Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

নবান্ন দখলের ভোট
ও প্রেশার পলিটিক্স
হারাধন চৌধুরী

দেশ জেনে গিয়েছে, এগিয়ে আসছে বাংলার ভোট। হতে পারে মার্চ-এপ্রিলে। ২০১১ এবং ২০১৬ সালের মতো ৬ দফায় ভোট হলে লম্বা সময় প্রয়োজন। অতএব ভোটের ঘোষণা আগামী মাসেই হয়ে যেতে পারে। কিন্তু তৃণমূল ছাড়া বাকিরা যে এখনও যথেষ্ট দিশেহারা অবস্থায় রয়েছে তা অন্য দলগুলো নানাভাবেই বুঝিয়ে দিচ্ছে, রোজ। 
সবচেয়ে করুণ অবস্থা সিপিএমের। বামফ্রন্ট একা কিছু করতে পারবে না, সেটা তারা জানে। তাই ফের কংগ্রেসকে সঙ্গে পাওয়ার জন্য অনেক দিন ধরেই সাধ্য-সাধনা করছিলেন সূর্যকান্ত মিশ্র, বিমান বসুরা। প্রদেশ কংগ্রেসের বেশিরভাগ নেতারও তাতে আপত্তি ছিল না। কর্মী-সমর্থকদের চাওয়া-পাওয়ার ধার তারা কোনওদিনই ধারেননি। তবু হ্যাঁ, না—কোনওটাই বলছিলেন না প্রদেশ নেতারা। ঝুলিয়ে রেখেছিলেন অনেক দিন। হাইকমান্ডের হুকুমের দিকে তাকিয়ে। কারণ প্রদেশ নেতৃত্ব কী চায়, সেটা আবার হাইকমান্ড নামক রুগ্ন রাজবাড়ি তোয়াক্কা করে না। দিন কয়েক আগে সোনিয়া গান্ধীর মর্জির কথা রাহুলের কানে যায়। সেটা তিনি অধীর চৌধুরীকে রিলে করেন। অধীরও ঘোষণা করে দিলেন, ‘জোট হচ্ছে।’ হাত-এ ভোট দেওয়ার ‘অপরাধে’ একসময় যারা নিরীহ ভোটারের হাত পাঞ্জা থেকে কেটে নিয়েছিল, সেই দলের সঙ্গেই। আর যায় কোথায়! সিপিএম নেতারা আহ্লাদে আটখানা। যাক বাবা, সোনিয়া-রাহুল বাঁচালেন। এবার যৌথ আন্দোলন কর্মসূচিটুচি শুরু করা যাবে। 
কিন্তু আসন রফার কী হবে? বেলা বয়ে যায়। সিপিএম চটজলদি আলোচনা চায়। অমনি অধীরপন্থী কংগ্রেসিরা দাবি ভাসিয়ে দিলেন, অধীরকেই জোটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রোজেক্ট করতে হবে। তা না-হলে জোট তো শুরুতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে পিছিয়ে যাবে। কেননা, তৃণমূলের যত সমস্যাই থাক, মুখ্যমন্ত্রীর মুখ নিয়ে কোনও সমস্যা তাদের নেই। এমনকী বিজেপির মতো দাপুটে দলেরও আপাতত মূল মুসিবত হল মুখ্যমন্ত্রীর মুখ। সেই বিচারে জোট, বিজেপির থেকে এগিয়ে থাকবে এবং অন্তত এই একটা ব্যাপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সমকক্ষ’ বলেও ভোটারদের সামনে গিয়ে দাঁড়াতে পারবে তারা। যাই হোক, সাধের জোটসঙ্গীর এহেন আবদারে সূর্যকান্ত মিশ্র-বিমান বসুরা প্রমাদ গুনলেন। অস্বস্তিতে পড়েছেন, বেশ বিরক্তও যে, তাও তাঁরা বুঝিয়ে দিলেন মিডিয়ায় বিবৃতি দিয়ে। 
ভোট বড় বালাই। আলিমুদ্দিনের কর্তারা অনেক তৈলমর্দন করে অবশেষে রবিবার কংগ্রেস নেতাদের বৈঠকে বসালেন। তাতেও কী বিড়ম্বনা—যে কংগ্রেস ২০১৬-য় ৯২টা আসনে লড়েছিল, সেই তারাই এবার চেয়ে বসল ১৩০টা! বিহার ভোটে ‘দারুণ’ ফল করার সুবাদে বামেরা যখন পুনর্যৌবন অনুভব করছে, তখন পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেসের এই আবদার খানিকটা আস্ফালন হয়ে যাচ্ছে না কি? ২৯৪ থেকে কংগ্রেসকে যদি ১৩০ দিতে হয় তবে, বামফ্রন্ট শরিকদের কী দেওয়া হবে? জোটে যদি আরও কিছু দল ঢোকে, তাদের জন্য কী পড়ে থাকবে? আসলে সবটাই প্রেশার পলিটিক্স। ‘পুওর থার্ড’ হওয়ার স্বপ্নে মশগুল কংগ্রেস এবং সিপিএম। জোট করে ২০১৬-য় কংগ্রেস ৪৪টা এবং সিপিএম ২৬টা আসন পেয়েছিল। একা লড়ে বিজেপি পেয়েছিল ৩টে। পৃথিবী উল্টে না-গেলে এবার লড়াইটা হতে চলেছে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে। উল্লেখযোগ্য বাকিদের মধ্যে কংগ্রেস ও সিপিএমের লড়াইটা সিম্পলি থার্ড পজিশনটা দখলের। তার জন্যই এই চাপ সৃষ্টির কৌশল। 
