প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। লৌহ ও ... বিশদ
কিন্তু সেই সভায় যে চা শ্রমিকদের এতটা ঢল নামবে, শাসকদলের চা শ্রমিক সংগঠনের নেতারা কেউই তা ভাবতে পারেননি। জনসভা শুরু আগে বীরপাড়ায় ২ কিমি লম্বা মিছিল হয় চা শ্রমিকদের। তৃণমূলের চা শ্রমিক সংগঠনের নেতা রাজেশ লাকড়ার নেতৃত্বে মিছিলে যোগ দিতে মালবাজার থেকে একটি মোটর বাইক শোভাযাত্রা বীরপাড়ায় আসে। তবে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হল যে, কালচিনি থেকে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা সমর্থিত চা শ্রমিক সংগঠনের নেতারাও বীরপাড়ায় তৃণমূলের চা শ্রমিক সংগঠনের জনসভায় যোগ দিতে আসে। সবমিলিয়ে তৃণমূলের এদিনের চা শ্রমিকদের সভা ও মিছিলের জন্য বীরপাড়া শহর কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। ফলে দিনের শেষে তৃণমূল নেতৃত্বের মুখেও ছিল চওড়া হাসি। স্বাভাবিকভাবেই শ্রমিকদের ভিড় দেখে আপ্লুত সভার মূল বক্তা শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক। প্রথমেই শ্রমমন্ত্রী বলেন, বামফ্রন্ট সরকার শ্রমিকদের ১ টাকা থেকে ৪ টাকা বেতন বৃদ্ধি করত। অথচ আমাদের মুখ্যমন্ত্রী গত নয় বছরে চা শ্রমিকদের বেতন তিনগুণ বাড়িয়েছেন। ফলে গোটা দেশের মধ্যে একমাত্র উত্তরবঙ্গের চা শ্রমিকরাই সবচেয়ে বেশি বেতন পাচ্ছে। অথচ অসমের চা শ্রমিকদের বেতন ১৩০ টাকা থেকে ১৪২ টাকা। শ্রমমন্ত্রী মলয়বাবু বলেন, গোটা দেশে কোভিড পরিস্থিতিতে উত্তরবঙ্গে চা শ্রমিকদের বেতন একলাফে ২৬ টাকা বৃদ্ধির ঘটনা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সভায় তৃণমূল চা বাগান মজদুর ইউনিয়নের রাজ্য সভাপতি মোহন শর্মা বলেন, রাজ্য সরকার চা শ্রমিকদের বেতন একলাফে ২৬ টাকা বাড়িয়ে দেশের সামনে নজির স্থাপন করল। আমাদের সরকার বিজেপি’র মতো ভাঁওতা দেয় না। আমাদের সরকার যা বলে তা করে দেখায়।
আলিপুরদুয়ার জেলায় সরকারিভাবে ৬৪টি চা বাগান আছে। এদিন জনসভা থেকে শাসকদলের চা শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্ব ঘোষণা করে মজুরি বৃদ্ধির জন্য আগামী একমাসের মধ্যে জেলার প্রতিটি চা বাগানে মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে একটি করে ধন্যবাদ সভা করা হবে।