Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

বিজেপির প্রচারে স্বামীজি
আছেন, কিন্তু অনুসরণে...?
শান্তনু দত্তগুপ্ত

স্বামীজি তখন গাজিপুরে। শুনলেন, অসুস্থ স্বামী অভেদানন্দ। এক মুহূর্ত দেরি করলেন না পরিব্রাজক... করতে পারলেন না। ছুটে গেলেন কাশী। সেখানেই খবর পেলেন, শ্রীরামকৃষ্ণের খুব কাছের গৃহীভক্ত বলরাম বসুর প্রয়াণ হয়েছে। শুনে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি স্বামীজি। তখন প্রমদাদাস মিত্র তাঁকে বলেছিলেন, ‘সন্ন্যাসীর পক্ষে এরকম শোক প্রকাশ করা উচিত নয়।’ স্বামীজির উত্তর ছিল, ‘বলেন কী? সন্ন্যাসী হয়েছি বলে হৃদয়টা বিসর্জন দেব?... যে সন্ন্যাসে হৃদয় পাষাণ করতে শিক্ষা দেয়, আমি সে সন্ন্যাস গ্রাহ্য করি না।’
সন্ন্যাস... গেরুয়া রং... যা আভরণ ছিল স্বামী বিবেকানন্দের। রংটা এক থাকলেও আজ ব্যাপারটা আবরণ হয়ে গিয়েছে। সোজা ভাষায় মোড়ক, ছদ্মবেশ। যার সঙ্গে হৃদয়ের কোনও সম্পর্ক নেই। 
‘হৃদয়টাকে বিসর্জন’ দিলে গেরুয়াধারী আর সন্ন্যাসী থাকেন না... জীবন দিয়ে, কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে যা মাত্র ৩৯ বছরেই প্রমাণ করেছিলেন নরেন্দ্রনাথ দত্ত। আজ আরও এক নরেন্দ্রর জমানা... নরেন্দ্র মোদি। স্বামীজিকে বারবার কথায় বার্তায় টেনে আনেন তিনি... তাঁর পরিব্রাজক সত্ত্বাকে, কর্মযোগকে, বাণীকে...। কিন্তু আত্মস্থ করেন কি? এ এক জটিল প্রশ্ন, যার উত্তর বছর বছর খুঁজে বেড়াচ্ছেন বোধবুদ্ধিসম্পন্ন তামাম ভারতবাসী। এখন সেই উত্তর খোঁজার ভার পড়েছে স্বামীজিরই রাজ্যবাসীর কাঁধে। বাংলার হাওয়ায় এখন ভোট ভোট গন্ধ। তাই নাকি এখানে এখন মোদি হাওয়া বইছে। গত দু’টি লোকসভা নির্বাচনের আশপাশ দিয়ে দেশের বাকি অংশে যেমনটা বয়েছিল, ঠিক তেমন কিন্তু নয়! সেবার দেশবাসী অনুভব করেছিল, ‘হ্যাঁ কিছু একটা হচ্ছে বটে’। বাংলায় তেমনটা হচ্ছে না। বঙ্গে হাওয়া বইছে কানে কানে। ফিসফিসিয়ে। 
এ এক মজার কৌশল! কতকটা ভাড়া করা স্যুট-বুট পরে রাস্তায় বেরনোর মতো। মাথার ছাদ নেই তো কী, লোকের চোখ টাটিয়েই আনন্দ! বাংলায় বিজেপির নিজস্ব ভোটব্যাঙ্ক এখনও দুগ্ধপোষ্য স্তরে। ভরসা বলতে বাম-সিপিএমের পাল্টিবাজ ভোট এবং তৃণমূলের কিছু ছিদ্রান্বেষী গোষ্ঠীবাজ। এর জোরেই ‘হাওয়া হাওয়া’ জিগির তুলে বাংলা দখলের মরিয়া চেষ্টা চলছে। দল ভাঙানোর খেলায় আপাতত বঙ্গভূমি সরগরম। নিন্দুকে অবশ্য বলছে, ভোটের আগে তৃণমূল ভাঙানোর হিড়িকের পিছনে অন্য গল্প আছে। সেটা কী? আসলে বিজেপির কোমরে জোরটাই নেই। তাই এখান ওখান থেকে ধার করে কোমর বাঁধার চেষ্টাচরিত্র চলছে। দিল্লি দরবারের নেতামন্ত্রীরা আসছেন... বলে যাচ্ছেন, আমরা