Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষা দেশের
জন্যও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ
জিষ্ণু বসু

বাঙালি ভারতের নবজাগরণের কাণ্ডারীর ভূমিকা পালন করেছে। জীবন্ত জাগ্রত ভারতাত্মার পূজাবেদি ছিল বাংলা। ১৮৮২ সালে ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র লিখলেন আনন্দমঠ উপন্যাস। বাঁধা হল ‘বন্দেমাতরম’ গান। দেশমাতৃকাকে দশপ্রহরণধারিণী দেবী দুর্গার সঙ্গে তুলনা করলেন সাহিত্যসম্রাট।
কলকাতার বীর সন্ন্যাসী স্বামী বিবেকানন্দ ১৮৯৩ সালে শিকাগোর বিশ্ব ধর্মমহাসভায় ভারতবর্ষের বিজয়ধ্বজা স্থাপন করেছিলেন। ১৯০৫ সালে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম ভারতমাতার চিত্র আঁকলেন। গৈরিকবসনা চতুর্ভুজা সন্ন্যাসিনী দেবী, হাতে ধান, বস্ত্র, বেদ আর জপমালা। ভগিনী নিবেদিতা সেই চিত্র নিয়ে আসমুদ্রহিমাচলে জনজাগরণের কথা ভেবেছিলেন। ঋষি অরবিন্দ ‘বন্দেমাতরম’ ধ্বনিকে জাতীয় মন্ত্র হিসেবে গ্রহণ করলেন। বন্দেমাতরম মৃতপ্রায় পরাধীন জাতির সঞ্জীবনী মন্ত্র হয়ে উঠল। ভারত জেগে উঠল। আজও যদি আন্দামানের সেলুলার জেলের দেওয়ালে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের নাম দেখা যায়, তার বেশিরভাগই বাঙালি। এই বাঙালির অস্তিত্বই আজ বিপন্ন।
বছর সাতেক আগের একটা ঘটনা। ২০০৪ সালে বিবিসি ‘গ্রেটেস্ট বেঙ্গলি অফ অল টাইম’ খোঁজার চেষ্টা করেছিল। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে উঠে এল শেখ মুজিবুর রহমানের নাম। রবীন্দ্রনাথ দ্বিতীয় আর সতেরোতম স্থানে ছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। প্রথম ২০ জনের মধ্যে ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র, শ্রীঅরবিন্দ, মাস্টারদা সূর্য সেন, বিপিনচন্দ্র পাল বা দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ কারও নাম নেই। এই সমীক্ষা আরও একবার প্রমাণ করেছে যে, কেবলমাত্র বাংলাভাষাতে কথা বললেই বাঙালি ঐতিহ্যকে বোঝা যায় না। নিয়তি এই ঐতিহ্য রক্ষার দায়ভার পশ্চিমবঙ্গের মানুষের হাতেই সঁপেছে।
হয়তো আজকের কথা ভেবেই ১৯৪৭ সালে ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, অধ্যাপক মেঘনাদ সাহা, সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়, রমেশচন্দ্র মজুমদার বা স্যার যদুনাথ সরকারের মতো ক্রান্তদর্শীরা পশ্চিমবঙ্গের ভূমিটুকুকে আগলে রেখেছিলেন। তাঁরা ভারতবর্ষে থাকতে চেয়েছিলেন। বাঙালির সুরক্ষার জন্য চেয়েছিলেন ‘বেঙ্গলি হিন্দু হোমল্যান্ড’। তা না-হলে কলকাতাসহ সমগ্র বাংলাটাই পাকিস্তানে চলে যেত, নয়তো ভারতবর্ষের বাইরে আর একটা রাষ্ট্র হতো।
পশ্চিমবঙ্গ নিজের ভূমিকা যথার্থভাবে পালন করেছে। মাস্টারদা সূর্য সেনের চট্টগ্রামের হিন্দু, বিপিনচন্দ্র পালের সিলেটের হিন্দু, উল্লাসকর দত্তের ব্রাহ্মণবেড়িয়ার হিন্দু, বাঘাযতীনের কুষ্টিয়ার হিন্দু, পুলিনবিহারী দাসের ঢাকার হিন্দু, আচার্য জগদীশচন্দ্র বসুর ফরিদপুরের হিন্দু বহু নির্যাতন সহ্য করে এই পশ্চিমবঙ্গে পালিয়ে এসেছেন। গত সত্তর বছর ধরে কেউ সেইসব হতভাগ্য মানুষের ভারতবর্ষের পূর্ণ নাগরিকত্বের জন্য যত্নবান হননি। এই প্রথম, ২০১৯ সালে এল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। যাঁদের