Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

চলার পথে
তরুণ চক্রবর্তী

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। 
 টিভিতে খবর শুনতে শুনতে মনটা থেমে গেল একটা নাম শুনে— ‘বিল্লু নামের এক কিশোর...’ আর অমনি যেন স্মৃতি সমুদ্রের ঢেউ ধেয়ে এল একের পর এক।
জানি না, আমাদের বালক কালের সঙ্গীটি আজ কোথায়, কেমন আছে। তার নামও ছিল বিল্লু, তবে নামটা বিচ্চু হলেই বোধ হয় সবচেয়ে মানাত। অবশ্য গুণ, দোষ যা-ই বলি না কেন, বিল্লুর স্বভাবে এমন অজস্র উপাদান ছিল, সচরাচর যা কোনও একজনের মধ্যে মেলা ভার। মাঝে মাঝেই বজ্জাতি, বেপরোয়া আর ঠোঁটকাটা স্বভাবের সঙ্গে রসবোধটাও ছিল তার মজ্জাগত। তবে মাস্টারমশাইদের কাছে কেন যেন একটু প্রশ্রয়ই পেয়ে যেত বিল্লু।
ছোটবেলায় আমাদের গাঁয়ের রাজবল্লভী চতুষ্পাঠীতে বছর দুয়েক সংস্কৃত শিক্ষার সুযোগ হয়েছিল। টোলের পণ্ডিতমশাই ছিলেন কানাইকৃষ্ণ কাব্যব্যাকরণতীর্থ স্মৃতি বিশারদ। টোলে ধাতুরূপ, শব্দরূপ মুখস্থ করতে করতে একটু দূরেই দেখতে পেতুম নগেন কলুর ঘানি চলছে। চোখে ঠুলি আর গলায় ঘণ্টি বাঁধা একটি বলদের কাঁধে কাঠের ভারী একটি দণ্ড চাপানো। আর সে ঘুরে চলেছে বৃত্তাকারে। বৃত্তের মাঝখানে পেষাইকলে সর্ষে পিষে তেল বের করা হচ্ছে। কলের চোঙায় মাঝে মাঝে সর্ষে ভরে দেয় নগা’র ছেলে, আর বলদটা থামতে চাইলেই খেজুর ছড়ি দিয়ে তার পিছনে ছপ্‌টি মেরে আবার তাকে চালিয়ে দেয়। সর্ষে মাড়াই হয়ে তেল বেরিয়ে জমা হয় বড় একটি টিনের পাতে।
সেদিনও দুলে দুলে আমরা নরঃ, নরৌ, নরাঃ পড়ে পড়ে মুখস্থ করে চলেছি। বিল্লু হঠাৎ পণ্ডিতমশাইকে জিজ্ঞেস করে বসল, ‘পণ্ডিতমশাই, ওই বলদটার চোখে ঠুলি বাঁধা কেন?’ পণ্ডিতমশাই বোঝালেন, একটানা গোলাকার পথে ঘুরতে ঘুরতে ওটার মাথা ঘুরে যেতে পারে। চোখে ঠুলি বাঁধা থাকলে আলোও পড়ে না, তাই মাথাও ঘোরে না। ‘তা ওদিকে না তাকিয়ে বইয়ের পাতায় একটু চোখ রাখ না বাবা!’
পণ্ডিতমশাই থামতেই আবার শুরু হয়ে গেল আমাদের শব্দরূপ মুখস্থ করা। কিন্তু সে আর কতক্ষণ? আবারও প্রশ্ন বিল্লুর,—‘বলদটার গলায় ঘণ্টি বাঁধা কেন পণ্ডিতমশাই?’ এবার বেশ বিরক্ত হয়েই পণ্ডিতমশাই বললেন, ‘মুখ্যু এটাও বোঝো না, ঘণ্টিটা থামলেই তো বুঝতে হবে বলদটা থেমেছে, আর ঘানিও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তখন আবার সেটা চালু করতে হবে। পড়ায় মন দিতে না পারলে যাও, বাড়ি চলে যাও। তারপর তোমার বাবাকে যা বলার বলব।’
কিন্তু বিল্লু কি আর ভয় করে কাউকে? তার কৌতূহল না মেটা পর্যন্ত তাকে থামায় কার সাধ্যি। পণ্ডিতমশায়ের শাসানিতে হতোদ্যম না হয়ে সে এবার যেন একটু বিনয়ের সঙ্গেই বললে, ‘শুধু এইটা বলে দিন, আর কিছু জিজ্ঞেস করব না পণ্ডিতমশাই,—বলদটা যদি দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মাথা নাড়ে?’
এবার হেসে ফেললেন পণ্ডিতমশাই। বললেন, ‘হ্যাঁ বাবা, তেমন বলদ আমার টোলেই এসে জোটে, নগা কলুর ঘানি টানে না।’
ইংরেজিতে একটু দুর্বল বলে বিল্লুর বাবা হীরু স্যারের কাছে তার টিউশনির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। আমাদের ইংরেজি পড়াতেন হীরালালবাবু। দেশভাগের সময় এপারে চলে এসেছিলেন ভিটে-মাটি সবকিছু ছেড়ে।
তবে ছাড়তে পারেননি বাঙাল ভাষাটি। চমৎকার পড়াতেন।
