প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। লৌহ ও ... বিশদ
বিজেপি’র পক্ষ থেকে দিলীপ ঘোষ ফুলবেঞ্চকে বলেন, যাতে মানুষ নির্বাচন কমিশনের উপর ভরসা রাখতে পারে, তা দেখতে হবে। গত লোকসভা ভোটে সারা ভারতে ভোট নিয়ে কোন অশান্তি হয়নি। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনে অশান্তি হয়েছে। গুলি চলেছে, মানুষ মারা গিয়েছে। ভোটাররা ভোট দিয়ে বাড়ি যাওয়ার সময় তাদের সুরক্ষা দিতে হবে। নির্বাচন কমিশনের যারা বাইরে থেকে আসবে তাঁদেরকেও সুরক্ষা দিতে হবে। নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হোক। মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে, তা এখন থেকে নিশ্চিত করা হোক। ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গাদের নাম ঢুকেছে, এ ব্যাপারে কমিশনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
সিপিএমের রবীন দেব বলেন, ভোটার তালিকায় অনেকের নাম বাদ গিয়েছে। অথচ মৃত ভোটারের নাম বাদ যায়নি। স্ক্রুটিনি করা হোক। পারস্পরিক প্রতিযোগিতা তৈরি করে তৃণমূল, বিজেপি রাজ্যে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করেছে। রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠকের আগে এদিন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জ্ঞানবন্ত সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করে ফুলবেঞ্চ। সেখানে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি করুন, যাতে মানুষ নির্ভয়ে ভোট দিতে পারে। এডিজি পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে সমস্ত রিপোর্ট তুলে ধরেন। কমিশনকে জানানো হয়, গত এক মাসে ১১ হাজার জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করা হয়েছে। ফুলবেঞ্চের কাছে অতীতের ভোটে গোলমালে জড়িয়ে থাকা ১৮৯৩ জন ব্যক্তির নামের তালিকা পেশ করা হয়েছে। সেইসঙ্গে মাওবাদী এলাকা বলে চিহ্নিত অংশ এবং সুন্দরবন এলাকার জন্য হেলিকপ্টার রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন এডিজি আইন-শৃঙ্খলা।
পরে সব জেলাশাসক, পুলিস সুপার, পুলিস কমিশনারদের দীর্ঘক্ষণ বৈঠকে একেবারে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। তিনি বলেন, কোনও বুথ প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় থাকবে না । অতীতের ভোটে যেসব অফিসারদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের ফিরিয়ে নিয়ে এসে পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। এবার তা করা যাবে না। পক্ষপাতের অভিযোগ থাকলে সাসপেনশন হবে। ভোটে সিভিক পুলিস, গ্রিন পুলিস ব্যবহার করা যাবে না। রাজনৈতিক সংঘর্ষ কেন এত বাড়ছে? জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সব কার্যকর হয়নি কেন? পুলিসের উপরে রাজনৈতিক দলের এত অনাস্থা কেন? প্রার্থীদের নিরাপত্তা দিতে হবে। কলকাতা পুলিসের ভূমিকায় যে তিনি সন্তুষ্ট নন তা বুঝিয়ে দিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। একইসঙ্গে মালদহ, উত্তর দিনাজপুর, পুরুলিয়া এবং শহুরে বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে অস্বাভবিক ভোটার বৃদ্ধি, ‘অন্য চোখে’ দেখছে কমিশন।