Bartaman Patrika
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
 

রূপকথার জন্ম

চতুর্দিকে যেন একটা সমুদ্রের গর্জন চলছে। স্লোগানে, আবেগে আর জয়ধ্বনিতে মুখরিত এয়ারপোর্ট চত্বর। কর্নেল প্রেম সেহগলের কানে আসছে কিছু বিক্ষিপ্ত উচ্চকিত মন্তব্য। এসেছেন... এসেছেন... আর চিন্তা নেই... এবার আমাদের অপেক্ষার দিন শেষ...। আর এই প্রতিক্রিয়াগুলি শুনে প্রেম সেহগলের মনে হচ্ছিল, ইনি কে? কোনও ঈশ্বর? নাকি ঈশ্বরপ্রেরিত দূত? জনতার আনন্দাশ্রু আর উদ্ভাসিত মুখের যোগফলে যেন এক স্বর্গীয় দীপ্তি। মাঝেমধ্যেই চিৎকার উঠছে, সুভাষচন্দ্র বোস জিন্দাবাদ...। জিন্দাবাদ... জিন্দাবাদ...।
১৯৪৩ সালের জুলাই মাসে এরকম নাটকীয়ভাবে সুভাষচন্দ্র বসু পা রাখেন সিঙ্গাপুর বিমানবন্দরে। এর ঠিক পাঁচ মাস আগে কী ঘটেছিল? জার্মান সাবমেরিনের নাম ছিল ইউ ওয়ান এইট্টি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ তখন মধ্যগগনে। জার্মানি থেকে যে কাঙ্ক্ষিত এবং নিশ্চিত সহায়তা সেভাবে পাওয়া যাবে না, সেটা ক্রমেই বুঝতে পারছিলেন সুভাষচন্দ্র। ফলে যোগসূত্র গড়ে তুললেন জাপানের সঙ্গে। অবশ্য জার্মান সেনার তাঁবেদার বা অনুগত হয়ে নয়। স্বাধীন অস্তিত্ব নিয়ে লড়াই করবে ভারতীয় সেনা—এই ছিল তাঁর স্বপ্ন। অর্থাৎ অক্ষশক্তির অন্যতম সঙ্গী হবেন তিনি। ব্রিটিশদের ভারত থেকে উৎখাত করতে। অতএব দ্বিতীয় চিন্তা। একটি অলৌকিক অভিযানের সওয়ার হলেন ৮ ফেব্রুয়ারি। ইউ ওয়ান এইট্টি সাবমেরিনটি নাইন ডি টাইপ মডেলের। একটি ই-মোটর আছে, যা দ্রুতগামী করবে সাবমেরিনকে। হাতে সময় বেশি নেই। সুভাষচন্দ্রকে দ্রুত পৌঁছতে হবে। কোথায়? কার সঙ্গে? সব পরিকল্পনা তৈরি করা আছে। সেইমতো সংযোগও থাকবে। সময়মতো সেই মেসেজ পাঠানো হবে। সাবমেরিনে চারজন অফিসার। ৫১ জন নাবিক। সঙ্গে কয়েকজনকে নিতে চেয়েছিলেন সুভাষচন্দ্র। কিন্তু তাঁকে বলা হল, সেটা হবে না। নেওয়া যাবে মাত্র একজনকে। অতএব আবিদ হাসান। সামরিক জ্ঞান রয়েছে তাঁর। 
একদিন পর অর্থাৎ ৯ ফেব্রুয়ারি যাত্রা শুরু করল সাবমেরিন। আটলান্টিকের জলে-আকাশে মিত্রশক্তির টহলদারি চলছে। মিত্রশক্তির অন্যতম প্রধান ইউনিটের কাজ ছিল সাবমেরিন, শিপ অথবা স্পিডবোট থেকে পাঠানো যে কোনও রেডিও মেসেজকে ডিকোড করা। 