সেই হীরু স্যারের কাছে পড়েও সেবারে ইংরেজিতে কম্পার্টমেন্টাল পেল বিল্লু। রাস্তায় মুখোমুখি হতেই স্যারের প্রশ্ন— ‘কী বিল্লু, পাশ করশস্‌?’ বিল্লুর নির্লজ্জ জবাব, ‘না স্যার, হই নাই, টিউশনির পয়সা ফেরত দ্যান।’
বিল্লুকে নিয়ে গপ্পর যেন শেষ নেই। পাটিগণিতে নল দিয়ে চৌবাচ্চার জল ভরা ও বের হওয়া আর তৈলাক্ত বাঁশ বেয়ে বাঁদরের ওঠানামার যে দুটি অঙ্ক কয়েক প্রজন্মের ছাত্রছাত্রীকে নাজেহাল করেছে, আমরাও সেই দুর্ভোগের শরিক। সেদিন আমরা পড়েছি দ্বিতীয়টি নিয়েই। অঙ্কটি ছিল, কয়েকফুট লম্বা তৈলাক্ত একটি বাঁশ বেয়ে একটি বাঁদর মিনিটে এত ফুট ওঠে, তারপর এত ফুট নামে। ক’মিনিটে সে বাঁশটির ডগা’য় পৌঁছতে পারবে। বেশ খানিকক্ষণ চেষ্টা করে আমরা যখন গলদঘর্ম, তখন বিল্লুর হয়তো মনে হয়েছিল, ধুর ধুর, একটা অঙ্ক নিয়ে কতক্ষণ আর মাথা ঘামানো যায়। তারচেয়ে বরং একটু ঘেঁটে দেখা যাক। সে বললে, ‘স্যার, অঙ্কটায় একটু গোলমাল আছে।’ অঙ্কের মাস্টারমশাই  বিষ্টুবাবু জানতে চাইলেন, ‘কোনখানে মনে হচ্ছে গোলমালটা?’
বিল্লুর এবার একটা নয়, পরপর তিনটে প্রশ্নের সামনে দাঁড় করাতে চাইল বিষ্টুবাবুকে। তার প্রশ্নমালাটি হল কাদের ঝাড়ে অত লম্বা বাঁশ পাওয়া যাবে? বাঁশটায় তেল মাখাতে কে অমন বাজে খরচ করবে? আর বাঁদরটাই বা খামোকা কেন বাঁশ বেয়ে একবার উঠবে আর একবার নামবে?
বিল্লুর ফিচলেমি করার সাহস দেখে আমরা তো হতভম্ব। ওদিকে বেদম হাসি চেপে ধরে আছি কোনওরকমে আর সেইসঙ্গে ভাবছি, তার শাস্তির বহরটা কেমন হয়! কিন্তু বিষ্টুস্যারের ক্ষমার ভঙ্গিটি অনুপম। সব শুনে একটু মৃদু হেসে তিনি বললেন, ‘তুমি তো দেখছি ক্ষণজন্মা প্রতিভা হে। বুঝেছি। যাও, আজ আর অঙ্ক করতে হবে না। আজ ছুটি।’
কলকাতায় এসে একই কলেজে ভর্তি হয়েছিলাম। বিল্লুই একদিন প্ল্যান করছে, বড়দিনের ছুটিতে ক’জন বন্ধু মিলে বাটানগরে গিয়ে গঙ্গার ধারে চড়ুইভাতি করা হবে। ভোরের বাস ধরেছি। প্রথম বাসটাই। বাসে ওঠার আগেই ফরমান জারি করে দিয়েছে বিল্লু, যে যার নিজের টিকিট কাটবে। ভালো কথা।
বাস চলছে, কন্ডাকটর একে একে সব যাত্রীর কাছে গিয়ে পয়সা নিয়ে টিকিট দিচ্ছে। বিল্লুর কাছে গিয়ে দাঁড়াতেই, সে মুখ কাঁচুমাচু করে একেবারে দুঃখী মানুষের স্বরে কন্ডাকটরকে বললে, ‘পয়সা নেই।’
—মানে? বাসে উঠেছেন, পয়সা নিয়ে ওঠেননি?
—বলছি তো পয়সা নেই, বিল্লুর কণ্ঠে এবারও করুণ সুর ধ্বনিত হল। কন্ডাকটর এবার ভ্রু কুঁচকে বিল্লুর আপাদমস্তক পর্যবেক্ষণ করে নিল। ব্লু জিনসের সঙ্গে ম্যাচিং ব্লু সোয়েটার পরেছে সে আজ। পায়ে নামী কোম্পানির স্নিকার্স। তার বেশবাস দেখার পর কন্ডাকটর এবার রেগেমেগে একটু চড়া গলাতেই তাকে বললে, ‘ধোপদুরস্ত জামাপ্যান্ট তো পরেছেন দেখছি, টিকিট কেনার পয়সাটা নিয়ে উঠতে পারেননি? নেমে হেঁটে হেঁটে যান।’
অমনি নিমেষে বদলে গেল বিল্লুর কণ্ঠস্বর।  কন্ডাকটরের উদ্দেশে এবার তার বিদ্যুৎবাণ বর্ষিত হল দ্বিগুণ জোরে—‘দেখুন, মুখ সামলে কথা বলবেন কিন্তু। বাপ-মা তুলে কথা বললেও সহ্য করব, প্যান্ট জামা তুলে কথা বলবেন না।’
আজও কি তেমনই থেকে গিয়েছে আমাদের সেই বিল্লু? খুব জানতে ইচ্ছে করে!
                                                                                                                                                                                                        অলঙ্করণ: সোমনাথ পাল
 
