Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

চলার পথে

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন তমাল বন্দ্যোপাধ্যায়।

এটা যে-সময়ের ঘটনা, তখন ইউনিভার্সিটিতে পড়ি— কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়। হস্টেলে থাকি। হস্টেল থেকে বাড়ি, বাড়ি থেকে হস্টেল— যাতায়াত লেগেই থাকত লোকাল ট্রেনে। বাড়ি থেকে হস্টেলে ফিরছি সেদিন। সম্ভবত কোনও এক শনিবার ছিল সেটা। সকাল থেকে রাত— দিনের যে কোনও সময় কৃষ্ণনগর-শিয়ালদা লাইনের ট্রেনে ভিড়ের বহর তো সবারই জানা। তাই নামার সময়ের দুর্ভোগ এড়াতে গন্তব্যের বেশ কয়েকটা আগের স্টেশন থেকেই গাদাগাদি ভিড় ঠেলে দরজার কাছাকাছি, বাইরের দিকটায় এগিয়ে এসে দাঁড়াতাম। সেদিনও তা-ই দাঁড়িয়েছি। চাকদার একটা কি দুটো স্টেশন আগে ট্রেনটা থামতেই হঠাৎ দেখি দুই হাতে বড় বড় দুটো ব্যাগ নিয়ে একটা লোক সামনে একটা বাচ্চা ছেলেকে ঠেলেঠুলে কোনওমতে উঠিয়ে দিয়েই ব্যাগসুদ্ধ নিজেও হুড়মুড় করে উঠে পড়ল ট্রেনে। দু’-হাতের বড় বড় ব্যাগ দুটো— যতদূর মনে হল বিস্কুটের প্যাকেটে ভর্তি। চায়ের দোকানে বেকারি বিস্কুট কিংবা টোস্ট বিস্কুট জাতীয় যেসব বিস্কুট পাওয়া যায়, সেই জিনিস। যাই হোক, হাঁপাতে হাঁপাতে কোনওক্রমে উঠেই আমার দিকে তাকিয়ে অনুনয়ের সুরে লোকটা বলল, ‘ছেলেটাকে এই একটুখানি ধরবেন, দাদা? ব্যাগ-দু’খানা একটু সামলে নিই।’ এসব ক্ষেত্রে না করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না। আর স্বভাবগতভাবেও আমার বাচ্চাদের ভারী ভালোলাগে। কাজেই নির্দ্বিধায় ছেলেটিকে ধরে রইলাম। মাঝে মাঝে একটু একটু আদর করছি, টিপে দিচ্ছি কচি কচি গাল দুটো, নেড়ে দিচ্ছি ফুরফুরে নরম চুল, ‘নাম কী রে তোর’ কিংবা ‘কোন ক্লাসে পড়িস’— এরকম দুটো-একটা কথাও বলছি থেকে থেকে। ছেলেটাও খুব মিশুকে প্রকৃতির, কথায় কথায় অনায়াসে একদম সহজ হয়ে এল আমার সঙ্গে। আমার গায়ের উপর ভর দিয়ে দিব্যি দাঁড়িয়ে রইল– যেন কতদিনের চেনা!
