মেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম যোগ আছে। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থ ব্যয়। ধর্মকর্মে মন আকৃষ্ট হবে। ... বিশদ
রানাঘাট পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কোর্টপাড়া এলাকায় মহকুমা খাদ্যদপ্তরের অফিসের সামনের রাস্তার পাশে জঞ্জালের মধ্যে স্তূপাকৃতি অবস্থায় শতাধিক রেশন কার্ড পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জঞ্জালের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ডিজিটাল রেশন কার্ডগুলোর মালিকরা রানাঘাট মহকুমার একাধিক এলাকার বাসিন্দা। কার্ডগুলো হাতে নিতে দেখা যায়, সেগুলোর মধ্যে কারও বাড়ি রানাঘাট ১ ব্লকে, আবার কারও বাড়ি হাঁসখালি এলাকায়। বিষয়টি নিয়ে খাদ্যদপ্তরের ভূমিকায় প্রশ্ন তোলেন পথচলতি মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দা অনিমেষ দত্ত বলেন, যে রেশন কার্ডগুলো পড়ে রয়েছে, সেগুলি চালু নয় তো? এগুলো নিয়ে জালিয়াতির ঘটনাও তো ঘটতে পারে! রানাঘাট খাদ্যদপ্তরের অফিসের পাশেই রয়েছে রানাঘাট মহাকুমা আদালত, এসডিপিও, অ্যাডিশনাল এসপি অফিস, রানাঘাট থানা এবং অন্যদিকে মহকুমার শাসকের বাংলো। এরকম একটি জনবহুল এলাকায় কীভাবে খাদ্যদপ্তরের উদাসীনতায় ওই রেশন কার্ডগুলো পড়ে থাকতে পারে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রানাঘাট পুরসভার প্রধান কোশলদেব বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, কী উদ্দেশ্যে রেশন কার্ডগুলো জমানো হয়েছিল এবং ওই এলাকায় সেগুলি ফেলা হল, তা নিয়ে আমি পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। এই প্রসঙ্গে মহকুমা খাদ্যদপ্তরের আধিকারিক রাজদীপ মেহতাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, যে কার্ডগুলো জঞ্জালে পড়ে রয়েছে, সেগুলো সম্ভবত নষ্ট হয়ে যাওয়া কার্ড। এখন দেখতে হবে এগুলো আদৌ বাতিল কি না! খোদ সরকারি দপ্তরের সামনে বাতিল কার্ডগুলো এভাবে জঞ্জালে পড়ে থাকতে পারে কি? প্রশ্নের উত্তরে খাদ্যদপ্তরের আধিকারিক বলেন, এভাবে প্রকাশ্যে কোথাও বাতিল কার্ড ফেলে রাখার সরকারি নিয়ম নেই। যে বা যারা এটা করেছে, তাদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।