07th  February, 2021
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে 

দারোগাবাড়ির ঠেকে সহজকে দেখে হঠাৎই ক্যাপ্টেন বেমক্কা বলে বসলেন— ‘তুই ভুল করেছিস পরি! এ ছেলে সহজ নয়, এ ছেলে কেন তোর এখানে? বড্ড ভুল করছিস!’ পরমেশ্বর অবাক হয়ে জানতে চাইল, ‘কেন, কী ভুল করলাম ক্যাপ্টেন?’ তারপর... 
বিশদ

07th  March, 2021
পিশাচ সাধু 
জয়ন্ত দে

পরমেশ্বরের সঙ্গে দারোগা বাড়ির ভূতুড়ে ঠেকে এসেছিল সহজ। হুল্লোড়ের মাঝে সেখানে হঠাৎই হাজির হলেন ক্যাপ্টেন। যিনি নিজেকে পিশাচ সাধু বলেন। তিনি সহজকে দেখে বললেন, তুই এখানে কেন? তারপর... 
বিশদ

28th  February, 2021
দেশি ছেলেপুলে 
চন্দন চক্রবর্তী

ব্যানার্জিবাবু প্রচণ্ড উত্তেজিত! ‘তা বলে আমার ফ্ল্যাটের সামনে?’ আবাসনের পার্কে তখন প্রাতঃভ্রমণকারীরা বসে। কেউ রামদেব, কেউ বা ফড়িং-এর মতো ফড়ফড় করে হাত-পা নাড়ানাড়ি করছেন। ব্যানার্জিবাবু রীতিমতো সুদর্শন। ফর্সা রং, চোখে বিদেশি চশমার ফ্রেমে আঁটা দেশি চশমার লেন্স।  
বিশদ