এদিকে ট্রেন চাকদা ঢুকতে ঢুকতেই লোকটা আমায় বলতে শুরু করল, ‘দাদা, ছেলেটাকে একটুখানি ধরে রাখবেন প্লিজ, আমি স্টেশনে নেমে সামনের চায়ের দোকানে ব্যাগ দুটো জাস্ট দিয়েই চলে আসছি এক মিনিটে।’ বলতে বলতেই স্টেশন এসে পড়ে, আর আমায় ‘হ্যাঁ’ কি ‘না’ বলার সুযোগটুকুও না দিয়ে লোকটা হুড়মুড় করে ব্যাগসুদ্ধ নেমে যায় ট্রেন থেকে। আমি ভাবলাম যাক, ঠিক আছে— ‘মানুষের উপর বিশ্বাস হারানো পাপ।’ ছেলেটাকে ধরে দাঁড়িয়ে আছি, কথাবার্তা বলছি, আর ছেলেটাও খুব ক্যাজুয়ালি মিশে যাচ্ছে আমার সঙ্গে। সম্পূর্ণ অপরিচিত মানুষের সঙ্গে পুরোপুরি মিশে যাওয়ার ক্ষমতা তার মধ্যে ভরপুর। সেদিক থেকে কোনও সমস্যা নেই।
কিন্তু সমস্যা হল অন্য জায়গায়। সেই যে লোকটা গেল তো গেলই, কিছুতেই আর সে উঠে আসছে না! যদিও চাকদা স্টেশনে এই লাইনের লোকাল ট্রেনগুলো বেশ কিছুক্ষণ থামে, তবু সেই সময়টাও তো শেষের পথে— ট্রেন ছেড়ে দেবে আর একটু পরেই! অথচ, আশপাশে লোকটার টিকিটিও নেই। হঠাৎই ভীষণ ভয় পেতে শুরু করি আমি। লোকটা যদি আর না আসে! ছেলেটাকে এইভাবে ছেড়ে রেখে যাওয়াই যদি উদ্দেশ্য হয়ে থাকে তার! কী হবে তখন? ছেলেটাকে নিয়ে তবে কী করব আমি? এইসব হাজারো আশঙ্কা আর দুশ্চিন্তায় মাথা ভারী হয়ে আসে আমার। দরদর করে ঘামতে থাকি। ট্রেনটা যতক্ষণ দাঁড়িয়ে আছে, তার প্রতিটা সেকেন্ড, প্রতিটা সেকেন্ডের একেকখানা ভগ্নাংশও এবার আস্তে আস্তে অনন্তকাল দীর্ঘ মনে হতে থাকে। মনে মনে যেন এক রকম বিশ্বাস করেই ফেলেছি যে, লোকটা আর আসবে না। কিন্তু তাহলে বাচ্চাটাকে নিয়ে আমার করণীয়ই বা কী? সবমিলিয়ে ভয়ঙ্কর একটা অস্থিরতা ঘিরে ধরে আমায়। বারবার উঠছি নামছি, এদিকে ওদিকে খুঁজে বেড়াচ্ছি লোকটাকে। স্টেশনের প্রতিটা লোককে তার বর্ণনা দিয়ে পাখিপড়া করে জিজ্ঞেস করছি— কেউ তাকে দেখেছে কি না, আবার ফিরে ফিরে এসে বাচ্চাটাকে দেখে যাচ্ছি যে সে আবার ঠিকঠাক দাঁড়িয়ে আছে তো! কে একজন বলল, লোকটা নাকি স্টেশনের কালীমন্দিরটার পাশ দিয়ে কোথায় একটা ঢুকে গিয়েছে, আর বেরয়নি। এই কথা শুনে আরও ভয় পেয়ে গেলাম আমি। ওইটুকু সময়ের মধ্যে কত না চিন্তা ঘুরে চলেছে মাথায়। আমায় কি ফাঁসানো হল তাহলে? ইউনিভার্সিটি যাওয়া তো মাথায় উঠেছে, এবার কি তাহলে থানা-পুলিস করতে হবে ছেলেটাকে নিয়ে? নাকি ওকে ট্রেনের মধ্যে রেখেই নেমে পড়ব নিজের মতো? এ কথা ভাবতে আবার বিবেকের দংশন হচ্ছে খুব। হাজার হোক ওই একরত্তি বাচ্চা— মানুষের প্রতি মানুষের একটা নৈতিক দায়িত্বও তো আছে! এইসব সাতপাঁচ হাজারো কথা ভাবতে ভাবতে কেমন যেন দিশাহারা