Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

এই রাজ্যে মেয়েদের
ভোট ভাগ করা যাবে না
সন্দীপন বিশ্বাস

নরেন্দ্র মোদির প্রিয়তম বন্ধু সম্প্রতি যে কাণ্ডটি ঘটালেন, তাতে সারা বিশ্ব হতবাক। বন্ধুবর বুঝিয়ে দিয়েছেন, গণতন্ত্রের কোনও ধার তিনি ধারেন না। আমাদের ছোটবেলায় পাড়ায় ক্রিকেট খেলায় যেমন আউট হয়ে গায়ের জোর দেখিয়ে বলতাম, ‘আমি আউট হইনি, আবার ব্যাট করব।’ মোদিজির সেই বন্ধুও তেমন হেরে গিয়ে বলেছেন, ‘আমি হারিনি। আমিই ক্ষমতায় থাকব।’ সেই ভাবনা থেকেই তিনি দলের দাঙ্গাবাজ সমর্থকদের লেলিয়ে দিয়ে আমেরিকার ক্ষমতা দখলে রাখতে চেয়েছিলেন। মোদিজির সেই গুণধর বন্ধু ট্রাম্প সাহেব তাঁর মন ও মানসিকতার অন্ধকার দিকটিকে সকলের সামনে মেলে ধরলেন। চার বছর ধরে ট্রাম্প গণতন্ত্রের কথা বলে এখন হেরে গিয়ে বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন, তিনি কতটা গণতন্ত্রের অনুগামী! আমেরিকা আজ বুঝেছে, কাকে তাঁরা গদিতে বসিয়েছিলেন। ভারত সবে বুঝতে শিখছে, কাকে তাঁরা মসনদে বসিয়েছেন।
ট্রাম্প সাহেবের মতো মোদিজিও সারাক্ষণ গণতন্ত্রের কথা বলেন, কিন্তু মানেন কতটুকু? যদি মানতেন, তবে দেশের মানুষের আজ এই দুর্দশা হতো না। তবে সবকিছু যে তিনি তালি মেরে উড়িয়ে দিতে পারবেন না, তা বুঝিয়ে দিয়েছে দেশের কৃষক আন্দোলন। কৃষকদের আন্দোলনে শামিল ট্রাক্টরের চাকায় ধূলিসাৎ মোদিজির সম্ভ্রম। কিছুতেই তিনি কৃষকদের কিনে ফেলতে পারছেন না। কৃষকরা আর যাই হোন, এদেশের রাজনৈতিক নেতা নন। যাঁদের অনেককেই কথায় কথায় কিনে নেওয়া যায়। সম্মানের প্রশ্নটিকে বড় না করে মোদিজি যদি কৃষকদের দাবি মেনে নেন, তবে দেশের মঙ্গল, দশের মানুষের মঙ্গল, কৃষকদের মঙ্গল, তাঁর পার্টিরও মঙ্গল। সেক্ষেত্রে মোদিজির কর্পোরেট এবং শিল্পপতি বন্ধুরা অবশ্য চটে যাবেন। তাঁদের ছক বানচাল হলে পার্টি ফান্ডে টাকা আসার স্রোত কমে যাবে, পিএম কেয়ার্স ফান্ডের মতো রহস্যজনক ফান্ডেও আমদানি কমে যাবে। সুতরাং তাঁর কাছে এখন অন্নদাতাদের সমস্যা তেমন ধর্তব্যের বিষয় নয়। তার থেকে বড় চ্যালেঞ্জ পশ্চিমবঙ্গে কীভাবে মমতাকে কায়দা করে হারিয়ে রাজ্যটাকে দখল করা যায়। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতা দখলের বাসনার মধ্যে অন্যায় কিছু নেই। যে কোনও দলই ক্ষমতা চায়। কিন্তু প্রশ্নটা অন্যত্র। বিজেপি এরাজ্যের তৃণমূল, সিপিএম বা কংগ্রেসের মতো একেবারেই নয়। তাদের সংস্কৃতির সঙ্গে বাংলার সংস্কৃতি মেলে না। মেলে না তার কারণ এখানে বিজেপি ভুঁইফোড়। বাংলার জল-মাটির সঙ্গে এই বিজেপি বেড়ে ওঠেনি। এই বিজেপি বাংলায় নতুন আমদানি। বাংলার মাটি, বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, এসবের সঙ্গে বিজেপির ডিএনএ মেলে না।