দুশো সিট পাব। সত্যি? সংশয়টা কিন্তু আদি বিজেপির অন্দরেই ঘোরাফেরা করছে। ঘনিষ্ঠ মহলে তাঁরাই বলছেন, ২০০ আসন একটু বাড়াবাড়ি লাগছে। তাও তাঁরা গলা মেলাচ্ছেন, চায়ে পে চর্চা করছেন, তারপর দিনের শেষে বসছেন অঙ্ক কষতে... কোন জেলায় কত আসন পাওয়া যেতে পারে। রাজ্যের ‘আদি’ বিজেপি নেতাদের মধ্যে দিলীপ ঘোষ ছাড়া কারও মধ্যে এখনও সেই তেড়েফুঁড়ে ওঠার লক্ষণ কিন্তু দেখা যাচ্ছে না! দিলীপবাবু গেরুয়া শিবিরের একনিষ্ঠ সৈনিক। সঙ্ঘের কঠোর অনুশাসনের ছাতা মাথায় নিয়ে ভোট রাজনীতিতে হাত পাকিয়েছেন। তাঁকে যদি কাল বলা হয়, আপনাকে বাংলার ভোট রাজনীতিতে আর দরকার নেই, তিনি সেই ছাতা মাথায় দিয়েই নিঃশব্দে ফিরে যাবেন। কিন্তু কামানেওয়ালা নেতা-কর্মীরা। যে কোনও রাজনৈতিক দলেই এই শ্রেণীর সংখ্যা এবং ভূমিকা, দুইই উল্লেখযোগ্য। তাঁরা হিসেব কষছেন এবং কষবেন...  কী পেলাম, কী দিলাম, আর তৃণমূল থেকে এসে কী হারালাম। 
এই হিসেবটা অবশ্য এখন তৃণমূলেই বেশি। যাঁরা একটা সময় ‘কিছু’ পাওয়ার এবং করেকম্মে খাওয়ার আশায় শাসক দলে ভিড় বাড়িয়েছিলেন, তাঁরা এখন ব্ল্যাকমেল করছেন... শীর্ষ নেতৃত্বকে। টিকিট না দিলেই বিজেপি চলে যাব। এই প্রবণতা এখন তৃণমূলে জটিল পরিস্থিতি তৈরি করেছে। প্রত্যেক জেলাতেই এই টিকিটপ্রার্থীদের গোষ্ঠী উঁকিঝুঁকি মারছে। সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন প্রায় সবটাই জানেন। আর তাই তিনিও কোমর বেঁধেছেন। প্রশাসনের পাশাপাশি দলের সংগঠনও আজ তাঁর সরাসরি নজরদারির আওতায়। তাঁর সাফ কথা, যাঁরা চলে যাচ্ছে যাক। এখনই যাক। তাহলেই ভালো হবে। ভোটের সময় পিছন থেকে ছুরি মারার কেউ থাকবে না। খেটে জয় উপার্জন করতে পারলে সেটাই হবে নিষ্কলঙ্ক পাওনা। বিজেপি বাংলায় কোনওদিনই সেভাবে ছিল না। এখনও শিবরাত্রির সলতের সঙ্গেই শুধু গেরুয়া শিবিরকে তুলনা করা যায়। অর্থাৎ, তাদের হারানোর কিছু নেই। যা পাবে, সেটাই বোনাস। ঘায়েল করতে হবে শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেই চেষ্টাই চলছে... কানে কানে। হুইসপারিং ক্যাম্পেনের মাধ্যমে। শুধু মুখ্যমন্ত্রী এবং ভাইপো রাজনীতি। বিজেপি জানে, এটাই পারে তাদের ডিভিডেন্ড দিতে। আর তো ‘ধর্ম’ রয়েইছে।
‘কুসংস্কার মানুষের শত্রু বটে, কিন্তু ধর্মান্ধতা আরও খারাপ।’
স্বামীজির অনেক বাণীই নরেন্দ্র মোদি উল্লেখ করেন। কিন্তু ধর্ম সম্পর্কে এই সারসত্যটা তিনি সযত্নে এড়িয়ে যান। স্বামীজির সবকিছু ‘ফলো’ করলে বিজেপি আর যাই হোক, সাম্প্রদায়িক রাজনীতির মোড়কটাকে একেবারেই ধরে রাখতে পারবে না। ভারতে যে এখনও ভোটের সময় ধর্ম বিক্রি হয়, সেটা প্রায় সবাই জানে। কিন্তু বিজেপি সবচেয়ে ভালো জানে, এই তত্ত্বটিকে ভোট রাজনীতিতে কীভাবে ব্যবহার করতে হয়... যেখানে যেমন প্রয়োজন। উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশে কয়েকটা শব্দ বেশিরকম শোনা যায়... ‘লাভ জেহাদ’, ‘ঘর ওয়াপসি’। মূলত ভারতের গো-বলয়ে এখনও জাতপাত, ধর্মের নামে রাজনীতিটা পাবলিক বেশি খায়। অন্য ধর্ম, 
