প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। লৌহ ও ... বিশদ
জেলা খাদ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পারচেজ অফিসার যেসব কৃষকদের থেকে ধান কিনেছেন, তাঁদের ব্যাপারে তথ্য নিয়ম মেনে অনলাইনে আপলোড করেননি। সেইসব কৃষকরা আদৌ ধান বিক্রি করেছেন কি না, করলে কতোটা করেছেন, সেসব নিজের চোখে যাচাই করে নেননি। সেকারণে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে দপ্তর।
এ ব্যাপারে দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলা খাদ্য দপ্তরের নিয়ামক জয়ন্ত রায় বলেন, হরিরামপুর কিষাণ মাণ্ডিতে যিনি দায়িত্বে ছিলেন,বুধবার তিনি সরকারি নিয়ম না মেনেই ধান কিনেছেন। এব্যাপারে অভিযোগ ওইদিন রাতেই আমি পেয়েছি। তিনি কৃষকের তথ্য দিয়ে মাস্টাররোল অনলাইনে আপলোড করেননি। ধান বিক্রির সময় যাচাই করে নেননি। আমরা দপ্তরের পক্ষ থেকে হরিরামপুরে যিনি দায়িত্বে ছিলেন তাঁকে শোকজ করেছি। সমস্ত বিষয় নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। কৃষকদের ধান বিক্রি করার ক্ষেত্রে যদি কোনও গরমিল পাওয়া যায়, তবে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।
এদিকে, স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ, ওই কিষাণ মাণ্ডিতে ফড়েদের দাপটের জেরে তাঁরা ধান বিক্রিই করতে পারছেন না। অন্য ব্লকের কৃষকদের কার্ড নিয়ে এসে তাদের নাম করে ফড়েরা এসে ধান বিক্রি করে যাচ্ছে। এদিকে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করেও স্থানীয় চাষিরা ধান বিক্রির সিরিয়াল নম্বর পাচ্ছেন না। দিনের পর দিন এসে ঘুরে যাচ্ছেন তাঁরা। বুধবার তাই ওই মাণ্ডিতে বিক্ষোভও দেখান এলাকার কিছু কৃষক। খাদ্য দপ্তরের ওই কর্মীকে আটকে রাখা হয়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। সেই বিক্ষোভের পর বৃহস্পতিবার ধান বিক্রি বন্ধ ছিল ওই মাণ্ডিতে।
খাদ্য দপ্তর সূত্রে অবশ্য জানা গিয়েছে, জেলার যেকোনও ব্লকের কৃষক যেকোনও কিষাণ মাণ্ডিতে ধান বিক্রয় করতে পারবেন। এব্যাপারে জেলা খাদ্য দপ্তরের নিয়ামক বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী জেলার কৃষকরা যেকোনও ব্লকে গিয়ে ধান বিক্রি করতে পারবেন। তবে সংশ্লিষ্ট ব্লকের চাষিদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। বুধবার ওই মাণ্ডিতে ৪৭ জনের তালিকা টাঙানো হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে ১৩ জন অন্যান্য ব্লকের কৃষক।
হরিরামপুর ব্লকের কৃষক সাহির রহমান বলেন, মাণ্ডিতে ধান বিক্রির জন্য কৃষকদের নামের তালিকা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেখানে অনেক নাম বাইরের ব্লকের। আমরা গিয়ে দেখি, কৃষকদের দেখা নেই, এদিকে খাতাকলমে ধান বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। আমাদের সন্দেহ হয়। আমরা দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলে কৃষকদের পরিচয় জানতে চাই। দেখি গঙ্গারামপুর, কুমারগঞ্জ, কুশমণ্ডি, বংশীহারি ব্লকের কৃষকদের নাম রয়েছে। তাঁদের নাম করে আসলে ধান নিয়ে আসছে ফড়েরা। এদিকে, আমরা সুযোগ পাচ্ছি না। তাই আমরা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখিয়েছি।
হরিরামপুর কিষাণ মাণ্ডির পারচেজ আধিকারিক সফিকুল ইসলাম বলেন, জেলা খাদ্য দপ্তর থেকে কার্ডের ভিত্তিতে কৃষকদের নামের তালিকা তৈরি হয়ে আসে। আমরা সেই তালিকা টাঙিয়ে দিয়েছি। বাইরের ব্লকের কৃষকের কার্ড ব্যবহার করে কয়েকজন ধান বিক্রি করছিল। কৃষকরা অভিযোগ করতেই সঙ্গে সঙ্গে ধান ক্রয় বন্ধ করে দিয়েছি। কোনও অনিয়মের প্রশ্নই ওঠেনা।