Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

চলার পথে
বলতে পারলে হতো

 জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন অরিন্দম বসু।
 
এক বন্ধুর কাছ থেকে নাম শুনেছিলাম জায়গাটার। মহারাজপুর। রাজমহলের কাছাকাছি। আদিবাসী এলাকা। একদিকে বিরাট চওড়া গঙ্গা। অন্যদিকে পাহাড়। সেই পাহাড়ে জঙ্গলের মধ্যে আছে মোতি ঝর্ণা। ভাগলপুর লাইনে সাহেবগঞ্জ স্টেশনে নেমে আবার লোকাল ট্রেন ধরে যেতে হবে। ট্যুরিস্টরা খোঁজ রাখে না।
শুনে আহ্লাদ হয়েছিল। থাকব কোথায়, খাব কী, জানি না। তাতে আরও আনন্দ। বেশ একটা ভবঘুরে ভাব। অ্যামেচার ভবঘুরে যদিও। হাতব্যাগে জামাকাপড় ভরে বেরিয়ে পড়েছিলাম। সঙ্গে ছিল আমার চেয়ে বছর দশেকের ছোট এক বন্ধু, মিন্টু। আমরা তখন ব্যাচেলর। তখনও গুগল ম্যাপ সব বেপর্দা করে দেয়নি। রাত সাড়ে দশটায় জামালপুর এক্সপ্রেসে রওনা দেব। অফিস থেকে বকেয়া বেতন নিতে গিয়ে দেরি হয়ে যাওয়াতে পড়িমড়ি করে হাওড়া পৌঁছলাম।
পুজোর মুখে মুখে বলে স্টেশনে দমচাপা ভিড়। এস-সিক্স কামরায় আমার ছিল লোয়ার বার্থ। আপার বার্থ যার সেই মাঝবয়সি মহিলা হিন্দিতে বললেন তার নাকি ওপরে ভয় করে। আমি যদি বদলাবদলি করে নিই। রাজি হয়ে গেলাম। ভাগ্যিস হয়েছিলাম। আমার ঠিক নীচেই মিডল বার্থে শোবে মিন্টু। আমার আপার বার্থের উল্টো দিকে সেই মহিলার কিশোরী মেয়ে। মিডল বার্থে আর একজন মহিলা। লোয়ার বার্থে যে মহিলা বছর সাতেকের ছেলেকে নিয়ে রয়েছেন তিনি তারই সঙ্গী। তিন মহিলার স্বামীদের এখানে জায়গা হয়নি। 
বোলপুর স্টেশনে রাত সাড়ে বারোটায় যখন ট্রেন দাঁড়াল তখনও আমি জানলার ধারের সিটে বসে। শান্তিনিকেতন এলেই মনটা উদাস উদাস লাগে। একটা টি স্টল আর উঁচু পাঁচিল ছাড়া কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। তবুও। বাঙালির দোষ। ট্রেন ছাড়ার পর নীচের দুই মহিলার অনুরোধে জানলার লোহার শাটার ও কাচের পাল্লা নামিয়ে দিয়ে বার্থে উঠে গেলাম। কাল সকাল ছ’টায় সাহেবগঞ্জ।
ট্রেনের দুলুনিতে অনেকে দিব্যি ঘুমোয়। আমি ঝিমুনিতে থাকি। তেমনই ছিলাম। হঠাৎ ঝগড়ার আওয়াজে সেটুকুও ভেঙে গেল। কামরার কোথাও আলো জ্বলছে, কোথাও নেভানো। রাতের ট্রেন এ সময় বেশ রহস্যময়। কিন্তু ঝগড়াটা হচ্ছে কোথায়?
বার্থের তারজালির ফাঁক দিয়ে বাঁদিকে তাকিয়ে দেখি, টয়লেটের কাছাকাছি যে সাইড আপার বার্থ সেখানে এক মহিলা বসে রয়েছেন। তার সামনে দাঁড়িয়ে লম্বা একটা লোক বলছে— ‘নিকাল, নিকাল।’ ভাবলাম স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া হচ্ছে। কিন্তু ট্রেন থেকে বউকে নামিয়ে দিতে চাইছে না কি লোকটা! তার পরেই দেখলাম মহিলা কাঁপা কাঁপা হাতে গলার হারটা খুলে সামনে বাড়িয়ে ধরলেন। ঝিমুনিটা একদম চলে গেল। পরিষ্কার বুঝতে পারলাম— লোকটার মুখে-মাথায় গামছা প্যাঁচানো, হাতে উঁচিয়ে রাখা দেশি পিস্তল। মানে ট্রেনে ডাকাতি হচ্ছে।
এরমধ্যেই ওইরকম গামছা জড়ানো দু’জন ক্ষিপ্র পায়ে আমাদের জায়গাটার সামনে দিয়ে কামরার অন্যদিকে চলে গেল। বোঝা গেল, ওরা ছড়িয়ে পড়ছে। মাথাটা আরও পরিষ্কার হয়ে আসছিল। নিয়মিত মাইনের চেয়ে বকেয়া মাইনে অর্থমূল্যে নিশ্চয়ই কিছুটা বেশি। তার ওপর আরও কিছু টাকা। হাতছাড়া হয়ে গেলে সত্যিকারের ভবঘুরে হয়ে যেতে হবে।
