মেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম যোগ আছে। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থ ব্যয়। ধর্মকর্মে মন আকৃষ্ট হবে। ... বিশদ
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নতুনপল্লি দিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ রবিবাবুর গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে পড়ে। তাঁকে এলাকার সমস্যা সম্পর্কে বলতে গেলে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হয় চেয়ারম্যানের। রবিবাবুর দেহরক্ষীরা তাঁদের আটকানোর চেষ্টা করেন। বাসিন্দারা আঙুল উঁচিয়ে কথা বলতে গেলে রবিবাবুকে পাল্টা ধমক দিতে দেখা যায়। তিনি গাড়িতে উঠতে গেলে বিক্ষোভকারীরা তাঁর হাত ধরে টানাটানি শুরু করে। রবিবাবুর গাড়ি বেরিয়ে যাওয়ার সময় তাঁকে লক্ষ্য করে ব্যাপক গালিগালাজও করা হয়। এই ঘটনায় শহরজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়। চেয়ারম্যানকে হেনস্তার প্রতিবাদে বিকেলে পুলিস সুপারের অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখান কোচবিহার পুরসভার কর্মচারীরা। এসপি’র কাছে কর্মচারীরা স্মারকলিপিও দেন। তাঁদের দাবি, চেয়ারম্যানকে হেনস্তার সঙ্গে যুক্তদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে।
৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মহম্মদ ফারুক বলেন, নিয়মিত এলাকার নালা পরিষ্কার করা, রাস্তাঘাটের সমস্যা নিয়ে বলতে গেলে চেয়ারম্যান হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে যান। প্রথমে তিনি গাড়িতে বসেই কথা বলছিলেন। পরে গাড়ি থেকে নেমে আমাদের উল্টোপাল্টা বলতে শুরু করেন। এমনকী আমাদের দুষ্কৃতীও বলেন। রবিবাবু আমাদের ওয়ার্ডের কাউন্সিলার। তাঁকে যদি সমস্যার কথা না বলি তো কাকে বলব? উনি উত্তেজিত হয়ে আঙুল তুলে কথা বলতে থাকেন। তাতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়।
অপর এক বাসিন্দা মিন্টু মিঁয়া বলেন, এলাকার নালা থেকে সবসময় দুর্গন্ধ ছড়ায়। জলের পাইপের লাইনও ফাটা। সেখান দিয়ে পানীয় জলে নোংরা মিশছে। এসব দেখাতেই তাঁর গাড়ি থামাই। তিনি একাধারে কাউন্সিলার ও চেয়ারম্যান। কিন্তু, গাড়ি থেকে নেমে উনি আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এমনকী গালিগালাজ, ধাক্কাধাক্কিও করেন। তখন আমরাও তাঁকে ধাক্কা দিয়েছি।
পুর চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, এটা মোটেই কোনও বিক্ষোভ নয়। স্থানীয় এক সমাজবিরোধী কয়েকজনকে নিয়ে হঠাৎ আমার গাড়ির সামনে দাঁড়ায়। জল নিয়ে কিছুটা কথা কাটাকাটি হয়। কেউ কেউ অবশ্য বিভ্রান্তি ছড়াতে চাইছে। পুরসভার বদনাম করতে চাইছে। এসবই পূর্বপরিকল্পিত। এর পিছনে পাকা মাথা আছে। আমি এসবের প্রতিবাদ করতেই ওরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। হাত ধরে টানাটানি করে। এর বিরুদ্ধে কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। পুর কর্মচারীদের পক্ষে অলোক রায় বলেন, ঘটনার প্রতিবাদে আমরা মিছিল করেছি। চেয়ারম্যানের উপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছি। পুলিস সুপার না থাকায় অতিরিক্ত পুলিস সুপারকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিস সুপার কুমার সানিরাজ বলেন, স্মারকলিপি গ্রহণ করেছি। কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। নিজস্ব চিত্র