Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মহামারী, ভ্যাকসিন
এবং বিতর্ক
পি চিদম্বরম

মহামারী বিদায় নিচ্ছে বলে মনে হয়, তবে এখনও বিদায় হয়নি। ভ্যাকসিন আসছে বলে মনে হয়, তবে বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছয়নি। কিন্তু একটা জিনিস বরাবর একজায়গায় রয়ে গিয়েছে, সেটা হল বিতর্ক! 
৮ জানুয়ারি যখন এই নিবন্ধ লিখছি তখন কোভিড-১৯-এর ভয়াবহতাটা মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য কিছু সংখ্যা যথেষ্ট। সংক্রামিতের সংখ্যা ১ কোটি ৪ লক্ষ ১৪ হাজার ৪৪ (দ্বিতীয় স্থানে, মার্কিন যুক্তরাষ্টের পরেই)। মৃতের সংখ্যা ১ লক্ষ ৫০ হাজার ৬০৬ (তৃতীয় স্থানে, যুক্তরাষ্ট্র এবং ব্রাজিলের পরে)। সক্রিয় কেসের সংখ্যা ২ লক্ষ ২২ হাজার ৪১৬। আমাদের মোট জনসংখ্যা ১৩৮ কোটি। সেই বিচারে নিজেদেরকে ভাগ্যবান মনে করতে পারি আমরা। কিন্তু তাই বলে মহামারী নিয়ন্ত্রণ এবং ম্যানেজমেন্টের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত নিশ্চয় আমরা নই। 
সারা পৃথিবীতে অনুমোদিত ভ্যাকসিন ছয়টি। রাশিয়া এবং চীনের ভ্যাকসিনগুলো সম্পর্কে আমরা কিছু জানি না, যদিও সেগুলো তাদের দেশে ব্যাপকভাবে বণ্টন করা হচ্ছে। যত দূর জানি, অন্যকোনও স্বীকৃত নিয়ন্ত্রক সংস্থা রাশিয়ান কিংবা চীনা ভ্যাকসিনকে ব্যবহারের জন্য অনুমতি দেয়নি। 
চারটি ভ্যাকসিন, বিরাট সুযোগ
হাতে থাকছে চারটি। এক নম্বরে ফাইজারের তৈরি ভ্যাকসিন, যা যুক্তরাষ্ট্রের এফডিএ অনুমোদিত, বিজ্ঞানের জগতে এবং চিকিৎসক মহলে যেটা ‘গোল্ড স্ট্যান্ডার্ড’ বলে মান্যতা পাচ্ছে।  ট্রায়ালের আবশ্যিক তিনটি পর্বে ভ্যাকসিনের তিনটি জিনিস যাচাই করে নেওয়া  হয়ে গিয়েছে—প্রতিরোধ ক্ষমতা (ইমিউনোজেনিসিটি), কতটা নিরাপদ (সেফটি) আর কার্যকারিতা কেমন হবে (এফিসিয়েন্সি)। সমস্যা হল সংরক্ষণের শর্তাবলি (মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) এবং ভারতের জন্য দামটা (এখনও যা ঠিক হয়নি)। ফাইজার ইতিমধ্যেই ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার (ডিসিজিআই) কাছে ‘ইমারজেন্সি ইয়ু‌জ অ্যাপ্রুভাল’ চেয়ে আবেদন করেছে, কিন্তু তিন তিনবার সুযোগ পেয়েও তাদের কাজকর্ম নিয়ে ভারতীয় এক্সপার্ট কমিটির কাছে হাজির হয়নি। আমার অনুমান, তাদের ভ্যাকসিন ভারতের বাজারে বিপণন এবং বণ্টনে ফাইজার খুব একটা আগ্রহী নয়। কারণ তারা ধরে নিয়েছে যে এই ভ্যাকসিনের যা দাম তা ভারতের সামর্থ্যে কুলোবে না এবং ভ্যাকসিন সংরক্ষণের শর্তাবলিও ভারতের পক্ষে পূরণ করা কঠিন। যেহেতু ফাইজারের ভ্যাকসিনকে অনেক দেশ/নিয়ন্ত্রক সংস্থা ছাড়পত্র দিয়েছে এবং এটার চাহিদা বিশ্বজুড়ে তুঙ্গে, তাই হয়তো ফাইজার ভ্যাকসিন দেওয়ার অগ্রাধিকারের তালিকায় ভারতকে অনেক পিছনের সারিতে রেখেছে।  
