Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

অশান্তি পূর্ণ সহাবস্থানে 

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন বিনতা রায়চৌধুরী।

১০ 

শারদোৎসবের আলো ঝলমলে কলকাতা নগরীকে পিছনে ফেলে আমরা যাত্রা করলাম জলদাপাড়া অভয়ারণ্য দেখার উদ্দেশ্য নিয়ে। এনজিপি’তে নেমে একখানি গাড়ি ভাড়া করে যথাসময়ে পৌঁছে গেলাম হলং ফরেস্ট বাংলোয়। এক বন্ধুকে বলা ছিল, ঘর পেতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু অসুবিধাই হল। এক ভিভিআইপি-র হলং সফরে আসার কথা। তাই ওখানে ঘর পাওয়া যাবে না।
সেই বন্ধুবর আমাদের হতাশ হতে না দিয়ে তখনই পাঠিয়ে দিল মাদারিহাট ফরেস্ট বাংলোয়। গাড়ি ঘুরল মাদারিহাটের রাস্তায়। একটু পরেই মন ভালো হয়ে গেল। দু’পাশে অনন্ত চা-বাগিচা যেন সবুজ গালিচা পেতে রেখেছে। সেখানে রং-বেরঙের পোশাক পরে পিঠে ঝুড়ি নিয়ে ঠোঁটে মোহিনী সুর গুনগুনিয়ে ‘পাতি’ তুলে চলেছে পাহাড়ি রমণীরা।
কিছুক্ষণ পরে পৌঁছে গেলাম ফরেস্ট বাংলোয়। বেশ একটা অ্যান্টিক ভাব আছে পুরনো দিনের এই হোটেলটায়। এখান থেকেও যাওয়া যাবে অভয়ারণ্য পরিদর্শনে। হাতির পিঠে সওয়ারি হয়ে এক শৃঙ্গ গণ্ডার দর্শনও করা যাবে। এইসব শুনতে শুনতে আমি বাংলো ধরনের ঘরগুলির দিকে চোখ বুলিয়ে নিচ্ছিলাম। প্রত্যেকটা ঘরই আলাদা আলাদা ছড়িয়ে ছিটিয়ে সাজানো। এই বিশাল বাগানের মধ্যে ওরা নিজস্বতা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
যে সময়ের কথা বলছি তখনও নেট দুনিয়ার অপ্রতিরোধ্য আগ্রাসন ঘটে যায়নি আমাদের জীবনে। আমাদের ঘরখানির আয়তন বিশাল, তার মাঝখানে পাতা খাটখানিকে পালঙ্ক বলাই ভালো। বাইরে বাগানের শোভা আর তার সঙ্গে একখানা মস্ত আকাশ দেখা যাচ্ছে। একটু পরেই সূর্য ঢলে গেল আর গোধূলির আলো ছড়িয়ে পড়ল সমস্ত বাংলোয়, সেই মায়া মাধুরী আমাকে এমন মুগ্ধ করে দিল যে হলং ফরেস্টে জায়গা না পাওয়ার দুঃখ নিমেষেই ভুলে গেলাম।
রাত নেমেছে নিঃশব্দে। আমি বালিশে হেলান দিয়ে আধশোয়া হয়ে আছি। রাত বাড়তেই ঘরের অন্যসব আলো নিভে গিয়েছে। মাত্র একটি রাত-আলো জ্বলছে ঘরের কোণে। তাতে কোনও অসুবিধে নেই। বাগান থেকে আলো আসছে। অষ্টমী কিংবা নবমীর চাঁদ থেকেও মোহিনী আলো আসছে ঘরে।
হঠাৎ খট-খট-খট করে তিনবার শব্দ হল।
আমি চমকে উঠলাম। আবার থেকে থেকেই সেই শব্দ। কোথা থেকে আসছে আওয়াজটা, বুঝতে পারছি না। সঙ্গের মানুষটিকে না ডেকে পারলাম না। সেও বুঝতে পারছে না, আওয়াজটা কোথা থেকে আসছে। বলল, ‘ঘুমিয়ে পড়ো। বাইরে হয়তো কোনও রাত জাগা পাখি ডাকছে।’
আমি পারছি না। কেবলই সেই খট-খট-খট। যেন কেউ নক করছে। যেন কিছু বলতে চাইছে। কৌতূহলে আমি মনে মনে রীতিমতো বিপর্যস্ত। হাত বাড়িয়ে বেলটা টিপেই ফেললাম।
জানতাম টুয়েন্টি-ফোর আওয়ার্স রুম সার্ভিস এখানে। কেউ না কেউ আসবেনই। সত্যিই দরজায় এসে বেল টিপলেন কেউ। আমিই গিয়ে দরজা খুললাম। একজন বয়স্ক বেয়ারা ঘরে এলেন ‘কিছু চাই ম্যাডাম?’
‘কিছু চাই না। একটা শব্দ আসছে থেকে থেকে। ওটা কীসের শব্দ?’
‘শব্দ?’ লোকটি অবাক হলেন। ‘কোন শব্দ?’
‘একটু দাঁড়ান। এখনই শুনতে পাবেন।’
সঙ্গে সঙ্গে সেই শব্দটি হল? কট-কট-কট।
‘ও কিছু না। তক্ষক ডাকছে।’
‘তক্ষক? তক্ষক তো সাপ! কোথায় ডাকছে?’ আমি ভয় পেয়ে গেলাম। লোকটি হাসলেন, বললেন, ‘আপনার মাথার ওপরে। কোনও ভয় নেই।’