পূর্বপুরুষের আত্মত্যাগে ভারতবর্ষ স্বাধীন হয়েছে তাঁদের নাগরিকত্ব দেবে ভারত সরকার। কিছু রাজনৈতিক শক্তি এখনও চান না উদ্বাস্তু হিন্দুরা তাঁদের প্রাপ্য নাগরিকত্ব পান। গত ডিসেম্বরে রাজ্যজুড়ে যে সিএএ তথা হিন্দু উদ্বাস্তু বিরোধী তাণ্ডব হয়েছে তার অপরাধীরা কেউ শাস্তি পায়নি। তাই ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ভবিষ্যতের উপরেই নির্ভর করে আছে পূর্ববঙ্গের অত্যাচারিত ছিন্নমূল মানুষের সম্মানজনক নাগরিকত্ব।
আজ আবার এরাজ্যে নতুন করে প্রাদেশিকতা মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। পশ্চিমবঙ্গের বাইরে থেকে কেউ এলেই একদল ‘বহিরাগত, বহিরাগত’ বলে চিৎকার করছেন। ভারতবর্ষের উত্থানে বাঙালির অবদানকে সে-যুগে শ্রদ্ধার সঙ্গে মেনে নিয়েছিল সারা দেশ। দেশের মানুষ ভালোবাসতেন বাংলাকে। তাই সামাজিক বা রাজনৈতিক কাজে ভারতের অন্য প্রান্তের মানুষ বাংলাতে এলে তাঁকে ‘বহিরাগত’ বলার অসৌজন্য ছিল না। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর গুজরাতের গান্ধীজিকে ‘মহাত্মা’ উপাধিতে ভূষিত করলেন। শান্তিনিকেতনে শুরু করেছিলেন ‘গান্ধী পুণ্যাহ’। সেটাই ছিল আমাদের সংস্কৃতি। ভারতবর্ষকে বাদ দিলে বাঙালির না-থাকে শ্রী, না-থাকে সামর্থ্য।
২০১৪ সালে যখন খাগড়াগড়ের বিস্ফোরণ হল তখন দেখা গেল পশ্চিমবঙ্গ জেহাদি শক্তির বড় আস্তানায় পরিণত হয়েছে। সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে তৈরি হয়েছে ‘স্লিপার সেল’। গত বছরের মার্চ মাসে বসিরহাট থেকে লস্কর-ই-তোইবার এক সক্রিয় সদস্য ধরা পড়ে। ধৃত মহিলার সঙ্গে আইএসআইএসের বড় চক্রের যোগাযোগ প্রমাণিত হয়েছে। পাকিস্তানের মোবাইল সিম ব্যবহার করে জঙ্গি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি হয়েছিল উত্তর ২৪ পরগনায়। এসবের অবসানের জন্য এক দেশভক্ত রাজনৈতিক শক্তি দরকার পশ্চিমবঙ্গে।
ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের অপরাধ চক্রের বিষয়ে ‘চিদাম্বরম কমিটি’ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সীমান্তের ১০ কিমির মধ্যে যেন গো-হাট না বসে, সে বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভায় আইন পাশ হয়েছে বহুদিন আগেই। ১৪ বছরের কম বয়সের গোরুকে ‘ফিট ফর স্লটার’ শংসাপত্র দেওয়া পশ্চিমবঙ্গে আইনত নিষিদ্ধ। এই সবকিছুকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে রমরমিয়ে গো-পাচার চলছে। কুখ্যাত গো-তস্করেরা রাজনৈতিক ক্ষমতার খুব কাছাকাছি এসে গিয়েছে গত কয়েক বছরে। সীমান্ত এলাকায় তারাই নীতি নির্ধারণ করছে।
এই চক্রের বাড়বাড়ন্ত দু’টি কারণে দেশের পক্ষে ক্ষতিকর। প্রথমত, দুষ্কৃতীদের কাছে অপরিমিত নগদ টাকা থাকছে, যা দিয়ে চাইলেই যে-কোনও রকমের বড় হিংসা তৈরি করা যায়। ২০১৭ সালের বসিরহাটের দাঙ্গা তার জ্বলন্ত উদাহরণ। বিএসএফ মোতায়েন না-হওয়া পর্যন্ত জেলা প্রশাসন দাঙ্গা থামাতেই পারেনি। দ্বিতীয়ত, সীমান্ত এলাকায় জনবিন্যাসের দ্রুত পরিবর্তন ঘটানো। এতে সব থেকে বেশি অত্যাচারিত হচ্ছেন হিন্দু তফসিলি সম্প্রদায়ের মানুষ। তাদের 