দ্বিতীয় ভ্যাকসিনটা হল অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার। তাদের লাইসেন্স নিয়ে এটা ভারতের জন্য তৈরি করছে সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। আমরা গর্ব করতে পারি যে একটা ভারতীয় 
রিসার্চ-কাম-ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি কোভিশিল্ড নামের ভ্যাকসিন টেস্ট, প্রস্তুত ও বণ্টনের যোগ্য বিবেচিত হয়েছে। 
মডার্না’রটি হল তৃতীয়। এটা এখনও ভারতের অনুমোদনের জন্য আবেদন করেনি। 
অপ্রয়োজনীয় বিতর্ক
চতুর্থ ভ্যাকসিনটা হল বায়োটেকের কোভ্যাকসিন। সংস্থাটি তার কাজে বিদেশি গবেষক ও বিজ্ঞানীদের অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান ব্যবহার করে বটে, কোভ্যাকসিন ১০০ শতাংশ ভারতীয়। এটা ভারতের জন্য একটা গর্বের মুহূর্ত। ভ্যাকসিনের ছাড়পত্র দেওয়া নিয়ে অনাবশ্যক বিতর্কের কাদা ছিটানো হয়েছিল। গোড়াতেই ডিসিজিআই এবং সরকারের মুখপাত্রের (বিশেষ করে ডাঃ ভি কে পাল এবং ডাঃ বলরাম ভার্গব) তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া উচিত যে, কোভ্যাকসিনের ইমারজেন্সি ইয়ুজ অ্যাপ্রুভাল দেওয়া হয়েছিল বণ্টন তথা তৃতীয় দফার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য। এর ফলাফলের (বিশেষ করে কার্যকারিতার ফল) নিরিখেই পরবর্তী পর্যায়ে বণ্টন ও ব্যবহারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এটা সত্যি যে নামী বিজ্ঞানী, ভাইরোলজিস্ট, মাইক্রোবায়োলজিস্ট এবং ডাক্তারদের অনেকে ভ্যাকসিনের তড়িঘড়ি ছাড়পত্র দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁদের প্রশ্ন, ফেজ থ্রি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষ হওয়ার আগেই এই অনুমোদন দেওয়া হল কেন? বেপরো পরিস্থিতিতে বেপরোয়া সমাধানেরই প্রয়োজন। পরিমাণের দিক থেকে, ভারতের ভ্যাকসিনের প্রয়োজনটা বিপুল। এতটাই বেশি যে না সিরামের কোভিশিল্ড, না আমদানি করা ভ্যাকসিন—কারও পক্ষেই দ্রুত দেশজুড়ে সবাইকে দেওয়া তা সম্ভব হবে না। সম্ভাবনাময় জীবনদায়ী কাউকে বিকল্প হিসেবে প্রস্তুত রেখে দেওয়াই হবে বিবেচকের মতো কাজ। অতএব জরুরি প্রয়োজনের এই ‘ব্যাক-আপ’ ভ্যাকসিনের জন্য টেস্টিং প্রসেসটা দ্রুত সম্পূর্ণ করে রাখতে হবে। আমার ব্যক্তিগত অভিমত হল, আমরা যেন ডিসিজিআই এবং সরকারের প্রতি সহৃদয় থাকতে পারি। 
কোভ্যাকসিন ‘ক্ষতিকর’ এরকম কোনও প্রমাণ নেই। ট্রায়ালগুলোর মধ্যে দিয়ে এই ভ্যাকসিন তার ‘ইমিউনোজেনিসিটি’ এবং ‘সেফটি’র দিকটি নিশ্চিত করেছে। ‘এফিসিয়েন্সি’র ব্যাপারেও কোনও বিরূপ রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। সবাই মিলে আমাদের আশা করা উচিত যে, জানুয়ারির শেষদিকে কোভ্যাকসিনের তৃতীয় দফার ট্রায়াল সম্পূর্ণ হবে এবং মার্চের ভিতের তার ফলাফলের