সঙ্গে সঙ্গে ঝুঁকে পড়ে মিন্টুকে ঠেলা দিয়ে জাগালাম। সে ঘুম থেকে উঠে হকচকিয়ে গেছে। ফিসফিস করে বললাম, ‘চেঁচাস না। ট্রেনে ডাকাতি হচ্ছে। তোর ঘড়িটা আর টাকাপয়সা যা আছে আমায় দিয়ে দে।’
এভাবে বলায় আমাকেই ডাকাত ভেবে কি না কে জানে, মিন্টু আরও ভ্যাবাচ্যাকা হয়ে ফিসফিস করেই বলল, ‘তোমায়?’
‘হ্যাঁ। তুই অন্য বার্থের বাকিদের আস্তে করে ডাক। গয়না-টয়না যা আছে, কোথাও লুকিয়ে চুপ করে শুয়ে থাকতে বল।’
আমার দুটো মোজারই ইলাস্টিক ঢিলে হয়ে গেছে বলে রাবার ব্যান্ড বেঁধে রাখতে হয়। একটা খুলে ছিঁড়ে ফেললাম। আমাদের দু’জনের ঘড়ি আর সব টাকা গোল করে পাকিয়ে তার একদিকে গিঁট দিয়ে বাঁধলাম। চেন টানার জায়গাটায়, যেখানে ট্রেনের ছাদ বেঁকে নেমে এসেছে, সেখানকার প্লাইবোর্ডটা ধরে একটু টানাটানি করতেই স্ক্রু আলগা হয়ে খানিকটা ফাঁক হয়ে গেল। স্ক্রুয়ের পিছনে রাবার ব্যান্ড বেঁধে ঝুলিয়ে দিলাম ওপাশে।
ট্রেন চলছিল। এই পুরো সময়টাতেই শুনতে পাচ্ছিলাম চাপা গলার হুমকি, কান্নার আওয়াজ, চড়চাপড়ও পড়ছে। যেখান থেকে যা পারছে কেড়ে নিচ্ছিল ওরা। বুঝতে পেরে গিয়েছি, ডাকাতরা এলোমেলো ঘুরছে। আমাদের যেমন ভয় করছে, ওদেরও করছে নিশ্চয়ই। এখনও আমাদের দিকে কেউ আসেনি। সামনে দিয়ে এপাশ ওপাশ করছে শুধু। আমি গোনার চেষ্টা করলাম। ন’জন। কমবেশি হতে পারে। হয়তো একজনকে দু’বার গুনেছি। একজন হাতে পিস্তল ঝুলিয়ে গামছায় বাঁধা মুখ নামিয়ে চলে যাচ্ছিল। দেখি তার কাঁধ থেকে সাদা রঙের ময়লা একটা কাপড়ের ব্যাগ ঝুলছে। তাতে নীল সুতোর কাজ করে লেখা— শান্তিনিকেতন। ডাকাতের কাঁধে শান্তিনিকেতনী ব্যাগ! এমনটি তো আর জীবনে দেখতে পাব না। আমি যাকে বলে একেবারে বিমোহিত হয়ে গেলাম।
আমাদের জায়গাটায় বাকি সবাই গুটিসুটি মেরে শুয়ে। আমি একাই বসে। ভাবছিলাম এখানে কেউ এলে আগে আমার কাছেই আসার কথা। এলে কী বলব ভেবে নিয়েছি। হলও তাই। সাঁ করে একজন এসে দুটো লোয়ার বার্থে ভর দিয়ে পা ফাঁক করে আমার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে গেল। আমার কপালের ডানদিকে পিস্তলটা ঠেকিয়ে বলল, ‘ব্যাগ খোল, যো হ্যায় সব নিকাল।’
আমার মাথা এতক্ষণে একদম পরিষ্কার। বললাম, ‘কেয়া নিকালুঁ? আভি আভি তো সব লে গয়ে।’
‘লে গয়ে? কৌন?’
‘তুমহারা হি আদমি। এক কো কিতনে বার লুটোগে ভাই?’
‘ওঃ, তব ঠিক হ্যায়। চল, শো যা।’
পিস্তল নেমে গেল। পরম নিশ্চিন্ত হল ডাকাতটিও। আমিও ঝুপ করে শুয়ে পড়লাম।
এরপর আরও অনেক কিছু ঘটেছিল। আমাদের দিকের বার্থের বাকিরা আমার দিকে জুলজুল করে তাকিয়ে ছিল, ডাকাতদের সঙ্গে সাঁট আছে ভেবে টিকিট চেকারকে ধোলাই দিল পাবলিক, আরপিএফকে গালাগাল করল, বিনা রিজার্ভেশনে উঠে পড়া বিহারী শ্রমিকরা গেঁজ থেকে লুট হয়ে যাওয়া টাকার জন্য হাউহাউ করে কাঁদল, কোনও একটা স্টেশনে ভাঙচুর হল, আমি রাবার ব্যান্ড খুলে টাকা ফের ব্যাগে ভরে নিলাম, এক ঘণ্টা দেরিতে ট্রেন সাহেবগঞ্জ স্টেশনে পৌঁছল।
ওভারব্রিজ পেরিয়ে যখন অন্য প্ল্যাটফর্মে গেলাম তখনও ট্রেনটা দাঁড়িয়ে রয়েছে। মিন্টু বলল, ‘ভাবতেই পারছি না। ট্রেনে ডাকাতি হয়েছে অথচ আমাদের কিছু নিতে পারেনি।’
ঠিকই। তবে মনে হল, আমি মাত্র একজন ডাকাতকেই বলতে পেরেছি— এক কো কিতনে বার লুটোগে? কতজন এমন বলতে চায়। পারে না। কথাটা দেশজুড়ে নানারকম ডাকাতকে অন্তত একবার চিৎকার করে বলতে পারলে হতো।
অলঙ্করণ: সোমনাথ পাল
31st  January, 2021
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে 