রোনাল্ডা লিউইন এরকমই এক ইনটেলিজেন্স অফিসার। যিনি জাপান, জার্মানীর গোপন মেসেজ ডিকোডিং এর বিশেষজ্ঞ। তিনি যা বুঝতে পারছেন না, তা হল, সাবমেরিনের সওয়ারিরা কোনও গোপনীয়তা রাখছেন না কেন? মাঝেমধ্যেই এই সাবমেরিন থেকে মেসেজ যাচ্ছে জার্মানী ও জাপানে। সাবমেরিনে আসছে ভারতের অন্দরে ঠিক কী ঘটছে রাজনৈতিক ঘটনা তার আপডেট। কিন্তু সেই সব মেসেজ খুব সহজেই স্বাভাবিক নিয়মে ডিকোড করে ফেলা যাচ্ছে। আমেরিকান মেসেজ ডিকোড ইউনিট সেইসব মেসেজ পাঠাচ্ছে ব্রিটেনের কাছে। আর এসব যে জানে না জার্মানী অথবা জাপান, সেটা তো হতে পারে না। তাহলে এই রহস্যটা কী? 
আটলান্টিকের যাত্রাপথে একবারই শুধু একটা ঘটনা ঘটল। একটি ব্রিটিশ কার্গো জাহাজকে ডুবিয়ে দিল এই সাবমেরিন। জাহাজের নাম কর্বিস। ১৮ এপ্রিল। 
সাবমেরিনে বসে কী করছিলেন সুভাষচন্দ্র বসু। তিনি তাঁর লেখা দ্য ইন্ডিয়ান স্ট্রাগল বইয়ের নতুন সংস্করণটির পরিমার্জনে ব্যস্ত ছিলেন। আর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যান সম্পূর্ণ ছবির মতো লিখে রাখছিলেন যে জাপান সরকার ও মিলিটারির সঙ্গে মুখোমুটি কথা হওয়ার পর যে ব্লু প্রিন্ট তাঁদের সামনে রাখবেন। অর্থাৎ ঠিক কীভাবে তিনি অগ্রসর হতে চান ব্রিটিশের বিরুদ্ধে যুদ্ধে। ২৪ এপ্রিল প্রথম সংযোগ স্থাপন করা হল। জাপানী সারবমেরিন আই টুয়েন্টি নাইনের লোকেশন মাদাগাস্কারের পূর্বপ্রান্তে। ভারত মহাসাগরে। এবার জাপানের ইম্পিরিয়াল নেভির সঙ্গে অবশেষে যোগসূত্র স্থাপন। 
সময়টা কি খুব অনুকুল? মনে হচ্ছে না। চ্যালেঞ্জ অনেক বেশি। কারণ সুভাষচন্দ্র যখন ইওরোপে গিয়েছিলেন, সেই সময় জার্মানী লাগাতার আক্রমণ করছে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যকে। জাপান ছিল না যুদ্ধে। আবার ১৯৪২ সালে জাপান যখন আক্রমণাত্মক হয়েছিল দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় সেই সময় যদি জাপানের সঙ্গে সখ্য তৈরি করা যেত তাহলে জাপান যাতে ব্রিটিশ ভারতকে আক্রমণ করে সেই চেষ্টা করা যেত। কিন্তু এক বছরে অনেক কিছু বদলে গেল। এখন যখন সুভাষচন্দ্র যাচ্ছেন এক মহাঅভিযানের স্বপ্ন নিয়ে, সেই সময় জাপান টের পাচ্ছে আমেরিকানদের শক্তি। আর জার্মানী স্ট্যালিনগ্রাদে বিপুল ধাক্কা খেয়েছে। সুতরাং, শক্তির ভারসাম্য সামান্য যেন পালটে যাচ্ছে। মিত্রশক্তিকে অনেক সংহত দেখাচ্ছে এখন। আর এটাই সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ সুভাষচন্দ্রের কাছে। তবে তিনি চ্যালেঞ্জ নিতেই ভালবাসেন।
৬ মে। সাবান আইল্যান্ডের জাপান ন্যাভাল এয়ারবেসে এসে নামলেন সুভাষচন্দ্র। ক্যাপ্টেন ইয়ামামোতো স্বাগত জানালেন। যিনি ছিলেন বার্লিনে জাপানের মিলিটারি অ্যাটাশে। একসঙ্গে টোকিও এলেন। প্লেনে। সুভাষচন্দ্র দেরি করতে চান না। সরাসরি জানালেন, জাপান মিলিটারি ইউনিটের সঙ্গে দেখা করা কখন সম্ভব? ইয়ামামোতো আশ্বস্ত করলেন। তার আগে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ মিটিংটা দরকার। প্রধানমন্ত্রী তোজোর উপরই সবকিছু নির্ভর করছে। তাঁকেই বোঝাতে হবে প্ল্যান। তিনি কি রাজি হবেন? টেনশন রয়েই যাচ্ছে! 
