করে ফেলে ফোন করেছিল সহজ। সে স্বামীকে বোঝায়, না মিলুক, তবুও তিনি যেন মানুষকে ভালো কথাই বলেন। বিশদ

09th  May, 2021
ছোট গল্প
সম্ভবামি যুগে যুগে

 

মহাপ্রস্থানের পথে অর্জুনের পতনের পর ভীম ও যুধিষ্ঠির আরও উত্তরদিকে এগিয়ে গেলেন। সেই বরফে ঢাকা শ্বেত প্রান্তরে মৃত্যুর অপেক্ষা করতে করতে অর্জুনের মন আসন্ন স্বর্গ না নরক এই দুর্ভাবনার  থেকেও শেষজীবনের পরাজয় ও হতাশায় আচ্ছন্ন হয়ে রইল। তিনি চিরকালের শৌর্যাভিমানী। বিশদ

25th  April, 2021
পিশাচ সাধু
পর্ব  ১০

তেত্রিশ দিন হয়ে গেল অথচ সহজের জীবনে ক্যাপ্টেনের করা ভবিষ্যদ্বাণী মিলল না। পরমেশ্বরের কথা শুনে ক্যাপ্টেনকে ফোন করে সহজ বলে দিল, ‘আপনি ফ্লপ! আপনার ভবিষ্যদ্বাণী ফ্লপ!’ সেদিন রাতেই বাড়ি ফিরে বাবার কাছ থেকে সহজ জানতে পারল, তার নামে একটি অফিসিয়াল চিঠি এসেছে। তারপর... বিশদ

25th  April, 2021
পিশাচ সাধু

 

হঠাৎ বর্ণিনীর সঙ্গে রাস্তায় দেখা হয়ে যায় সহজের। বনির গন্তব্য বিচিত্রদার বাড়ি। সহজকে সঙ্গী করে বনি। জনগণের স্বার্থে লড়াই করতে গিয়ে বহুবার পেটানি খাওয়া বিচিত্র ঘোষাল বিশ্বাস করে, এ দেশে একদিন বিপ্লব হবেই। কথায় কথায় বিচিত্রদাও সহজকে সাবধান করে দেয়, সে যেন পিশাচ সাধুর পাল্লায় না পড়ে। বিশদ

18th  April, 2021
মিষ্টু
উৎপল দাস

রিমা ভিতরে ভিতরে জ্বলে পুড়ে মরে। এ পৃথিবীতে কেউ নেই যে তার অবস্থা বোঝে। মিষ্টুকে বিদায় না করতে পারলে যেন ওর শান্তি নেই।  বিশদ

11th  April, 2021
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব   ৮

সহজের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার সময় পরমেশ্বর শান্ত গলায় বলেছিল— বিচিত্রদা সেই বিরল মানুষ যারা এখনও মনে করে বিপ্লব হবে। কখন হবে, কীভাবে হবে কেউ জানে না, শুধুমাত্র একটা স্ফুলিঙ্গ। সেই স্ফুলিঙ্গ থেকে দাবানল হয়ে যাবে। বিশদ

11th  April, 2021
পিশাচ সাধু
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব   ৭
জয়ন্ত দে

দারোগা বাড়ির নিমন্ত্রণে ক্যাপ্টেন হঠাৎ উদয় হল কেন? এ প্রশ্ন সহজের মনে অবিরাম ঘুরপাক খাচ্ছে। নচের সঙ্গে কথা বলে মনে হল, ক্যাপ্টেনকে সেদিন দারোগা বাড়িতে পাঠিয়েছিল পরমেশ্বরের পার্টনার শঙ্কর। সহজের কাছে আস্তে আস্তে পরিষ্কার হতে থাকে পুরো স্কিমটা। এদিকে, ক্যাপ্টেনের ভবিষ্যদ্বাণীর আতঙ্ক থেকে কিছুতেই বেরিয়ে আসতে পারছে না নচে। তারপর... বিশদ

04th  April, 2021
দহ
হামিরউদ্দিন মিদ্যা

ঘুম-জড়ানো চোখেই ধড়ফড় করে উঠে দাঁড়াল নুরু। মাটি থেকে গামছাটা তুলে, ধুলো ঝেড়ে কোমরে বাঁধল। বাঁ-হাতে নিল পাচন লাঠিটা। গোরু-মোষের দলটা সামনেই চড়ছে। মোষগুলোর দিকে চেয়ে দেখল, নিবারণ ঘোষের লেজকাটা মোষটা নেই। বুকটা ছ্যাঁৎ করে উঠল নুরুর। পাগলের মতো ছুটতে লাগল দহের দিকে। বিশদ

