মেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম যোগ আছে। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থ ব্যয়। ধর্মকর্মে মন আকৃষ্ট হবে। ... বিশদ
মাতালহাটের ত্রিদেবের বাজার চত্বরে বৃহস্পতিবার রাস্তার সংস্কার কাজের সূচনা করেন সিতাইয়ের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বসুনিয়া। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কোচবিহার জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ কৃষ্ণকান্ত বর্মন, পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ নুর আলম হোসেন, গোসানিমারি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুধাংশু রায় সহ অন্যান্যরা।
রাস্তাটি সংস্কারের কাজ শেষ হলে পেটলা, মাতালহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের আর ১৫-১৬ কিমি ঘুরপথে কোচবিহার শহরে যেতে হবে না। ফলে তাঁরা জেলা শহরে আগের থেকে অনেক কম সময়ে পৌঁছতে পারবেন। আগে ওই রাস্তা দিয়ে সহজেই কোচবিহারে যাতায়াত করা গেলেও কয়েকবছর ধরে খানাখন্দ হয়ে থাকায় তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ফলে পেটলা ও মাতালহাটের মানুষকে দিনহাটা বা গোসানিমারি হয়ে প্রায় ১৫-১৬ কিমি ঘুরপথে এখন কোচবিহার শহরে যেতে হচ্ছে।
গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তর থেকে প্রথম রাস্তাটি পিচ করা হয়েছিল। এতে এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছিল। পেটলা থেকে জেলা শহরের দূরত্ব অনেকটাই কম হওয়ায় রোজ প্রচুর মানুষ রাস্তাটি ব্যবহার করত। অ্যাম্বুলেন্স সহ অন্যান্য ছোট গাড়িও চলত। এই রাস্তা দিয়ে সহজে কোচবিহারে যাতায়াত করা যেত। তবে কয়েকবছর ধরে রাস্তাটি বেহাল হয়ে আছে। নতুন করে রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হওয়ায় খুশি এলাকার বাসিন্দারা।
পেটলার বাসিন্দা রণজিৎ বর্মন, সামেদুল হক বলেন, দূরত্ব কম হওয়ায় রাস্তাটি দিয়ে আমরা অনেক কম সময়ে কোচবিহারে যেতে পারি। কিন্তু, অনেকদিন ধরেই রাস্তাটি ভেঙেচুরে আছে। এ জন্য দিনহাটা বা গোসানিমারি দিয়ে ঘুরে কোচবিহারে যেতে হয়। রাস্তার কাজ শুরু হওয়ায় আমরা খুশি।
বড়ভিটার বাসিন্দা তথা জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ কৃষ্ণকান্ত বর্মন বলেন, দূরত্ব কম হওয়ায় রাস্তাটি দিয়ে অনেক কম সময়ে কোচবিহার শহরে যাওয়া যায়। এছাড়া পেটলা গ্রাম পঞ্চয়েতের পানাগুড়ি, বাত্রিগছ, জমাদারের বস সহ মাতালহাটের বড়ভিটা ত্রিদেবের বাজার, নতুন বক্সি সহ আশপাশের বড় একটা অংশের মানুষ জেলা শহরে যেতে এই বিকল্প রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে। পাশাপাশি অসুস্থ রোগীকে দ্রুত কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে এই রাস্তা দিয়ে অ্যাম্বুলেন্স যাতায়াত করে। অনেকদিন ধরেই রাস্তাটি খানাখন্দে ভরা। আমাদের বিধায়ক রাস্তার কাজের আনুষ্ঠানিক সূচনা করলেন। ফলে খুশি এলাকার মানুষও।
রাস্তার কাজের সূচনা করে সিতাইয়ের বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বসুনিয়া বলেন, রাস্তাটি পিচ করার জন্য এলাকার বাসিন্দাদের দাবি ছিল। করোনা মহামারীর পর রাজ্য সরকারের আর্থিক সমস্যার মধ্যেও আমরা এলাকার উন্নয়নে ও মানুষের সমস্যা সমাধানে বদ্ধ পরিকর। আর তাই এলাকার মানুষের দাবি মেনে গ্রামীণ উন্নয়ন পরিকাঠামো তহবিলের অর্থানুকূলে ৪ কোটি ২০ লক্ষ টাকা খরচ করে রাস্তাটি মেরামত করার কাজ শুরু হল। নিজস্ব চিত্র