বিজেপি ভোটের ময়দানে নেমেই বিভেদের উপর জোর দিয়েছে। হিন্দু-মুসলমান, বাঙালি-অবাঙালি বিভেদে কীভাবে ভোটবাক্সে ফায়দা তোলা যায়, তার নকশা তৈরি হচ্ছে। এই রাজ্যের কয়েকটি স্টেশনে টিকিট কাটতে গিয়ে বাংলায় কথা বলে টিকিট চাইলে কাউন্টারে বসা অবাঙালি কর্মী ‘বাংলাদেশি’ বলে বিদ্রুপ করছে। এটা ওই কর্মীর দোষ নয়। আসলে তার মনের মধ্যে বিভেদের ওই বিষ ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। যেটা আগে ছিল না। অখণ্ড ভারতের স্বপ্ন কি তবে একদিন মিথ্যে হয়ে যাবে? ভারত কি তবে শুধুই হিন্দুদের? আর কারও নয়? বিজেপি জানে, পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতা দখল করতে না পারলে তাদের সিএএ-এনআরসি সব ব্যর্থ হয়ে যাবে। সারা দেশে একজন ব্যক্তিত্বই তাঁদের সব ভুলভাল কাজকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে লড়াই জারি রাখতে পারেন। তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির কাছে মমতা নামটাই জুজুর মতো। তাই যে কোনও প্রকারে তাঁকে সরাতে পারলেই অর্ধেক যুদ্ধজয় হয়ে যাবে বলে মনে করছে বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গে জয় পেলেই তারা ভীমরবে নেমে পড়বে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে। তখন কি তবে বাঙালিদের ধরে ধরে ‘বাংলাদেশি’ ছাপ্পা মারা হবে? ভবিতব্যই জানে। তবে শেষ চেষ্টা হয়তো বিজেপির সফল হবে না। মানুষ অনেক সচেতন। ঘরপোড়া গোরু গেরুয়া মেঘ দেখলে ভয় পায়।
তাই মনে হয়,ধর্ম  বা সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে কোনও রাজনৈতিক মেরুকরণ এবার হবে না। অনেকেই ধর্মের ভিত্তিতে, সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে ভোট করতে চাইছেন। বিজেপি এব্যাপারে জোড়া ফলা নিয়ে মমতার বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাচ্ছে। এক ফলা তার আরএসএসের হিন্দুপ্রীতি। যে শক্তির বলে তারা হিন্দু ভোটারদের আবেগকে সম্বল করে ভোটবাক্সে ঝড় তুলতে চাইছে। আর একটি ফলা হল আসাদউদ্দিন ওয়াইসির মিম। মিমের মতো কাগুজে বাঘকে হেভি পাম্প দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে নামিয়েছে বিজেপি। তবে আসরে নেমেই মিম বুঝেছে, হায়দরাবাদ, বিহার কিংবা উত্তরপ্রদেশের মুসলিমদের সঙ্গে এ রাজ্যের মুসলিমদের ফারাক আছে। এরাজ্যের মুসলিম সম্প্রদায় বিশেষ করে বাঙালি মুসলিমরা অনেক বেশি শিক্ষিত, আধুনিকমনস্ক এবং সচেতন। পরের মুখে ঝাল খেয়ে তাঁরা রাতারাতি ভোলবদল করবেন না। মমতার রাজত্বে এখানে তাঁরা শান্তির বাতাবরণে বাস করছেন, অর্থাৎ সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের পরিবেশ এখানে কিন্তু কখনও গড়ে ওঠেনি। এই রাজ্যের মুসলিমদের অনেকের সঙ্গেই কথা বলে দেখেছি, তাঁরা কেউ চান না, এই রাজ্যে গোধরার মতো একটা কাণ্ড হোক।
বিজেপি এখানে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য যত মমতাকে আক্রমণ করবে, ততই মানুষ মমতার পাশে গিয়ে দাঁড়াবেন। কেননা মানুষ বুঝেছেন, মমতা মানে ভরসার একটা আশ্রয়। একবার ভাবুন তো! লকডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। কলকারখানা সব বন্ধ। মোদি সরকার থালা-বাটি বাজিয়ে ঘরে ঢুকে গেল। বাংলার ঘরে ঘরে দরিদ্র মানুষের হাহাকার। ঘরের লক্ষ্মী যিনি, তিনি জানেন না, কী খেতে দেবেন ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের, তাঁর স্বামীকে। ঘরের মেয়েরাই জানে, একমুঠো চাল ঘরে না থাকলে কী তার যন্ত্রণা। সেই সময় রাজ্য সরকারের বিনামূল্যে চাল মানুষকে অনাহারে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচাল। সেই সঙ্গে জুটল ছেলেমেয়ের স্কুল থেকে পাওয়া আলু, ডাল, ছোলা, সাবান, স্যানিটাইজার, মাস্ক। 