অন্যদিকে, বিজেপিও প্রেশার পলিটিক্স করছে অন্য কায়দায়। অমিত শাহ এবং জে পি নাড্ডা চাপে রাখতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁরা চান বাংলার নেত্রীকে নার্ভাস করে দিতে। নার্ভের লড়াইয়ের মাধ্যমে শেষ হাসি হাসার প্ল্যান করেছেন মোদিজির ডান হাত, বাম হাত। বছর পয়লা স্বয়ং অমিত শাহ ‘নীলবাড়ি’ দখলের টার্গেট বেঁধে দিয়েছেন। কমপক্ষে ২০০ আসন চান। পার্টির ইন্টারনাল অ্যাসেসমেন্টের ভিত্তিতেই নাকি পদ্ম শিবির এতটা আশাবাদী। ২০১৯ লোকসভা ভোটের আগে শাহ বাংলার জন্য টার্গেট দিয়েছিলেন ২২। দিলীপ ঘোষরা হতাশ করেননি। ১৮টা কেন্দ্রে তাঁরা পদ্ম ফুটিয়ে ছেড়েছিলেন। ওই ভোটের নিরিখে ১২১টা বিধানসভা আসনে বিজেপি এগিয়ে রয়েছে। 
দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গের ‘কার্যকর্তারা’ ধরে নিচ্ছেন, লোকসভা ইলেকশনের সময় বাংলায় বিজেপির যে ভিত তৈরি হয়ে গিয়েছে সেটা অটুট রয়েছে; ওইসঙ্গে গত দেড় বছরে আরও কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। নবান্ন দখলের ‘ম্যাজিক ফিগার’ হল ১৪৮। কিন্তু লাস্ট ল্যাপ পেরবার মতো ঠ্যাঙের জোর কি হয়েছে বিজেপির? এই প্রশ্নই তাড়া করে ফিরছে মোদি বাহিনীকে। রাজ্য বিজেপিকে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করেও হয়তো ভরসা হচ্ছে না তাদের। অতএব শেষ কৌশল প্রেশার পলিটিক্স। 
প্রথমেই বাংলার মানুষকে শাহ খাওয়াবার চেষ্টা করলেন, ‘আমরা অন্তত ২০০’ আসন নিয়ে আসছি! মানে, ন্যূনতম প্রয়োজনের চেয়ে ঢের বেশি পাচ্ছি। কে না জানে এই হিউম্যান সাইকোলজি—‘জয়, মামার জয়’ বলতে পারার অধিক তৃপ্তি কোনও কিছুতেই খুঁজে পায় না মানুষ। ভূমিষ্ঠ হওয়াটাই একটা যুদ্ধ। ওই যুদ্ধজয়ের পর থেকেই মানুষকে নিত্য আরও অগুনতি ভয়ানক যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে এগতে হয়। সবাই জেতার জন্যই যুদ্ধ করে। কিন্তু জয় ক’জন আর পায়, ক’টা ক্ষেত্রে পায়? সীমাহীন দারিদ্র্য আর অকালমৃত্যুর মিছিলেই এর উত্তর নিহিত। তাই দুঃখী মানুষ তৃপ্তি খুঁজতে, সামনে আসা যে-কোনও জয়ের অংশীদার হতে চায়। তাতে বস্তুগত লাভ নাই-বা হল, ‘জয়ের অংশীদার আমি’—এই বোধটাই মানুষকে আরও কিছুদিন বেঁচে থাকার রসদ জোগায়। বিজেপি হাতিয়ার করতে চায় এই মনস্তত্ত্বকে। 
