প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। লৌহ ও ... বিশদ
ব্রিটেনের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের ভুয়ো তথ্য বিরোধী অভিযানের দায়িত্বে রয়েছেন ডাঃ হরপ্রীত সুদ। বিবিসিকে তিনি জানিয়েছেন, দিন দিন বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। ভুয়ো খবর রুখতে কাজ করছেন আধিকারিকরা। কিন্তু ভাষা ও সংস্কৃতিগত পার্থক্য এব্যাপারে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। গত বছর নভেম্বর মাসে ১২ হাজার মানুষের উপর একটি সমীক্ষা হয়েছিল। তার রিপোর্ট বলছে, ৮২ শতাংশ নাগরিক টিকা নিতে আগ্রহী। কিন্তু কৃষ্ণাঙ্গদের মধ্যে ৭২ শতাংশই ভ্যাকসিনের ব্যাপারে বিমুখ। পাকিস্তানি, বাংলাদেশিরা তো বটেই, পূর্ব ইউরোপের বিভিন্ন গোষ্ঠীও একই কথা জানিয়েছে। বরিস সরকারের বিজ্ঞান সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সাম্প্রতিক রিপোর্টে অবশ্য সংখ্যালঘুদের টিকা নিয়ে এই সংশয়ের পিছনে গঠনগত এবং প্রাতিষ্ঠানিক বর্ণবিদ্বেষ এবং বৈষম্যকে দায়ী করা হয়েছে।
এমনকী, চিকিৎসকদের মধ্যেও প্রতি দশ জনে ছ’জন কৃষ্ণাঙ্গ, এশীয় জাতিগত সংখ্যালঘু মনোবিদই কর্মক্ষেত্রে বর্ণবৈষম্যের শিকার। রয়্যাল কলেজ অব সাইকিয়াট্রিস্টের নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে, মাত্র ২৯ শতাংশ এমন ঘটনা নথিভুক্ত হয়। তাতেও অর্ধেকের বেশি অভিযোগে কোনও ফল হয় না। ডাঃ ফারজানা আলম ‘বর্তমান’-কে জানিয়েছেন, কীভাবে এত দ্রুত টিকা তৈরি হল তা নিয়ে একটা সংশয় কাজ করছে মানুষের মধ্যে। তার সঙ্গে ভ্যাকসিন নিলে বন্ধ্যাত্ব আসতে পারার মতো গুজব আরও আতঙ্ক বাড়িয়েছে। এই সম্প্রদায়ের মানুষ যে ভ্যাকসিনের ট্রায়ালে ছিলেন, সেই প্রমাণ সামনে এনেই এই প্রবণতা রোখা যেতে পারে।
হিন্দু ফোরাম ব্রিটেনের প্রেসিডেন্ট তৃপ্তি প্যাটেল জানিয়েছেন, আমাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে ভ্যাকসিনের গুরুত্ব বোঝাতে চেষ্টা করছি। টিকা বণ্টনের দায়িত্বে থাকা পার্লামেন্টারি আন্ডার সেক্রেটারি নাদিম জাহাওয়ির সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছি। ব্রিটেনের বিভিন্ন মসজিদের ইমামরাও এবিষয়ে সোচ্চার হয়েছেন। লিডসের ইমাম তথা মিনাবের চেয়ারম্যান কারি আসিম জানিয়েছেন, দু’টি বিষয়ে সংশয় রয়েছে। প্রথমত, টিকা হালাল কি না? আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখেছি এবং এদেশে ব্যবহৃত দু’টি টিকা গ্রহণের অনুমতি দিতে কোনও আপত্তি নেই। দ্বিতীয়ত গুজব, ভুয়ো খবর। তার স্বরূপ উদঘাটন করছি। লেবার পার্টিও সংখ্যালঘুদের মধ্যে টিকাকরণ নিয়ে প্রচারের পরিকল্পনা নিয়েছে। দলের নারী ও সমানাধিকারের শ্যাডো সেক্রেটারি অব স্টেট মার্শা ডে করডোভা জানিয়েছেন, কৃষ্ণাঙ্গ ও এশীয় সংখ্যালঘুরা সবথেকে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। তারা যাতে টিকা থেকে বঞ্চিত না হন, তা সুনিশ্চিত করতে হবে।