ঘরের মেয়েরা উৎপীড়িত হচ্ছেন, প্রতিবাদ প্রতিরোধ গড়ে উঠলেই তফসিলি যুবকদের হত্যা পর্যন্ত করা হচ্ছে। সন্দেশখালি থেকে বাসন্তী সর্বত্র একই অবস্থা। এই গভীর দুর্নীতি চক্র ভাঙতে কঠোর রাজনৈতিক সদিচ্ছা প্রয়োজন। বহুদিন থেকেই এরাজ্যে জেহাদি মৌলবাদের সঙ্গে রাজনৈতিক শক্তি এক প্রকারের সমঝোতা করেই পথ চলছে। তসলিমা নাসরিনের জন্য তিনদিন ধরে কলকাতার একটা বড় অংশ জুড়ে দাঙ্গা চলল। ২০০৭ সালের ২১ নভেম্বর সিপিএমের দু’টি পার্টি অফিস জ্বালিয়ে দিয়েছিল দাঙ্গাবাজেরা। বামফ্রন্ট নেতৃত্ব কাঁপতে কাঁপতে তসলিমাকে রাজ্য ছেড়ে যেতে বললেন।
সেই শুরু। তারপর থেকে মৌলবাদ রাজনৈতিক ক্ষমতার অলিন্দে স্থান করে নিয়েছে। সরকারকে বাধ্য করেছে দশ হাজার খারিজি মাদ্রাসাকে কোনওরকম অনুসন্ধান ছাড়াই অনুমোদন দিতে। সেই সুযোগেই তৈরি হয়েছিল সিমুলিয়ার মাদ্রাসার মতো ভয়ানক সব আখড়া। গত ১ নভেম্বর আল কায়দার সঙ্গে যোগ থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন মুর্শিদাবাদের রাইপুরের এক মাদ্রাসার শিক্ষক। এই মৌলবাদী দৌরাত্ম্য থেকে বের হতেই হবে, তাই এরাজ্যে সাহসী রাজনৈতিক নেতৃত্ব চাই।
‘উর্দু নয় বাংলা’—পূর্ববঙ্গে ভাষা আন্দোলনের মূলেই ছিল এই দাবি। ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি হল এপার বাংলায়। ২০১৮ সালে দাড়িভিটে বাংলা ভাষার শিক্ষকের দাবিতেই প্রাণ দিলেন দুই ছাত্র রাজেশ আর তাপস। স্কুলের পাঠ্যপুস্তক থেকে আদেশনামা, সর্বত্র ধীরে ধীরে কমে আসছে বর্ণপরিচয়-সহজপাঠে শেখানো বাংলার ব্যবহার। ‘রামধনু’ হয়ে গিয়েছে ‘রংধনু’। কলকাতা শহরেই এমন বিস্তীর্ণ এলাকা আছে, যেখানে রাস্তার নামফলকে বাংলা উধাও হয়ে গিয়েছে। বাঙালি আবহমানকাল থেকে স্কুলে স্কুলে সরস্বতী পুজো করে এসেছে। তাতে হিন্দু-মুসলমান সব ছাত্রছাত্রীই অংশ নিত। স্কুলে সরস্বতী পুজো বন্ধ করার জন্য বহু জায়গায় ফতোয়া জারি হয়েছে। সরস্বতী পুজো করার দাবিতে পথ অবরোধ করেছে ছাত্রছাত্রীরা, রক্তাক্ত ছাত্রীর ছবি খবরের কাগজে এসেছে।
কালিয়াচকের থানা লুট, খাগড়াগড়ের বিস্ফোরণ, ধুলাগড়ের দাঙ্গা বা সিমুলিয়ার মাদ্রাসার মতো জেহাদি মৌলবাদ যেমন ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে, তেমনই কপালে নতুন করে ভাঁজ ফেলেছে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক। ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট জি জিনপিংয়ের ঢাকা সফরের পরেই বাংলাদেশের সঙ্গে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ শুরু করেছে চীন।
২০১১ সাল থেকেই পশ্চিমবঙ্গের নতুন সরকার ভারত-বাংলাদেশের মধ্যেকার তিস্তা চুক্তিতে আপত্তি জানিয়েছে। এর পূর্ণ সুযোগ নিয়েছে চীন। ১৩০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের তিস্তা উপত্যকা উন্নয়ন প্রকল্প শুরু হয়েছে। এই ঋণ দেওয়ার সুবাদে চীন শিলিগুড়ির ১০ কিমির মধ্যে ঢুকে পড়ার সুযোগ পাবে। শরীরের যে অঙ্গ দিয়েই বিষ ঢুকুক না কেন, তা গোটা মানুষটাকেই শেষ করে দেবে। সেদিক থেকে পশ্চিমবঙ্গের ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান ভারতের সার্বভৌমত্ব রক্ষার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তাই ২০২১ সালে পাখির চোখ পশ্চিমবঙ্গ।
লেখক কলকাতায় সাহা ইনস্টিটিউট নিউক্লিয়ার ফিজিক্স-এ কর্মরত। মতামত ব্যক্তিগত
14th  January, 2021
বাংলার তিন মনীষী
আত্মমর্যাদা শিখিয়েছেন
সমৃদ্ধ দত্ত