প্রথমে শুরু করেছিল কয়েকটা সেন্ট্রাল এজেন্সিকে দিয়ে কিছু তৃণমূল নেতার শ্রীঘরবাসের ব্যবস্থা। তারপর পাড়ায় পাড়ায় পায়ে পা বাধিয়ে বিবাদ-সংঘর্ষ। ছোট ছোট জনসভা। ক্রমে আমদানি করল দলিত বাড়িতে অন্নগ্রহণের ‘উদারতা’। অতঃপর দিল্লি থেকে একের পর এক নেতাকে এনে সভা করে ‘সমর্থক’ জড়ো করার কম্পিটিশনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টেক্কা দেওয়ার চেষ্টা। দলবদলে উৎসাহ দেওয়া এবং কতকাংশে হয়তো বাধ্যও করা। দেড় বছর যাবৎ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকে নজিরবিহীনভাবে ব্যবহার করা। একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক পদকে লাগাতার দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে বলেই নিন্দার ঝড় বইছে। তবু কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্যপাল যেন নির্বিকার। এমনকী মাঝেমধ্যে ৩৫৬ ধারারও ভয় দেখানো হচ্ছে মমতার সরকারকে। 
এসবের মধ্য দিয়ে মোদির পার্টি যখন ‘দিগ্বিজয়ের’ ব্যাপারে অনেকখানি আশাবাদী, তখনই বাংলার আকাশে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ২০০ আসন জয়ের ফানুস। ব্যাপারটাকে আরও এস্টাবলিশ করার জন্য ‘ভাবী মুখ্যমন্ত্রী’র অফিস (সিএমও) গোছানোরও একটা নকশা বাজারে ছেড়ে দিয়েছে তারা। তাদের তরফে দাবি করা হয়েছে, ২০১৪ সালে প্রথম মোদি সরকার গঠনের আগেও নাকি প্রধানমন্ত্রীর অফিস (পিএমও) গঠনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে রেখেছিল বিজেপি। এবার আরও শুরু হয়ে গিয়েছে নির্বাচন কমিশনকে সামনে রেখে নবান্নের উপর নানাভাবে চাপসৃষ্টি। যেমন নিয়মিত আইনশৃঙ্খলার রিপোর্ট দাবি। রাজ্যের সিইও দপ্তরের উপর কমিশনের কড়া নজরদারি। এমনকী ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবহারে কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণই কায়েম করতে চায় বিজেপি। তাই রাজ্যকে একটা ‘মউ’ স্বাক্ষর করার জন্য বিস্ময়কর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে। 
এমনকী মুখ্যমন্ত্রীর মুখ নিয়েও যে বিজেপি আর বিপাকে নেই—মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংগঠনের গোত্রে উঠে এসেছে—সেটা বুঝিয়ে দিতেই হয়তো সম্প্রতি এক নাটক করেছে তারা। বিজেপির এক এমপি দলের ভাবী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দিলীপ ঘোষের নাম ঘোষণা করে বসেছেন। যদিও তা নিয়ে প্রত্যাশিত ‘ভর্ৎসনা’র কৌশলও আমরা দেখেছি। ভোটের মুখে পাল্টিবাজদের নিয়েও বিজেপির ভিতরে জোর অশান্তি চলছে। বিজেপি নেতৃত্ব ভাবছে, নাটক আর প্রেশার পলিটিক্স দিয়েই হাঁড়ির হাল মেরামত করে ফেলবে। কিন্তু মাস্টার স্ট্রোকের পলিটিক্সে আজও যিনি অদ্বিতীয় সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বুঝিয়ে দিয়েছেন, নন্দীগ্রাম ভাঙিয়ে একটি পরিবারের রাজনীতিকে আর একপাও এগতে দেবেন না তিনি। সেখান থেকে তৃণমূলের প্রার্থী জননেত্রীই স্বয়ং। 
২০১৬ সালে তৃণমূল ২১১টা আসনে জিতেছিল। ১৭ জানুয়ারি অনুব্রত মণ্ডল তারাপীঠে পুজো দিয়ে মায়ের কাছে দলের জন্য ২২০টা আসন জয়ের আবেদন করেছেন। অনুব্রতর দাবি, মা সেটা মঞ্জুর করেছেন। ২০১৬-তে চেয়েছিলেন ২১০-২২০টা, মা দিয়েছিলেন ২১১। 
নার্ভের এই লড়াই আগামিদিনে আরও আকর্ষণীয় হতে চলেছে (শুধু রক্তপাত/অশান্তি না-হলেই চলবে)। আমাদের নজর সেদিকেই থাক। 
20th  January, 2021
বাংলার তিন মনীষী
আত্মমর্যাদা শিখিয়েছেন
সমৃদ্ধ দত্ত

