প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। লৌহ ও ... বিশদ
স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা জানান, বাজারের জায়গা খুব কম। তাই বাজার চত্বর ঘিঞ্জি হয়ে থাকে। ছুটির দিনে ভিড় হয়ে গেলে চলাফেরা করাই দায়। শৌচালয় পানীয় জল, কোনও কিছুর ব্যবস্থা নেই। বাজারে কোনও জল নিকাশি ব্যবস্থা নেই। ফলে সামান্য বৃষ্টিতে বাজার চত্বরে জল জমে যায়। জল কাদা ভেঙে মানুষকে বাজার করতে হয়। সেই সঙ্গে নিকাশি নালা না থাকায় নোংরা জল জমে দুর্গন্ধ ছড়ায়। কয়েকটি টিনের ছাউনি যুক্ত দোকানপাট আছে। সেসব ছাউনি দীর্ঘদিন আগে তৈরি করা হয়েছিল। সেই কাঠামোগুলির দীর্ঘদিন রক্ষণাবেক্ষণ না হওয়ায় জরাজীর্ণ অবস্থা। শাক-সব্জি, মাছ-মাংস সহ অন্যান্য দোকান খোলা আকাশের নীচেই বসে। ঝুপড়ি ধরনের দোকানপাট গজিয়ে উঠেছে। স্থানাভাবে অনেক সময় রাস্তার উপরই দোকান বসে। এতসব সমস্যা মাথায় নিয়েই ব্যবসায়ীরা কেনাবেচা করেন। এতে ক্রেতা বিক্রেতা সকলকেই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এই বাজারে নানা সামগ্রী বিক্রি করা হয়। টাটকা শাক-সব্জি, মাছ-মাংসের দোকানের পাশাপাশি চায়ের দোকান, তেলেভাজা ও অন্যান্য খাবারের দোকানও রয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরেই আমরা স্থায়ী কাঠামোর দোকানঘরের দাবি জানিয়ে আসছি। সেজন্য উপযুক্ত ভাড়াও দিতে রাজি আছি। এলাকার বাসিন্দা মুন্না বিশ্বাস বলেন, এই বাজারটি দীর্ঘদিন ধরেই পরিকাঠামোগত সমস্যায় জর্জরিত। সংস্কারের পাশাপাশি বিকল্প হিসেবে বড় বাজার বসানোর ব্যবস্থা করা হোক।
জানা গিয়েছে, নেতাজি দৈনিক বাজাটির সামসি হাটখোলার সামনে নেতাজি ক্লাব সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে। এই বাজার নেতাজি ক্লাবের জমি ও পিডব্লিউডি’র জায়গায় আছে। বাজারের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ক্লাবের বলে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা জানিয়েছেন।
নেতাজি ক্লাবের সম্পাদক তথা সামসি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শ্রবণকুমার দাস বলেন, বাজারের যে অংশ ক্লাবের জমিতে বসে, সেখানে টিনের ছাউনি দিয়ে দোকানপাট করা হয়েছে। কিন্তু পিডব্লিউডি’র জায়গায় কোনও নির্মাণ কাজ করা ক্লাবের পক্ষে সম্ভব নয়। আগামী দিনে স্থায়ী জায়গা পাওয়া গেলে স্থায়ী কাঠামো তৈরি করে দেওয়া হবে।