28th  March, 2021
পিশাচ সাধু
ধারাবাহিক উপন্যাস  পর্ব   ৬
জয়ন্ত দে

সহজের একটিমাত্র টিউশন টিকে আছে। মনোতোষ স্যারের কোচিং ক্লাস সে ছেড়ে দিয়েছে। সৃজনীকে পড়ানোর সময় মুখ ফস্কে সহজ বলে ফেলে, তার ভাগ্য খুলতে আর ঊনত্রিশ দিন বাকি। অথচ, প্রেমিকা বর্ণিনীকেও সে ক্যাপ্টেনের ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে কিছু বলেনি। এদিকে, সহজকে পরমেশ্বর সাবধান করে, ‘পিশাচের ফাঁদের পড়িসনি।’ তারপর... বিশদ

28th  March, 2021
ভুল ফোন
কৌশানী মিত্র

ছেলেটি নরম। মেয়েটি কঠিন। ছেলেটির চোখে সারাক্ষণ জল টলটল করছে। আসলে জন্মানোর পর শুধু লড়াই করতে করতে দু-দণ্ড বসে কাঁদতে পারেনি কোনওদিন। এখন যেটুকু যা আছে তাইই ইমনের সামনে উপুড় করে দিতে পারলে যেন বেঁচে যায়। বিশদ

21st  March, 2021
পিশাচ সাধু
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব   ৫
জয়ন্ত দে

নচে রেগে গিয়ে ক্যাপ্টেনকে রিকশসুদ্ধু খালে ফেলে দেওয়ার সুপারি দিল নেত্রকে। স্ত্রীকে নিয়ে নেত্রর রিকশয় উঠলেন ক্যাপ্টেন। রিকশ এগতে থাকে আর স্বামীকে একের পর এক অনুযোগ করতে থাকে বঁড়শি। তারপর... বিশদ

21st  March, 2021
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

পিশাচ সাধু ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন সহজের। নচেও তার ভবিষ্যৎ জানতে চায়। সাধু বলেন, ‘তুই অপঘাতে মরবি।’ শুনে প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত নচে। তারপর... বিশদ

14th  March, 2021
তন্ত্রমন্ত্র
সৌমিত্র চৌধুরী

ঠক ঠক ঠক। অন্ধকার ঘর। মিনিট পাঁচেক হল কারেন্ট চলে গিয়েছে। নিজের বিছানায় চাদর মুড়ি দিয়ে বসে আছি। তবুও মশার কামড়। স্বস্তিতে বসতেও পারছি না। তার মধ্যে দরজায় টোকা।  বিশদ

14th  March, 2021
একনজরে
করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও সুষ্ঠুভাবে রেশনে খাদ্যসামগ্রী দেওয়ার উপর বিশেষ জোর দিচ্ছেন রাজ্যের নতুন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেশন গ্রাহকদের বাড়ি বাড়ি খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে ...

শেষ পর্যন্ত বিস্তর টানাপোড়েনের পর আলোচনায় বসতে চেয়ে শ্রী সিমেন্ট কর্তারা বুধবার চিঠি দিল ইস্ট বেঙ্গল ক্লাবকে। ওই চিঠিতে এসসি ইস্ট বেঙ্গলের সিইও শিবাজি সমাদ্দার বলেছেন, ‘অবিলম্বে আলোচ্য বিষয়গুলি জানান।’ ...

বাড়ির উঠোনে বেড়া দিয়ে ঘেরা ছোট্ট ঘর। সেখানে রান্না করছিলেন গৃহবধূ দীপালি সর্দার। পাশের মাটির ঘরের নিকনো বারান্দায় রাখা ফোন হঠাৎই বেজে উঠল। রান্না ফেলে ...