এখানে বিজেপির কে প্রার্থী হবেন এবং কে হবেন না সেই চূড়ান্ত সিলমোহর কোনও বাঙালি নেতা দেবেন? নাকি বাংলা বিজেপি স্রেফ লিস্ট তৈরি করে জমা দেবে দিল্লির নেতাদের কাছে? কাদের ক্ষমতা বেশি? এসব কি আত্মশক্তির লক্ষণ? বিশদ

দলভাঙানো রাজনীতি:
এ রাজ্যে নবতর সংযোজন

এই রাজ্যে দল ভাঙানোর অনৈতিক রাজনীতির যাঁরা প্রবর্তক, তাঁরা এখন হঠাৎ চিৎকার শুরু করলেন কেন? পাঁচিল ভেঙে পথ করেছে তৃণমূল। সেই পথ ধরেই বিজেপি আজ তৃণমূলের ঘর ভাঙছে।
বিশদ

21st  January, 2021
তৃণমূল বনাম তৃণমূল (বি)
শান্তনু দত্তগুপ্ত

হতে পারে বাংলার ভোট প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃত্ব কায়েমের অ্যাসিড টেস্ট। কিন্তু একুশ যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও প্রেস্টিজ ফাইট! দাঁড়িপাল্লার একদিকে কেন্দ্র, আর অন্যদিকে মমতার সরকারকে রাখলে উন্নয়ন এবং বেনিফিশিয়ারির নিরিখেই বিজেপি অনেক নীচে নেমে যাবে। বিশদ

19th  January, 2021
বাজেটের আগে অর্থমন্ত্রী
আরও বিভ্রান্ত করলেন
পি চিদম্বরম

যে-দেশে আমরা আজ বাস করছি সেটা দিনে দিনে অচেনা এবং বিস্ময়কর হয়ে যাচ্ছে। এটা খুব অবাক ব্যাপার নয় কি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত একটা সরকার তার পুরনো গোঁ ধরেই বসে থাকবে, বিশেষ করে দিল্লির ভয়ানক শীতের মধ্যেও কৃষকদের প্রতিবাদ আন্দোলন যখন ৫৬ দিনে পা দিয়েছে? বিশদ

18th  January, 2021
ভোটকে কলুষিত করলে
উচিত শিক্ষা দিতে হবে
হিমাংশু সিংহ

তৃণমূল ভাঙতে দশ মণ তেল পুড়িয়ে বিজেপি এখন বুঝতে পারছে শুধু অবিশ্বাসের উপর দাঁড়িয়ে বাংলা দখল প্রায় অসম্ভব! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুর্বল করা যাচ্ছে না। বিশদ

17th  January, 2021
ভোটের আগে ‘গাজর’ ঝোলানো
বিজেপির ট্র্যাডিশন
তন্ময় মল্লিক

ভোটের মুখে ‘গাজর’ ঝোলানোটা বিজেপির ট্র্যাডিশন। ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের জমা ‘বেআইনি অর্থ’ ফিরিয়ে এনে প্রত্যেককে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা বলেছিল বিজেপি। ‘গাজর’ ঝোলানোর সেই শুরু। এবার সোনার বাংলা ও কৃষি সম্মান নিধির ‘গাজর’। বিশদ

