Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

রেলগাড়ি ঝমা ঝম
কাকলি দেবনাথ 

পিয়ানোর সুরেলা টুং টাং আওয়াজ। রান্না ছেড়ে দৌড়ে গিয়ে মোবাইলটা দেখলাম।
তিতাসের মেসেজ— তা হলে আমি অনলাইনে টিকিট কেটে নিচ্ছি?
রিমার মেসেজ ঢুকে পড়েছে— আরে না, না। এতদিন পরে দেখা হবে, ছোটবেলার মত শুধু খাব আর গল্প করব। সিনেমা দেখে ফালতু সময় নষ্ট করব না।
আমি টাইপ করলাম— কোথায় মিট করব আমরা?
রিমার পছন্দ কোয়েস্ট মল, আমার নন্দন। তবে, তিতাসের শপিং মল এক্কেবারে না-পসন্দ। ওর ইচ্ছে ইকো পার্ক।
শেষ পর্যন্ত অনেক জল্পনা কল্পনার পর ঠিক হল, যে যার মতো আগে নিউ মার্কেটে চলে যাব। তারপর ওখানে গিয়ে ডিসাইড করব, সারাদিন আমরা কীভাবে কাটাব।
রিমা, আমি আর তিতাস। তিন বান্ধবী। গ্রামের প্রাইমারি স্কুল থেকে একসঙ্গে বড় হয়ে ওঠা। স্কুলে একসঙ্গে টিফিন ভাগ করে খাওয়া, কিতকিত, মুরগি লড়াই, খো খো খেলা। ক্লাসে এক বেঞ্চে বসে বকবক করার জন্য কতবার তিনজনকে ক্লাস থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। ওই রকম শাস্তি পেয়ে আমাদের তো তখন খুব আনন্দ হতো। পরে পরে অবশ্য আমাদের তিনজনকে একসঙ্গে কোনও শাস্তি দেওয়া হতো না। একজনকে ক্লাসের বাইরে পাঠানো হতো তো অন্যজনকে কান ধরে দাঁড় করিয়ে দেওয়া হতো। আর একজনকে মিসের সামনে নিলডাউন করে দেওয়া হতো। কৈশোর পার করে যৌবনে পা রাখার মুহূর্তের পরিবর্তনগুলো একে অপরের সঙ্গে ভাগ করে নিতাম আমরা। না, কখনও লজ্জা বা বিরক্ত লাগেনি। মনে হয়েছে এটাই স্বাভাবিক। বরং ওদের কাছে কিছু লুকোলে কেমন অপরাধ বোধে ভুগতাম। তিনজনের মধ্যে ঝগড়া যে হতো না তা নয়। তবে তা কখনই দীর্ঘস্থায়ী হতো না। যতক্ষণে ওদের কাছে মনের সব কথা উজাড় করে বলতে না পারতাম, ততক্ষণ শান্তি হতো না। যখন উচ্চমাধ্যমিক পাশ করলাম। রিমা আমাদের থেকে অনেক ভালো রেজাল্ট করল। ইচ্ছে করলেই কলকাতার কোনও নামী কলেজে পড়তে পারত। ওর মা-বাবারও সেই রকমই ইচ্ছে ছিল। কিন্তু রিমা জেদ ধরে বসল, ‘আমি তোদের কলেজেই পড়ব, না হলে পড়া ছেড়ে দেব।’ শেষ পর্যন্ত তিনজনে একই কলেজে ভর্তি হয়েছিলাম। ভিড় ট্রেনে, বাসে, রাস্তার জ্যামে দাঁড়িয়ে আমরা তিনজনে গল্প করতাম। অনর্গল কথা বলতে পারতাম সে সময়। এখনকার মতো একটা কথা বলার আগে মনে মনে পরিকল্পনা করতে হতো না। কত বিষয় নিয়ে যে কথা বলতাম তখন— কখনও সিনেমার নায়ক তো কখনও ক্রিকেট প্লেয়ার। আবার কখনও আমাদের আলোচনার বিষয় হতো পাশে দাঁড়ানো লাজুক লাজুক মুখের ছেলেটা অথবা সিটে বসে বিশাল ভুঁড়ি নিয়ে হাঁ করে নাকডাকা কাকু। কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতিই আমাদের গল্প করা বন্ধ করতে পারতো না।
