প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। লৌহ ও ... বিশদ
সরকারি উদ্যোগে কেনা ধান থেকে চাল পাওয়া নিশ্চিত করতে খাদ্যদপ্তর এখন রাইস মিলগুলির কাছ থেকে ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি নেওয়া কার্যত বাধ্যতামূলক করেছে। শুধু ৫০০ টন পর্যন্ত ধান নিলে ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি ছাড়া ৩০ লক্ষ টাকার পোস্ট ডেটেড চেক দেওয়ার সুযোগ আছে। কিন্তু তার বেশি পরিমাণ ধান নেওয়ার জন্য ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি দেওয়া আবশ্যিক করা হয়েছে। গ্যারান্টির অর্থ ধানের পরিমাণের উপর নির্ভর করে। রাইস মিলের কাছ থেকে ধান না পেলে ব্যাঙ্ক গ্যারান্টির অর্থ বাজেয়াপ্ত করে নিতে পারবে খাদ্যদপ্তর।
সরকারি উদ্যোগে কেনা ধান সরাসরি রাইস মিলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। চাল উৎপাদনের পর সরকারি গুদামে পাঠানোর কথা। কিন্তু বিপুল পরিমাণ ধান কেনার ফলে উৎপাদিত চাল মজুত করে রাখা খাদ্যদপ্তরের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। তৃণমূল সরকারের সময়ে চাল মজুত করার পরিকাঠামো যদিও প্রচুর বেড়েছে। বাম আমলে মাত্র ৬৩ হাজার টন চাল মজুত করতে পারত সরকার। সেই পরিমাণ বেড়ে এখন ১২ লক্ষ টন হয়েছে। তা সত্ত্বেও এবার যে হারে ধান কেনা হচ্ছে তাতে প্রচুর চাল মজুত করতে হবে সরকারকে। আগের নিয়ম অনুযায়ী রাইস মিল ধান ভানিয়ে চাল উৎপাদন করে সরকারকে পাঠানোর পর তবে আগের ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি অনুযায়ী ফের ধান পেত। ব্যাঙ্ক গ্যারান্টিতে ছাড় দেওয়ায় এখন রাইস মিলগুলির কাছে সরকারি চাল বেশিদিন রাখার সুবিধা মিলবে।
রাজ্যের রাইস মিল মালিকদের সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি আব্দুল মালেক জানিয়েছেন, ব্যাঙ্ক গ্যারান্টির ছাড় দেওয়াকে তাঁরা স্বাগত জানাচ্ছেন। তবে সরকার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মিলগুলির কাছ থেকে চাল নিয়ে নিক, এটাও সংগঠন চাইছে।