মেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম যোগ আছে। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থ ব্যয়। ধর্মকর্মে মন আকৃষ্ট হবে। ... বিশদ
হয়ে থাকায় বাসিন্দাদের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে।
বাসিন্দারা বলেন, মন্ত্রীর বাড়িতে যাওয়া আসার রাস্তাই যদি এত খারাপ থাকে, তাহলে অন্য বেহাল রাস্তার সংস্কারের ব্যাপারে আমরা কীভাবে দরবার করব তাঁর কাছে? যদিও এব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, আশপাশের সমস্ত রাস্তাই সংস্কার অথবা নতুন করে তৈরি করা হয়েছে। শুধুমাত্র মাঝখানে কয়েক কিলোমিটারের এই রাস্তার কাজ এখনও বাকি রয়েছে। তবে জানতে পেরেছি রুনিয়া মোড়ের কাছে সবচেয়ে বেহাল ১ কিলোমিটার রাস্তার সংস্কারের জন্য ইতিমধ্যে উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে টেন্ডার হয়ে গিয়েছে। বাকি রাস্তার কাজ করা হবে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার পক্ষ থেকে।
স্থানীয় রুনিয়া এলাকার গাগরাকুণ্ডা মোড়ের বাসিন্দা ইমরান আলি বলেন, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি বহুদিন ধরেই খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। বৃষ্টি হলে যা পুরোপুরি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। সাইকেল, মোটর বাইক নিয়েও চলাচল করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। রাস্তা ভেঙে পাথর বেরিয়ে আসায় এলাকার স্কুল পড়ুয়াদের যাওয়া আসা করতে খুব সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। ওই এলাকায় এলপিজি গ্যাসের কাউন্টার, প্রাইমারি স্কুল, এমএসকে, পেট্রোল পাম্প ও কিছুটা দূরে পোস্টঅফিস রয়েছে। ফলে বহু মানুষ নানা কাজে ব্যস্ততম এই রাস্তা দিয়ে নিত্যদিন আসা যাওয়া করে। অবিলম্বে এই রাস্তা সংস্কার করা না হলে এলাকার মানুষের ভোগান্তির শেষ থাকবে না।
জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ ব্লকের মহারাজের মোড় এলাকা থেকে ভাটোল পর্যন্ত প্রায় ১৪ কিলোমিটার রাস্তা ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে। যার মধ্যে মহারাজা হাটের কাছে দুর্বল সেতু ভেঙে ফেলে নতুন করে কংক্রিটের সেতু নির্মাণ রয়েছে। এলাকার মানুষ ও ব্যবসায়ীদের এতে সুবিধা হয়েছে। অন্যদিকে, মহারাজা থেকে ভাটোল পর্যন্ত রাস্তার মাঝে গাগরাকুণ্ডা মোড় থেকে হালালপুর পর্যন্ত রাস্তার মাঝেই এই বেহাল ৩ কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে। এলাকার নাজিরপুর, মালিবাড়ি, পশ্চিম গোবিন্দপুর, গোজাডাঙ্গি, ধুসমল, জগদীশপুর, নাগর, রুনিয়া, সরিয়াবাদ, পাঁচ ভাইয়া সহ বহু এলাকার মানুষ নিত্যদিন এই রাস্তা ব্যবহার করেন। অবিলম্বে রাস্তাটি সংস্কারের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে বলে দাবি এলাকার বাসিন্দাদের।
এনিয়ে উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ পূর্ণেন্দু দে বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই রাস্তাটি খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। আমরা নানা সময়ে রাস্তাটি সংস্কারের চেষ্টা করেছি। বিভিন্ন কারণে তা হয়ে ওঠেনি। রাজ্য সরকারের নতুন প্রকল্প পথশ্রীর অধীনে রাস্তাটিকে নথিভুক্ত করা হয়েছে। বরাদ্দ এলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে। জগদীশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রুনিয়া এলাকায় এমনই বেহাল রাস্তা। - নিজস্ব চিত্র।