মূল্যায়ন সম্পন্ন হয়ে যাবে। তারপর আমরা দু’টো ভ্যাকসিন নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে কাজ করতে পারব। এমনকী, উন্নয়নশীল দেশগুলিতেও কিছু পরিমাণ ভ্যাকসিন রপ্তানি করতে পারব আমরা। এবং, এইভাবেই আমরা সেই গর্বের দেশগুলোর মধ্যে জায়গা করে নিতে পারব, যারা গবেষণা, আবিষ্কার, প্রস্তুত, বণ্টন এবং ভ্যাকসিনের ব্যবহার ১২ মাসের মধ্যে করতে সক্ষম হয়েছে। 
আমার মনে হয়, সিরাম ইনস্টিটিউট এবং বায়োটেকের মধ্যে একটা ব্যবসায়িক স্বার্থ চেতনার ব্যাপার ছিল। আদার পুনাওয়ালা এবং কৃষ্ণ এল্লা দিন দু’য়েকের ভিতরে খুব শান্তিপূর্ণভাবে সেসব মিটিয়ে নিয়েছেন এবং সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করার জন্য অঙ্গীকার করেছেন। সংস্থার লাভ বজায় রেখেও জনকল্যাণের জন্য এইভাবেই এগিয়ে আসতে হয় ‘ফ্রন্টলাইন’ কোম্পানিগুলোকে—বিশেষ করে ‘রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’ ক্ষেত্রে এটাই কাম্য। 
এবার শুরু হচ্ছে প্রকৃত পরীক্ষা
প্রকৃত পরীক্ষাটা এবারই শুরু হচ্ছে। ১৩৮ কোটি ভারতবাসীকে সরকার কীভাবে ভ্যাকসিন দেবে? এই সম্পর্কে কিছু মতামত:
১. অগ্রাধিকারের কিছু শ্রেণী অবশ্যই নির্দিষ্ট করে রাখতে হবে। কোনও অবস্থাতেই সেই ‘অর্ডার’ ভাঙা চলবে না। 
২. সরকারি হাসপাতাল এবং ভ্যাকসিন সেন্টার বা টিকাকরণ কেন্দ্রগুলি থেকে তা অবশ্যই বিনামূল্যে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এর জন্য কিছু দাম ধার্য করা হলে, মানুষকে পিছিয়ে যাওয়ার এবং দুর্নীতিরও রাস্তা দেখানো হবে। 
৪. যখন ভ্যাকসিনের জোগান বাড়বে তখন বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে টিকাকরণের কাজে শামিল করতে হবে। বেসরকারি হাসপাতালগুলো 
যদি ভ্যাকসিন কিনে নিতে আগ্রহী হয় এবং তার 
জন্য তাদের গ্রাহকদের কাছে দাম ধার্য করবে বলে, তখন দামটা সরকারকেই বেঁধে দিতে হবে। যেসব ব্যক্তির কিনে নেওয়ার সামর্থ্য রয়েছে ভ্যাকসিন তাদের কাছেই তারা বেচবে। 
৫. ভারতে প্রস্তুত ভ্যাকসিনকে আমরা যেমন 
অন্য দেশে রপ্তানির জন্য অনুমতি দিয়েছি, তেমনি আমাদের উচিত ছাড়পত্র পাওয়া ভ্যাকসিনের আমদানি অনুমোদন করা। বিশ্ব বাণিজ্যের ক্ষেত্রে প্রোটেকশনইজম বা সংরক্ষণবাদ একটা নিন্দিত তত্ত্ব এবং বিশেষ করে পৃথিবী যখন মহামারীর কবলে তখন এই নীতি কোনওভাবেই গ্রহণীয় হতে পারে না। 
৬. অজানা পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য আমাদের অবশ্যই তৈরি থাকতে হবে। সমাধান বের 
করার ব্যাপারে আমাদের বিজ্ঞানী এবং গবেষকদের উপর আমরা অবশ্যই আস্থা রাখব। শেষ বিচারে বিজ্ঞানেরই জয় হবে। 
 লেখক সংসদ সদস্য ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
11th  January, 2021
বাংলার তিন মনীষী
আত্মমর্যাদা শিখিয়েছেন
সমৃদ্ধ দত্ত