নিচু জাতের হাতে জল খেলে হয়তো ওখানে কারও কারও গায়ে চাকা চাকা দাগ পড়ে যায়। তাই বিজেপির এই রাজনীতিটা ওখানে হিট। পশ্চিমবঙ্গে সেটা চলবে না। তাই এখানে অন্য অঙ্ক আছে। কট্টর মুসলিম পার্টিগুলি এনডিএর শরিক না হতে পারে, কিন্তু বিজেপির সঙ্গী হতে আপত্তি কোথায়! তাই আপাতত বাংলার বাজারে এসেছে মিম। উর্দুভাষী মুসলিমদের সমর্থন চায় তারা। লড়তে চায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনেও। কিন্তু বাংলার মাটিতে উর্দুভাষী মুসলিমের সংখ্যা কত? খুব বেশি হলে ২০ লক্ষ! তাঁদের সবাই আবার ভোট দেন না। তাহলে কী ভরসায় মিম বাংলার মাটিতে তাল ঠুকবে? ভরসা আছে... মুসলিম ‘মহাজোট’। সব মুসলিম সংগঠনকে এক ছাতার তলায় আনতে চায় তারা। কিন্তু শুধু মুসলিম কোথায়? দলিত, তফসিলি সংগঠনগুলির সঙ্গেও যে তারা বৈঠক করছে! তাহলে এই মুসলিম মহাজোটের ধাপ্পা দেওয়ার মানেটা কী? সোজা কথায়, তারা চাইছে তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসাতে। অর্থাৎ মোদি জনতা পার্টির সুবিধা করে দেওয়া। সিপিএমের ভোট, মুসলিম ভোট, দলিত ভোট... কাটাকুটি হলে বেশিরভাগটাই যাবে তৃণমূলের ভাঁড়ার থেকে। আর শেষ পর্যন্ত লাভ হবে বিজেপির। সবটাই অঙ্ক। স্বামীজি কি এই অঙ্ক শিখিয়ে গিয়েছিলেন?
স্বামীজি বলতেন, ‘এমন ধর্ম চাই, যার মূল মন্ত্র হবে মানবপ্রেম। এমন ধর্ম চাই, যা মানুষকে, বিশেষ করে অবহেলিত, পদদলিত মানুষকে প্রত্যক্ষ মানুষ বলে প্রচার করবে। খালি পেটে ধর্ম হয় না। ক্ষুধার্ত মানুষের কাছে ধর্ম বা ঈশ্বর অর্থহীন।’ নাঃ... যে পরিব্রাজক এমন কথা বলতে পারেন, তাঁকে বিজেপি অন্তত অনুসরণ করে না। করতে পারে না। মানুষের স্বার্থে রাজনীতি নয়, ধর্ম নয়... সবটাই ভোটের স্বার্থে। ক্ষমতার দামামা বাজানোর আকাঙ্ক্ষায়। এখন যা সীমাবদ্ধ হয়েছে বাংলা দখলের রাজনীতিতে। তিনি বলেছিলেন, ‘যেখানেই দেখিবে কোনও অলৌকিক পবিত্রতা ও অসামান্য শক্তি মানুষকে উন্নত ও পবিত্র করিতেছে, জানিও সেখানে আমারই বহিঃপ্রকাশ।’ বিজেপির রাজনীতিতে শক্তি আছে, মানুষকে বিস্মিত করে দেওয়ার মতো ‘অলৌকিক’ সংখ্যাগরিষ্ঠতার কর্মকাণ্ডও আছে। কিন্তু পবিত্রতা ও মানুষকে উন্নত করার প্রয়াস?... দেখি নাই তারে। 
12th  January, 2021
বাংলার তিন মনীষী
আত্মমর্যাদা শিখিয়েছেন
সমৃদ্ধ দত্ত