‘মানে? আমরা দু’জনেই চমকে উঠলাম। তাকালাম সিলিংয়ের দিকে। ঝকঝকে সিলিং!’ কী বলছেন ভাই? সিলিংয়ে তো কিছু নেই।’
‘দেখা যাবে না। ওপরে টালি আর ঘরের ফলস সিলিং, এই দুইয়ের মধ্যে ওরা আছে। থাক না। ওরা বেরিয়ে আসবে না।’
‘না-না-না। প্লিজ তাড়িয়ে দিন তক্ষকটাকে।’ আমার ভয়ার্ত গলা।
আমার ভয়কে ছাপিয়ে হেসে উঠলেন লোকটি, ‘তাড়িয়ে দেব? কটা তাড়াব ম্যাডাম। ওরা অগুনতি। টালি আর সিলিংয়ের মধ্যে ওদের বাসা।’
‘বাসা? সিলিংয়ের পিছনে অসংখ্য তক্ষকের বাস? কী বলছেন!’
‘ঠিকই বলছি। ওরা আমাদের কখনও ক্ষতি করে না। আমরাও ওদের ঘাঁটাই না। সে সাহসও কারও নেই।’
‘যদি রাতে জানলা দিয়ে ঘরের মধ্যে ঢুকে আসে? কামড়ে দেয়?’
‘কিছু করে না। কখনও বেরয় না ওরা। ওই শুধু একটু ডাকে খট খট খট।’
আমার শরীর কাঁপছিল, ‘আমাদের ঘরটা চেঞ্জ করে দিন।’
হা হা করে হেসে উঠলেন তিনি, যেন মজার কথা শুনছেন। বলে উঠলেন, সব ঘরের সিলিংয়েই ওরা আছে। কত বছর ধরে আছে কেউ জানে না। পাহারা দেয় ওরা বাংলোটাকে রাতে। ঘুমিয়ে পড়ুন আপনারা। কোনও ভয় নেই। গুড নাইট।’
‘খট খট খট।’ আবার ওদের কেউ একজন ডাকল। গুডনাইট জানাচ্ছে নাকি আমাদের? আমার বীরপুরুষটি শুয়ে পড়ল এই উপদেশ দিয়ে, ‘ঘুমিয়ে পড়। এক ঘুমে রাত কেটে যাবে। তাছাড়া শুনলে তো ওরা কিছু করে না।’ আমার পক্ষে ঘুমনো অসম্ভব। ছোট মেয়েটা সঙ্গে রয়েছে। শোনো, আমরা পালা করে পাহারা দেব রাতটা। জানলা দিয়ে ঢুকছে যদি দেখি...।
আমার কথা শেষ হওয়ার আগেই ছোট মেয়ের বাবা ঘুমিয়ে পড়েছে।
খাটে বালিশ হেলান দিয়ে আমি জেগে বসে রইলাম। একাই পাহারা দেব সারা রাত। ঘুমবই না। চোখ রইল জানলার দিকে। মাঝে মাঝেই জানান আসছে খট-খট-খট। ওরাও জেগে আছে।
বড় বড় জানলা। শার্সি নেই। বন্ধও করা যাবে না। আমার নির্নিমেষ নয়ন আটকে রইল জানলায়, ঢুকলেই দেখতে পাব।
রাত বেড়ে চলেছে। কোনও সৌন্দর্য আমাকে আর টানছে না। আমার সাবধানি দৃষ্টি জানলায় নিবদ্ধ। হঠাৎ মনে হল একটা বড়সড় টিকটিকির মতো প্রাণী। ধীরে ধীরে জানলা দিয়ে মাথা গলিয়ে দিল। আস্তে আস্তে ঢুকছে। খুব ধীরে সন্তর্পণে। একজন পাহারাদার মা জেগে আছে আন্দাজ করছে নাকি? জানলার দিক থেকে চোখ সরাতে পারছি না। ঢুকে আসছে বুকে হেঁটে। তক্ষক সাপ এইরকম দেখতে হয় নাকি? শুনেছিলাম যেন এরকমই। কী করে আটকাব ওকে? প্রাণপণে সঙ্গের মানুষটিকে ডাকতে লাগলাম। এই এই, ওঠো ওঠো। বুক ফাটিয়ে চেঁচাচ্ছি কিন্তু আওয়াজ বেরচ্ছে না। ভয়ে, উৎকণ্ঠায়, বেদনায় চোখ থেকে জল গড়িয়ে আসছে। ঠিক সেই মুহূর্তে দরজায় কেউ নক করছে শুনতে পেলাম।
ধড়মড় করে উঠে বসলাম। দেখলাম সকাল হয়ে গিয়েছে। কখন যে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম বুঝতেই পারিনি। স্বপ্ন দেখছিলাম তাহলে? আসল বিপদ আসেনি! কান পেতে শুনতে চাইলাম সেই আওয়াজটা। না, সেই নাইট ওয়াচারদের ডাক থেমে গিয়েছে। ভোর হতে আমরা উঠে পড়েছি। ওরা বোধহয় ঘুমতে গিয়েছে এখন।
বুক থেকে আতঙ্কের ভার নেমে গেল। কিন্তু মাথার মধ্যে জেগে থাকল সেই রোমাঞ্চকর অসাধারণ রাতের স্মৃতি। অসংখ্য তক্ষকের সঙ্গে একটি রাত পাশাপাশি কাটিয়েছি। অশান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে। 
30th  August, 2020
চলার পথে 