এখানে বিজেপির কে প্রার্থী হবেন এবং কে হবেন না সেই চূড়ান্ত সিলমোহর কোনও বাঙালি নেতা দেবেন? নাকি বাংলা বিজেপি স্রেফ লিস্ট তৈরি করে জমা দেবে দিল্লির নেতাদের কাছে? কাদের ক্ষমতা বেশি? এসব কি আত্মশক্তির লক্ষণ? বিশদ

দলভাঙানো রাজনীতি:
এ রাজ্যে নবতর সংযোজন

এই রাজ্যে দল ভাঙানোর অনৈতিক রাজনীতির যাঁরা প্রবর্তক, তাঁরা এখন হঠাৎ চিৎকার শুরু করলেন কেন? পাঁচিল ভেঙে পথ করেছে তৃণমূল। সেই পথ ধরেই বিজেপি আজ তৃণমূলের ঘর ভাঙছে।
বিশদ

21st  January, 2021
নবান্ন দখলের ভোট
ও প্রেশার পলিটিক্স
হারাধন চৌধুরী

বিজেপি নেতৃত্ব ভাবছে, নাটক আর প্রেশার পলিটিক্স দিয়েই হাঁড়ির হাল মেরামত করে ফেলবে। কিন্তু মাস্টার স্ট্রোকের পলিটিক্সে আজও যিনি অদ্বিতীয় সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বুঝিয়ে দিয়েছেন, নন্দীগ্রাম ভাঙিয়ে একটি পরিবারের রাজনীতিকে আর একপাও এগতে দেবেন না তিনি। বিশদ

20th  January, 2021
তৃণমূল বনাম তৃণমূল (বি)
শান্তনু দত্তগুপ্ত

হতে পারে বাংলার ভোট প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃত্ব কায়েমের অ্যাসিড টেস্ট। কিন্তু একুশ যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও প্রেস্টিজ ফাইট! দাঁড়িপাল্লার একদিকে কেন্দ্র, আর অন্যদিকে মমতার সরকারকে রাখলে উন্নয়ন এবং বেনিফিশিয়ারির নিরিখেই বিজেপি অনেক নীচে নেমে যাবে। বিশদ

19th  January, 2021
বাজেটের আগে অর্থমন্ত্রী
আরও বিভ্রান্ত করলেন
পি চিদম্বরম

যে-দেশে আমরা আজ বাস করছি সেটা দিনে দিনে অচেনা এবং বিস্ময়কর হয়ে যাচ্ছে। এটা খুব অবাক ব্যাপার নয় কি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত একটা সরকার তার পুরনো গোঁ ধরেই বসে থাকবে, বিশেষ করে দিল্লির ভয়ানক শীতের মধ্যেও কৃষকদের প্রতিবাদ আন্দোলন যখন ৫৬ দিনে পা দিয়েছে? বিশদ

18th  January, 2021
ভোটকে কলুষিত করলে
উচিত শিক্ষা দিতে হবে
হিমাংশু সিংহ

তৃণমূল ভাঙতে দশ মণ তেল পুড়িয়ে বিজেপি এখন বুঝতে পারছে শুধু অবিশ্বাসের উপর দাঁড়িয়ে বাংলা দখল প্রায় অসম্ভব! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুর্বল করা যাচ্ছে না। বিশদ

17th  January, 2021
ভোটের আগে ‘গাজর’ ঝোলানো
বিজেপির ট্র্যাডিশন
তন্ময় মল্লিক

ভোটের মুখে ‘গাজর’ ঝোলানোটা বিজেপির ট্র্যাডিশন। ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের জমা ‘বেআইনি অর্থ’ ফিরিয়ে এনে প্রত্যেককে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা বলেছিল বিজেপি। ‘গাজর’ ঝোলানোর সেই শুরু। এবার সোনার বাংলা ও কৃষি সম্মান নিধির ‘গাজর’। বিশদ