এখানে বিজেপির কে প্রার্থী হবেন এবং কে হবেন না সেই চূড়ান্ত সিলমোহর কোনও বাঙালি নেতা দেবেন? নাকি বাংলা বিজেপি স্রেফ লিস্ট তৈরি করে জমা দেবে দিল্লির নেতাদের কাছে? কাদের ক্ষমতা বেশি? এসব কি আত্মশক্তির লক্ষণ? বিশদ

দলভাঙানো রাজনীতি:
এ রাজ্যে নবতর সংযোজন

এই রাজ্যে দল ভাঙানোর অনৈতিক রাজনীতির যাঁরা প্রবর্তক, তাঁরা এখন হঠাৎ চিৎকার শুরু করলেন কেন? পাঁচিল ভেঙে পথ করেছে তৃণমূল। সেই পথ ধরেই বিজেপি আজ তৃণমূলের ঘর ভাঙছে।
বিশদ

21st  January, 2021
নবান্ন দখলের ভোট
ও প্রেশার পলিটিক্স
হারাধন চৌধুরী

বিজেপি নেতৃত্ব ভাবছে, নাটক আর প্রেশার পলিটিক্স দিয়েই হাঁড়ির হাল মেরামত করে ফেলবে। কিন্তু মাস্টার স্ট্রোকের পলিটিক্সে আজও যিনি অদ্বিতীয় সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বুঝিয়ে দিয়েছেন, নন্দীগ্রাম ভাঙিয়ে একটি পরিবারের রাজনীতিকে আর একপাও এগতে দেবেন না তিনি। বিশদ

20th  January, 2021
তৃণমূল বনাম তৃণমূল (বি)
শান্তনু দত্তগুপ্ত

হতে পারে বাংলার ভোট প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃত্ব কায়েমের অ্যাসিড টেস্ট। কিন্তু একুশ যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও প্রেস্টিজ ফাইট! দাঁড়িপাল্লার একদিকে কেন্দ্র, আর অন্যদিকে মমতার সরকারকে রাখলে উন্নয়ন এবং বেনিফিশিয়ারির নিরিখেই বিজেপি অনেক নীচে নেমে যাবে। বিশদ

19th  January, 2021
বাজেটের আগে অর্থমন্ত্রী
আরও বিভ্রান্ত করলেন
পি চিদম্বরম

যে-দেশে আমরা আজ বাস করছি সেটা দিনে দিনে অচেনা এবং বিস্ময়কর হয়ে যাচ্ছে। এটা খুব অবাক ব্যাপার নয় কি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত একটা সরকার তার পুরনো গোঁ ধরেই বসে থাকবে, বিশেষ করে দিল্লির ভয়ানক শীতের মধ্যেও কৃষকদের প্রতিবাদ আন্দোলন যখন ৫৬ দিনে পা দিয়েছে? বিশদ

18th  January, 2021
ভোটকে কলুষিত করলে
উচিত শিক্ষা দিতে হবে
হিমাংশু সিংহ

তৃণমূল ভাঙতে দশ মণ তেল পুড়িয়ে বিজেপি এখন বুঝতে পারছে শুধু অবিশ্বাসের উপর দাঁড়িয়ে বাংলা দখল প্রায় অসম্ভব! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুর্বল করা যাচ্ছে না। বিশদ