লাগছে আমার। এর মধ্যেই হুইসল বেজে গেল, আস্তে আস্তে নড়তেও শুরু ক’রে দিল ট্রেনটা। ততক্ষণে আমি মোটামুটি নিশ্চিতই হয়ে গিয়েছি যে, বিরাট একটা বিপদের মধ্যে জড়িয়ে পড়েছি অলরেডি, আর নিস্তার নেই! আশপাশের সহযাত্রীদের বলতে তারা কেমন একটা সন্দেহের চোখে দেখতে থাকে আমায়, বিশ্বাস করে না। তারা হয়তো এতক্ষণ এতসব ব্যাপারস্যাপার খেয়ালও করেনি। এদিকে এতকিছুর মধ্যেও বাচ্চা ছেলেটা কিন্তু আশ্চর্যরকম নির্বিকার, একমনে আমার গায়ে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে– কোনওই হেলদোল নেই তার! জীবনে এইরকম অপ্রস্তুত অবস্থায় আমি কোনওদিন পড়িনি। কী করব, কোথায় যাব, নেমে পড়ব কি না— কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না। এদিকে ছেলেটা পরম বিশ্বাসে আমার গায়ে ভর দিয়ে ঠায় এক রকম দাঁড়িয়ে রয়েছে!
তারপর যখন ট্রেনটা আস্তে আস্তে বেশ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে, চলতে শুরু করে দিয়েছে বেশ একটু জোরেই, তখন দেখি সেই লোকটা হন্তদন্ত হয়ে ছুটতে ছুটতে এগিয়ে আসছে কামরার দিকে। কোনওরকমে হাঁকড়পাঁকড় করে হাতলটা ধরে ট্রেনে উঠে বেশ খানিকটা শ্বাস নিয়ে বলে, ‘দাদা, খুবই দুঃখিত। এইসব মালপত্র দিয়ে টাকাটা বুঝে নিয়ে আসতে আসতে এতটা দেরি হয়ে গেল। কিছু মনে করবেন না। আমরা তো এইভাবেই ডেলিপ্যাসেঞ্জারি করি। এরকম হুটোপাটা ঝোলাঝুলি করেই আসতে হয় রোজ।’ আমি তো প্রায় চিৎকার করে উঠে বললাম, ‘আপনি মশাই আমাকে কীরকম একটা টেনশনের মধ্যে ফেলে দিয়েছিলেন, বলুন তো! কী অবস্থা হয়েছিল জানেন আমার!’ সেই লোকটি ভীষণ লজ্জিত হয়ে বারবার মাপটাপ চায়। তারপর কল্যাণী পর্যন্ত বাদ বাকি পথটা যেন আমায় সে-যাবৎ জীবনের পরমতম প্রশান্তির অনুভূতি দিয়েছিল।
স্টেশনের ওইটুকু সময় আমায় জীবনে প্রথম অভিভাবকত্ব শিখিয়েছিল। অচেনা অজানা ওই বাচ্চা ছেলেটার প্রতি আমি জীবনে প্রথম অভিভাবকসুলভ দায়দায়িত্ব অনুভব করেছিলাম। ছেলেটি বা লোকটির সঙ্গে আর কখনও দেখা হয়নি আমার। কিন্তু আজ যখন নিজের এ-যাবৎ জীবনটাকে ফিরে দেখি, তখন বেশ বুঝতে পারি যে বয়ঃজ্যেষ্ঠ অভিভাবকের কর্তব্যবোধ এই ঘটনাটিই প্রথম জাগিয়ে তুলেছিল আমার মধ্যে।  
অলঙ্করণ: সোমনাথ পাল
17th  January, 2021
মাটির গন্ধ
অনিরুদ্ধ চক্রবর্তী