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়।  বিশদ

20th  September, 2020
আজও তারা জ্বলে 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছায়া দেবী- তৃতীয় কিস্তি। 
বিশদ

20th  September, 2020
রেলগাড়ি ঝমা ঝম
কাকলি দেবনাথ 

পিয়ানোর সুরেলা টুং টাং আওয়াজ। রান্না ছেড়ে দৌড়ে গিয়ে মোবাইলটা দেখলাম।
তিতাসের মেসেজ— তা হলে আমি অনলাইনে টিকিট কেটে নিচ্ছি?  বিশদ

20th  September, 2020
তর্পণ
ধ্রুব মুখোপাধ্যায়

 এখন আমার বিরানব্বই। সেই ছেলেবেলা থেকেই আমি ভীষণ সেয়ানা। যদিও এই জিনিসটা, আমি সারা জীবন উপভোগই করেছি। সেই যেবার রাতের অন্ধকারে মা, বাবার সঙ্গে পদ্মা পেরিয়ে এপারে এলাম সেবারও, সবাই যখন বহরমপুরে মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজছে আমি তখন চুপচাপ খবর লাগিয়েছিলাম, শিয়ালদা স্টেশনের।
বিশদ

13th  September, 2020
আজও তারা জ্বলে
পর্ব- ৩৯

 বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছায়া দেবী- দ্বিতীয় কিস্তি।
বিশদ

13th  September, 2020
মুনকুদি

 জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন নলিনী বেরা। বিশদ

13th  September, 2020
আজও তারা জ্বলে
পর্ব- ৩৮

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছায়া দেবী- প্রথম কিস্তি। 
বিশদ

06th  September, 2020
চলার পথে
লেখক অলেখক 

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।  বিশদ

06th  September, 2020
লাস্ট ট্রেনের বিভীষিকা
পার্থসারথি গুহ  

বহুদিনের ইচ্ছেটা এভাবে ফলতে চলেছে। আনন্দে আত্মহারা পিন্টু। পিন্টুর ভালো নামটা নাই বা বললাম। ডাকনামেই কাফি সে। গোপন থাক ওর এই অভিযানের পুরো রুটটার বৃত্তান্ত। কারণ, রাত-বিরতে ওইসব অঞ্চল দিয়ে ফেরার সময়ে হয়তো আপনারা ভয়ে কাঁটা হয়ে যেতে পারেন।  বিশদ

06th  September, 2020
আজও তারা জ্বলে 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ মলিনা দেবী। শেষ কিস্তি। 
বিশদ

30th  August, 2020
মিথ্যে মৌ
প্রচেত গুপ্ত 

মেয়েটি শান্তভাবে বলল, ‘স্যার, আমাকে চিনলেন কী করে?’
আমি বিরক্ত গলায় বললাম, ‘আমি তো বললাম আপনাকে আমি চিনি না। আপনি কি আমার কথা বুঝতে পারেননি?’  বিশদ

30th  August, 2020
সন্ধ্যার শিকার
অভিজিৎ তরফদার

—জানতাম, তুমি আসবে।
—তাই? আপনি কি হাত গুনতে জানেন?
—না। কিন্তু মনে হয়েছিল। বলতে পারো সিক্স সেন্স।  বিশদ

23rd  August, 2020
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তাঁরই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ মলিনা দেবী। তৃতীয় কিস্তি। বিশদ

23rd  August, 2020
বাগবাজারের আশালতা

 জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন স্বপ্নময় চক্রবর্তী। বিশদ

23rd  August, 2020
একনজরে
 চারদিকে জল বেষ্টিত ভূতনির চর দুষ্কৃতীদের ডেরা হয়ে উঠেছে। বেহাল যোগাযোগ ব্যবস্থার সুযোগ নিয়ে দুষ্কৃতীরা সেখানে ঘাঁটি গাড়ছে। ...