১০ জুন। প্রধানমন্ত্রী তোজোকে ঠিক যেন মিলিটারি অফিসার মনে হয় না। একটু কম কথা বলেন। গম্ভীর। তবে সুভাষচন্দ্রকে যথেষ্ট সাদব অভ্যর্থনা করলেন। এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই সুভাষচন্দ্রের স্পষ্ট দ্বিধাহীন প্ল্যান শুনে জানিয়ে দিলেন সবথেকে কাঙ্ক্ষিত বার্তা। আমরা ভারতের স্বাধীনতার জন্য সবরমকভাবে আপনাকে সহায়তা করব। তোজোকে সুভাষচন্দ্র বললেন,  বার্মার দিক থেকে ভারতে প্রবেশের প্ল্যান করা দরকার আমাদের। তোজো ভাবছেন। ক্ষণিক। কারণ ফেব্রুয়ারি থেকে বার্মায় মিত্রশক্তির সেনা দলে দলে ঢুকছে। তাদের লক্ষ্য আরাকান থেকে জাপানকে পিছু হটিয়ে দেওয়া।আবার প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে মিত্রশক্তির একটি অপারেশন শুরু হয়েছে। কার্টহুইল। যাকে বলা হচ্ছে কাউন্টার অফেনসিভ! তবে ১৬ জুন একটি পৃথক বৈঠকে সব দ্বিধা সরিয়ে প্রধানমন্ত্রী তোজো জানিয়ে দিলেন, আমরা নিশ্চিতভাবে ভারতের স্বাধীনতা পাওয়ার পথে হেল্প করব। 
একটা প্রেস কনফারেন্স করলেন সুভাষচন্দ্র বসু। বললেন, ‘‘বর্তমানে বিশ্বের দুটি নীতির মধ্যে যুদ্ধ চলছে। একটি নীতি চা‌঩ইএছ যেমন চলছে তেমনই চলুক। আর একটি নীতি সেই পুরনো ব্যবস্থা ছিন্নভিন্ন করে নতুন এক সমীকরণ দিতে চায়। আমি দ্বিতীয় পন্থায় বিশ্বাসী। অর্থাৎ সুভাষচন্দ্র বলতে চাইলেন, মিত্রশক্তির জয় হলে, ভারতে ব্রিটিশ থেকেই যাবে। কোনও বদল ঘটবে না। তাই সেই পথের সমর্থক হব কেন? তিনি বললেন, যদি অক্ষশক্তি জয়ী হয়, তাহলে ভারত তাঁর হারানো স্বাধীনতা আবার ফিরে পাবে। আর আমাদের স্বাধীনতা পেতে হবে একমাত্র নিজেদের রক্ত ঝরিয়ে…।’’ এই শপথের আড়ালে ছিল একটি আশ্চর্য পরিকল্পনা। নির্বাসিত স্বাধীন ভারতীয় সরকার গঠন। স্বাধীন ভারতীয় সেনাবাহিনী নির্মাণ। হবে কি সেটা সম্ভব? 
এরপরই এসেছে এই জুলাই মাস। ১৯৪৩। সিঙ্গাপুর। ১৯৪২ সালে গঠিত আজাদ হিন্দ বাহিনীর ভেঙে দেওয়া ইউনিটের মনোবল হারিয়ে যাওয়া এবং এখনও মনোবল ধরে রাখা দুরকমেরই কয়েক হাজার সেনা হাজির সিঙ্গাপুর এয়ারপোর্টে। এসেছেন প্রবাসী ভারতীয়রা অসংখ্য। তাঁদের দীর্ঘদিনের দাবি ও স্বপ্ন ছিল একটাই। সুভাষচন্দ্র বসু আসুন। তিনি দায়িত্ব নিন। তিনিই পারবেন। অবশেষে কি সেই মাহেন্দ্রক্ষণ উপস্থিত? ওই তো তিনি এসেছেন। অনিন্দ্যকান্তি এক অবয়ব। 