এখানে বিজেপির কে প্রার্থী হবেন এবং কে হবেন না সেই চূড়ান্ত সিলমোহর কোনও বাঙালি নেতা দেবেন? নাকি বাংলা বিজেপি স্রেফ লিস্ট তৈরি করে জমা দেবে দিল্লির নেতাদের কাছে? কাদের ক্ষমতা বেশি? এসব কি আত্মশক্তির লক্ষণ? বিশদ

দলভাঙানো রাজনীতি:
এ রাজ্যে নবতর সংযোজন

এই রাজ্যে দল ভাঙানোর অনৈতিক রাজনীতির যাঁরা প্রবর্তক, তাঁরা এখন হঠাৎ চিৎকার শুরু করলেন কেন? পাঁচিল ভেঙে পথ করেছে তৃণমূল। সেই পথ ধরেই বিজেপি আজ তৃণমূলের ঘর ভাঙছে।
বিশদ

21st  January, 2021
নবান্ন দখলের ভোট
ও প্রেশার পলিটিক্স
হারাধন চৌধুরী

বিজেপি নেতৃত্ব ভাবছে, নাটক আর প্রেশার পলিটিক্স দিয়েই হাঁড়ির হাল মেরামত করে ফেলবে। কিন্তু মাস্টার স্ট্রোকের পলিটিক্সে আজও যিনি অদ্বিতীয় সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বুঝিয়ে দিয়েছেন, নন্দীগ্রাম ভাঙিয়ে একটি পরিবারের রাজনীতিকে আর একপাও এগতে দেবেন না তিনি। বিশদ

20th  January, 2021
তৃণমূল বনাম তৃণমূল (বি)
শান্তনু দত্তগুপ্ত

হতে পারে বাংলার ভোট প্রধানমন্ত্রীর কর্তৃত্ব কায়েমের অ্যাসিড টেস্ট। কিন্তু একুশ যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও প্রেস্টিজ ফাইট! দাঁড়িপাল্লার একদিকে কেন্দ্র, আর অন্যদিকে মমতার সরকারকে রাখলে উন্নয়ন এবং বেনিফিশিয়ারির নিরিখেই বিজেপি অনেক নীচে নেমে যাবে। বিশদ

19th  January, 2021
বাজেটের আগে অর্থমন্ত্রী
আরও বিভ্রান্ত করলেন
পি চিদম্বরম

যে-দেশে আমরা আজ বাস করছি সেটা দিনে দিনে অচেনা এবং বিস্ময়কর হয়ে যাচ্ছে। এটা খুব অবাক ব্যাপার নয় কি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত একটা সরকার তার পুরনো গোঁ ধরেই বসে থাকবে, বিশেষ করে দিল্লির ভয়ানক শীতের মধ্যেও কৃষকদের প্রতিবাদ আন্দোলন যখন ৫৬ দিনে পা দিয়েছে? বিশদ

18th  January, 2021
ভোটকে কলুষিত করলে
উচিত শিক্ষা দিতে হবে
হিমাংশু সিংহ

তৃণমূল ভাঙতে দশ মণ তেল পুড়িয়ে বিজেপি এখন বুঝতে পারছে শুধু অবিশ্বাসের উপর দাঁড়িয়ে বাংলা দখল প্রায় অসম্ভব! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দুর্বল করা যাচ্ছে না। বিশদ

17th  January, 2021
ভোটের আগে ‘গাজর’ ঝোলানো
বিজেপির ট্র্যাডিশন
তন্ময় মল্লিক

ভোটের মুখে ‘গাজর’ ঝোলানোটা বিজেপির ট্র্যাডিশন। ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের আগে সুইস ব্যাঙ্কে ভারতীয়দের জমা ‘বেআইনি অর্থ’ ফিরিয়ে এনে প্রত্যেককে ১৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা বলেছিল বিজেপি। ‘গাজর’ ঝোলানোর সেই শুরু। এবার সোনার বাংলা ও কৃষি সম্মান নিধির ‘গাজর’। বিশদ