28th  February, 2021
ভাষা ও ভালোবাসা 
ছন্দা বিশ্বাস

অহর্নিশকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। দুপুরে খাওয়ার পর দোতলার ঘরে শুয়েছিল অহর্নিশ। শুয়ে শুয়ে একটা কমিক্সের বইয়ের পাতা ওল্টাচ্ছিল। অবন্তিকা দেখে এসেছে। ভেবেছে গল্প পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়বে। ছেলের মাথার হাত বুলিয়ে বলে এসেছে, ‘তাড়াতাড়ি একটু ঘুমিয়ে নাও, চারটের সময়ে কিন্তু আমাদের বেরতে হবে।  
বিশদ

21st  February, 2021
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে 

পিশাচ আবার সাধু হয় নাকি! সহজ এই কথাটাই ভাবছিল। সহজ মিত্র— নামটা কি খারাপ? আনকমন নাম। কিন্তু এই আনকমন নামটাকে কিছু ফালতু পাবলিক ঘেঁটে দিয়েছে। তারা তার নাম রেখেছে সহজ পাঠ। সেই সহজ পাঠকে দেখেই যেন মানুষটা থমকে দাঁড়ালেন। 
বিশদ

21st  February, 2021
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ রাজলক্ষ্মী দেবী –শেষ কিস্তি। বিশদ

14th  February, 2021
এক অবহেলিতের যৎকিঞ্চিৎ

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন দীপ মুখোপাধ্যায়। বিশদ

14th  February, 2021
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ রাজলক্ষ্মী দেবী— দ্বিতীয় কিস্তি। বিশদ

07th  February, 2021
নেটওয়ার্ক
ঈশা দেব পাল

দিদি মেয়ের সঙ্গে বন্ধুর মতোই মেশে। ওরা কথা বলছে দেখে আমি বাইরে উঠোনে এসে বসি। আড়চোখে দেখি মা ঘরে গিয়ে টিভি চালিয়ে সিরিয়াল দেখছে। কানে শোনে না, তবু দেখে। গল্প সব বোঝেও কিন্তু। বিশদ

31st  January, 2021
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ রাজলক্ষ্মী দেবী-প্রথম কিস্তি। বিশদ

31st  January, 2021
চলার পথে
বলতে পারলে হতো

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন অরিন্দম বসু। বিশদ

31st  January, 2021
স্বদেশ বিদেশ

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন সমীর রক্ষিত। বিশদ

24th  January, 2021
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছবি বিশ্বাস- শেষ কিস্তি। বিশদ

24th  January, 2021
মাটির গন্ধ
অনিরুদ্ধ চক্রবর্তী

একথা বলে সুমন মিটিমিটি হাসতে লাগল। তখন আমরা মাঠ পেরচ্ছি। দইয়ের ডোবা, মুক্তি ডোবা— আমাদের আশপাশের ডোবাদের নাম। ডোবা মানে যে বিশাল ব্যাপার, তা কিন্তু নয়। একেবারে নাতিদীর্ঘ আয়তন, বর্ষায় টইটম্বুর হয়ে ফুলে থাকে। জল যত কমে, টুলু পাম্প বসিয়ে তুলে নেয় চাষিরা। বিশদ

17th  January, 2021
একনজরে
শিবরাত্রি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই তারকেশ্বরের মন্দিরে ঢল নামে পুণ্যার্থীদের। বেলা যত বেড়েছে, লাইনও তত দীর্ঘ হয়েছে। এক সময়ে ভিড় এতটাই হয়েছিল যে, তা সামলাতে ...

মালদহের গাজোলের রানিগঞ্জে এক ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল। স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে ওই ঘটনা ঘটে। জখম ব্যক্তির নাম বিফল মণ্ডল। ...

শনিবার আইএসএল ফাইনালে নজর থাকবে দুই দলের গোলরক্ষকের দিকে। গোল্ডেন গ্লাভসের দৌড়ে রয়েছেন এটিকে মোহন বাগানের অরিন্দম ভট্টাচার্য ও মুম্বই সিটি এফসি’র অমরিন্দর সিং। চলতি ...