(দুই)
কাল সারা রাত ভালো করে ঘুম হয়নি। কত দিন পরে দেখা হবে তিনজনের। প্রায় ছাব্বিশ বছর পর। ফেসবুকে তিতাস আর রিমা ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছিল। তিতাস খুব সুন্দরী ছিল। কলেজে কত ছেলে যে ওকে প্রেম নিবেদন করেছে তার ইয়ত্তা নেই। এমনকী ইয়াং প্রোফেসররাও ওর দিকে অন্যরকম দৃষ্টিতে তাকাত। নিশ্চয়ই খুব বড়লোকের বাড়িতে বিয়ে হয়েছে ওর।
আর রিমা? টম বয় মার্কা লুক ছিল। কত স্বপ্ন ছিল ওর চোখে। বিদেশে যাবে, রিসার্চ করবে। আমিই ছিলাম তিনজনের মধ্যে অতি সাধারণ। সেই কারণেই কী... যখন থেকে প্ল্যান হয়েছে দেখা করার, মনের মধ্যে আনন্দ হলেও কেমন একটা আড়ষ্ট ভাব বুকের কাছে সাপের মতো পেঁচিয়ে আছে। কিন্তু যখন কলেজে পড়তাম, তখন তো কখনও এমন হীনমন্যতায় ভুগিনি। এটাকেই হয়তো ইংরেজিতে বলে ‘ম্যাচিওর ব্রেন’। যার শিক্ষা আমরা প্রতিনিয়ত আমাদের সন্তানদের দিয়ে চলি। অন্যের সামনে নিজেকে পারফেক্ট করে প্রেজেন্ট করার ক্ষমতা। যে যত তাড়াতাড়ি ম্যাচিওর হবে, সে তত দ্রুত অন্যকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়ার দক্ষতা শিখে যাবে।
দশটার মধ্যে নিউ মার্কেটে পৌঁছে গেলাম। শীত গুটি গুটি পায়ে বিদায় নিচ্ছে। যদিও কলকাতায় শীত হাত-পা ছড়িয়ে আস্তানা গাড়ার আগেই তার যাওয়ার সময় হয়ে যায়। নিউ মার্কেট জুড়ে রং-বেরঙের টুপি, সোয়াটার, হালকা স্টোলের মেলা চলছে। ইচ্ছে করেই একটু আগে এসেছি। কে জানে, ওরা হয়তো নিজেদের গাড়ি নিয়ে আসবে। আমাকে তো সোনারপুর থেকে ভিড় ট্রেনে গাদাগাদি করে আসতে হবে। চুল, শাড়ির যা ছিরি হবে! তা নিয়ে ওদের সামনে দাঁড়ানো যাবে না। তার চাইতে একটু আগে এলে কোনও শপিং মলের ওয়াশ রুমে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে নেওয়া যাবে। বেছে বেছে সবচেয়ে দামি সিল্কের শাড়িটা পরেছি। জড়সড় হয়ে নিজের সাইড ব্যাগটা আঁকড়ে ধরে দাঁড়িয়ে আছি। যদি ওরা খুব বেশি অহংকার দেখায়, তখন আমিও নিজের শেষ তিরটা ছাড়ব। খানিকক্ষণের মধ্যেই তিতাস চলে এল। ফেসবুকে আগেই ছবি দেখেছি, তাই চিনতে অসুবিধা হল না। তিতাস পরেছে সমুদ্র নীল রংয়ের স্লিভ লেস চুড়িদার। এখনও যেন বয়সটাকে তিরিশের কোঠায় ধরে রেখেছে। মাখনের মতো উজ্জ্বল ত্বকে সূর্যের আলো পড়ে আভিজাত্যের রস যেন চুঁইয়ে পড়ছে। আমার দিকে এগিয়ে এসে সিনেমার নায়িকাদের কায়দায় ‘হাই’ বলে জড়িয়ে ধরল। কেন যে সেই আলিঙ্গনের মধ্যে আগের মতো উষ্ণতা পেলাম না! তিতাসের ডান হাতে একটা বড় ডায়ালের ঘড়ি। অন্য হাতে মকরমুখী বালা। এয়োতির কোনও চিহ্ন আছে কি না ভালো করে খোঁজার চেষ্টা করি। না, সিঁথির ভিতরে একফোঁটা লাল রং দেখা যাচ্ছে। খুব ভালো করে নজর না করলে বোঝা যাবে না।
