প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। লৌহ ও ... বিশদ
অমলেন্দুবাবুর অভিযোগ, বিপ্লব মিত্র বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তাঁর অনুগামীরা চুপচাপ ছিলেন। কিন্তু তিনি চেয়ারম্যান হতেই তাঁর অনুগামীরা অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করছেন। তাঁরা নিজেদের আধিপত্য কায়েম করতে চাইছেন। এর ফলে ভবিষ্যতে এই জেলা আরও অশান্ত হয়ে উঠবে। এদিকে, অমলেন্দুবাবুর অভিযোগের উত্তরে তৃণমূলের চেয়ারম্যান বলেন, আমিই জেলায় সবাইকে দলে নিয়ে এসেছি। জেলায় তৃণমূলকে আমি প্রতিষ্ঠিত করেছি। এই সব কথা আসলে অপ্রচার। যারা বলছে তাঁরা একসময় আমারই হাত ধরে দলে এসেছেন। জেলায় কোথাও অশান্তির পরিবেশ তৈরি হোক, সেটা আমি মোটেই চাই না। কোনও সমস্যা থাকলে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে সমাধান করব।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি গৌতম দাস বলেন, জেলায় যে অশান্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছে, তা রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েছি। অমলেন্দুবাবু কি বলেছেন, কাকে দোষারোপ করেছেন, তা আমার তা জানা নেই। আমরা কেউই চাই না, রাজনৈতিক কারণে কোনও মায়ের কোল খালি হোক।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার গঙ্গারামপুরের শুকদেবপুরে তৃণমূলের পার্টি অফিসের সামনে সঞ্জিত সরকার নামে এক তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে খুন করা হয়। পরে ঘটনাস্থলে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কালীপদ সরকারের। ওই ঘটনার পর থেকেই এখনও এলাকার পরিবেশ থমথমে রয়েছে। রাজনৈতিক মহলের দাবি, বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় শাসক শিবিরে কোন্দল ততই বেড়ে চলেছে। রাজ্য নেতৃত্ব কোন্দল মেটাতে বিপ্লববাবুকে চেয়ারম্যান করার পরেও যে কোনওভাবেই তা থামেনি তা গঙ্গারামপুরের ওই গুলিকাণ্ডেই প্রমাণিত। স্থানীয়দের দাবি, বিপ্লববাবু কোন্দল মেটাতে একাধিকবার বার্তা দিলেও তাঁর অনুগামীরা ক্রমশ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতেও বিভিন্ন পোস্টের মাধ্যমে তাদের গতিবিধি সামনে আসছে।
এদিকে, ফায়দা তুলতে এই পরিস্থিতিকে আরও উসকে দিতে চাইছে বিজেপি। মাস খানেক আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া গঙ্গারামপুরের প্রাক্তন বিধায়ক সত্যেন রায় বলেন, বিপ্লববাবুর প্রশ্রয়ে গঙ্গারামপুরে দুষ্কৃতী তৈরি হয়েছে। জেলা এতদিন শান্তিতে ছিল। তিনি পদ পেতেই আবার অশান্তি শুরু হয়েছে।
বিজেপির জেলা সভাপতি বিনয় বর্মন বলেন, তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল ছিল, আছে, থাকবে। আর সেজন্য নিরীহ মানুষদের প্রাণ চলে যাচ্ছে।
যদিও বিজেপির অভিযোগকে পাত্তা দিচ্ছে না তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব। কোন্দল সামলে ভোটের আগে দলীয় সংগঠনকে শক্তিশালী করে তোলাই তাদের লক্ষ্য।