মেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম যোগ আছে। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থ ব্যয়। ধর্মকর্মে মন আকৃষ্ট হবে। ... বিশদ
এই ঘটনা রোজই ঘটছে রাজারহাট মাছিভাঙা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সেখানে স্থানাভাবে একই হলঘরে একসঙ্গে দুটি ক্লাস হয়। ফলে এক ক্লাসের পড়া অন্য ক্লাসের পড়ুয়ার কানে গিয়ে পাকিয়ে দেয় তালগোল। উধোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে পড়ে গুলিয়ে একাকার দশা হয় রোজই।
তবে কি স্কুলে পর্যাপ্ত ক্লাসরুম নেই? তেমনটা কিন্তু মোটেও নয়। স্কুলটি দোতলা। উপরের তলায় ক্লাস রুম রয়েছে। সে ঘরের জানলা ও বাইরের বারান্দায় গ্রিল নেই। সিঁড়ি বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। তাই উপরে ওঠার উপায় নেই। ফলে ক্লাস রুম বন্ধ অবস্থাতেই পড়ে রয়েছে। মাছিভাঙা স্কুলের টিচার ইনচার্জ ইকবাল হাসান বলেছেন, ‘উপরে বড় ক্লাস ঘর দ্রুত মেরামত হবে। সে কাজ হওয়ার পর একটি শ্রেণি উপরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’ এর পাশাপাশি তিনি জানান, স্কুলে পরিশ্রুত পানীয় জলের সমস্যা বহু দিনের। একটি জলের ট্যাঙ্ক বসেছে। কিন্তু পাইপ লাইনের সংযোগ হয়নি। সেটি হলে তবেই জলের সমস্যা মিটবে। এছাড়া অন্ধকার হলে স্কুলের মাঠে অসামাজিক কাজকর্ম হয়। স্কুল প্রাঙ্গণ ঘিরে দিতে কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। মাছিভাঙা স্কুলে প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণির পঠনপাঠন হয়। পড়ুয়া সংখ্যা ১৩০। দু’জন শিক্ষিকা তিন জন শিক্ষক। গড়ে ৮০ শতাংশ পড়ুয়া রোজ আসে। ভাঙড় পাওয়ার গ্রিড সংলগ্ন রাজারহাট গ্রামীন এলাকার গুরুত্বপূর্ণ এই বিদ্যালয়ে বহুদিন ধরে একই ঘরে পাশাপাশি চলছে দুটি শ্রেণির পঠনপাঠন। অভিভাবকদের বক্তব্য, ক্লাসরুমের অভাবে পঠন-পাঠন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অবিলম্বে নজর দেওয়া উচিত কর্তৃপক্ষের।