মেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম যোগ আছে। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থ ব্যয়। ধর্মকর্মে মন আকৃষ্ট হবে। ... বিশদ
মোদির বিরুদ্ধে পোস্টার সামনে আসার পরই বুধবার ঝাঁপিয়ে পড়েছিল অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আওতাধীন দিল্লি পুলিস। তড়িঘড়ি পোস্টার সরানো হয়। দায়ের হয় ১১৮টি এফআইআর। গ্রেপ্তার করা হয় ৬ জনকে। তাঁদের মধ্যে ছিলেন প্রিন্টিং প্রেসের মালিক, ভ্যান চালকও। মোদি-বিরোধী পোস্টার নিয়ে কেন্দ্রের এধরনের উদ্বেগকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি আপ সহ বিরোধীরা। তারা বলেছিল, ‘প্রধানমন্ত্রী ভয় পেয়ে গিয়েছেন।’
এরই মধ্যে এদিন দিল্লি জুড়ে দেখা গেল আপ বিরোধী পোস্টার। সেখানে কেজরিওয়ালকে ‘অসৎ, দুর্নীতিগ্রস্ত, স্বৈরাচারী’ বলে তোপ দাগা হয়েছে। এই পোস্টার সরাতে পুলিসের কোনও তৎপরতা ছিল না। গ্রেপ্তারও করা হয়নি কাউকে। পুলিসের অবশ্য ব্যাখ্যা, আইন অনুযায়ী পোস্টারে ছাপাখানার নাম থাকা দরকার। মোদি বিরোধী পোস্টারগুলিতে তা ছিল না। পুলিসের এই বক্তব্যকে ধর্তব্যের মধ্যেই আনতে চাননি কেজরিওয়াল।
তিনি বলেছেন, ‘পোস্টার নিয়ে এফআইআর দায়ের হয়েছে। মোদিজি এত ভয় পাচ্ছেন কেন। পোস্টার তো যে কেউ মারতেই পারেন। কিন্তু গতকাল পোস্টার মারার জন্য ছ’জন গরিব লোককে কেন গ্রেপ্তার করা হল, তা আমার বোধগম্য হচ্ছে না। এটাই দেখিয়ে দিচ্ছে যে, প্রধানমন্ত্রী ভয় পেয়ে গিয়েছেন। চারজন যদি এসে পোস্টার মারেন, তাতে কী যায় আসে? প্রধানমন্ত্রীর এত ক্ষমতা। সামান্য কারণে তাঁর সরকারের এমন তৎপরতা ভালো দেখায় না।’
বৃহস্পতিবার ‘মোদি হটাও দেশ বাঁচাও’ পোস্টারেই যন্তরমন্তরে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সমাবেশস্থল ভরিয়ে ফেলেন আপ সমর্থকরা। যার প্রেক্ষিতে এদিনের সমাবেশে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল কেন্দ্রের মোদি সরকারকে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বললেন, ‘এবার এখানে উপস্থিত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হোক। ১০০ বছর আগে ইংরেজ আমলেও পোস্টার সাঁটার জন্য অন্তত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি কিংবা কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।’ এদিনের দলীয় মঞ্চ থেকেই ঘোষণা করা হয়েছে, আগামী ৩০ মার্চ দেশের প্রত্যেক কোণায় ‘মোদি হটাও দেশ বাঁচাও’ পোস্টার লাগানো হবে।
কেজরিওয়াল বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বার্তা স্পষ্ট। যত খুশি দুর্নীতি বিজেপিতে থেকে করতে হবে। তাহলে ইডি-সিবিআই কিছু করবে না। কিন্তু অবিজেপি কোনও দলে থেকে এসব করা যাবে না।’ মোদির শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আপ সুপ্রিমো। বলেছেন, ‘শিক্ষাগত যোগ্যতা ঠিকঠাক হলে দেশে নোটবন্দিও হতো না, জিএসটিও কার্যকর হতো না।’