17th  January, 2021
ভোটের আগে ‘গাজর’ ঝোলানো
বিজেপির ট্র্যাডিশন
তন্ময় মল্লিক

ভোটের মুখে ‘গাজর’ ঝোলানোটা বিজেপির ট্র্যাডিশন। ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের জমা ‘বেআইনি অর্থ’ ফিরিয়ে এনে প্রত্যেককে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা বলেছিল বিজেপি। ‘গাজর’ ঝোলানোর সেই শুরু। এবার সোনার বাংলা ও কৃষি সম্মান নিধির ‘গাজর’। বিশদ

16th  January, 2021
ক’দিনের জন্য বাঙালি হওয়া যায় না
মৃণালকান্তি দাস

মাস কয়েকের জন্য রবীন্দ্রনাথ, রামমোহন, শ্রীচৈতন্য... বাংলার মনীষীরাই হয়ে উঠছেন গেরুয়া বাহিনীর প্রচারের অনুঘটক। এটা স্পষ্ট, ‘বহিরাগত’ তকমা ঘোচাতে বিজেপিকে নিরুপায় হয়েই বাংলার মনীষীদের আশ্রয় খুঁজতে হচ্ছে। বাংলার মনীষীরা কোন দলে, ভোট-হাওয়ায় সেই ধন্দ উস্কে দিতে চাইছে বিজেপি। বিশদ

15th  January, 2021
এই রাজ্যে মেয়েদের
ভোট ভাগ করা যাবে না
সন্দীপন বিশ্বাস

বিজেপি জানে, পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতা দখল করতে না পারলে তাদের সিএএ-এনআরসি সব ব্যর্থ হয়ে যাবে। সারা দেশে একজন ব্যক্তিত্বই তাঁদের সব ভুলভাল কাজকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে লড়াই জারি রাখতে পারেন। তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির কাছে মমতা নামটাই জুজুর মতো। বিশদ

13th  January, 2021
বিজেপির প্রচারে স্বামীজি
আছেন, কিন্তু অনুসরণে...?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

স্বামীজি বলতেন, ‘এমন ধর্ম চাই, যার মূল মন্ত্র হবে মানবপ্রেম। এমন ধর্ম চাই, যা মানুষকে, বিশেষ করে অবহেলিত, পদদলিত মানুষকে প্রত্যক্ষ মানুষ বলে প্রচার করবে। খালি পেটে ধর্ম হয় না। ক্ষুধার্ত মানুষের কাছে ধর্ম বা ঈশ্বর অর্থহীন।’ নাঃ... যে পরিব্রাজক এমন কথা বলতে পারেন, তাঁকে বিজেপি অন্তত অনুসরণ করে না। বিশদ

12th  January, 2021
বিবেকানন্দের স্বপ্নের
বাংলা আবার গঠিত হবে
জগৎপ্রকাশ নাড্ডা

এক নতুন ভারতবর্ষের স্বপ্ন দেখেছিলেন স্বামীজি, যেখানে দারিদ্র্যের মোচন এবং চেতনার উন্মেষ ঘটবে। এই কাজে প্রয়োজন বিপুল পরিমাণ যুবশক্তি। বিশদ

12th  January, 2021
মহামারী, ভ্যাকসিন
এবং বিতর্ক
পি চিদম্বরম

মহামারী বিদায় নিচ্ছে বলে মনে হয়, তবে এখনও বিদায় হয়নি। ভ্যাকসিন আসছে বলে মনে হয়, তবে বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছয়নি। কিন্তু একটা জিনিস বরাবর একজায়গায় রয়ে গিয়েছে, সেটা হল বিতর্ক! বিশদ

11th  January, 2021
একনজরে
শনিবার অসমে জমির পাট্টা বিলির সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক লক্ষের বেশি ভূমিহীনকে পাট্টা দেওয়ার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে অসম সরকার। বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনেওয়াল জানিয়েছেন, ‘দশকের পর দশক ধরে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে বেঁচে রয়েছেন বহু মানুষ। ...

মদ্যপ অবস্থায় স্ত্রীকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে খুন করল স্বামী। বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে সন্দেশখালির শীতলিয়া গ্রামে। পুলিস জানায়, মৃতের নাম সবিতা সর্দার (৩২)। তাঁর স্বামী তপন সর্দারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ...