একথা বলে সুমন মিটিমিটি হাসতে লাগল। তখন আমরা মাঠ পেরচ্ছি। দইয়ের ডোবা, মুক্তি ডোবা— আমাদের আশপাশের ডোবাদের নাম। ডোবা মানে যে বিশাল ব্যাপার, তা কিন্তু নয়। একেবারে নাতিদীর্ঘ আয়তন, বর্ষায় টইটম্বুর হয়ে ফুলে থাকে। জল যত কমে, টুলু পাম্প বসিয়ে তুলে নেয় চাষিরা। বিশদ

17th  January, 2021
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছবি বিশ্বাস- অষ্টম কিস্তি। বিশদ

17th  January, 2021
সিনেমা  তোলার 
ঝকমারি

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন প্রদীপচন্দ্র বসু। বিশদ

10th  January, 2021
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছবি বিশ্বাস- সপ্তম কিস্তি। বিশদ

10th  January, 2021
শেষ আপদ
সুমন মহান্তি

এই পাড়াকে শহরে সবাই একডাকে চেনে। অভিজাত এই পাড়ায় জমির দাম অনেক বছর আগেই আকাশছোঁয়া হয়েছিল, এখন জমি অমিল বলে পুরনো সব বাড়ি ভেঙে ফ্ল্যাট তৈরি শুরু হয়েছে। এই পাড়ার মধ্যেই আছে আরেক পাড়া, চকচকে মাখন-শরীরে বিসদৃশ ঘামফোঁড়া মনে হয় সেই পাড়াটিকে। বিশদ

03rd  January, 2021
চলার পথে
উপলব্ধি

চলার পথে তো কত কিছুই ঘটতে থাকে, কিন্তু সেইসব ঘটনা সাধারণত নজরেই পড়ে না, যতক্ষণ না পর্যন্ত তার মাহাত্ম্য উপলব্ধি হচ্ছে। এমনটা ঘটেছিল কল্লোল যুগের প্রখ্যাত সাহিত্যিক প্রবোধকুমার সান্যালের অভিজ্ঞতায়। হিমালয় ভ্রমণের সময় একবার রাস্তার পাশে সুদৃশ্য এক পাথর তাঁর নজরে আসে। বিশদ

03rd  January, 2021
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছবি বিশ্বাস- ষষ্ঠ কিস্তি। বিশদ

03rd  January, 2021
বিশ্বাস অবিশ্বাস

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন কাবেরী রায়চৌধুরী। বিশদ

27th  December, 2020
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছবি বিশ্বাস- পঞ্চম কিস্তি। বিশদ

27th  December, 2020
কালবৈশাখী
অদিতি বসুরায়

কলকাতা শহরটাতে কী যে আছে ভেবে পায় না রাকা। এই  ‘কিছু’ থাকাটা মানে বড় বড় আকাশছোঁয়া বাড়ি, বাস-ট্রাম, মস্ত তিন-চারতলা দোকান-টোকান নয়। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, চিড়িয়াখানা, ময়দান, রাজভবন এসবও নয়। একেবারে আলাদা কিছু। দুর্গাপুজোর ঢাকের বোলের মতো। ‘ঠাকুর থাকবে কতক্ষণ, ঠাকুর যাবে বিসর্জন’— মন ভালো হয়, আবার পালাই-পালাইও করে। ঠিকঠাক বুঝিয়ে সে বলতে পারে না। বিশদ

20th  December, 2020
চারিদিক যখন শূন্য

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন অনীশ দেব। বিশদ

20th  December, 2020
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছবি বিশ্বাস- চতুর্থ কিস্তি। বিশদ

20th  December, 2020
মহাশয় যা শুনিলেন
অমর মিত্র

তরুণ লেখক বন্ধুকে আমি ফোন করলাম দুপুর গড়িয়ে এলে। ভাবলাম ফোন কি ধরবে? আমার বয়স হয়েছে। কোভিডের ভয়ে আট মাস নিভৃতযাপন করছি। বাড়ি থেকে বের হই না বড় একটা। হাঁটা হয় বেশ ভোরে, তাও এই ক’দিন। আগে ছাদে আকাশের নীচে হাঁটতাম। সারাদিন করব কী? সকালে কাগজ কলম নিয়ে মানে ল্যাপটপ খুলে বসি। আগডুম বাগডুম লিখি। বিশদ

13th  December, 2020
কাঠের আলমারি

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন অভিজিৎ তরফদার। বিশদ

13th  December, 2020
একনজরে
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে একাধিকবার বর্ণবৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। গ্যালারি থেকে কখনও শুনতে হয়েছে ‘ব্রাউন মাঙ্কি’, কখনও বা ‘গ্রাব’ গোছের গালমন্দ। তবু লক্ষ্যভ্রষ্ট হননি মহম্মদ সিরাজ। ...

চলতি আর্থিক বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ২৬ শতাংশ ব্যবসা বাড়াল বন্ধন ব্যাঙ্ক। গত আর্থিক বছরের ওই সময়ের নিরিখে এই বৃদ্ধি হয়েছে। ডিসেম্বর শেষে ব্যাঙ্কের ঋণ ও জমা মিলিয়ে মোট অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ১.৫১ লক্ষ কোটি টাকা। ...

