মেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম যোগ আছে। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থ ব্যয়। ধর্মকর্মে মন আকৃষ্ট হবে। ... বিশদ
অধ্যক্ষের বিরোধিতা করা ইতিহাস বিভাগের এক অধ্যাপিকার অভিযোগ, সমস্যা তো শুধু এদিনের নয়। সমস্যার সূত্রপাত গত বছর জুন মাস থেকে। যখন আমাদের কয়েকজন অধ্যাপিকাকে ‘বার ডান্সার’ হওয়ার কথা বলেছিলেন অধ্যক্ষ। সেসময় আমরা অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হই। কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ দেখাই। তখন বদলা নেওয়ার জন্য কলেজের এক অশিক্ষক কর্মীর সঙ্গে আমার ছবি ভাইরাল করে দেওয়া হয়েছিল। এ নিয়ে আমি অপমানিত বোধ করি। তখনই বিষয়টি নিয়ে জলপাইগুড়ির সাইবার থানার দ্বারস্থ হয়েছিলাম। এর ভিত্তিতে একটি মামলা রুজু করে পুলিস। তদন্ত হয়। সেই মামলার প্রেক্ষিতে আমরা জানতে পারি, ছবিকাণ্ডে জড়িত কয়েকজন ছাত্র অধ্যক্ষের কথায় ওই ছবি ভাইরাল করেছিল। বিষয়টি বুধবার জানার পরই এদিন আমরা অধ্যক্ষের চেম্বারে অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাই। পাশাপাশি জানাই, ওঁর সঙ্গে আর কাজ করার মতো পরিস্থিতি নেই। আমরা গোটা ঘটনায় আতঙ্কিত। তিনি যেকোনও সময় যে কোনও ঘৃণ্য কাজ করতে পারেন। কারণ, তাঁর সাম্প্রতিক অতীতের কার্যকলাপ সেই দিকেই ইঙ্গিত করছে।
আন্দোলনকারীদের মধ্যে কলেজের এক অশিক্ষক কর্মী বলেন, অধ্যক্ষের সঙ্গে আর কোনওরকম সহযোগিতা নয়। তিনি কলেজের কর্মীদের পুরনো ছবি ভাইরাল করার ব্যাপারে মূল চক্রান্তকারী। এটা আমরা জানতে পেরেছি, তাই আমাদের এই বিক্ষোভ। আমরা বিষয়টি কলেজ পরিচালন কমিটিকে লিখিতভাবে জানিয়েছি।
এদিকে, ঘটনা প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ বলেন, বিষয়টি নিয়েই তো অভিযোগ হয়েছে। মামলা হয়েছে। ঘটনাটি বিচারাধীন। মাঝেমধ্যেই কলেজের পরিবেশ নষ্টের জন্য ওঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। নানারকম ভিত্তিহীন অভিযোগ নিয়ে সরব হচ্ছেন। এদিন আমাকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি গেটে তালা দিয়ে কিছুক্ষণ আমাকে আটকেও রাখা হয়। কোনও তথ্যপ্রমাণ ছাড়া অপমানজনক স্লোগানও দেন বিক্ষোভকারীরা। যা আমি কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছি না। আমি নিয়ম মেনে কলেজ পরিচালনার পক্ষে। প্রতিদিন কলেজের কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট পাঠাচ্ছি।
কলেজের পঠনপাঠন পরিচালনা প্রসঙ্গে অধ্যক্ষ বলেন, কলেজের অন্দরে লাগাতার এমন ঘটনা ঘটতে থাকলে সমস্যা তো হবেই। তবে এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে কোনও অভিযোগ পাইনি। প্রসঙ্গত, গতবছর জুন মাস থেকেই আনন্দচন্দ্র কমার্স কলেজে অধ্যক্ষ ও অধ্যাপকদের একাংশের মধ্যে মনোমালিন্য শুরু হয়। বিক্ষোভের জেরে তালাবন্দি অধ্যক্ষ। নিজস্ব চিত্র