দারোগাবাড়ির ঠেকে সহজকে দেখে হঠাৎই ক্যাপ্টেন বেমক্কা বলে বসলেন— ‘তুই ভুল করেছিস পরি! এ ছেলে সহজ নয়, এ ছেলে কেন তোর এখানে? বড্ড ভুল করছিস!’ পরমেশ্বর অবাক হয়ে জানতে চাইল, ‘কেন, কী ভুল করলাম ক্যাপ্টেন?’ তারপর... 
বিশদ

07th  March, 2021
পিশাচ সাধু 
জয়ন্ত দে

পরমেশ্বরের সঙ্গে দারোগা বাড়ির ভূতুড়ে ঠেকে এসেছিল সহজ। হুল্লোড়ের মাঝে সেখানে হঠাৎই হাজির হলেন ক্যাপ্টেন। যিনি নিজেকে পিশাচ সাধু বলেন। তিনি সহজকে দেখে বললেন, তুই এখানে কেন? তারপর... 
বিশদ

28th  February, 2021
দেশি ছেলেপুলে 
চন্দন চক্রবর্তী

ব্যানার্জিবাবু প্রচণ্ড উত্তেজিত! ‘তা বলে আমার ফ্ল্যাটের সামনে?’ আবাসনের পার্কে তখন প্রাতঃভ্রমণকারীরা বসে। কেউ রামদেব, কেউ বা ফড়িং-এর মতো ফড়ফড় করে হাত-পা নাড়ানাড়ি করছেন। ব্যানার্জিবাবু রীতিমতো সুদর্শন। ফর্সা রং, চোখে বিদেশি চশমার ফ্রেমে আঁটা দেশি চশমার লেন্স।  
বিশদ