16th  January, 2021
ক’দিনের জন্য বাঙালি হওয়া যায় না
মৃণালকান্তি দাস

মাস কয়েকের জন্য রবীন্দ্রনাথ, রামমোহন, শ্রীচৈতন্য... বাংলার মনীষীরাই হয়ে উঠছেন গেরুয়া বাহিনীর প্রচারের অনুঘটক। এটা স্পষ্ট, ‘বহিরাগত’ তকমা ঘোচাতে বিজেপিকে নিরুপায় হয়েই বাংলার মনীষীদের আশ্রয় খুঁজতে হচ্ছে। বাংলার মনীষীরা কোন দলে, ভোট-হাওয়ায় সেই ধন্দ উস্কে দিতে চাইছে বিজেপি। বিশদ

15th  January, 2021
বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষা দেশের
জন্যও ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ
জিষ্ণু বসু

বাঙালি ভারতের নবজাগরণের কাণ্ডারীর ভূমিকা পালন করেছে। জীবন্ত জাগ্রত ভারতাত্মার পূজাবেদি ছিল বাংলা। ১৮৮২ সালে ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র লিখলেন আনন্দমঠ উপন্যাস। বাঁধা হল ‘বন্দেমাতরম’ গান। দেশমাতৃকাকে দশপ্রহরণধারিণী দেবী দুর্গার সঙ্গে তুলনা করলেন সাহিত্যসম্রাট। বিশদ

14th  January, 2021
এই রাজ্যে মেয়েদের
ভোট ভাগ করা যাবে না
সন্দীপন বিশ্বাস

বিজেপি জানে, পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতা দখল করতে না পারলে তাদের সিএএ-এনআরসি সব ব্যর্থ হয়ে যাবে। সারা দেশে একজন ব্যক্তিত্বই তাঁদের সব ভুলভাল কাজকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে লড়াই জারি রাখতে পারেন। তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির কাছে মমতা নামটাই জুজুর মতো। বিশদ

13th  January, 2021
বিবেকানন্দের স্বপ্নের
বাংলা আবার গঠিত হবে
জগৎপ্রকাশ নাড্ডা

এক নতুন ভারতবর্ষের স্বপ্ন দেখেছিলেন স্বামীজি, যেখানে দারিদ্র্যের মোচন এবং চেতনার উন্মেষ ঘটবে। এই কাজে প্রয়োজন বিপুল পরিমাণ যুবশক্তি। বিশদ

12th  January, 2021
মহামারী, ভ্যাকসিন
এবং বিতর্ক
পি চিদম্বরম

মহামারী বিদায় নিচ্ছে বলে মনে হয়, তবে এখনও বিদায় হয়নি। ভ্যাকসিন আসছে বলে মনে হয়, তবে বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছয়নি। কিন্তু একটা জিনিস বরাবর একজায়গায় রয়ে গিয়েছে, সেটা হল বিতর্ক! বিশদ

11th  January, 2021
একনজরে
তড়িঘড়ি করে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগের ইন্টারভিউ নিতে গিয়ে বিতর্কে জড়াল কর্তৃপক্ষ। ইন্টারভিউয়ের জন্য প্রার্থীদের ডেকেও মাত্র একদিনের মাথায় পিছিয়ে এল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ...

চলতি আর্থিক বছরের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে ২৬ শতাংশ ব্যবসা বাড়াল বন্ধন ব্যাঙ্ক। গত আর্থিক বছরের ওই সময়ের নিরিখে এই বৃদ্ধি হয়েছে। ডিসেম্বর শেষে ব্যাঙ্কের ঋণ ও জমা মিলিয়ে মোট অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ১.৫১ লক্ষ কোটি টাকা। ...

কয়লাকাণ্ডে ফের সিবিআইয়ের জেরার মুখোমুখি হলেন তৃণমূল যুব নেতা বিনয় মিশ্রের ভাই। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ বিকাশ মিশ্র সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দেন। তাঁকে দীর্ঘ ছ’ঘণ্টা জেরার পর ছাড়া হয়। ...

অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে একাধিকবার বর্ণবৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। গ্যালারি থেকে কখনও শুনতে হয়েছে ‘ব্রাউন মাঙ্কি’, কখনও বা ‘গ্রাব’ গোছের গালমন্দ। তবু লক্ষ্যভ্রষ্ট হননি মহম্মদ সিরাজ। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে আগ্রহ বাড়বে। তবে তা বাস্তবায়িত হওয়াতে সমস্যা আছে। লৌহ ও ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৬৬৬: মুঘল সম্রাট শাহজাহানের মৃত্যু
১৮৯৭ - কবি, লেখক সঙ্গীতশিল্পী তথা সুরকার দিলীপকুমার রায়ের জন্ম
১৯০০ - টেলিপ্রিন্টার ও মাইক্রোফেনের উদ্ভাবক ডেভিট এ্যাডওয়ার্ড হিউজ।
১৯০১: রানি ভিক্টোরিয়ার মৃত্যু
১৯২৭ - প্রথমবারের মতো বেতারে ফুটবল খেলার ধারাবিবরণী প্রচার।
১৯৭২: অভিনেত্রী নম্রতা শিরোদকরের জন্ম



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.১২ টাকা ৭৩.৮৩ টাকা
পাউন্ড ৯৮.১২ টাকা ১০১.৫৯ টাকা
ইউরো ৮৬.৯৪ টাকা ৯০.১৫ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫০,৩০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৭,৭২০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৮,৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৭,৫০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৭,৬০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৮ মাঘ ১৪২৭, শুক্রবার, ২২ জানুয়ারি ২০২১, নবমী ৩০/১৮ রাত্রি ৬/৩০। ভরণী নক্ষত্র ৩০/৪৪ রাত্রি ৬/৪০। সূর্যোদয় ৬/২২/৩৩, সূর্যাস্ত ৫/১৩/৫১।  অমৃতযোগ দিবা ৭/৫৯ মধ্যে পুনঃ ৮/৩২ গতে ১০/৪৩ মধ্যে পুনঃ ১২/৫২ গতে ২/১৯ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৫ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/৫৭ গতে ৮/৪৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৪৪ গতে ৪/৩৭ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৯ গতে ১১/২১ মধ্যে পুনঃ ৪/৩৭ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৯/৫ গতে ১১/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৩১ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৮ মাঘ ১৪২৭, শুক্রবার, ২২ জানুয়ারি ২০২১, নবমী রাত্রি ৫/৫৪। ভরণী নক্ষত্র রাত্রি ৬/৩৯। সূর্যোদয় ৬/২৬, সূর্যাস্ত ৫/১৩। অমৃতযোগ দিবা ৭/৪৬ মধ্যে ও ৮/৩১ গতে ১০/৪৪ মধ্যে ও ১২/৫৮ গতে ২/১৭ মধ্যে ও ৩/৫৭ গতে ৫/১৩ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৮ গতে ৮/৫১ মধ্যে ও ৩/৪৩ গতে ৪/৩৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩৪ গতে ১১/২৫ মধ্যে ও ৪/৩৪ গতে ৬/২৬ মধ্যে। বারবেলা ৯/৮ গতে ১১/৪৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৩১ গতে ১০/১০ মধ্যে। 
৮ জমাদিয়স সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
বিহারের বারসোইতে বেলাইন মালগাড়ি, আটকে একাধিক দুরপাল্লার ট্রেন 

09:38:49 PM

আইএসএল: ইস্ট বেঙ্গলকে ১-০ গোলে হারাল মুম্বই 

09:30:54 PM

বৈশালী ডালমিয়াকে বহিষ্কার করল তৃণমূল
শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কৃত বৈশালি ডালমিয়া। আজ, শুক্রবার সন্ধ্যায় তৃণমূলের ...বিশদ

06:55:00 PM

ময়নাগুড়ির যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তরে চুরি, চাঞ্চল্য
গতকাল রাতে ময়নাগুড়ির যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তরে চুরির ঘটনায় ...বিশদ

04:55:05 PM

এক মিনিটের ব্যবধানে হাসপাতালে হাত ধরাধরি করেই মারা গেলেন করোনায় আক্রান্ত স্বামী-স্ত্রী
ভালোবাসার কাছে হার মানল করোনাও। প্রেমের গল্পে হাত ধরাধরি ...বিশদ

04:53:03 PM

সম্বর্ধিত ভারতীয় ক্রিকেট টিমের সদস্য কোলাঘাটের দয়ানন্দ
শুক্রবার সম্বর্ধনা দেওয়া হল ভারতীয় ক্রিকেট টিমের ম্যাসাজ থেরাপিস্ট কাম  ...বিশদ

04:41:00 PM