মেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম যোগ আছে। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থ ব্যয়। ধর্মকর্মে মন আকৃষ্ট হবে। ... বিশদ
বিষ্ণুপুর পুরসভার চেয়ারম্যান গৌতম গোস্বামী বলেন, ‘আমরা সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিতে আপ্রাণ চেষ্টা করি। পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের শালবাগানের বাসিন্দা দুর্ঘটনাগ্রস্ত এক যুবকের প্রয়োজনীয়তার কথা ভেবে জরুরি ভিত্তিতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করে দেওয়া হয়। এটা আমাদের দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে।’ ঋচিক বলছিলেন, ‘আমার স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ছিল না। সামান্য মাইনের চাকরি করি। তাই অপারেশনের খরচ জোগানো নিয়ে বেশ চিন্তায় ছিলাম। তাই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করানোর জন্য পুরসভায় এসেছিলাম। কিন্তু এতো তাড়াতাড়ি তা হাতে পেয়ে যাবো, ভাবতে পারিনি।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ঋচিক মঙ্গলবার বাইক দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। তাঁর বাঁ দিকের কাঁধে কলার বোন ভেঙে যায়। এক্স-রে করার পর চিকিৎসক দ্রুত অপারেশন করার পরামর্শ দেন। নার্সিংহোমে অপারেশন করালে প্রায় ৫০হাজার টাকা খরচ পড়বে। তবে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলে বিনা পয়সায় তা হয়ে যাবে বলে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ জানায়। কিন্তু ওই কার্ড না থাকায় সেই সুবিধা পাবেন না জেনে পরিবারের লোকেরা চিন্তায় পড়েন। বুধবার বিকেলে তাঁরা পুরসভায় গিয়ে পরিস্থিতির কথা জানান। চেয়ারম্যান তৎক্ষণাৎ কার্ড করিয়ে দেওয়ার জন্য কর্মীদের নির্দেশ দেন। কর্মীরা দৌড়ঝাঁপ করে মাত্র দেড় ঘণ্টার মধ্যে কার্ড করিয়ে দেন। বৃহস্পতিবার ঋচিকের অপারেশন হয়। সভাধিপতি বলেন, ‘আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর জনমোহিনী প্রকল্প স্বাস্থ্যসাথী। এটা যে সধারণ মানুষের কাছে কতটা কার্যকর, তা নার্সিং হোমগুলিতে গেলে বোঝা যায়। বিষ্ণুপুর পুরসভা দ্রুততার সঙ্গে সেই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করিয়ে দিয়ে নজির সৃষ্টি করেছে। ঋচিক দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক। এই কামনা করি।’