শিলিগুড়িতে ফের ভাঙন ধরল বামফ্রন্টে। বিধানসভা ভোটে অশোক ভট্টাচার্যের ভরাডুবির দু’সপ্তাহের মধ্যে বুধবার বামফ্রন্ট ত্যাগ করলেন দুই নেতা। তাঁরা হলেন আরএসপির রামভজন মাহাত ও সিপিএমের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সমাগমে আনন্দ বৃদ্ধি। চারুকলা শিল্পে উপার্জনের শুভ সূচনা। উচ্চশিক্ষায় সুযোগ। কর্মক্ষেত্রে অযথা হয়রানি। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৩৮ - সম্রাট শাহজাহানের তত্ত্বাবধায়নে দিল্লির লাল কেল্লার নির্মাণ কাজ শুরু
১৮৩৬ - ভারততত্ত্ববিদ স্যার চার্লস উইলকিন্সের মৃত্যু
১৮৮৭ - বাঙালি কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক এবং প্রবন্ধকার রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু
১৮৫৭: ম্যালেরিয়ার জীবাণু আবিষ্কারক রোনাল্ড রসের জন্ম
১৯১৮: নৃত্যশিল্পী বালাসরস্বতীর জন্ম
১৯৪৭: কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের মৃত্যু
১৯৫৬: আর্ট অফ লিভিং ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা তথা আধ্যাত্মিক নেতা শ্রীশ্রী রবিশঙ্করের জন্ম
১৯৬২: ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নিলেন সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণাণ
১৯৬৭: ভারতের তৃতীয় রাষ্ট্রপতি হিসাবে শপথ নিলেন জাকির হোসেন
১৯৯৫ - প্রথম নারী হিসেবে ব্রিটিশ বংশদ্ভূত এলিসনের অক্সিজেন ও শেরপা ছাড়াই এভারেস্ট জয়
২০০০ - ভারতের লারা দত্তের বিশ্বসুন্দরী শিরোপা লাভ
২০০৫ - বিশিষ্ট সঙ্গীতিশিল্পী উৎপলা সেনের মৃত্যু
২০১১: পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জয় তৃণমূল কংগ্রেসের



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৬৭ টাকা ৭৪.৬৮ টাকা
পাউন্ড ১০১.৯৯ টাকা ১০৫.৫১ টাকা
ইউরো ৮৭.৪৯ টাকা ৯০.৭১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,৪৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,৯৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬,৬৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭১,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭১,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৯ বৈশাখ ১৪২৮, বৃহস্পতিবার, ১৩ মে ২০২১। দ্বিতীয়া অহোরাত্র। রোহিণী নক্ষত্র অহোরাত্র। সূর্যোদয় ৫/১/১৪, সূর্যাস্ত ৬/৪/৩৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে পুনঃ ১০/১৫ গতে ১২/৫২ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৯ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৩ গতে ১২/৫৫ মধ্যে। 
২৯ বৈশাখ ১৪২৮, বৃহস্পতিবার, ১৩ মে ২০২১। দ্বিতীয়া রাত্রি ৩/৩৬। রোহিণী নক্ষত্র শেষরাত্রি ৪/৮। সূর্যোদয় ৫/১, সূর্যাস্ত ৬/৬। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪০ গতে ২/৫০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে ও ১০/১৫ গতে ১২/৫১ মধ্যে। কালবেলা ২/৫০ গতে ৬/৬ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৩৪ গতে ১২/৫৬ মধ্যে। 
৩০ রমজান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
শিবপুরে জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বালকের মৃত্যু
কলকাতার পর এবার হাওড়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল আজ ...বিশদ

07:43:56 PM

দুর্গাপুরে  দিদিকে গুলি, অভিযুক্ত ভাই
দুর্গাপুরে  দিদিকে গুলি করে খুনের চেষ্টার অভিযোগ ভাইয়ের বিরুদ্ধে। আজ, ...বিশদ

05:17:18 PM

ধনেখালিতে ট্রেন থেকে পড়ে মৃত্যু বিহারের দম্পতির
স্ত্রী জ্যোতিকে নিয়ে কলকাতায় শ্বশুরবাড়ি আসছিলেন বিহারের দ্বারভাঙ্গার বাসিন্দা সৌরভ ...বিশদ

04:07:09 PM

স্টাফ স্পেশাল ট্রেনে এবার উঠতে পারবেন স্বাস্থ্যকর্মীরাও
রেলকর্মীদের জন্য ‘স্টাফ স্পেশাল’ ট্রেনে এবার থেকে উঠতে পারবেন স্বাস্থ্যকর্মীরাও। ...বিশদ

03:35:34 PM

গঙ্গায় মৃতদেহ ভেসে আসতে পারে, শুরু নজরদারি
উত্তরপ্রদেশ এবং বিহারের গঙ্গায় ভাসতে দেখা গিয়েছে অসংখ্য মৃতদেহ। আশঙ্কা, ...বিশদ

03:29:57 PM

পিছিয়ে গেল পরীক্ষা
করোনার জেরে পিছিয়ে গেল ইউপিএসসি-র প্রিলিমিনারি পরীক্ষা। ইউপিএসসি-র প্রিলিমিনারি হওয়ার ...বিশদ

03:17:14 PM