‘কী রে ? কী দেখছিস অমন করে?’
ধরা পড়ে যাওয়ায় অপ্রস্তুত হয়ে একটু হাসলাম।
‘তুই তো অনেক রোগা হয়ে গেছিস। বর খুব খাটাচ্ছে?’ তিতাস হেসে জিজ্ঞেস করল।
মনে মনে রাগ হল, কী বলতে চাইছে তিতাস? আমার স্বামীর ইনকাম কম? কাজের লোক রাখার ক্ষমতা নেই? একটা যুতসই উত্তর দেব বলে প্রস্তুত হচ্ছি, এমন সময় পিছন থেকে এসে জড়িয়ে ধরল রিমা।
তিতাস হইহই করে উঠল, রিমা তখনও আমায় জড়িয়ে ধরে আছে। তিতাস, আমি আর রিমা উষ্ণ আলিঙ্গনে একে অপরকে কুশল বিনিময় করছি। আশপাশ দিয়ে বয়ে চলেছে জনসমুদ্র। কেউ একপলক তাকাচ্ছে। কারও বা ওইটুকু দৃষ্টিপাত করারও সময় নেই । সত্যি তো! এই পৃথিবীতে কারই বা এত সময় আছে অন্যের দিকে তাকানোর। তবুও আমরা একটা কাজ করার আগে কে কী মনে করবে ভেবে মাথা গরম করি, ভয় পাই, কষ্ট পাই, রাতের ঘুম নষ্ট করি। রিমার বয়েজ কাট চুল। ও পরেছে নীল জিন্সের সঙ্গে সাদা শার্ট। দু’কানে ছোট্ট দুটো হীরে বসানো টপ। সাদা পাথর থেকে আলোর দ্যুতি ছড়িয়ে পরছে ওর গোলাপি আভা ছড়ানো গ্রীবায়। নিজেকে কেমন ম্যাড়ম্যাড়ে লাগছে ওদের সামনে। আবার ব্যাগটা জড়িয়ে ধরলাম। মনে মনে বললাম, আমারও আছে । সময় হলেই দেখাব।
‘এই, কী অত ভাবছিস?’এক ঠেলা দিয়ে রিমা জিজ্ঞেস করল।
তিতাস বলল, ‘চল আগে একটা রেস্তরাঁতে গিয়ে বসি। ওখানে বসেই প্ল্যান করব, আজ সারাদিনটা কীভাবে কাটাব।’
রিমা বলল, কোনও রেস্তরাঁ নয়, চল আমি অন্য এক জায়গায় আজ তোদের নিয়ে যাব।’
আমি মনে মনে ভেবে নিলাম, কত আছে আমার ব্যাগে। সংসারের খরচ সামলে একটু একটু করে হাত খরচ যা জমিয়েছিলাম সবটাই আজ নিয়ে এসেছি। কিছুতেই বন্ধুদের কাছে নিজের অভাবের কথা প্রকাশ হতে দেওয়া চলবে না।
একটা ক্যাব বুক করে আমরা তিনজনে এগিয়ে চলেছি।
‘আমরা কোথায় যাচ্ছি?’ তিতাস জিজ্ঞেস করল।
‘সারপ্রাইজ।’ রিমা কাঁধ ঝাকিয়ে উত্তর দিল। সেই ছোটবেলা থেকেই রিমার এমন সারপ্রাইজ দেওয়ার অভ্যেস। এখনও সেই আগের মতোই রয়েছে।
‘বল না প্লিজ।’ তিতাস আবার বলল।
‘তুই একটুও পাল্টাসনি তিতাস। এত বয়স হল এখনও একটু ধৈর্য ধরতে পারিস না। ’ আমি হেসে বললাম।
তিতাস আমার গাল টিপে বলল, ‘আর নিজে বুঝি খুব বদলে গিয়েছিস? এখনও সেই ছোটবেলার মতো ব্যাগটাকে বুকের মধ্যে আঁকড়ে ধরে বসে আছিস। রাখ ওটা পাশে।’