ঠিক দুদিন পর সিঙ্গাপুরে ক্যাথে থিয়েটারে সভা করবেন সুভাষচন্দ্র। অতএব জনস্রোত শুরু হল। ভিড়ে ঠাসা সেই সভায় এক স্থির, প্রাজ্ঞ, অসামান্য মেধাবী মানুষ প্রথমে ইঠে দাঁড়ালেন। তাঁর বয়স ৫৭ বছর। পোডিয়ামের সামনে কথা বলার সময় প্রথমে যেন তাঁর কন্ঠ সামান্য কেঁপে গেল। তিনি বাস্তববোধসম্পন্ন। স্থিতধী। অভিজ্ঞ। অথচ তাঁর মধ্যে আজ যেন এক মহাআবেগের সঞ্চার হচ্ছে। কিন্তু সামলে নিলেন। বললেন, ‘‘ বন্ধু ও সহকর্মীরা, আমি আজ আপনাদের সামনে নিয়ে এসেছি বর্তমানকে। নতুনকে। ইনি হলেন সুভাষচন্দ্র বসু। শ্রেষ্ঠ, মহান, অসমসাহসী এবং ভারতের সর্বাধিক প্রগতিশী, যুবক। আমি আজ ইন্ডিয়ান ইন্ডিপেন্ডেন্স লিগের ইস্ট এশিয়ার সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছি। আজ, এখন থেকে, সুভাষচন্দ্র বসু আপনাদের নতুন সভাপতি। ভারতের স্বাধীনতা যুদ্ধে আপনাদের নেতা। আর আমি নিশ্চিত যে আপনারা এবার যুদ্ধক্ষেত্রে অগ্রসর হবেন এবং অগ্রসর হবেন বিজয়ের দিকে’’। করতালির বিস্ফোরণ ঘটল। 
 সেই ৫৭ বছরের মানুষটির নাম রাসবিহারী বসু। মালয় ও বার্মায় জাপানের কাছে ১৯৪২ সালে পরাস্ত হওয়া ব্রিটিশ ভারতীয় আর্মির সেনাবাহিনীকে নিয়ে যিনি প্রথম গঠন করার পরিকল্পনা নেন একটি ভারতীয় বাহিনী। কিন্তু একঝাঁক ঘটনাপরম্পরায় যে বাহিনী আর অটুট রাখা সম্ভব হয়নি। আবার একজন মানুষে ঘিরে সেই রাসবিহারী বসু এবং সেই বাহিনী স্বপ্ন দেখতে শুরু করল। তাঁর নাম সুভাষচন্দ্র বসু। যে বাহিনীর সদস্য সংখ্যা কমতে কমতে ১০ হাজারের নীচে সে দাঁড়িয়েছিল এক সময়, সেই বাহিনীকে সুভাষচন্দ্র গড়ে তুললেন অন্তত ৫০ হাজার সেনার এক প্রশিক্ষত ফোর্স হিসাবে। আর নির্মাণ করলেন এক বিস্ময়কর নজির। কী সেটা? 
 সিঙ্গাপুরের এক তরুণী ডাক্তার লক্ষ্মী স্বামীনাথনকে ১২ জুলাই সুভাষচন্দ্র জিজ্ঞাসা করলেন,আমি শুধু নারীদের নিয়ে একটি বাহিনী গঠন করব। যারা পুরুষ সেনাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করবে যুদ্ধের ময়দানে। তুমি এরকম একটি ইউনিটে যোগ দিতে প্রস্তুত? সেই মেয়েটি দ্বিধাহীনভাবে বললেন, হ্যাঁ। সুভাষচন্দ্র বললেন, তুমি কি মনে করো অন্তত একশো এরকম নারী যোদ্ধা তুমি নিয়োগ করতে পারবে? লক্ষ্মী স্বামীনাথন বললেন, একশো? আমি তো ভাবছি আমাদের ৫ হাজার এরকম নারীযোদ্ধা সংগ্রহ করতে হবে! সুভাষচন্দ্র বসু হাসলেন। বুঝলেন তিনি পেয়ে গিয়েছেন ঝাঁসি বাহিনীর প্রধানকে! অবশেষে তৈরি হল আজাদ হিন্দ ফৌজ!  
সুভাষচন্দ্র বললেন, দিল্লি চলো! 
19th  March, 2023
স্বাধীনতার পথ

