মেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম যোগ আছে। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থ ব্যয়। ধর্মকর্মে মন আকৃষ্ট হবে। ... বিশদ
মুর্শিদাবাদ জেলার নওদা ব্লকে পেঁয়াজ চাষ হয় সবচেয়ে বেশি। এছাড়া হরিহরপাড়া, বেলডাঙা ব্লক, ডোমকল, লালবাগ, বহরমপুর, সুতি ১ ও ২, এবং রঘুনাথগঞ্জ ব্লকেও অনেক চাষি সুখসাগর পেঁয়াজ চাষ করেন। অর্থকরী ফসল হিসেবে পাটের পরেই পেঁয়াজের চাষ বেশি হয়। চাষিরা বলেন, দু’দিন আগে গড়ে ২৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। তাতেই জমিতে কাদাজল হয়ে আছে। এখন আবার বৃষ্টি হলে বিপদ বাড়বে। অনেকেই আগে ভাগে পেঁয়াজ তুলে বাজারে পাঠাচ্ছে। এখন এই আবহাওয়ার কারণে অনেকটাই দাম কম মিলছে। নওদার এক পেঁয়াজ চাষি বিসমিল্লাহ শেখ বলেন, রবি মরশুমে এবার কিছুটা দেরিতে পেঁয়াজ লাগিয়েছিলাম। ফলন ভালোই হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে শেষ মুহূর্তে বৃষ্টিতে এখন কিছুটা চিন্তায় আছি। ফসল ওঠার আগে ভারী বৃষ্টি হলে পেঁয়াজে ক্ষতি হবে।
এদিকে অনেক চাষি অপরিণত অবস্থায় পেঁয়াজ তুলে ফেলায় বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে। চাষিদের কাছ থেকে ৮-৯ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনে বাজারে সেই পেঁয়াজ দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। চাঁদপুরের চাষি সুজান মালিক বলেন, আমার অনেকটা জমিতে জল জমে গেল। পেঁয়াজ তুলে গাছ কেটে বাজারে নিয়ে গেলাম। ৮ টাকা কেজি দাম পেয়েছি। ওই দামেই বিক্রি করে দিলাম। আরও কিছুদিন পরে বিক্রি করলে দাম ভালো পেতাম, ফসলের ওজনও বেড়ে যেত। চাষের খরচ এতটাই বেড়েছে যে এবার এই অকাল বর্ষণের জেরে আগেভাগে পেঁয়াজ বিক্রি করে দেওয়াতে তেমন কিছু লাভ হল না।
জেলা উদ্যানপালন দপ্তরের আধিকারিক প্রভাস মণ্ডল বলেন, এই সময় পেয়াজ ওঠার মুখে ভারী বৃষ্টি হলে কিছুটা ক্ষতি হয়। সুখসাগর পেঁয়াজ এখনও ৩০ শতাংশ জমিতে আছে। তবে একদিনের বৃষ্টিতে খুব ক্ষতি হয়নি। দু’-এক জায়গায় জমিতে জল জমে যাওয়াতে চাষিরা ফসল তুলে নিয়েছে। আবহাওয়ার উন্নতি হয়েছে, আর চিন্তার কিছু নেই।