শনিবার অসমে জমির পাট্টা বিলির সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক লক্ষের বেশি ভূমিহীনকে পাট্টা দেওয়ার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে অসম সরকার। বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনেওয়াল জানিয়েছেন, ‘দশকের পর দশক ধরে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে বেঁচে রয়েছেন বহু মানুষ। ...

মদ্যপ অবস্থায় স্ত্রীকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে খুন করল স্বামী। বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে সন্দেশখালির শীতলিয়া গ্রামে। পুলিস জানায়, মৃতের নাম সবিতা সর্দার (৩২)। তাঁর স্বামী তপন সর্দারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। লৌহ ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৬৬: মুঘল সম্রাট শাহজাহানের মৃত্যু
১৮৯৭ - কবি, লেখক সঙ্গীতশিল্পী তথা সুরকার দিলীপকুমার রায়ের জন্ম
১৯০০ - টেলিপ্রিন্টার ও মাইক্রোফেনের উদ্ভাবক ডেভিট এ্যাডওয়ার্ড হিউজ।
১৯০১: রানি ভিক্টোরিয়ার মৃত্যু
১৯২৭ - প্রথমবারের মতো বেতারে ফুটবল খেলার ধারাবিবরণী প্রচার।
১৯৭২: অভিনেত্রী নম্রতা শিরোদকরের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.১২ টাকা ৭৩.৮৩ টাকা
পাউন্ড ৯৮.১২ টাকা ১০১.৫৯ টাকা
ইউরো ৮৬.৯৪ টাকা ৯০.১৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫০,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৭,৭২০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৮,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৭,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৭,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৮ মাঘ ১৪২৭, শুক্রবার, ২২ জানুয়ারি ২০২১, নবমী ৩০/১৮ রাত্রি ৬/৩০। ভরণী নক্ষত্র ৩০/৪৪ রাত্রি ৬/৪০। সূর্যোদয় ৬/২২/৩৩, সূর্যাস্ত ৫/১৩/৫১।  অমৃতযোগ দিবা ৭/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৮/৩২ গতে ১০/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১২/৫২ গতে ২/১৯ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৫৭ গতে ৮/৪৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে ৪/৩৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৯ গতে ১১/২১ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৭ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৯/৫ গতে ১১/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৩১ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৮ মাঘ ১৪২৭, শুক্রবার, ২২ জানুয়ারি ২০২১, নবমী রাত্রি ৫/৫৪। ভরণী নক্ষত্র রাত্রি ৬/৩৯। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/১৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৬ মধ্যে ও ৮/৩১ গতে ১০/৪৪ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ২/১৭ মধ্যে ও ৩/৫৭ গতে ৫/১৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৮ গতে ৮/৫১ মধ্যে ও ৩/৪৩ গতে ৪/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩৪ গতে ১১/২৫ মধ্যে ও ৪/৩৪ গতে ৬/২৬ মধ্যে। বারবেলা ৯/৮ গতে ১১/৪৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৩১ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৮ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বিহারের বারসোইতে বেলাইন মালগাড়ি, আটকে একাধিক দুরপাল্লার ট্রেন 

09:38:49 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গলকে ১-০ গোলে হারাল মুম্বই 

09:30:54 PM

বৈশালী ডালমিয়াকে বহিষ্কার করল তৃণমূল
শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কৃত বৈশালি ডালমিয়া। আজ, শুক্রবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের ...বিশদ

06:55:00 PM

ময়নাগুড়ির যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তরে চুরি, চাঞ্চল্য
গতকাল রাতে ময়নাগুড়ির যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তরে চুরির ঘটনায় ...বিশদ

04:55:05 PM

এক মিনিটের ব্যবধানে হাসপাতালে হাত ধরাধরি করেই মারা গেলেন করোনায় আক্রান্ত স্বামী-স্ত্রী
ভালোবাসার কাছে হার মানল করোনাও। প্রেমের গল্পে হাত ধরাধরি ...বিশদ

04:53:03 PM

সম্বর্ধিত ভারতীয় ক্রিকেট টিমের সদস্য কোলাঘাটের দয়ানন্দ
শুক্রবার সম্বর্ধনা দেওয়া হল ভারতীয় ক্রিকেট টিমের ম্যাসাজ থেরাপিস্ট কাম  ...বিশদ

04:41:00 PM