লকডাউনে ভিন রাজ্যে আটকে পড়েছিলেন এ রাজ্যের বহু শ্রমিক। শত শত মাইল হেঁটে তাঁরা বাড়ি ফিরেছেন। অনেকে পথেই মারা গিয়েছেন। তাতেও লজ্জা কিংবা অনুশোচনায় কেঁপে ওঠেনি মোদিজির ৫৬ ইঞ্চি বুকের ছাতি। মমতা সেই সময় বহু শ্রমিককে ভিন রাজ্য থেকে আনার ব্যবস্থা করে তাঁদের ঘরে ফিরিয়ে দিয়েছেন। মায়ের কোলে সন্তান, স্ত্রীর কাছে স্বামী, সন্তানদের কাছে বাবাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন মমতা। সেই পরিযায়ী শ্রমিকদের রোজগারের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। জব কার্ড দিয়ে, ব্যবসার জন্য ঋণ দিয়ে তাঁদের থিতু করার চেষ্টা করেছেন। মনে হতে পারে সেটা হয়তো বিরাট কিছু নয়। কিন্তু তৃষ্ণার্ত মানুষের কাছে এক আঁচলা জলও জীবন সমান। 
পাশাপাশি ঘরের মেয়েদের তিনি টেনে নিয়ে এসেছেন কাজের আঙিনায়। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে মেয়েদের হাতের কাজ বহু পরিবারকে বাঁচিয়েছে। মাস্ক, স্যানিটাইজার বানিয়ে সেই সময় মাসের শেষে পাঁচ-ছশো টাকা হাতে পাওয়াও যেন এক মুঠো জীবনদায়ী অক্সিজেনের মতো। উঁচু মসনদে বসে যদি নিচুতলার মানুষের কথা ভাবা না যায়, তবে দূরত্ব তৈরি হয়। সেই দূরত্ব বিপন্ন সময়ে মমতা হতে দেননি। মেয়েদের হাঁস-মুরগি পালনের মধ্য দিয়ে, ফলের বাগান তৈরির মধ্য দিয়ে, পুকুরে মাছ চাষ করার মধ্য দিয়ে তিনি চেষ্টা করেছিলেন মানুষের হাতে নগদ পয়সা পৌঁছে দিতে। ক্রয় বিক্রয়ের মধ্য দিয়ে অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে না পারলে ভরাডুবি হবেই। সেই অবস্থা হয়েছে দেশের অর্থনীতির। জিডিপির গঙ্গাযাত্রা করে ছেড়েছে মোদি সরকার।
উম-পুনের বিপদের সময় ঝাঁপিয়ে পড়ে মানুষকে সাহায্য করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এটা অস্বীকার করার জায়গা নেই যে, দুর্নীতি হয়েছে। অনেক নেতাই উম-পুনের বা অন্যান্য টাকা থেকে কাটমানি খেয়েছেন। এঁদের মধ্যে অনেকেই আবার ‘চোর চোর’ আওয়াজ তুলে দৌড়ে গেরুয়া শিবিরে ঢুকে পড়েছেন। এখন ইমান-ধর্ম, কৃতজ্ঞতা ভুলে মমতাকে তেড়ে গালাগাল করছেন। অনেক আদি বিজেপি নেতার থেকে এঁরা বেশি গালাগাল করে বিজেপির প্রতি তাঁদের বিশুদ্ধ আনুগত্য প্রমাণ করতে উঠেপড়ে লেগেছেন। টিকিট চাই গো টিকিট! মমতাকে পেড়ে ফেলতে না পারলে যে গেরুয়া দল টিকিট দেবে না। এও এক দাসকৃত্য।
কিন্তু বহু রাজনৈতিক নেতা যেমন অকৃতজ্ঞ, সাধারণ মানুষ তেমন নন। তাই কৃতজ্ঞ মানুষ, বিশেষ করে এরাজ্যের মেয়েরা এবার ঢেলে ভোট দেবেন মমতাকে। বেশ কয়েকটি জেলায় বিভিন্ন জনের সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে, এ রাজ্যের মেয়েদের একটাই প্রতীক। এই রাজ্যের মেয়েদের সামনে একটা মুখ, সেই মুখ মমতার। তাই বলাই যায়, এবার ধর্ম,সম্প্রদায় বা ভাষাভাষীর ভিত্তিতে যতই ভোট ভাগের চেষ্টা হোক না কেন, মেয়েদের ভোট মমতার পক্ষেই। 
13th  January, 2021
বাংলার তিন মনীষী
আত্মমর্যাদা শিখিয়েছেন
সমৃদ্ধ দত্ত