28th  February, 2021
ভাষা ও ভালোবাসা 
ছন্দা বিশ্বাস

অহর্নিশকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। দুপুরে খাওয়ার পর দোতলার ঘরে শুয়েছিল অহর্নিশ। শুয়ে শুয়ে একটা কমিক্সের বইয়ের পাতা ওল্টাচ্ছিল। অবন্তিকা দেখে এসেছে। ভেবেছে গল্প পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে পড়বে। ছেলের মাথার হাত বুলিয়ে বলে এসেছে, ‘তাড়াতাড়ি একটু ঘুমিয়ে নাও, চারটের সময়ে কিন্তু আমাদের বেরতে হবে।  
বিশদ

21st  February, 2021
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে 

পিশাচ আবার সাধু হয় নাকি! সহজ এই কথাটাই ভাবছিল। সহজ মিত্র— নামটা কি খারাপ? আনকমন নাম। কিন্তু এই আনকমন নামটাকে কিছু ফালতু পাবলিক ঘেঁটে দিয়েছে। তারা তার নাম রেখেছে সহজ পাঠ। সেই সহজ পাঠকে দেখেই যেন মানুষটা থমকে দাঁড়ালেন। 
বিশদ

21st  February, 2021
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ রাজলক্ষ্মী দেবী –শেষ কিস্তি। বিশদ

14th  February, 2021
এক অবহেলিতের যৎকিঞ্চিৎ

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন দীপ মুখোপাধ্যায়। বিশদ

14th  February, 2021
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ রাজলক্ষ্মী দেবী— দ্বিতীয় কিস্তি। বিশদ

07th  February, 2021
চলার পথে
তরুণ চক্রবর্তী

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে।  বিশদ

07th  February, 2021
নেটওয়ার্ক
ঈশা দেব পাল

দিদি মেয়ের সঙ্গে বন্ধুর মতোই মেশে। ওরা কথা বলছে দেখে আমি বাইরে উঠোনে এসে বসি। আড়চোখে দেখি মা ঘরে গিয়ে টিভি চালিয়ে সিরিয়াল দেখছে। কানে শোনে না, তবু দেখে। গল্প সব বোঝেও কিন্তু। বিশদ

31st  January, 2021
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ রাজলক্ষ্মী দেবী-প্রথম কিস্তি। বিশদ

31st  January, 2021
স্বদেশ বিদেশ

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন সমীর রক্ষিত। বিশদ

24th  January, 2021
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছবি বিশ্বাস- শেষ কিস্তি। বিশদ

24th  January, 2021
মাটির গন্ধ
অনিরুদ্ধ চক্রবর্তী

একথা বলে সুমন মিটিমিটি হাসতে লাগল। তখন আমরা মাঠ পেরচ্ছি। দইয়ের ডোবা, মুক্তি ডোবা— আমাদের আশপাশের ডোবাদের নাম। ডোবা মানে যে বিশাল ব্যাপার, তা কিন্তু নয়। একেবারে নাতিদীর্ঘ আয়তন, বর্ষায় টইটম্বুর হয়ে ফুলে থাকে। জল যত কমে, টুলু পাম্প বসিয়ে তুলে নেয় চাষিরা। বিশদ

17th  January, 2021
একনজরে
শিবরাত্রি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই তারকেশ্বরের মন্দিরে ঢল নামে পুণ্যার্থীদের। বেলা যত বেড়েছে, লাইনও তত দীর্ঘ হয়েছে। এক সময়ে ভিড় এতটাই হয়েছিল যে, তা সামলাতে ...

মালদহের গাজোলের রানিগঞ্জে এক ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল। স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে ওই ঘটনা ঘটে। জখম ব্যক্তির নাম বিফল মণ্ডল। ...

শেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের দাবি মানতে বাধ্য হল মোদি সরকার। করোনার ভ্যাকসিন প্রাপ্তদের শংসাপত্রে আপাতত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি থাকছে না। ভোটের আদর্শ  নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে কমিশনের নির্দেশ মতোই সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে ছবি। ...