চলতি আর্থিক বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ২৬ শতাংশ ব্যবসা বাড়াল বন্ধন ব্যাঙ্ক। গত আর্থিক বছরের ওই সময়ের নিরিখে এই বৃদ্ধি হয়েছে। ডিসেম্বর শেষে ব্যাঙ্কের ঋণ ও জমা মিলিয়ে মোট অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ১.৫১ লক্ষ কোটি টাকা। ...

তড়িঘড়ি করে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগের ইন্টারভিউ নিতে গিয়ে বিতর্কে জড়াল কর্তৃপক্ষ। ইন্টারভিউয়ের জন্য প্রার্থীদের ডেকেও মাত্র একদিনের মাথায় পিছিয়ে এল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। লৌহ ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৬৬: মুঘল সম্রাট শাহজাহানের মৃত্যু
১৮৯৭ - কবি, লেখক সঙ্গীতশিল্পী তথা সুরকার দিলীপকুমার রায়ের জন্ম
১৯০০ - টেলিপ্রিন্টার ও মাইক্রোফেনের উদ্ভাবক ডেভিট এ্যাডওয়ার্ড হিউজ।
১৯০১: রানি ভিক্টোরিয়ার মৃত্যু
১৯২৭ - প্রথমবারের মতো বেতারে ফুটবল খেলার ধারাবিবরণী প্রচার।
১৯৭২: অভিনেত্রী নম্রতা শিরোদকরের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.১২ টাকা ৭৩.৮৩ টাকা
পাউন্ড ৯৮.১২ টাকা ১০১.৫৯ টাকা
ইউরো ৮৬.৯৪ টাকা ৯০.১৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫০,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৭,৭২০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৮,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৭,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৭,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৮ মাঘ ১৪২৭, শুক্রবার, ২২ জানুয়ারি ২০২১, নবমী ৩০/১৮ রাত্রি ৬/৩০। ভরণী নক্ষত্র ৩০/৪৪ রাত্রি ৬/৪০। সূর্যোদয় ৬/২২/৩৩, সূর্যাস্ত ৫/১৩/৫১।  অমৃতযোগ দিবা ৭/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৮/৩২ গতে ১০/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১২/৫২ গতে ২/১৯ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৫৭ গতে ৮/৪৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে ৪/৩৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৯ গতে ১১/২১ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৭ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৯/৫ গতে ১১/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৩১ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৮ মাঘ ১৪২৭, শুক্রবার, ২২ জানুয়ারি ২০২১, নবমী রাত্রি ৫/৫৪। ভরণী নক্ষত্র রাত্রি ৬/৩৯। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/১৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৬ মধ্যে ও ৮/৩১ গতে ১০/৪৪ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ২/১৭ মধ্যে ও ৩/৫৭ গতে ৫/১৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৮ গতে ৮/৫১ মধ্যে ও ৩/৪৩ গতে ৪/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩৪ গতে ১১/২৫ মধ্যে ও ৪/৩৪ গতে ৬/২৬ মধ্যে। বারবেলা ৯/৮ গতে ১১/৪৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৩১ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৮ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বিহারের বারসোইতে বেলাইন মালগাড়ি, আটকে একাধিক দুরপাল্লার ট্রেন 

09:38:49 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গলকে ১-০ গোলে হারাল মুম্বই 

09:30:54 PM

বৈশালী ডালমিয়াকে বহিষ্কার করল তৃণমূল
শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কৃত বৈশালি ডালমিয়া। আজ, শুক্রবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের ...বিশদ

06:55:00 PM

ময়নাগুড়ির যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তরে চুরি, চাঞ্চল্য
গতকাল রাতে ময়নাগুড়ির যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তরে চুরির ঘটনায় ...বিশদ

04:55:05 PM

এক মিনিটের ব্যবধানে হাসপাতালে হাত ধরাধরি করেই মারা গেলেন করোনায় আক্রান্ত স্বামী-স্ত্রী
ভালোবাসার কাছে হার মানল করোনাও। প্রেমের গল্পে হাত ধরাধরি ...বিশদ

04:53:03 PM

সম্বর্ধিত ভারতীয় ক্রিকেট টিমের সদস্য কোলাঘাটের দয়ানন্দ
শুক্রবার সম্বর্ধনা দেওয়া হল ভারতীয় ক্রিকেট টিমের ম্যাসাজ থেরাপিস্ট কাম  ...বিশদ

04:41:00 PM