প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। লৌহ ও ... বিশদ
তারাপীঠে দ্বারকাকে গঙ্গার সঙ্গে তুলনা করা হয়। তারা মায়ের নিত্যপুজোও হয় দ্বারকার জলে। অনেকে এখানে স্নান করে মায়ের কাছে পুজো দেন। তাই দ্বারকা ব্রিজ লাগোয়া এলাকায় ৫০০ স্কয়্যারফুট জায়গায় ১কোটি ৩০লক্ষ টাকা ব্যয়ে বিশ্ববাংলা ঘাট তৈরি করা হয়। সেখানে যাতে ১২ মাস জল থাকে তারজন্য চেকড্যাম নির্মাণের প্রস্তাবও নেওয়া হয়। ঘাটের একপাশে জামা, কাপড় বদলানোর জন্য মহিলাদের পৃথক ঘরও তৈরি করা হয়। তার এক পাশে বিশ্ব বাংলার লোগো ও লাইট ও সাউন্ড সিস্টেম বসানো হয়। সেখানে ধর্মীয় গানের ছন্দে জলের ফোয়ারা ও লাইট জ্বলে ওঠার ব্যবস্থা করা হয়। যদিও চেকড্যাম নির্মাণের আগেই ২০১৯ সালের ২৮ আগস্ট কৌশিকী অমাবস্যার আগের দিন সেই ঘাটের উদ্বোধন করে টিআরডিএ।
নদে আবর্জনা ফেলাও কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা হয়। সেই সময় বিশ্ববাংলা ঘাট পুণ্যার্থীদের নজর কেড়েছিল। কিন্তু বর্তমানে সেই ঘাটের অবস্থা বেহাল। জল নেই দ্বারকায়। নোংরা আবর্জনায় ঢেকে রয়েছে ঘাটে নামার সিঁড়িগুলি। সেখানে অনেকে শৌচকর্মও করছেন। পাশেই নদের ধারে হোটেল ও লজের আবর্জনা ফেলা হচ্ছে।
স্থানীয় মানুষজন বলছেন, উদ্বোধনের পর থেকে খুব কম দিনই লাইট অ্যান্ড সাউন্ড চলেছে। আগে জলের পাইপ দিয়ে লোগো সহ এলাকা পরিষ্কার করা হতো। কিন্তু এখন সেই সব পুরোপুরি বন্ধ। অন্ধকার থাকায় ঘাটের সিঁড়িতে অনেকে টয়লেট করছেন। নোংরা আবর্জনা ফেলছেন। তাঁরা বলেন, চেক ড্যাম নির্মাণ করে ঘাটে ১২ মাস জল ধরে রাখার ব্যবস্থা করা হবে বলে শুনেছিলাম। সেখানে বোটিংও চালু করার কথা ছিল।
চেকড্যাম না হওয়ায় জন্যই বিশ্ব বাংলা ঘাট সৌন্দর্য হারাচ্ছে। নদের পাড়ের পার্কও সন্ধ্যা নামলে অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে। সেখানে নানা অসামাজিক কাজকর্ম চলছে।
এ ব্যাপারে টিআরডিএর ভাইস চেয়ারম্যান সুকুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, বিশ্ব বাংলা ঘাটের উদ্বোধন করার পর কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল। সেগুলি সামনের মাসের মধ্যেই সামধান করে দেবে ঠিকাদার সংস্থা। তখন আর ঘাট চত্বর অপরিষ্কার থাকবে না। দ্বারকায় নোংরা না ফেলার জন্য সবসময় নিষেধ করছি। তবুও কিছু লোক রাতের অন্ধকারে সেগুলি ফেলে দিচ্ছে। প্রশাসনকে নজর রাখার জন্য বলছি। চেকড্যাম নির্মাণ নিয়ে রামপুরহাট মহকুমা সেচ আধিকারিক বরুণকুমার দাস বলেন, ৭.২১কোটি টাকা ব্যয়ে চেকড্যাম নির্মাণের জন্য ডিপিআর করে রাজ্যে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন মিললেই টেন্ডার করে কাজ শুরু হয়ে যাবে। চেকড্যাম হলে ঘাটের কাছে বারো মাস জল থাকবে। পুণ্যার্থীদের সুবিধা হবে। এছাড়া বোটিং চালু করেও টিআরডিএ আয় করতে পারবে।