৭৯ বছর আগে আজকের দিনেই মূল ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রথম পা রাখে নেতাজির আজাদ হিন্দ ফৌজ। রোমাঞ্চকর সেই অভিযানের কাহিনি তুলে ধরলেন সমৃদ্ধ দত্ত বিশদ

19th  March, 2023
ইউএফও রহস্য

পোর্টসমাউথের বেটি-বার্নি, নিমিটজের পাইলট বা পেন্টাগন—সকলেই প্রত্যক্ষ করেছে ইউএফওদের। তাও সংশয় কাটে না। প্রশ্ন ওঠে, এ বিশ্বে ভিনগ্রহীদের উঁকিঝুঁকি কেন স্পর্শকাতর সামরিক ঘাঁটিগুলির আশপাশে? মানুষের প্রতিরোধের বহর মাপতেই কি ঘনঘন আগমন তাদের? নাকি কোনও অরূপরতনের খোঁজ মিলেছে? উত্তর খুঁজলেন মৃন্ময় চন্দ।
বিশদ

12th  March, 2023
ভারতের 
অজানা উড়ন্ত বস্তুরা
সৌম্য নিয়োগী

১৯৫৭। স্বাধীনতা সবে ১০ বছরে পা দিয়েছে। মানভূম তখনও পুরোপুরি বিহারে। খনিসমৃদ্ধ অঞ্চল। মূলত বাঙালিদেরই দাপট চলে। গণ্ডগ্রাম কাটোরিও তার ব্যতিক্রম নয়। গ্রাম থেকে খানিক দূরে রয়েছে অভ্রের খনি। সেটির মালিক ঘোষবাবুকে গ্রামের প্রায় কেউই দেখেননি। কলকাতায় থাকেন। বিশদ

12th  March, 2023
মধুর বসন্ত এসেছে
ডঃ পূর্বা সেনগুপ্ত

‘পঞ্চশর তোমারই এ পরাজয় জাগো জাগো অতনু’—চিত্রাঙ্গদা নৃত্যনাট্যের এই লাইন সকলেরই মনে আছে। কামদেবের আরাধনা করে নিজের মধ্যে রূপান্তর এনেছিলেন মণিপুর নৃপ দুহিতা চিত্রাঙ্গদা। কুরূপা থেকে হয়ে উঠেছিলেন সুরূপা। কামদেবকে আরাধনার দিন হল ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথি। বিশদ

05th  March, 2023
বাবু কলকাতার রঙের উৎসব
সন্দীপন বিশ্বাস

ঊনবিংশ শতকে বাবু সংস্কৃতির কলকাতায় রং লেগে থাকত সারা বছর। চুনোট ধুতি পরা বাবুদের মৌতাতের রংয়ে কী আর খামতি ছিল? ঘুড়ির লড়াই, বেড়ালের বিয়ে, বুলবুলির লড়াই থেকে পায়রা ওড়ানো, বাঈ নাচ, বাগানবাড়ি, এসব ঘিরেই বাবু জীবনে অষ্টপ্রহর লেগে থাকত মৌতাতের রং। বিশদ

