Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ভোটের আগে ‘গাজর’ ঝোলানো
বিজেপির ট্র্যাডিশন
তন্ময় মল্লিক

প্রথমে মনে হয়েছিল, বিজেপি এরাজ্যের চাষিদের নাকের বদলে নরুন দিতে চাইছে। ভুল ভাঙল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার বক্তব্যে। কাটোয়ায় কৃষক সুরক্ষা যোজনা চালু করতে এসে তিনি নরুনটির বদলে চাষিদের সামনে ফের ‘গাজর’ ঝুলিয়ে দিলেন। বললেন, নির্বাচনে বিজেপি জেতার পর এরাজ্যে কিষান সম্মান নিধি চালু হবে। একথার অর্থ, অনুদানের আশায় রাজ্যের যে ২১ লক্ষ চাষি নাম লিখিয়েছিলেন, তাঁদের টাকা পাওয়া আপাতত শিকেয় উঠল। চাপিয়ে দিলেন শর্ত, রাজ্যের ক্ষমতায় বিজেপি এলেই মিলবে ‘প্রধানমন্ত্রী কৃষক সম্মান নিধি যোজনা’র টাকা। অর্থাৎ রাধার নাচ দেখার জন্য আগে সাত মন তেল পোড়াতে হবে। 
রাজ্য সরকারের ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পের কাছে কিষান সম্মান নিধি যে নাকের বদলে নরুন, তা চাষিদের কাছে দিন দিন স্পষ্ট হচ্ছে। এরাজ্যের সমস্ত চাষি পরিবার কৃষকবন্ধু প্রকল্পের সুবিধা পান। কিন্তু, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পে কেবল প্রান্তিক চাষিরাই অনুদান পাওয়ার যোগ্য। ফলে বাদ পড়বে রাজ্যের অধিকাংশ কৃষক পরিবার। অথচ সেই প্রকল্প চালু না হওয়ায় বিজেপি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই তুলোধোনা করছে। আর যে মুহূর্তে মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প চালুতে সম্মতি দিলেন সঙ্গে সঙ্গে বিজেপি নেতৃত্ব জানিয়ে দিল, এই প্রকল্প তারা সরকার বদলের পর চালু করবে। বোঝা গেল, মানুষের সামনে ‘গাজর’ ঝোলানোটা বিজেপির মজ্জাগত।
কেন বিজেপির রাতারাতি ভোলবদল? অনেকে বলছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের কিষান সম্মান নিধিতে যত চাষি অনুদান পেতেন, তার চেয়ে অনেক বেশি বাদ পড়তেন। তাতে বঞ্চিত চাষিদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হতো। সেক্ষেত্রে বিজেপির লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হতো। সেটা বুঝেই চাষিদের জন্য প্রকল্প চালু না করে বিজেপি তাকে মমতা বিরোধী প্রচারের হাতিয়ার করতে চাইছে। চাষিদের উপকার নয়, মমতার বিরোধিতাই তাদের আসল উদ্দেশ্য।
এবার দেখা যাক, যে সব রাজ্যে কিষান সম্মান নিধি চালু হয়েছে, সেখানে কী ঘটছে। সম্প্রতি তথ্য জানার অধিকার আইনে এক প্রশ্নের উত্তরে এই প্রকল্পে বিভিন্ন রাজ্যে কী হচ্ছে, তা প্রকাশ্যে এসেছে। কৃষিমন্ত্রক জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি প্রকল্পে ১৩৬৪ কোটি টাকা ‘অপাত্রে’ দান করা হয়েছে। অনুদান পাওয়ার যোগ্য নয়, এমন অনেকেই এই  টাকা পেয়েছেন। সেই সংখ্যাটা নয় নয় করে প্রায় সাড়ে ২০ লক্ষ। তার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নিজের রাজ্য গুজরাতেই রয়েছে প্রায় ১লক্ষ ৬৪ হাজার। বিজেপি শাসিত অসমেও একইভাবে ৩ লক্ষ ৪৫ হাজার পরিবারকে টাকা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। মজার কথা, এই বিজেপি নেতারাই পশ্চিমবঙ্গে এসে উম-পুনের ত্রাণবিলিতে দুর্নীতি হয়েছে বলে গলা ফাটান। কাচের ঘরে বসে ঢিল ছোঁড়ার অভ্যেসটা বিজেপি ভালোই রপ্ত করেছে। অবশ্য তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ সব সময় চালুনিই সূচের বিচার করে। 
কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইনের প্রতিবাদে দেশজুড়ে আন্দোলন শুরু হয়েছে। কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে প্রচণ্ড শীতের মধ্যেও হাজার হাজার চাষি দিল্লির উপকণ্ঠে রাস্তায় বসে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। কারণ তাঁরা বুঝেছেন, চাষিদের মুখ চেয়ে নয়, কেন্দ্রীয় সরকার এই আইন করেছে মজুতদার ও পুঁজিপতিদের স্বার্থ সুরক্ষিত করতে। তার ফলে ডাল, ভোজ্যতেল সহ সমস্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম হু হু করে বাড়ছে। তার খেসারত সাধারণ মানুষকেই দিতে হচ্ছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিচার করে দেশের সর্বোচ্চ আদালত কেন্দ্রের কৃষি আইনের উপর স্থগিতাদেশ দিতে বাধ্য হয়েছে। 
এই পরিস্থিতিতে দিন যত যাচ্ছে বিজেপির গায়ে ততই লেপ্টে যাচ্ছে ‘কৃষক বিরোধী’ তকমা। তাই বঙ্গের ক্ষমতা দখল করতে বিজেপি এখন ‘কৃষক দরদি’র ভেক ধরতে চাইছে। কৃষকের মন পাওয়ার জন্য তাদের কত কিছু করতে হচ্ছে! ‘আমি তোমাদেরই লোক’ প্রমাণে বিজেপি মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। কথায় কথায় রবীন্দ্রনাথের কবিতা, বিবেকানন্দের বাণী আওড়াতে হচ্ছে। তাও ভুলভাল। বিজেপির ‘হাইপ্রোফাইল নেতারা’ বাউলশিল্পী, প্রান্তিক চাষির বাড়িতে মধ্যহ্নভোজ সারছেন। এমনকী, দিল্লি থেকে উড়ে এসে চাষিদের বাড়িতে গিয়ে ভিক্ষে চাইছেন। আর সে সব হচ্ছে সংবাদ মাধ্যমের সামনে। কারণ প্রচারটা ভীষণ জরুরি।
এসব দেখে বিরোধীরা বলছে, ভিক্ষুককে ভিক্ষে দেওয়া পবিত্র কর্তব্য। তবে, সেই কর্তব্য পালন করতে গিয়ে বিপদ ডেকে এনেছিলেন সীতা। ভিখারির ছদ্মবেশে সীতাকে হরণ করেছিল রাবণ। তার জন্য ঘটে গিয়েছিল লঙ্কাকাণ্ড। তাই ভিক্ষে দেওয়ার আগে ভিক্ষুকের মতলবটা যাচাই করে নেওয়া ভালো। রামায়ণ আমাদের সেই শিক্ষাই দিয়েছে।
এরাজ্যের ৬৫ থেকে ৭০ ভাগ মানুষ চাষের উপর নির্ভরশীল। যে দল চাষিদের সমর্থন পাবে, তারা ক্ষমতা দখলের পথে অনেকটা এগিয়ে যাবে। সে কারণে বঙ্গের চাষি-মন জয় করাই বিজেপির টার্গেট। কিন্তু, এরাজ্যের চাষিদের ধানের সহায়কমূল্য পাওয়া নিশ্চিত করার ব্যাপারে কোনও উদ্যোগ তারা নিচ্ছে না। উল্টে দাম না পাওয়ার বিষয়টিকেও তারা রাজনীতির হাতিয়ার করতে চাইছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য বলছে, দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ধান উৎপন্ন হয় পশ্চিমবঙ্গে। চাষিদের ফসলের লাভজনক দাম নিশ্চিত করতে এফসিআই দেশজুড়ে সহায়কমূল্যে ধান কেনে। পরিমাণটা দেশে উৎপাদিত ধানের ৪৩ শতাংশের কাছাকাছি। সেই অনুপাতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ১ কোটি ১৬ লক্ষ মেট্রিক টন ধান সহায়কমূল্যে কেনার কথা। কিন্তু রাজ্যের তথ্য, কেনা হয়েছে মাত্র ৭৬ হাজার মেট্রিক টন। অথচ এই এফসিআই উত্তরপ্রদেশ থেকে ৭০ লক্ষ মেট্রিক টন, অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে ৮২ লক্ষ মেট্রিক টন, তেলেঙ্গানা থেকে ১১১ লক্ষ মেট্রিক টন ধান কিনেছে। এরপরেও রাজ্যকে বঞ্চিত করার অভিযোগ তোলাটা কি অযৌক্তিক?