মনে পড়ে গেল, স্কুলে বন্ধুরা আমায় এইভাবে বুকের কাছে ব্যাগ জড়িয়ে ধরার জন্য কত খ্যাপাত। কী রাগ হতো সেই সময়! কিন্তু এখন তিতাসের এই সামান্য কথায় মনটা আনন্দে ভরে উঠল। হয়তো ফেলে আসা দিনগুলিকে সবারই এমন মধুর লাগে। অথচ যে মুহূর্তটা হাতের মুঠোয় আছে সেটাকে...
‘এই দাঁড়াও, দাঁড়াও এখানে, দাঁড় করাও গাড়িটা,’ রিমা বলে উঠল।
কী আছে এখানে? জানলা দিয়ে মুখ বের করে দেখলাম। কিছুই তো নেই।
‘এখানে এলাম কেন?’ তিতাস জিজ্ঞেস করল।
রিমা বলল, ‘বলছি, চল আগে ওই গাছের নীচে বেদিটায় বসি।’ বলেই বলল, ‘কে আগে ওখানে যেতে পারে দেখি।’ রিমা ছুটতে থাকল।
আমারাও দৌড় লাগালাম। আমি পৌঁছনোর আগেই ব্যাগটা ছুঁড়ে বেদিটায় রেখে দিলাম।
‘না, না এটা হবে না। এটা চিটিং, এটা চিটিং,’ বলে ওরা দু’জন চেঁচিয়ে উঠে আমাকে মারবার জন্য তাড়া করল।
আমি সামনের খোলা মাঠে দৌড়তে থাকলাম। ওরাও আমার পিছু পিছু দৌড়চ্ছে। এক সময় ক্লান্ত হয়ে তিনজনেই বসে পড়লাম। কত দিন এভাবে দৌড়ইনি। বুকের ভেতর যেন হাপর চলছে। ভীষণ জল তেষ্টা পেয়েছে। দূরে দেখি তিনটে মেয়ে কাঠি আইসক্রিম খেতে খেতে ফিরছে। আমরা তিনজনে একে অপরের দিকে তাকালাম। চোখে চোখে কথা হয়ে গেল। গাছতলায় বসে আইসক্রিম খাচ্ছি। এ ওকে জিভ বের করে দেখাচ্ছি, কার জিভ বেশি রঙিন হল তা নিয়ে তর্ক করছি। পাশ দিয়ে কয়েকটা উঠতি বয়সের ছেলে যাচ্ছিল। রিমা হঠাৎ ওদের দেখে সিটি দিল। ছেলেগুলোও একবার আমাদের দিকে তাকিয়ে হাসল। তিনজন মাঝবয়সি মহিলার ছেলেমানুষি দেখে হয়তো ওরা মনে মনে মজা পেল। এরপর আমরা ফুচকা খেলাম, আলুকাবলি খেলাম। ভুলে গেলাম এসব খেলে আমার অম্বল হয়। বেলুন ফুলিয়ে আকাশে ওড়ালাম। বহুদিন বাদে গলা ছেড়ে গান গাইলাম। কে শুনছে, কে তাকাচ্ছে সে দিকে আমাদের কারও ভ্রুক্ষেপই নেই। আজকের দিনটা যেন শুধুই আমাদের।
(তিন)
ট্রেনে জানলার পাশে সিট পেয়েছি। চুপচাপ বাইরের দিকে তাকিয়ে বসে আছি। বুকের ভিতর বিয়ের পর বাবা-মাকে ছেড়ে আসার দিনের মতো কষ্ট হচ্ছে!
‘দিদি আপনার ফোন বাজছে।’ পাশে বসা ভদ্রলোকের কথায় সম্বিত ফিরল।
মোবাইল ফোনটা খুলে দেখি অনেকগুলো মিসড কল। ছেলের। আইআইটি-তে পড়ে। ওকে নিয়ে খুব গর্ব আমার। যেখানেই যাই, কোনও না কোনও অছিলায় সবাইকে ওর ছবি দেখাই। অথচ আজ এটার কোনও প্রয়োজনই হল না। স্বামী আর ছেলেকে ভুলে এতটা সময় বিয়ের পর কবে কাটিয়েছি মনে করতে পারলাম না। অনেকখানি অক্সিজেন বুকের মধ্যে ভরে নিয়ে গাড়িটার তালে তালে ছোটবেলার মতো গুন গুন করে গেয়ে উঠলাম , রেলগাড়ি ঝমা ঝম...। 
20th  September, 2020
চলার পথে 