05th  March, 2023
কৃষ্ণপ্রেমের রঙে মাতোয়ারা জীবন
মাধব মুরারি দাস

(মিখাইল মেশানিন)

কুয়াশা কাটছে। বসন্তের আলো ফুটছে ধীরে ধীরে। মন্দির চত্বরে ভারতীয়দের পাশাপাশি ভিড় জমিয়েছেন বিদেশি ভক্তরাও। এবার একাধিক দলে ভাগ হয়ে বিভিন্ন দিকে বের হবে মিছিল। নগর পরিক্রমার প্রস্তুতি চলছে। খোল-করতালের সুর মিশছে আকাশ-বাতাসে। বিশদ

05th  March, 2023
নস্টালজিয়ার ১৫০
হরিপদ ভৌমিক

পালকির যুগে কলকাতার পুলিস পালকি বেহারাদের উপর কিছু নতুন নিয়ম চালু করলে, প্রতিবাদে তারা ধর্মঘট করে কলকাতাকে অচল করে দিয়েছিল। ১৮২৭ সালের এই ধর্মঘট ভারতবর্ষের প্রথম ধর্মঘট। এই সময় ব্রাউনলো নামে এক সাহেব নিজের পালকির ডান্ডা দু’টি খুলে নিয়ে, তলায় চারটি চাকা লাগিয়ে এক ঘোড়ায় টানা ঘোড়ার গাড়ি বানিয়ে ফেললেন। তাঁর নামেই এই গাড়ি নাম হয় ‘ব্রাউন বেরি’ গাড়ি। এই সময় থেকে কলকাতায় ঘোড়ার গাড়ির যুগের সূচনা!
  বিশদ

26th  February, 2023
ট্রাম যাপন
স্বপ্নময় চক্রবর্তী

তখন আমি হয়তো বা কেলাস থ্রি। পেটকাটি-মুখপোড়া-মাছরাঙা ঘুড়ি। থাকি ভাড়া বাড়িতে। গ্যালিফ স্ট্রিট ট্রাম ডিপো এবং বাগবাজার ট্রাম ডিপোর মাঝামাঝি একটা জায়গায়। আমার ঘুড়ি গুরু-ডাংগুলি গুরু টুটলেও থাকে আমাদের ভাড়া বাড়িতেই, অন্য ঘরে। বিশদ

26th  February, 2023
একুশে   ফেব্রুয়ারি
সমৃদ্ধ দত্ত

একটা কথা স্পষ্ট করে বলছি শুনুন। পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা হবে ঊর্দু। অন্য কোনও ভাষা নয়। এই নিয়ে কেউ যদি আপনাদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে, তাহলে বুঝবেন সে রাষ্ট্রের শত্রু। একটিমাত্র রাষ্ট্রভাষা ছাড়া কোনও জাতির পক্ষে একই সূত্রে গ্রোথিত হয়ে পারস্পরিক সমন্বয় সাধন করা সম্ভব নয়। বিশদ

19th  February, 2023
আমার দুঃখিনী বর্ণমালা...
পদ্মশ্রী ধনীরাম টোটো

স্বাধীনতার পর থেকে এপর্যন্ত দেশজুড়ে অবলুপ্ত অন্তত শখানেক ভাষা-উপভাষা। সঙ্কটের মুখে আরও ৩০টি। যে কোনও দিন হারিয়ে যেতে পারে তারা। সেগুলির মধ্যে অন্যতম আমার মাতৃভাষা, টোটো। মাত্র হাজার দেড়েক মানুষের কথা বলার মাধ্যম। বিশদ