লোকসভা নির্বাচনে এরাজ্যে বিজেপির ১৮ জন সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। যার অধিকাংশই কৃষি অধ্যুষিত এলাকা। চাষিরা অনেক আশা নিয়ে তাঁদের দু’হাত তুলে আর্শীবাদ করেছিলেন। কিন্তু বিজেপি সাংসদরা কি দিল্লিতে গিয়ে চাষিদের স্বার্থে একটিবার কোনও কথা বলেছেন? বিজেপির সাংসদরা ৩৫৬ ধারা জারির জন্য দল বেঁধে দিল্লি ছুটতে পারেন, কিন্তু রাজ্যের চাষিদের দাবি নিয়ে মুখে রা কাড়েন না। এটাই ট্র্যাডেজি।
বিজেপি নেতারা এরাজ্যে চাষি ধানের সহায়কমূল্য পাচ্ছেন না বলে দিনরাত তোপ দাগছেন। রাজ্যের চাষিরা যে সহায়কমূল্যের চেয়ে অনেক কম দামে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন, সেটা একেবারে সত্যি কথা। এই ইস্যুতে একবার নয়, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে হাজারবার আঙুল তোলার অধিকার তাঁদের আছে। কিন্তু একটিবারও পশ্চিমবঙ্গ থেকে আরও বেশি ধান কেনার দাবি কেন তাঁরা জানাচ্ছেন না? কেন্দ্র যদি এরাজ্য থেকে আনুপাতিকহারে সহায়কমূল্যে ধান না কেনে, চাষিরা ফসলের ন্যায্যমূল্য পাবেন কী করে! ভাত দেওয়ার মুরোদ না থাকলে কিল মারার গোঁসাই হয়ে কী লাভ?
একথা হলফ করে বলতে পারি, সার, ডিজেলের দাম নিয়ন্ত্রণ করলে ও চাষিরা ফসলের ন্যায্য দাম পেলে তাঁদের ‘কৃষকবন্ধু’ বা ‘প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি’র প্রয়োজন হবে না। তখন আর ‘কৃষক দরদি’ বোঝানোর জন্য বিজেপি নেতাদের ডাইনিং টেবিল ছেড়ে কষ্ট করে দুয়ারে বসে ‘লাঞ্চ’ সারতে হবে না, মুষ্টিভিক্ষের নাটকও করতে হবে না।
ভোটের মুখে ‘গাজর’ ঝোলানোটা বিজেপির ট্র্যাডিশন। ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের জমা ‘বেআইনি অর্থ’ ফিরিয়ে এনে প্রত্যেককে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা বলেছিল বিজেপি। ‘গাজর’ ঝোলানোর সেই শুরু। তারপর নোট বাতিল করে ‘কালাধন’ নিকেশের ‘গাজর’। জিএসটি চালু করে জিনিসপত্রের দাম কমানোর ‘গাজর’। বছরে ২ কোটি বেকারের চাকরির ‘গাজর’। নাগরিকত্ব দেওয়ার ‘গাজর’। ভোট এলেই ‘গাজর’ ঝুলিয়ে দেয় বিজেপি। বঙ্গে নির্বাচন আসন্ন। তাই এবার সোনার বাংলা ও কৃষি সম্মান নিধির ‘গাজর’।
সুকুমার রায় লিখেছিলেন, ‘গাধার পিঠে বসল চেপে/মুলোর ঝুঁটি ঝুলিয়ে নাকে/ আর কি গাধা ঝিমিয়ে থাকে?/ মুলোর গন্ধে টগবগিয়ে/ দৌড়ে চলে লম্ফ দিয়ে/ যতই চলে ধরব ব’লে/ ততই মুলো এগিয়ে চলে।’
সুকুমার রায়ের কবিতার মুলোই এখন রাজনীতির ‘গাজর’। গাজর ঝুলিয়ে গাধাকে বারবার বোকা বানানো যায়, কিন্তু মানুষকে নয়। কারণ মানুষ বোঝে, মুখের যত কাছেই গাজর থাকুক না কেন, তার নাগাল পাওয়া যায় না। 
16th  January, 2021
বাংলার তিন মনীষী
আত্মমর্যাদা শিখিয়েছেন
সমৃদ্ধ দত্ত