16th  January, 2021
ক’দিনের জন্য বাঙালি হওয়া যায় না
মৃণালকান্তি দাস

মাস কয়েকের জন্য রবীন্দ্রনাথ, রামমোহন, শ্রীচৈতন্য... বাংলার মনীষীরাই হয়ে উঠছেন গেরুয়া বাহিনীর প্রচারের অনুঘটক। এটা স্পষ্ট, ‘বহিরাগত’ তকমা ঘোচাতে বিজেপিকে নিরুপায় হয়েই বাংলার মনীষীদের আশ্রয় খুঁজতে হচ্ছে। বাংলার মনীষীরা কোন দলে, ভোট-হাওয়ায় সেই ধন্দ উস্কে দিতে চাইছে বিজেপি। বিশদ

15th  January, 2021
বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষা দেশের
জন্যও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ
জিষ্ণু বসু

বাঙালি ভারতের নবজাগরণের কাণ্ডারীর ভূমিকা পালন করেছে। জীবন্ত জাগ্রত ভারতাত্মার পূজাবেদি ছিল বাংলা। ১৮৮২ সালে ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র লিখলেন আনন্দমঠ উপন্যাস। বাঁধা হল ‘বন্দেমাতরম’ গান। দেশমাতৃকাকে দশপ্রহরণধারিণী দেবী দুর্গার সঙ্গে তুলনা করলেন সাহিত্যসম্রাট। বিশদ

14th  January, 2021
এই রাজ্যে মেয়েদের
ভোট ভাগ করা যাবে না
সন্দীপন বিশ্বাস

বিজেপি জানে, পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতা দখল করতে না পারলে তাদের সিএএ-এনআরসি সব ব্যর্থ হয়ে যাবে। সারা দেশে একজন ব্যক্তিত্বই তাঁদের সব ভুলভাল কাজকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে লড়াই জারি রাখতে পারেন। তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির কাছে মমতা নামটাই জুজুর মতো। বিশদ

13th  January, 2021
বিজেপির প্রচারে স্বামীজি
আছেন, কিন্তু অনুসরণে...?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

স্বামীজি বলতেন, ‘এমন ধর্ম চাই, যার মূল মন্ত্র হবে মানবপ্রেম। এমন ধর্ম চাই, যা মানুষকে, বিশেষ করে অবহেলিত, পদদলিত মানুষকে প্রত্যক্ষ মানুষ বলে প্রচার করবে। খালি পেটে ধর্ম হয় না। ক্ষুধার্ত মানুষের কাছে ধর্ম বা ঈশ্বর অর্থহীন।’ নাঃ... যে পরিব্রাজক এমন কথা বলতে পারেন, তাঁকে বিজেপি অন্তত অনুসরণ করে না। বিশদ

12th  January, 2021
বিবেকানন্দের স্বপ্নের
বাংলা আবার গঠিত হবে
জগৎপ্রকাশ নাড্ডা

এক নতুন ভারতবর্ষের স্বপ্ন দেখেছিলেন স্বামীজি, যেখানে দারিদ্র্যের মোচন এবং চেতনার উন্মেষ ঘটবে। এই কাজে প্রয়োজন বিপুল পরিমাণ যুবশক্তি। বিশদ

12th  January, 2021
মহামারী, ভ্যাকসিন
এবং বিতর্ক
পি চিদম্বরম

মহামারী বিদায় নিচ্ছে বলে মনে হয়, তবে এখনও বিদায় হয়নি। ভ্যাকসিন আসছে বলে মনে হয়, তবে বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছয়নি। কিন্তু একটা জিনিস বরাবর একজায়গায় রয়ে গিয়েছে, সেটা হল বিতর্ক! বিশদ

11th  January, 2021
একনজরে
ইরাকের রাজধানী বাগদাদে আত্মঘাতী হামলায় প্রাণ হারালেন কমপক্ষে ২৮ জন। জখম ৭৩ জন। বৃহস্পতিবার বাগদাদের ব্যস্ততম তায়ারান স্কোয়ারে পুরনো জামাকাপড়ের বাজারে পরপর এই হামলা চালানো ...

চলতি আর্থিক বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ২৬ শতাংশ ব্যবসা বাড়াল বন্ধন ব্যাঙ্ক। গত আর্থিক বছরের ওই সময়ের নিরিখে এই বৃদ্ধি হয়েছে। ডিসেম্বর শেষে ব্যাঙ্কের ঋণ ও জমা মিলিয়ে মোট অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ১.৫১ লক্ষ কোটি টাকা। ...