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়।  বিশদ

20th  September, 2020
আজও তারা জ্বলে 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছায়া দেবী- তৃতীয় কিস্তি। 
বিশদ

20th  September, 2020
তর্পণ
ধ্রুব মুখোপাধ্যায়

 এখন আমার বিরানব্বই। সেই ছেলেবেলা থেকেই আমি ভীষণ সেয়ানা। যদিও এই জিনিসটা, আমি সারা জীবন উপভোগই করেছি। সেই যেবার রাতের অন্ধকারে মা, বাবার সঙ্গে পদ্মা পেরিয়ে এপারে এলাম সেবারও, সবাই যখন বহরমপুরে মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজছে আমি তখন চুপচাপ খবর লাগিয়েছিলাম, শিয়ালদা স্টেশনের।
বিশদ

13th  September, 2020
আজও তারা জ্বলে
পর্ব- ৩৯

 বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছায়া দেবী- দ্বিতীয় কিস্তি।
বিশদ

13th  September, 2020
মুনকুদি

 জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন নলিনী বেরা। বিশদ

13th  September, 2020
আজও তারা জ্বলে
পর্ব- ৩৮

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছায়া দেবী- প্রথম কিস্তি। 
বিশদ

06th  September, 2020
চলার পথে
লেখক অলেখক 

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।  বিশদ

06th  September, 2020
লাস্ট ট্রেনের বিভীষিকা
পার্থসারথি গুহ  

বহুদিনের ইচ্ছেটা এভাবে ফলতে চলেছে। আনন্দে আত্মহারা পিন্টু। পিন্টুর ভালো নামটা নাই বা বললাম। ডাকনামেই কাফি সে। গোপন থাক ওর এই অভিযানের পুরো রুটটার বৃত্তান্ত। কারণ, রাত-বিরতে ওইসব অঞ্চল দিয়ে ফেরার সময়ে হয়তো আপনারা ভয়ে কাঁটা হয়ে যেতে পারেন।  বিশদ

06th  September, 2020
অশান্তি পূর্ণ সহাবস্থানে 

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন বিনতা রায়চৌধুরী। 
বিশদ

30th  August, 2020
আজও তারা জ্বলে 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ মলিনা দেবী। শেষ কিস্তি। 
বিশদ

30th  August, 2020
মিথ্যে মৌ
প্রচেত গুপ্ত 

মেয়েটি শান্তভাবে বলল, ‘স্যার, আমাকে চিনলেন কী করে?’
আমি বিরক্ত গলায় বললাম, ‘আমি তো বললাম আপনাকে আমি চিনি না। আপনি কি আমার কথা বুঝতে পারেননি?’  বিশদ

30th  August, 2020
সন্ধ্যার শিকার
অভিজিৎ তরফদার

—জানতাম, তুমি আসবে।
—তাই? আপনি কি হাত গুনতে জানেন?
—না। কিন্তু মনে হয়েছিল। বলতে পারো সিক্স সেন্স।  বিশদ

23rd  August, 2020
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ মলিনা দেবী। তৃতীয় কিস্তি। বিশদ

23rd  August, 2020
বাগবাজারের আশালতা

 জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন স্বপ্নময় চক্রবর্তী। বিশদ

23rd  August, 2020
একনজরে
 করোনার দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ শুরু হয়েছে ব্রিটেনে। সংক্রমণ রুখতে স্থানীয় স্তরে বিভিন্ন জায়গায় লকডাউন জারির অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় প্রশাসন। তবে এইভাবে লকডাউনের সাফল্য নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে ব্রিটিশ সরকারকে চিঠি দিলেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। ...

