নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: গুপ্তিপাড়ার জেটিঘাটের কাছে ফের বড় আকারের ধস নামল। এদিন সকালে এর জেরে এলাকায় ফের আতঙ্ক ছড়ায়। গত কয়েকদিন ধরেই গঙ্গার ভাঙনে গুপ্তিপাড়ার বিস্তীর্ণ এলাকায় উদ্বেগের আবহ তৈরি হয়েছে। এদিকে, এদিনই কলকাতায় ইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েস অথরিটির সঙ্গে বৈঠক করল গুপ্তিপাড়া-১ পঞ্চায়েতের একটি প্রতিনিধি দল। সেখানে অথরিটির ডিরেক্টর অরবিন্দকুমার এবং হুগলির বলাগড়ের প্রাক্তন বিধায়ক তথা রাজ্য এসএসি এসটি বিত্ত নিগমের চেয়ারম্যান অসীম মাঝি উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, ওই অথরিটির অপরিকল্পিত ড্রেজিংয়ের কারণেই নতুন করে গুপ্তিপাড়ায় সঙ্কট তৈরির অভিযোগ উঠেছিল। এদিনের বৈঠকে ওই বিষয়টি সরাসরি মানেনি কর্তৃপক্ষ। তবে ঘুরিয়ে মেনে নিয়েছে। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন গুপ্তিপাড়া-১ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিশ্বজিৎ নাগ। তিনি বলেন, অথরিটির বিশেষজ্ঞরা ২৭ মার্চ গুপ্তিপাড়ায় আসবে। তারা নতুন করে কিছুটা এলাকা ড্রেজিং করে দেবে। আমরাই ওই প্রস্তাব দিয়েছিলাম। তাতে জলের খাতের কিছুটা বদল হবে, যা নদীভাঙন রুখতে সাহায্য করবে।
অন্যদিকে, গুপ্তিপাড়ায় গঙ্গাভাঙন রোধে একটি প্রকল্পের জন্য সদ্য ২০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছিল রাজ্য সেচদপ্তর। জানা গিয়েছে, সেই বরাদ্দের পরিমাণ বৃদ্ধি করা হচ্ছে। আরও কিছু আনুষঙ্গিক কাজ ও নদীভাঙন রোধের কাজ শক্তপোক্ত করতে ওই পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি যাদবপুরের বিশেষজ্ঞরাও চলতি সপ্তাহেই গুপ্তিপাড়ায় আসবেন। রাজ্য সরকার ওই বিশেষজ্ঞদের ভাঙন রোধে স্থায়ী পরিকল্পনা করতে নিয়োগ করেছে। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই গুপ্তিপাড়ায় ভাঙন চলছে। সম্প্রতি সেই ভাঙনের দাপট বাড়তে শুরু করে। কেন্দ্রীয় সরকারের কাজে বারবার সাহায্য চেয়েও হতাশ হতে হয় স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং ব্লক প্রশাসনকে। এই ভাঙনের ভয়াবহতার প্রেক্ষিতে মাঠে নামে রাজ্য সেচদপ্তর। তার পরেই কিছুটা আশ্বস্ত হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।