এখানে বিজেপির কে প্রার্থী হবেন এবং কে হবেন না সেই চূড়ান্ত সিলমোহর কোনও বাঙালি নেতা দেবেন? নাকি বাংলা বিজেপি স্রেফ লিস্ট তৈরি করে জমা দেবে দিল্লির নেতাদের কাছে? কাদের ক্ষমতা বেশি? এসব কি আত্মশক্তির লক্ষণ? বিশদ

দলভাঙানো রাজনীতি:
এ রাজ্যে নবতর সংযোজন

এই রাজ্যে দল ভাঙানোর অনৈতিক রাজনীতির যাঁরা প্রবর্তক, তাঁরা এখন হঠাৎ চিৎকার শুরু করলেন কেন? পাঁচিল ভেঙে পথ করেছে তৃণমূল। সেই পথ ধরেই বিজেপি আজ তৃণমূলের ঘর ভাঙছে।
বিশদ

21st  January, 2021
নবান্ন দখলের ভোট
ও প্রেশার পলিটিক্স
হারাধন চৌধুরী

বিজেপি নেতৃত্ব ভাবছে, নাটক আর প্রেশার পলিটিক্স দিয়েই হাঁড়ির হাল মেরামত করে ফেলবে। কিন্তু মাস্টার স্ট্রোকের পলিটিক্সে আজও যিনি অদ্বিতীয় সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বুঝিয়ে দিয়েছেন, নন্দীগ্রাম ভাঙিয়ে একটি পরিবারের রাজনীতিকে আর একপাও এগতে দেবেন না তিনি। বিশদ

20th  January, 2021
তৃণমূল বনাম তৃণমূল (বি)
শান্তনু দত্তগুপ্ত

হতে পারে বাংলার ভোট প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃত্ব কায়েমের অ্যাসিড টেস্ট। কিন্তু একুশ যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও প্রেস্টিজ ফাইট! দাঁড়িপাল্লার একদিকে কেন্দ্র, আর অন্যদিকে মমতার সরকারকে রাখলে উন্নয়ন এবং বেনিফিশিয়ারির নিরিখেই বিজেপি অনেক নীচে নেমে যাবে। বিশদ

19th  January, 2021
বাজেটের আগে অর্থমন্ত্রী
আরও বিভ্রান্ত করলেন
পি চিদম্বরম

যে-দেশে আমরা আজ বাস করছি সেটা দিনে দিনে অচেনা এবং বিস্ময়কর হয়ে যাচ্ছে। এটা খুব অবাক ব্যাপার নয় কি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত একটা সরকার তার পুরনো গোঁ ধরেই বসে থাকবে, বিশেষ করে দিল্লির ভয়ানক শীতের মধ্যেও কৃষকদের প্রতিবাদ আন্দোলন যখন ৫৬ দিনে পা দিয়েছে? বিশদ

18th  January, 2021
ভোটকে কলুষিত করলে
উচিত শিক্ষা দিতে হবে
হিমাংশু সিংহ

তৃণমূল ভাঙতে দশ মণ তেল পুড়িয়ে বিজেপি এখন বুঝতে পারছে শুধু অবিশ্বাসের উপর দাঁড়িয়ে বাংলা দখল প্রায় অসম্ভব! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুর্বল করা যাচ্ছে না। বিশদ

