মেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম যোগ আছে। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থ ব্যয়। ধর্মকর্মে মন আকৃষ্ট হবে। ... বিশদ
বেলডাঙার মির্জাপুরের বুরহান শেখ, নূর আলম ও হাবিবুর শেখকে গ্রেপ্তারের পর হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিস। তাদের কাছ থেকেই সোহেল, আরিফ ও সফিকুলের নাম জানতে পারে পুলিস। তাদেরকে গ্রেপ্তার করে বুধবার বহরমপুর আদালতে তোলা হয়। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে গোটা চক্র কীভাবে চলত তা জানার চেষ্টা করছে পুলিস। প্রাথমিকভাবে পুলিস জানিয়েছে, মির্জাপুরের একটি ছোট মোবাইল দোকান থেকে চালানো হতো গোটা অপারেশন। ওই দোকানেই বিক্রি হয় বিভিন্ন কোম্পানির সিমকার্ড। নিয়মিত মোবাইল রিচার্জও করা হয়। কিন্তু ভিতরে চলে জালিয়াতি। কাউকে ব্যাঙ্ক ম্যানেজার পরিচয় দিয়ে ফোন করে অ্যাকাউন্টের তথ্য হাতিয়ে নেওয়া হয়। কাউকে আবার আধার কার্ড ও প্যান লিঙ্ক করার টোপ দিয়ে তথ্য হাতিয়ে ব্ল্যাকমেল করে টাকা উপার্জন করে তারা। কখনও গ্যাসের ভর্তুকির টাকা ঢুকছে না বলে ব্যাঙ্ককর্মীর পরিচয় দিয়ে অ্যাকাউন্ট নম্বর সহ বিভিন্ন তথ্য হাতিয়ে সেখান থেকে সমস্ত টাকা তুলে নেওয়া হতো বলে অভিযোগ। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া মোট ২৬২০টি সিমকার্ডই অন্য নামে তোলা হয়েছে। বিভিন্ন গেমিং ওয়েবসাইট ও অ্যাপে এই নম্বরগুলি দিয়ে অ্যাকাউন্ট খোলা হতো। সেই অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে নানা কায়দায় অর্থ উপার্জন করত তারা। এছাড়া শপিং ওয়েবসাইটে ফেক অ্যাকাউন্টও খোলা হয় এসব নম্বর দিয়ে। সিমগুলিতে যে ওটিপি আসত সেগুলি বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বিক্রি করা হতো বলেই পুলিস জানিয়েছে। তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পেরেছে, রেলের আইআরসিটিসির ওয়েবসাইটে টিকিট কাটার জন্য বেনামি সিমের নম্বর ব্যবহার করা হতো। সাধারণত ব্যক্তিগত আইডি ব্যবহার করে প্রতি মাসে নিদিষ্ট সংখ্যক টিকিট কাটা যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে তারা বহু নম্বর ব্যবহার করে প্রচুর ‘কনফার্ম’ টিকিট কাটত। সেগুলি অত্যন্ত বেশি দামে বিক্রি করত। কনফার্ম টিকিট হওয়ায় অনেকে বেশি টাকাও দিতেন তাদের। ওই দোকানে বসেই এসব অপরাধমূলক কাজ করত এই গ্যাং। ওই পুলিস অফিসার জানান, পুরো চক্রকে জালে তুলতে তদন্ত চলছে।