কয়লা পাচার কাণ্ডে এবার নতুন মোড় নিতে চলেছে। এই কাণ্ডের তদন্ত করতে গিয়ে সিবিআইয়ের নজরে পড়েছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার ন’টি বিশাল প্লট। বহু কোটি মূল্যের ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

গ্লুকোমা দিবস
১৭৮৯ : আমেরিকায় পোস্ট অফিস স্থাপিত হয়
১৮৫৪: লেখক মহেন্দ্রনাথ গুপ্তের জন্ম
১৮৯৪ : যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম বোতলজাত কোকাকোলা বিক্রি শুরু হয়
১৯০৪ : ইংল্যান্ডে ইলেকট্রিক ট্রেন চালু হয়
১৯১১: বাঙালি সাহিত্যিক অতুলচন্দ্র গুপ্তের জন্ম
১৯১৮ : ২১৫ বছর পর ফের রাশিয়ার রাজধানী হল মস্কো
১০২৪: সঙ্গীতশিল্পী উৎপলা সেনের জন্ম
১৯৩০ : মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে বৃটেনের বিরুদ্ধে সত্যাগ্রহ বা অসহযোগ আন্দোলন শুরু
১৯৮৪: সঙ্গীতশিল্পী শ্রেয়া ঘোষালের জন্ম
১৯৮৮: সাহিত্যিক সমরেশ বসুর (কালকূট) মৃত্যু
১৯৮৯ : স্যার টিম বার্নার্স লি CERN-এর ল্যাবে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (www) বিশ্বের তথ্য আদানপ্রদানের আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমের অবতারণা করেন।
২০১৩: শিল্পী গণেশ পাইনের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭১.৩০ টাকা ৭৪.৫৪ টাকা
পাউন্ড ৯৮.৭৪ টাকা ১০৩.৫৫ টাকা
ইউরো ৮৪.৬০ টাকা ৮৮.৭৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৫,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৩,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৪,০৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৮,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৮,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৮ ফাল্গুন ১৪২৭, শুক্রবার, ১২ মার্চ ২০২১। চতুর্দ্দশী ২২/৫৭ দিবা ৩/৩। শতভিষা নক্ষত্র ৪২/২৭ রাত্রি ১০/৫১। সূর্যোদয় ৫/৫২/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৪০/৪৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/২৫ মধ্যে পুনঃ ৮/১৪ গতে ১০/৩৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৭ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/৭ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/১৮ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/২৪ গতে ৪/১৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩৩ গতে ১১/২১ মধ্যে পুনঃ ৪/১৩ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৫০ গতে ১১/৪৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৩ গতে ১০/১৫ মধ্যে। 
২৭ ফাল্গুন ১৪২৭, শুক্রবার, ১২ মার্চ ২০২১। চতুর্দ্দশী দিবা ২/৪৩। শতভিষা নক্ষত্র রাত্রি ১০/৪২। সূর্যোদয় ৫/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৪১। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৩ মধ্যে ও ৮/১ গতে ১০/২৮ মধ্যে ও ১২/৫৪ গতে ২/৩২ মধ্যে ও ৪/৯ গতে ৫/৪১ মধ্যে। এবং রাত্রি ৭/২১ গতে ৮/৫৬ মধ্যে ও ৩/১৩ গতে ৪/১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩০ গতে ১১/১৭ মধ্যে ও ৪/১ গতে ৫/৫৩ মধ্যে। বারবেলা ৮/৫১ গতে ১১/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৪ গতে ১০/১৬ মধ্যে। 
২৭ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
প্রথম টি২০: ভারতকে ৮ উইকেটে হারাল ইংল্যান্ড 

10:17:20 PM

প্রথম টি২০: ইংল্যান্ড ৮৯/১ (১১ ওভার) 

09:52:13 PM

প্রথম টি২০: ইংল্যান্ড ৫০/০ (৬ ওভার) 

09:28:55 PM

প্রথম টি২০: ইংল্যান্ডকে ১২৫ রানের টার্গেট দিল ভারত

08:49:53 PM

প্রয়াত  রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অন্যতম সহঅধ্যক্ষ স্বামী বাগীশানন্দ
প্রয়াত রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অন্যতম সহঅধ্যক্ষ স্বামী বাগীশানন্দ। আজ, ...বিশদ

08:40:00 PM

প্রথম টি২০: ভারত ৮৩/৪ (১৫ ওভার)

08:19:34 PM