এখানে বিজেপির কে প্রার্থী হবেন এবং কে হবেন না সেই চূড়ান্ত সিলমোহর কোনও বাঙালি নেতা দেবেন? নাকি বাংলা বিজেপি স্রেফ লিস্ট তৈরি করে জমা দেবে দিল্লির নেতাদের কাছে? কাদের ক্ষমতা বেশি? এসব কি আত্মশক্তির লক্ষণ? বিশদ

দলভাঙানো রাজনীতি:
এ রাজ্যে নবতর সংযোজন

এই রাজ্যে দল ভাঙানোর অনৈতিক রাজনীতির যাঁরা প্রবর্তক, তাঁরা এখন হঠাৎ চিৎকার শুরু করলেন কেন? পাঁচিল ভেঙে পথ করেছে তৃণমূল। সেই পথ ধরেই বিজেপি আজ তৃণমূলের ঘর ভাঙছে।
বিশদ

21st  January, 2021
নবান্ন দখলের ভোট
ও প্রেশার পলিটিক্স
হারাধন চৌধুরী

বিজেপি নেতৃত্ব ভাবছে, নাটক আর প্রেশার পলিটিক্স দিয়েই হাঁড়ির হাল মেরামত করে ফেলবে। কিন্তু মাস্টার স্ট্রোকের পলিটিক্সে আজও যিনি অদ্বিতীয় সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বুঝিয়ে দিয়েছেন, নন্দীগ্রাম ভাঙিয়ে একটি পরিবারের রাজনীতিকে আর একপাও এগতে দেবেন না তিনি। বিশদ

20th  January, 2021
তৃণমূল বনাম তৃণমূল (বি)
শান্তনু দত্তগুপ্ত

হতে পারে বাংলার ভোট প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃত্ব কায়েমের অ্যাসিড টেস্ট। কিন্তু একুশ যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও প্রেস্টিজ ফাইট! দাঁড়িপাল্লার একদিকে কেন্দ্র, আর অন্যদিকে মমতার সরকারকে রাখলে উন্নয়ন এবং বেনিফিশিয়ারির নিরিখেই বিজেপি অনেক নীচে নেমে যাবে। বিশদ

19th  January, 2021
বাজেটের আগে অর্থমন্ত্রী
আরও বিভ্রান্ত করলেন
পি চিদম্বরম

যে-দেশে আমরা আজ বাস করছি সেটা দিনে দিনে অচেনা এবং বিস্ময়কর হয়ে যাচ্ছে। এটা খুব অবাক ব্যাপার নয় কি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত একটা সরকার তার পুরনো গোঁ ধরেই বসে থাকবে, বিশেষ করে দিল্লির ভয়ানক শীতের মধ্যেও কৃষকদের প্রতিবাদ আন্দোলন যখন ৫৬ দিনে পা দিয়েছে? বিশদ

18th  January, 2021
ভোটকে কলুষিত করলে
উচিত শিক্ষা দিতে হবে
হিমাংশু সিংহ

তৃণমূল ভাঙতে দশ মণ তেল পুড়িয়ে বিজেপি এখন বুঝতে পারছে শুধু অবিশ্বাসের উপর দাঁড়িয়ে বাংলা দখল প্রায় অসম্ভব! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুর্বল করা যাচ্ছে না। বিশদ