19th  February, 2023
তপ্ত তাওয়াং
মৃন্ময় চন্দ

‘সালামি স্লাইসিং’ কায়দায় গভীর রাতে অরুণাচলের ‘ইয়াংসে’কেই কেন বারবার টার্গেট করছে চীন? বাষট্টির ‘নুরানাং যুদ্ধে’ যশবন্ত-সেলা-নুরার অবিশ্বাস্য প্রতিরোধকে চূর্ণ করেও তারা অরুণাচলের দখল নিতে পারেনি কেন? চীন-ভারত মন কষাকষির আড়ালে কি অন্য রহস্য লুকিয়ে?  বিশদ

12th  February, 2023
প্রতিভাত

মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবনকে যদি একটি বাক্যে ব্যাখ্যা করা যায়, তবে তাঁর কবিতার একটি পংক্তিকেই বেছে নিতে হবে। সেটি হল, ‘আশার ছলনে ভুলি কী ফল লভিনু।’ কবির এই আত্মবিলাপের মধ্য দিয়েই ফুটে ওঠে তিনি কী স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং কী যন্ত্রণাময় পরিণতির দিকে ভাগ্যদেবতা তাঁকে ঠেলে দিয়েছিলেন। বিশদ

05th  February, 2023
দেবতার গ্রাস

দুই ছেলেকে হারানো পূর্ণিমার ক্ষোভ বর্ষিত হয় আত্মঘাতী উন্নয়নের দিকে। চিৎকার করেন, ‘আমি অভিশাপ দিচ্ছি, এই সব কাজ জীবনে শেষ হবে না।’ সে ১০ বছর আগের কথা। সেই অভিশাপই কি ফলে গেল যোশিমঠে? লিখলেন 
সমৃদ্ধ দত্ত
বিশদ

29th  January, 2023
নেতাজির পূর্বপুরুষদের সন্ধানে
ডঃ জয়ন্ত চৌধুরী

ব্রিটিশ শাসনকাল। পরাধীন ভারত। সেই পরাধীন রাষ্ট্রের এক ‘অঘোষিত’ রাষ্ট্রদূতের মতোই ইউরোপের বিভিন্ন স্বাধীন দেশের বিভিন্ন শহরে ঘুরছেন সুভাষচন্দ্র বসু। যোগ দিচ্ছেন একের পর এক স্থানীয় সভায়। কথা বলছেন সেখানকার গণ্যমান্য ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে। বিশদ

22nd  January, 2023
একনজরে
আগামী অর্থবর্ষে প্রায় ২৪ হাজার তরল বর্জ্য নিষ্কাশন ইউনিট বসানোর লক্ষ্যমাত্রা নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।   বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে নবান্ন। সেই অনুযায়ী এখন থেকেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছে পঞ্চায়েত দপ্তর।  ...

উচ্চ মাধ্যমিক দিচ্ছিলেন তনয় মান্না। বাবাকে বলেছিলেন, পরীক্ষা ভালোই হচ্ছে। পরীক্ষার দিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় গিয়েছিলেন বন্ধুদের সঙ্গে গ্রুপ স্টাডি করতে। রাত আটটা নাগাদ স্কুটি চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। মাঝরাস্তায় একটি মালবাহী গাড়ি সটান এসে ধাক্কা মারে তনয়ের স্কুটিতে। ...

বিশ্বকাপের আর বেশি বাকি নেই। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেটারদের চোট-আঘাত নিয়ে উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে। ঘোর অনিশ্চিত যশপ্রীত বুমরাহ, শ্রেয়স আয়ারের খেলা। ...

পূর্ব বর্ধমানে বিজেপির ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। বৃহস্পতিবার বর্ধমান উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের শক্তি প্রমুখ গৌতম মাল সহ চারজন নেতা পদত্যাগ করেছেন। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

মেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম যোগ আছে। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থ ব্যয়। ধর্মকর্মে মন আকৃষ্ট হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