 বিরোধীদের যাবতীয় আপত্তি অগ্রাহ্য করে কৃষি ও কৃষকদের স্বার্থ সম্পর্কিত তিনটি বিল গাজোয়ারি করে সংসদে পাশ করিয়েছে মোদি সরকার। প্রতিবাদে গোটা বিরোধী শিবির দেশজুড়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। এনডিএ-র একাধিক শরিক দলও বেজায় ক্ষুব্ধ। ...

 দুই ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র সহ মালদহের ১১জনকে হন্যে হয়ে খুঁজছে এনআইএ। তাদের ধরার জন্য বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশিও চালিয়েছে তারা। ওই দুই ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র ডোমকল থেকে ধৃত ...

 চারদিকে জল বেষ্টিত ভূতনির চর দুষ্কৃতীদের ডেরা হয়ে উঠেছে। বেহাল যোগাযোগ ব্যবস্থার সুযোগ নিয়ে দুষ্কৃতীরা সেখানে ঘাঁটি গাড়ছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস
১৯৩৯- অভিনেতা ফিরোজ খানের জন্ম
১৯৪৬- ক্রিকেটার বিষেণ সিং বেদির জন্ম
১৯৬৯ - বিখ্যাত বাঙালি চিত্রপরিচালক, অভিনেতা এবং নাট্যব্যক্তিত্ব মধু বসু ওরফে নাম সুকুমার বসুর মৃত্যু
১৯৯০- রাজনীতিবিদ,স্বাধীনতা সংগ্রামী গান্ধীবাদি নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গের তৃতীয় মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্লচন্দ্র সেনের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৯৯ টাকা ৭৪.৭০ টাকা
পাউন্ড ৯২.১৯ টাকা ৯৫.৪৭ টাকা
ইউরো ৮৪.৫২ টাকা ৮৭.৬২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫০,৪৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৭,৮৬০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৮,৫৮০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৫৭,১৮০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৫৭,২৮০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৯ আশ্বিন ১৪২৭, শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, নবমী ৩৩/৬ রাত্রি ৬/৪৪। পূর্বাষাঢ়ানক্ষত্র ৩২/৩৩ রাত্রি ৬/৩১। সূর্যোদয় ৫/২৯/৪৮, সূর্যাস্ত ৫/২৬/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/১৬ মধ্যে পুনঃ ৭/৪ গতে ৯/২৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৪ গতে ৩/৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৩ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/১৭ গতে ৯/২৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৩ গতে ৩/৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৫২ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৯ গতে ১১/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৮ গতে ৯/৫৮ মধ্যে।
৮ আশ্বিন ১৪২৭, শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, নবমী রাত্রি ১০/৩১। পূর্বাষাঢ়ানক্ষত্র রাত্রি ১১/৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/২২ মধ্যে ও ৭/৮ গতে ৯/২৭ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ২/৫১ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৯ গতে ৯/১৮ মধ্যে ও ১১/৪৮ গতে ৩/৭ মধ্যে ও ৩/৫৭ গতে ৫/৩০ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৯ গতে ১১/২৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৯ গতে ৯/৫৯ মধ্যে।
৭ শফর।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আপনার আজকের দিনটি
মেষ: প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। বৃষ: ...বিশদ

04:29:40 PM

ইতিহাসে আজকের দিন
বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস১৯৩৯- অভিনেতা ফিরোজ খানের জন্ম১৯৪৬- ক্রিকেটার বিষেণ সিং ...বিশদ

04:28:18 PM

 আইপিএল: চেন্নাই সুপার কিংসকে ৪৪ রানে হারাল দিল্লি ক্যাপিটাল

11:13:05 PM

আইপিএল: চেন্নাই ১০১/৪ (১৬ ওভার) 

10:49:48 PM

আইপিএল: চেন্নাই ৪৭/৩ (১০ ওভার) 

10:14:56 PM

 আইপিএল: চেন্নাই ২৬/১ (৫ ওভার)

09:51:00 PM