17th  January, 2021
ভোটের আগে ‘গাজর’ ঝোলানো
বিজেপির ট্র্যাডিশন
তন্ময় মল্লিক

ভোটের মুখে ‘গাজর’ ঝোলানোটা বিজেপির ট্র্যাডিশন। ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের জমা ‘বেআইনি অর্থ’ ফিরিয়ে এনে প্রত্যেককে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা বলেছিল বিজেপি। ‘গাজর’ ঝোলানোর সেই শুরু। এবার সোনার বাংলা ও কৃষি সম্মান নিধির ‘গাজর’। বিশদ

16th  January, 2021
ক’দিনের জন্য বাঙালি হওয়া যায় না
মৃণালকান্তি দাস

মাস কয়েকের জন্য রবীন্দ্রনাথ, রামমোহন, শ্রীচৈতন্য... বাংলার মনীষীরাই হয়ে উঠছেন গেরুয়া বাহিনীর প্রচারের অনুঘটক। এটা স্পষ্ট, ‘বহিরাগত’ তকমা ঘোচাতে বিজেপিকে নিরুপায় হয়েই বাংলার মনীষীদের আশ্রয় খুঁজতে হচ্ছে। বাংলার মনীষীরা কোন দলে, ভোট-হাওয়ায় সেই ধন্দ উস্কে দিতে চাইছে বিজেপি। বিশদ

15th  January, 2021
বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষা দেশের
জন্যও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ
জিষ্ণু বসু

বাঙালি ভারতের নবজাগরণের কাণ্ডারীর ভূমিকা পালন করেছে। জীবন্ত জাগ্রত ভারতাত্মার পূজাবেদি ছিল বাংলা। ১৮৮২ সালে ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র লিখলেন আনন্দমঠ উপন্যাস। বাঁধা হল ‘বন্দেমাতরম’ গান। দেশমাতৃকাকে দশপ্রহরণধারিণী দেবী দুর্গার সঙ্গে তুলনা করলেন সাহিত্যসম্রাট। বিশদ

14th  January, 2021
বিজেপির প্রচারে স্বামীজি
আছেন, কিন্তু অনুসরণে...?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

স্বামীজি বলতেন, ‘এমন ধর্ম চাই, যার মূল মন্ত্র হবে মানবপ্রেম। এমন ধর্ম চাই, যা মানুষকে, বিশেষ করে অবহেলিত, পদদলিত মানুষকে প্রত্যক্ষ মানুষ বলে প্রচার করবে। খালি পেটে ধর্ম হয় না। ক্ষুধার্ত মানুষের কাছে ধর্ম বা ঈশ্বর অর্থহীন।’ নাঃ... যে পরিব্রাজক এমন কথা বলতে পারেন, তাঁকে বিজেপি অন্তত অনুসরণ করে না। বিশদ

12th  January, 2021
বিবেকানন্দের স্বপ্নের
বাংলা আবার গঠিত হবে
জগৎপ্রকাশ নাড্ডা

এক নতুন ভারতবর্ষের স্বপ্ন দেখেছিলেন স্বামীজি, যেখানে দারিদ্র্যের মোচন এবং চেতনার উন্মেষ ঘটবে। এই কাজে প্রয়োজন বিপুল পরিমাণ যুবশক্তি। বিশদ

12th  January, 2021
মহামারী, ভ্যাকসিন
এবং বিতর্ক
পি চিদম্বরম

মহামারী বিদায় নিচ্ছে বলে মনে হয়, তবে এখনও বিদায় হয়নি। ভ্যাকসিন আসছে বলে মনে হয়, তবে বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছয়নি। কিন্তু একটা জিনিস বরাবর একজায়গায় রয়ে গিয়েছে, সেটা হল বিতর্ক! বিশদ

11th  January, 2021
একনজরে
চলতি আর্থিক বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ২৬ শতাংশ ব্যবসা বাড়াল বন্ধন ব্যাঙ্ক। গত আর্থিক বছরের ওই সময়ের নিরিখে এই বৃদ্ধি হয়েছে। ডিসেম্বর শেষে ব্যাঙ্কের ঋণ ও জমা মিলিয়ে মোট অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ১.৫১ লক্ষ কোটি টাকা। ...

মদ্যপ অবস্থায় স্ত্রীকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে খুন করল স্বামী। বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে সন্দেশখালির শীতলিয়া গ্রামে। পুলিস জানায়, মৃতের নাম সবিতা সর্দার (৩২)। তাঁর স্বামী তপন সর্দারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ...