বিশ্ব যক্ষ্মা দিবস
বিশ্ব আবহাওয়া দিবস

১৬০৩: ইংল্যান্ডের রানী প্রথম এলিজাবেথের মৃত্যু
১৬৯৩: ইংরেজ সূত্রধর ও ঘড়ি-নির্মাতা জন হ্যারিসনের জন্ম
১৮৬১: লন্ডনে প্রথম ট্রাম চলাচল শুরু হয়
১৮৭৪:  বিশ্বের অন্যতম সেরা জাদুকর হ্যারি হুডিনির জন্ম
১৯০৫: ফরাসি লেখক জুল ভার্নের মৃত্যু
১৯৩৩: এড্লফ হিটলার জার্মানির একনায়ক হন
১৯৫৬: পাকিস্তানকে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করা হয়
১৯৬১: ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার ডিন জোন্সের জন্ম
১৯৬৫: মার্কিন পেশাদার কুস্তীগির দ্য আন্ডারটেকারের জন্ম
১৯৭৯: অভিনেতা ইমরান হাসমির জন্ম
২০০৫: সঙ্গীতপরিচালক,আবহসঙ্গীতপরিচালক ও যন্ত্র সঙ্গীত শিল্পী ভি বালসারার মৃত্যু
২০২২: টলিউড অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮১.৩৩ টাকা ৮৩.০৭ টাকা
পাউন্ড ৯৯.৬৭ টাকা ১০৩.০৭ টাকা
ইউরো ৮৮.১২ টাকা ৯১.২৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৫৯,৯০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৫৬,৮৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৫৭,৭০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৯,৪০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৯,৫০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৯ চৈত্র, ১৪২৯, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩। তৃতীয়া ২৮/১৭ অপরাহ্ন ৫/১২। অশ্বিনী নক্ষত্র ১৯/১২ দিবা ১/২২। সূর্যোদয় ৫/৪১/২২, সূর্যাস্ত ৫/৪৫/৮। অমৃতযোগ দিবা ৭/১৬ মধ্যে পুনঃ ৮/৪ গতে ১০/৩০ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৫ গতে ২/৩২ মধ্যে পুনঃ ৪/৯ গতে অস্তাবধি। রাত্রি ৭/২১ গতে ৮/৫৬ মধ্যে পুনঃ ৩/১৬ গতে ৪/৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/৩১ গতে ১১/১৯ মধ্যে পুনঃ ৪/৪ গতে উদয়াবধি। বারবেলা ৮/৪২ গতে ১১/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৪ গতে ১০/১৪ মধ্যে। 
৯ চৈত্র, ১৪২৯, শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩। তৃতীয়া রাত্রি ৭/৩০। অশ্বিনী নক্ষত্র দিবা ৩/৫০। সূর্যোদয় ৫/৪৩, সূর্যাস্ত ৫/৪৫। অমৃতযোগ দিবা ৭/৫ মধ্যে ও ৭/৫৫ গতে ১০/২৪ মধ্যে ও ১২/৫৩ গতে ২/৩২ মধ্যে ও ৪/১১ গতে ৫/৪৬ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/২৩ গতে ৮/৫৬ মধ্যে ও ৩/৭ গতে ৩/৫৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ১০/২৯ গতে ১১/১৫ মধ্যে ও ৩/৫৩ গতে ৫/৪২ মধ্যে। বারবেলা ৮/৪৩ গতে ১/৪৪ মধ্যে। কালরাত্রি ৮/৪৫ গতে ১০/১৪ মধ্যে। 
১ রমজান।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
কালীঘাটে জনতা দলের (সেকুলার) নেতা কুমারস্বামীকে স্বাগত জানালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

05:26:00 PM

৩৫৩ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স

03:10:12 PM

রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ
লোকসভায় সদস্যপদ খোয়ালেন রাহুল গান্ধী। আজ, শুক্রবার সেই বিষয়ে লোকসভার ...বিশদ

02:24:00 PM

কুপওয়ারায় অনুপ্রবেশকারী জঙ্গিকে নিকেশ করল নিরাপত্তা বাহিনী
উপত্যকায় নিকেশ এক জঙ্গি। আজ, শুক্রবার জম্মু-কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার জাব্দির ...বিশদ

02:00:25 PM

মুর্শিদাবাদে আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেপ্তার দুই ব্যক্তি

01:47:17 PM

২৪ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স

01:38:25 PM