17th  January, 2021
ক’দিনের জন্য বাঙালি হওয়া যায় না
মৃণালকান্তি দাস

মাস কয়েকের জন্য রবীন্দ্রনাথ, রামমোহন, শ্রীচৈতন্য... বাংলার মনীষীরাই হয়ে উঠছেন গেরুয়া বাহিনীর প্রচারের অনুঘটক। এটা স্পষ্ট, ‘বহিরাগত’ তকমা ঘোচাতে বিজেপিকে নিরুপায় হয়েই বাংলার মনীষীদের আশ্রয় খুঁজতে হচ্ছে। বাংলার মনীষীরা কোন দলে, ভোট-হাওয়ায় সেই ধন্দ উস্কে দিতে চাইছে বিজেপি। বিশদ

15th  January, 2021
বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষা দেশের
জন্যও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ
জিষ্ণু বসু

বাঙালি ভারতের নবজাগরণের কাণ্ডারীর ভূমিকা পালন করেছে। জীবন্ত জাগ্রত ভারতাত্মার পূজাবেদি ছিল বাংলা। ১৮৮২ সালে ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র লিখলেন আনন্দমঠ উপন্যাস। বাঁধা হল ‘বন্দেমাতরম’ গান। দেশমাতৃকাকে দশপ্রহরণধারিণী দেবী দুর্গার সঙ্গে তুলনা করলেন সাহিত্যসম্রাট। বিশদ

14th  January, 2021
এই রাজ্যে মেয়েদের
ভোট ভাগ করা যাবে না
সন্দীপন বিশ্বাস

বিজেপি জানে, পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতা দখল করতে না পারলে তাদের সিএএ-এনআরসি সব ব্যর্থ হয়ে যাবে। সারা দেশে একজন ব্যক্তিত্বই তাঁদের সব ভুলভাল কাজকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে লড়াই জারি রাখতে পারেন। তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির কাছে মমতা নামটাই জুজুর মতো। বিশদ

13th  January, 2021
বিজেপির প্রচারে স্বামীজি
আছেন, কিন্তু অনুসরণে...?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

স্বামীজি বলতেন, ‘এমন ধর্ম চাই, যার মূল মন্ত্র হবে মানবপ্রেম। এমন ধর্ম চাই, যা মানুষকে, বিশেষ করে অবহেলিত, পদদলিত মানুষকে প্রত্যক্ষ মানুষ বলে প্রচার করবে। খালি পেটে ধর্ম হয় না। ক্ষুধার্ত মানুষের কাছে ধর্ম বা ঈশ্বর অর্থহীন।’ নাঃ... যে পরিব্রাজক এমন কথা বলতে পারেন, তাঁকে বিজেপি অন্তত অনুসরণ করে না। বিশদ

12th  January, 2021
বিবেকানন্দের স্বপ্নের
বাংলা আবার গঠিত হবে
জগৎপ্রকাশ নাড্ডা

এক নতুন ভারতবর্ষের স্বপ্ন দেখেছিলেন স্বামীজি, যেখানে দারিদ্র্যের মোচন এবং চেতনার উন্মেষ ঘটবে। এই কাজে প্রয়োজন বিপুল পরিমাণ যুবশক্তি। বিশদ

12th  January, 2021
মহামারী, ভ্যাকসিন
এবং বিতর্ক
পি চিদম্বরম

মহামারী বিদায় নিচ্ছে বলে মনে হয়, তবে এখনও বিদায় হয়নি। ভ্যাকসিন আসছে বলে মনে হয়, তবে বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছয়নি। কিন্তু একটা জিনিস বরাবর একজায়গায় রয়ে গিয়েছে, সেটা হল বিতর্ক! বিশদ

11th  January, 2021
একনজরে
তড়িঘড়ি করে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগের ইন্টারভিউ নিতে গিয়ে বিতর্কে জড়াল কর্তৃপক্ষ। ইন্টারভিউয়ের জন্য প্রার্থীদের ডেকেও মাত্র একদিনের মাথায় পিছিয়ে এল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ...

শনিবার অসমে জমির পাট্টা বিলির সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক লক্ষের বেশি ভূমিহীনকে পাট্টা দেওয়ার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে অসম সরকার। বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনেওয়াল জানিয়েছেন, ‘দশকের পর দশক ধরে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে বেঁচে রয়েছেন বহু মানুষ। ...