16th  January, 2021
ক’দিনের জন্য বাঙালি হওয়া যায় না
মৃণালকান্তি দাস

মাস কয়েকের জন্য রবীন্দ্রনাথ, রামমোহন, শ্রীচৈতন্য... বাংলার মনীষীরাই হয়ে উঠছেন গেরুয়া বাহিনীর প্রচারের অনুঘটক। এটা স্পষ্ট, ‘বহিরাগত’ তকমা ঘোচাতে বিজেপিকে নিরুপায় হয়েই বাংলার মনীষীদের আশ্রয় খুঁজতে হচ্ছে। বাংলার মনীষীরা কোন দলে, ভোট-হাওয়ায় সেই ধন্দ উস্কে দিতে চাইছে বিজেপি। বিশদ

15th  January, 2021
বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষা দেশের
জন্যও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ
জিষ্ণু বসু

বাঙালি ভারতের নবজাগরণের কাণ্ডারীর ভূমিকা পালন করেছে। জীবন্ত জাগ্রত ভারতাত্মার পূজাবেদি ছিল বাংলা। ১৮৮২ সালে ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র লিখলেন আনন্দমঠ উপন্যাস। বাঁধা হল ‘বন্দেমাতরম’ গান। দেশমাতৃকাকে দশপ্রহরণধারিণী দেবী দুর্গার সঙ্গে তুলনা করলেন সাহিত্যসম্রাট। বিশদ

14th  January, 2021
এই রাজ্যে মেয়েদের
ভোট ভাগ করা যাবে না
সন্দীপন বিশ্বাস

বিজেপি জানে, পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতা দখল করতে না পারলে তাদের সিএএ-এনআরসি সব ব্যর্থ হয়ে যাবে। সারা দেশে একজন ব্যক্তিত্বই তাঁদের সব ভুলভাল কাজকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে লড়াই জারি রাখতে পারেন। তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির কাছে মমতা নামটাই জুজুর মতো। বিশদ

13th  January, 2021
বিজেপির প্রচারে স্বামীজি
আছেন, কিন্তু অনুসরণে...?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

স্বামীজি বলতেন, ‘এমন ধর্ম চাই, যার মূল মন্ত্র হবে মানবপ্রেম। এমন ধর্ম চাই, যা মানুষকে, বিশেষ করে অবহেলিত, পদদলিত মানুষকে প্রত্যক্ষ মানুষ বলে প্রচার করবে। খালি পেটে ধর্ম হয় না। ক্ষুধার্ত মানুষের কাছে ধর্ম বা ঈশ্বর অর্থহীন।’ নাঃ... যে পরিব্রাজক এমন কথা বলতে পারেন, তাঁকে বিজেপি অন্তত অনুসরণ করে না। বিশদ

12th  January, 2021
বিবেকানন্দের স্বপ্নের
বাংলা আবার গঠিত হবে
জগৎপ্রকাশ নাড্ডা

এক নতুন ভারতবর্ষের স্বপ্ন দেখেছিলেন স্বামীজি, যেখানে দারিদ্র্যের মোচন এবং চেতনার উন্মেষ ঘটবে। এই কাজে প্রয়োজন বিপুল পরিমাণ যুবশক্তি। বিশদ

12th  January, 2021
একনজরে
মদ্যপ অবস্থায় স্ত্রীকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে খুন করল স্বামী। বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে সন্দেশখালির শীতলিয়া গ্রামে। পুলিস জানায়, মৃতের নাম সবিতা সর্দার (৩২)। তাঁর স্বামী তপন সর্দারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ...

শনিবার অসমে জমির পাট্টা বিলির সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এক লক্ষের বেশি ভূমিহীনকে পাট্টা দেওয়ার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে অসম সরকার। বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনেওয়াল জানিয়েছেন, ‘দশকের পর দশক ধরে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ নিয়ে বেঁচে রয়েছেন বহু মানুষ। ...

ভোট ঘোষণা না হলেও রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। ভোট প্রচারের প্রস্তুতি হিসেবে অনেকে আগে থেকেই দেওয়াল দখল শুরু করেছে তৃণমূল। ...

অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে একাধিকবার বর্ণবৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। গ্যালারি থেকে কখনও শুনতে হয়েছে ‘ব্রাউন মাঙ্কি’, কখনও বা ‘গ্রাব’ গোছের গালমন্দ। তবু লক্ষ্যভ্রষ্ট হননি মহম্মদ সিরাজ। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। লৌহ ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৬৬: মুঘল সম্রাট শাহজাহানের মৃত্যু
১৮৯৭ - কবি, লেখক সঙ্গীতশিল্পী তথা সুরকার দিলীপকুমার রায়ের জন্ম
১৯০০ - টেলিপ্রিন্টার ও মাইক্রোফেনের উদ্ভাবক ডেভিট এ্যাডওয়ার্ড হিউজ।
১৯০১: রানি ভিক্টোরিয়ার মৃত্যু
১৯২৭ - প্রথমবারের মতো বেতারে ফুটবল খেলার ধারাবিবরণী প্রচার।
১৯৭২: অভিনেত্রী নম্রতা শিরোদকরের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.১২ টাকা ৭৩.৮৩ টাকা
পাউন্ড ৯৮.১২ টাকা ১০১.৫৯ টাকা
ইউরো ৮৬.৯৪ টাকা ৯০.১৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫০,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৭,৭২০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৮,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৭,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৭,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৮ মাঘ ১৪২৭, শুক্রবার, ২২ জানুয়ারি ২০২১, নবমী ৩০/১৮ রাত্রি ৬/৩০। ভরণী নক্ষত্র ৩০/৪৪ রাত্রি ৬/৪০। সূর্যোদয় ৬/২২/৩৩, সূর্যাস্ত ৫/১৩/৫১।  অমৃতযোগ দিবা ৭/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৮/৩২ গতে ১০/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১২/৫২ গতে ২/১৯ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৫৭ গতে ৮/৪৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে ৪/৩৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৯ গতে ১১/২১ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৭ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৯/৫ গতে ১১/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৩১ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৮ মাঘ ১৪২৭, শুক্রবার, ২২ জানুয়ারি ২০২১, নবমী রাত্রি ৫/৫৪। ভরণী নক্ষত্র রাত্রি ৬/৩৯। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/১৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৬ মধ্যে ও ৮/৩১ গতে ১০/৪৪ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ২/১৭ মধ্যে ও ৩/৫৭ গতে ৫/১৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৮ গতে ৮/৫১ মধ্যে ও ৩/৪৩ গতে ৪/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩৪ গতে ১১/২৫ মধ্যে ও ৪/৩৪ গতে ৬/২৬ মধ্যে। বারবেলা ৯/৮ গতে ১১/৪৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৩১ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৮ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বিহারের বারসোইতে বেলাইন মালগাড়ি, আটকে একাধিক দুরপাল্লার ট্রেন 

09:38:49 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গলকে ১-০ গোলে হারাল মুম্বই 

09:30:54 PM

বৈশালী ডালমিয়াকে বহিষ্কার করল তৃণমূল
শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কৃত বৈশালি ডালমিয়া। আজ, শুক্রবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের ...বিশদ

06:55:00 PM

ময়নাগুড়ির যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তরে চুরি, চাঞ্চল্য
গতকাল রাতে ময়নাগুড়ির যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তরে চুরির ঘটনায় ...বিশদ

04:55:05 PM

এক মিনিটের ব্যবধানে হাসপাতালে হাত ধরাধরি করেই মারা গেলেন করোনায় আক্রান্ত স্বামী-স্ত্রী
ভালোবাসার কাছে হার মানল করোনাও। প্রেমের গল্পে হাত ধরাধরি ...বিশদ

04:53:03 PM

সম্বর্ধিত ভারতীয় ক্রিকেট টিমের সদস্য কোলাঘাটের দয়ানন্দ
শুক্রবার সম্বর্ধনা দেওয়া হল ভারতীয় ক্রিকেট টিমের ম্যাসাজ থেরাপিস্ট কাম  ...বিশদ

04:41:00 PM