 দুই ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র সহ মালদহের ১১জনকে হন্যে হয়ে খুঁজছে এনআইএ। তাদের ধরার জন্য বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশিও চালিয়েছে তারা। ওই দুই ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র ডোমকল থেকে ধৃত ...

 বর্ধমান থানার মির্জাপুরে বাসের ধাক্কায় এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম জয়দীপ সুবুধি (১৫)। সে বর্ধমান শহরের মিউনিসিপ্যাল বয়েজ হাইস্কুলে পড়ত। ...

 করোনার দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ শুরু হয়েছে ব্রিটেনে। সংক্রমণ রুখতে স্থানীয় স্তরে বিভিন্ন জায়গায় লকডাউন জারির অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় প্রশাসন। তবে এইভাবে লকডাউনের সাফল্য নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে ব্রিটিশ সরকারকে চিঠি দিলেন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। কোনও কিছু অতিরিক্ত আশা না করাই ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস
১৯৩৯- অভিনেতা ফিরোজ খানের জন্ম
১৯৪৬- ক্রিকেটার বিষেণ সিং বেদির জন্ম
১৯৬৯ - বিখ্যাত বাঙালি চিত্রপরিচালক, অভিনেতা এবং নাট্যব্যক্তিত্ব মধু বসু ওরফে নাম সুকুমার বসুর মৃত্যু
১৯৯০- রাজনীতিবিদ,স্বাধীনতা সংগ্রামী গান্ধীবাদি নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গের তৃতীয় মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্লচন্দ্র সেনের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৯৯ টাকা ৭৪.৭০ টাকা
পাউন্ড ৯২.১৯ টাকা ৯৫.৪৭ টাকা
ইউরো ৮৪.৫২ টাকা ৮৭.৬২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫০,৪৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৭,৮৬০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৮,৫৮০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৫৭,১৮০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৫৭,২৮০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৯ আশ্বিন ১৪২৭, শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, নবমী ৩৩/৬ রাত্রি ৬/৪৪। পূর্বাষাঢ়ানক্ষত্র ৩২/৩৩ রাত্রি ৬/৩১। সূর্যোদয় ৫/২৯/৪৮, সূর্যাস্ত ৫/২৬/৫৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/১৬ মধ্যে পুনঃ ৭/৪ গতে ৯/২৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৪ গতে ৩/৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৫৩ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৬/১৭ গতে ৯/২৯ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৩ গতে ৩/৫ মধ্যে পুনঃ ৩/৫২ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/২৯ গতে ১১/২৮ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৮ গতে ৯/৫৮ মধ্যে।
৮ আশ্বিন ১৪২৭, শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, নবমী রাত্রি ১০/৩১। পূর্বাষাঢ়ানক্ষত্র রাত্রি ১১/৬। অমৃতযোগ দিবা ৬/২২ মধ্যে ও ৭/৮ গতে ৯/২৭ মধ্যে ও ১১/৪৬ গতে ২/৫১ মধ্যে ও ৩/৩৭ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৫৯ গতে ৯/১৮ মধ্যে ও ১১/৪৮ গতে ৩/৭ মধ্যে ও ৩/৫৭ গতে ৫/৩০ মধ্যে। বারবেলা ৮/২৯ গতে ১১/২৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/২৯ গতে ৯/৫৯ মধ্যে।
৭ শফর।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আপনার আজকের দিনটি
মেষ: প্রেম-প্রণয়ে কিছু নতুনত্ব থাকবে যা বিশেষভাবে মনকে নাড়া দেবে। বৃষ: ...বিশদ

04:29:40 PM

ইতিহাসে আজকের দিন
বিশ্ব ফার্মাসিস্ট দিবস১৯৩৯- অভিনেতা ফিরোজ খানের জন্ম১৯৪৬- ক্রিকেটার বিষেণ সিং ...বিশদ

04:28:18 PM

 আইপিএল: চেন্নাই সুপার কিংসকে ৪৪ রানে হারাল দিল্লি ক্যাপিটাল

11:13:05 PM

আইপিএল: চেন্নাই ১০১/৪ (১৬ ওভার) 

10:49:48 PM

আইপিএল: চেন্নাই ৪৭/৩ (১০ ওভার) 

10:14:56 PM

 আইপিএল: চেন্নাই ২৬/১ (৫ ওভার)

09:51:00 PM