মেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম যোগ আছে। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থ ব্যয়। ধর্মকর্মে মন আকৃষ্ট হবে। ... বিশদ
কয়লা পাচার কাণ্ডে কয়েকদিন আগেই ওই পুলিস অফিসারকে কলকাতার নিজাম প্যালেসে তলব করেছিল সিবিআই। তিনি তদন্তকারীদের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন। শনিবার ফের তাঁকে হাজিরা দিতে হবে দিল্লির ইডি দপ্তরে। জেলার পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, অফিসার মহলে তিনি অত্যন্ত প্রভাবশালী বলে পরিচিত।
জানা গিয়েছে, জেলার প্রতিটি থানা এলাকার নানা তথ্য ওই অফিসারের কার্যত নখদর্পণে রয়েছে। বহু বছর ধরে বীরভূম জেলার বিভিন্ন থানার দায়িত্ব তিনি সামলে এসেছেন। দুবরাজপুর, মহম্মদবাজার, খয়রাশোল, নলহাটির মতো সমস্যাপ্রবণ এলাকায় দীর্ঘদিন ওসির দায়িত্ব সামলেছেন। এক বছর আগে সিউড়ি থানার দায়িত্ব নিয়েছেন। ফলে জেলার পুলিস মহলের খুঁটিনাটি তিনি ভালোভাবে জানেন। বিরোধী দলনেতা থেকে শুরু করে বাম বা বিজেপি নেতারাও শাসকদলের নেতাদের সঙ্গে একযোগে ওই অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন। কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তকারীরা মনে করছেন, বীরভূম জেলার উপর দিয়ে গোরু পাচারের ব্যাপারে ওই অফিসার অনেক কিছু জানেন। তা কীভাবে হতো তার উত্তর পেতেই তাঁকে দিল্লিতে তলব করা হয়েছে।
গোয়েন্দাদের দাবি, তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন নিয়মিত ওই অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। কোথায় কীভাবে গাড়ি যাবে, কোন থানার উপর দিয়ে গোরু যাবে, এই সব বিষয়ও নাকি ওই অফিসার জানতেন। এছাড়াও এনামুল ও বেশ কয়েকজনের বয়ানে ওই অফিসারের নাম উঠে এসেছে বলে তদন্তকারীদের দাবি। ‘প্রোটেকশন মানি’ হিসেবেও তাঁর কাছে টাকা গিয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। কয়লা পাচারের সঙ্গেও তাঁর কোনও যোগ আছে কি না তদন্ত চলছে।
এব্যাপারে আইসির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি। জেলা পুলিসের এক অফিসার বলেন, উনি ছুটি চেয়ে আবেদন করেছেন বলেই শুনেছি। পাঁচদিন ছুটিতে থাকবেন।