শনিবার অসমে জমির পাট্টা বিলির সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক লক্ষের বেশি ভূমিহীনকে পাট্টা দেওয়ার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে অসম সরকার। বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনেওয়াল জানিয়েছেন, ‘দশকের পর দশক ধরে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে বেঁচে রয়েছেন বহু মানুষ। ...

ইরাকের রাজধানী বাগদাদে আত্মঘাতী হামলায় প্রাণ হারালেন কমপক্ষে ২৮ জন। জখম ৭৩ জন। বৃহস্পতিবার বাগদাদের ব্যস্ততম তায়ারান স্কোয়ারে পুরনো জামাকাপড়ের বাজারে পরপর এই হামলা চালানো ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। লৌহ ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৬৬: মুঘল সম্রাট শাহজাহানের মৃত্যু
১৮৯৭ - কবি, লেখক সঙ্গীতশিল্পী তথা সুরকার দিলীপকুমার রায়ের জন্ম
১৯০০ - টেলিপ্রিন্টার ও মাইক্রোফেনের উদ্ভাবক ডেভিট এ্যাডওয়ার্ড হিউজ।
১৯০১: রানি ভিক্টোরিয়ার মৃত্যু
১৯২৭ - প্রথমবারের মতো বেতারে ফুটবল খেলার ধারাবিবরণী প্রচার।
১৯৭২: অভিনেত্রী নম্রতা শিরোদকরের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.১২ টাকা ৭৩.৮৩ টাকা
পাউন্ড ৯৮.১২ টাকা ১০১.৫৯ টাকা
ইউরো ৮৬.৯৪ টাকা ৯০.১৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫০,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৭,৭২০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৮,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৭,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৭,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৮ মাঘ ১৪২৭, শুক্রবার, ২২ জানুয়ারি ২০২১, নবমী ৩০/১৮ রাত্রি ৬/৩০। ভরণী নক্ষত্র ৩০/৪৪ রাত্রি ৬/৪০। সূর্যোদয় ৬/২২/৩৩, সূর্যাস্ত ৫/১৩/৫১।  অমৃতযোগ দিবা ৭/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৮/৩২ গতে ১০/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১২/৫২ গতে ২/১৯ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৫৭ গতে ৮/৪৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে ৪/৩৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৯ গতে ১১/২১ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৭ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৯/৫ গতে ১১/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৩১ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৮ মাঘ ১৪২৭, শুক্রবার, ২২ জানুয়ারি ২০২১, নবমী রাত্রি ৫/৫৪। ভরণী নক্ষত্র রাত্রি ৬/৩৯। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/১৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৬ মধ্যে ও ৮/৩১ গতে ১০/৪৪ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ২/১৭ মধ্যে ও ৩/৫৭ গতে ৫/১৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৮ গতে ৮/৫১ মধ্যে ও ৩/৪৩ গতে ৪/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩৪ গতে ১১/২৫ মধ্যে ও ৪/৩৪ গতে ৬/২৬ মধ্যে। বারবেলা ৯/৮ গতে ১১/৪৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৩১ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৮ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বিহারের বারসোইতে বেলাইন মালগাড়ি, আটকে একাধিক দুরপাল্লার ট্রেন 

09:38:49 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গলকে ১-০ গোলে হারাল মুম্বই 

09:30:54 PM

বৈশালী ডালমিয়াকে বহিষ্কার করল তৃণমূল
শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কৃত বৈশালি ডালমিয়া। আজ, শুক্রবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের ...বিশদ

06:55:00 PM

ময়নাগুড়ির যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তরে চুরি, চাঞ্চল্য
গতকাল রাতে ময়নাগুড়ির যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তরে চুরির ঘটনায় ...বিশদ

04:55:05 PM

এক মিনিটের ব্যবধানে হাসপাতালে হাত ধরাধরি করেই মারা গেলেন করোনায় আক্রান্ত স্বামী-স্ত্রী
ভালোবাসার কাছে হার মানল করোনাও। প্রেমের গল্পে হাত ধরাধরি ...বিশদ

04:53:03 PM

সম্বর্ধিত ভারতীয় ক্রিকেট টিমের সদস্য কোলাঘাটের দয়ানন্দ
শুক্রবার সম্বর্ধনা দেওয়া হল ভারতীয় ক্রিকেট টিমের ম্যাসাজ থেরাপিস্ট কাম  ...বিশদ

04:41:00 PM