শনিবার আইএসএল ফাইনালে নজর থাকবে দুই দলের গোলরক্ষকের দিকে। গোল্ডেন গ্লাভসের দৌড়ে রয়েছেন এটিকে মোহন বাগানের অরিন্দম ভট্টাচার্য ও মুম্বই সিটি এফসি’র অমরিন্দর সিং। চলতি ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

উচ্চবিদ্যার ক্ষেত্রে বাধার মধ্য দিয়ে অগ্রসর হতে হবে। কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ যোগ। ব্যবসায় যুক্ত হলে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

গ্লুকোমা দিবস
১৭৮৯ : আমেরিকায় পোস্ট অফিস স্থাপিত হয়
১৮৫৪: লেখক মহেন্দ্রনাথ গুপ্তের জন্ম
১৮৯৪ : যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম বোতলজাত কোকাকোলা বিক্রি শুরু হয়
১৯০৪ : ইংল্যান্ডে ইলেকট্রিক ট্রেন চালু হয়
১৯১১: বাঙালি সাহিত্যিক অতুলচন্দ্র গুপ্তের জন্ম
১৯১৮ : ২১৫ বছর পর ফের রাশিয়ার রাজধানী হল মস্কো
১০২৪: সঙ্গীতশিল্পী উৎপলা সেনের জন্ম
১৯৩০ : মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে বৃটেনের বিরুদ্ধে সত্যাগ্রহ বা অসহযোগ আন্দোলন শুরু
১৯৮৪: সঙ্গীতশিল্পী শ্রেয়া ঘোষালের জন্ম
১৯৮৮: সাহিত্যিক সমরেশ বসুর (কালকূট) মৃত্যু
১৯৮৯ : স্যার টিম বার্নার্স লি CERN-এর ল্যাবে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (www) বিশ্বের তথ্য আদানপ্রদানের আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমের অবতারণা করেন।
২০১৩: শিল্পী গণেশ পাইনের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭১.৩০ টাকা ৭৪.৫৪ টাকা
পাউন্ড ৯৮.৭৪ টাকা ১০৩.৫৫ টাকা
ইউরো ৮৪.৬০ টাকা ৮৮.৭৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৫,৭৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৩,৪০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৪,০৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৮,০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৮,১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

২৮ ফাল্গুন ১৪২৭, শুক্রবার, ১২ মার্চ ২০২১। চতুর্দ্দশী ২২/৫৭ দিবা ৩/৩। শতভিষা নক্ষত্র ৪২/২৭ রাত্রি ১০/৫১। সূর্যোদয় ৫/৫২/১৭, সূর্যাস্ত ৫/৪০/৪৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/২৫ মধ্যে পুনঃ ৮/১৪ গতে ১০/৩৫ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৭ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/৭ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/১৮ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/২৪ গতে ৪/১৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩৩ গতে ১১/২১ মধ্যে পুনঃ ৪/১৩ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৫০ গতে ১১/৪৬ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৩ গতে ১০/১৫ মধ্যে। 
২৭ ফাল্গুন ১৪২৭, শুক্রবার, ১২ মার্চ ২০২১। চতুর্দ্দশী দিবা ২/৪৩। শতভিষা নক্ষত্র রাত্রি ১০/৪২। সূর্যোদয় ৫/৫৪, সূর্যাস্ত ৫/৪১। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৩ মধ্যে ও ৮/১ গতে ১০/২৮ মধ্যে ও ১২/৫৪ গতে ২/৩২ মধ্যে ও ৪/৯ গতে ৫/৪১ মধ্যে। এবং রাত্রি ৭/২১ গতে ৮/৫৬ মধ্যে ও ৩/১৩ গতে ৪/১ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩০ গতে ১১/১৭ মধ্যে ও ৪/১ গতে ৫/৫৩ মধ্যে। বারবেলা ৮/৫১ গতে ১১/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৪ গতে ১০/১৬ মধ্যে। 
২৭ রজব।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
প্রথম টি২০: ভারতকে ৮ উইকেটে হারাল ইংল্যান্ড 

10:17:20 PM

প্রথম টি২০: ইংল্যান্ড ৮৯/১ (১১ ওভার) 

09:52:13 PM

প্রথম টি২০: ইংল্যান্ড ৫০/০ (৬ ওভার) 

09:28:55 PM

প্রথম টি২০: ইংল্যান্ডকে ১২৫ রানের টার্গেট দিল ভারত

08:49:53 PM

প্রয়াত  রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অন্যতম সহঅধ্যক্ষ স্বামী বাগীশানন্দ
প্রয়াত রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অন্যতম সহঅধ্যক্ষ স্বামী বাগীশানন্দ। আজ, ...বিশদ

08:40:00 PM

প্রথম টি২০: ভারত ৮৩/৪ (১৫ ওভার)

08:19:34 PM