তড়িঘড়ি করে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগের ইন্টারভিউ নিতে গিয়ে বিতর্কে জড়াল কর্তৃপক্ষ। ইন্টারভিউয়ের জন্য প্রার্থীদের ডেকেও মাত্র একদিনের মাথায় পিছিয়ে এল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ...

কয়লাকাণ্ডে ফের সিবিআইয়ের জেরার মুখোমুখি হলেন তৃণমূল যুব নেতা বিনয় মিশ্রের ভাই। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ বিকাশ মিশ্র সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দেন। তাঁকে দীর্ঘ ছ’ঘণ্টা জেরার পর ছাড়া হয়। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। লৌহ ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৬৬: মুঘল সম্রাট শাহজাহানের মৃত্যু
১৮৯৭ - কবি, লেখক সঙ্গীতশিল্পী তথা সুরকার দিলীপকুমার রায়ের জন্ম
১৯০০ - টেলিপ্রিন্টার ও মাইক্রোফেনের উদ্ভাবক ডেভিট এ্যাডওয়ার্ড হিউজ।
১৯০১: রানি ভিক্টোরিয়ার মৃত্যু
১৯২৭ - প্রথমবারের মতো বেতারে ফুটবল খেলার ধারাবিবরণী প্রচার।
১৯৭২: অভিনেত্রী নম্রতা শিরোদকরের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.১২ টাকা ৭৩.৮৩ টাকা
পাউন্ড ৯৮.১২ টাকা ১০১.৫৯ টাকা
ইউরো ৮৬.৯৪ টাকা ৯০.১৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫০,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৭,৭২০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৮,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৭,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৭,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৮ মাঘ ১৪২৭, শুক্রবার, ২২ জানুয়ারি ২০২১, নবমী ৩০/১৮ রাত্রি ৬/৩০। ভরণী নক্ষত্র ৩০/৪৪ রাত্রি ৬/৪০। সূর্যোদয় ৬/২২/৩৩, সূর্যাস্ত ৫/১৩/৫১।  অমৃতযোগ দিবা ৭/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৮/৩২ গতে ১০/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১২/৫২ গতে ২/১৯ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৫৭ গতে ৮/৪৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে ৪/৩৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৯ গতে ১১/২১ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৭ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৯/৫ গতে ১১/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৩১ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৮ মাঘ ১৪২৭, শুক্রবার, ২২ জানুয়ারি ২০২১, নবমী রাত্রি ৫/৫৪। ভরণী নক্ষত্র রাত্রি ৬/৩৯। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/১৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৬ মধ্যে ও ৮/৩১ গতে ১০/৪৪ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ২/১৭ মধ্যে ও ৩/৫৭ গতে ৫/১৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৮ গতে ৮/৫১ মধ্যে ও ৩/৪৩ গতে ৪/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩৪ গতে ১১/২৫ মধ্যে ও ৪/৩৪ গতে ৬/২৬ মধ্যে। বারবেলা ৯/৮ গতে ১১/৪৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৩১ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৮ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বিহারের বারসোইতে বেলাইন মালগাড়ি, আটকে একাধিক দুরপাল্লার ট্রেন 

09:38:49 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গলকে ১-০ গোলে হারাল মুম্বই 

09:30:54 PM

বৈশালী ডালমিয়াকে বহিষ্কার করল তৃণমূল
শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কৃত বৈশালি ডালমিয়া। আজ, শুক্রবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের ...বিশদ

06:55:00 PM

ময়নাগুড়ির যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তরে চুরি, চাঞ্চল্য
গতকাল রাতে ময়নাগুড়ির যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তরে চুরির ঘটনায় ...বিশদ

04:55:05 PM

এক মিনিটের ব্যবধানে হাসপাতালে হাত ধরাধরি করেই মারা গেলেন করোনায় আক্রান্ত স্বামী-স্ত্রী
ভালোবাসার কাছে হার মানল করোনাও। প্রেমের গল্পে হাত ধরাধরি ...বিশদ

04:53:03 PM

সম্বর্ধিত ভারতীয় ক্রিকেট টিমের সদস্য কোলাঘাটের দয়ানন্দ
শুক্রবার সম্বর্ধনা দেওয়া হল ভারতীয় ক্রিকেট টিমের ম্যাসাজ থেরাপিস্ট কাম  ...বিশদ

04:41:00 PM