মদ্যপ অবস্থায় স্ত্রীকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে খুন করল স্বামী। বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে সন্দেশখালির শীতলিয়া গ্রামে। পুলিস জানায়, মৃতের নাম সবিতা সর্দার (৩২)। তাঁর স্বামী তপন সর্দারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ...

অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে একাধিকবার বর্ণবৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। গ্যালারি থেকে কখনও শুনতে হয়েছে ‘ব্রাউন মাঙ্কি’, কখনও বা ‘গ্রাব’ গোছের গালমন্দ। তবু লক্ষ্যভ্রষ্ট হননি মহম্মদ সিরাজ। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। লৌহ ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৬৬: মুঘল সম্রাট শাহজাহানের মৃত্যু
১৮৯৭ - কবি, লেখক সঙ্গীতশিল্পী তথা সুরকার দিলীপকুমার রায়ের জন্ম
১৯০০ - টেলিপ্রিন্টার ও মাইক্রোফেনের উদ্ভাবক ডেভিট এ্যাডওয়ার্ড হিউজ।
১৯০১: রানি ভিক্টোরিয়ার মৃত্যু
১৯২৭ - প্রথমবারের মতো বেতারে ফুটবল খেলার ধারাবিবরণী প্রচার।
১৯৭২: অভিনেত্রী নম্রতা শিরোদকরের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.১২ টাকা ৭৩.৮৩ টাকা
পাউন্ড ৯৮.১২ টাকা ১০১.৫৯ টাকা
ইউরো ৮৬.৯৪ টাকা ৯০.১৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫০,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৭,৭২০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৮,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৭,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৭,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৮ মাঘ ১৪২৭, শুক্রবার, ২২ জানুয়ারি ২০২১, নবমী ৩০/১৮ রাত্রি ৬/৩০। ভরণী নক্ষত্র ৩০/৪৪ রাত্রি ৬/৪০। সূর্যোদয় ৬/২২/৩৩, সূর্যাস্ত ৫/১৩/৫১।  অমৃতযোগ দিবা ৭/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৮/৩২ গতে ১০/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১২/৫২ গতে ২/১৯ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৫৭ গতে ৮/৪৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে ৪/৩৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৯ গতে ১১/২১ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৭ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৯/৫ গতে ১১/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৩১ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৮ মাঘ ১৪২৭, শুক্রবার, ২২ জানুয়ারি ২০২১, নবমী রাত্রি ৫/৫৪। ভরণী নক্ষত্র রাত্রি ৬/৩৯। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/১৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৬ মধ্যে ও ৮/৩১ গতে ১০/৪৪ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ২/১৭ মধ্যে ও ৩/৫৭ গতে ৫/১৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৮ গতে ৮/৫১ মধ্যে ও ৩/৪৩ গতে ৪/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩৪ গতে ১১/২৫ মধ্যে ও ৪/৩৪ গতে ৬/২৬ মধ্যে। বারবেলা ৯/৮ গতে ১১/৪৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৩১ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৮ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বিহারের বারসোইতে বেলাইন মালগাড়ি, আটকে একাধিক দুরপাল্লার ট্রেন 

09:38:49 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গলকে ১-০ গোলে হারাল মুম্বই 

09:30:54 PM

বৈশালী ডালমিয়াকে বহিষ্কার করল তৃণমূল
শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কৃত বৈশালি ডালমিয়া। আজ, শুক্রবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের ...বিশদ

06:55:00 PM

ময়নাগুড়ির যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তরে চুরি, চাঞ্চল্য
গতকাল রাতে ময়নাগুড়ির যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তরে চুরির ঘটনায় ...বিশদ

04:55:05 PM

এক মিনিটের ব্যবধানে হাসপাতালে হাত ধরাধরি করেই মারা গেলেন করোনায় আক্রান্ত স্বামী-স্ত্রী
ভালোবাসার কাছে হার মানল করোনাও। প্রেমের গল্পে হাত ধরাধরি ...বিশদ

04:53:03 PM

সম্বর্ধিত ভারতীয় ক্রিকেট টিমের সদস্য কোলাঘাটের দয়ানন্দ
শুক্রবার সম্বর্ধনা দেওয়া হল ভারতীয় ক্রিকেট টিমের ম্যাসাজ থেরাপিস্ট কাম  ...বিশদ

04:41:00 PM