মেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম যোগ আছে। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থ ব্যয়। ধর্মকর্মে মন আকৃষ্ট হবে। ... বিশদ
নদীয়া জেলা কালেক্টেরেটের দোতলায় রয়েছে এই সেন্সাস বা জনগণনা দপ্তরের অফিস। নির্দিষ্ট সময় অন্তর দপ্তরে রাজ্য থেকে পাঠানো টাকা ঢোকে। যা কর্মচারীদের বেতন ও বিভিন্ন কাজের পিছনে খরচ করা হয়। সেই অফিসই প্রশাসনের তরফে বৃহস্পতিবার সিল করে দেওয়া হল। অভিযোগ উঠছে, দপ্তরেরই কেউ ওই টাকা সরিয়েছে। আধিকারিকের সই জাল করে ওই টাকা সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন। বর্তমানে ওই দপ্তরের অ্যাকাউন্ট দেখভাল করতেন এক অবসরপ্রাপ্ত ক্লার্ক। তিনি বর্তমানে এক্সটেনশনে রয়েছেন। আগে তিনি প্ল্যানিং ডিপার্টমেন্টে কাজ করতেন। অবসরের পর তিনি দপ্তরের টাকা পয়সার হিসেব নিকেশ দেখাশোনা করতেন। তিনিও বিষয়টি কখনও আধিকারিকদের জানাননি। সম্প্রতি দপ্তরের এক আধিকারিক পাসবই আপডেট করাতে গিয়ে টাকা উধাও হয়ে যাওয়ার বিষয়টা বুঝতে পারেন। টাকার অঙ্কটা লক্ষাধিকের মধ্যে সীমিত নেই। হিসেবের অঙ্ক কোটি ছুঁতে পারে বলে আধিকারিকরা আশঙ্কা করছেন।
দপ্তরে কত টাকা ঢুকছে, সেই টাকা কোথায় কোথায় ব্যবহার করা হবে, সবটাই গ্রাউন্ড লেভেলে অবসরপ্রাপ্ত ওই ক্লার্ক দেখাশোনা করতেন। তিনি বিষয়টি আধিকারিকদের না জানানোয় সন্দেহের তালিকায় তিনিও রয়েছেন। অভিযুক্ত ওই ক্লার্ক অবশ্য বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিষয়টা নিয়ে কথা হয়েছে। তাঁরাই বিষয়টা দেখছেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দপ্তরের নিজস্ব একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেখান থেকে টাকা তোলার জন্য দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক ও কখনও কখনও আবার জেলা প্রশাসনের আধিকারিকের সইয়ের দরকার পড়ে। না হলে সেই টাকা ব্যাঙ্ক থেকে তোলা যায় না। তাই ওই টাকা সই নকল করে সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। আপাতত ওই অফিস সিল করা হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছেন আধিকারিকরা। কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কেউটে বেরিয়ে আসবে বলে মনে করছেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের সঙ্গেও এনিয়ে কথা বার্তা বলছেন তাঁরা। ওই টাকা কোনও অ্যকাউন্টে সরিয়ে ফেলা হয়েছে কি না, তা নিয়ে আধিকারিকরা ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তবে এর পিছনে ব্যাঙ্কেরও কারও যোগসাজশ আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।