মেয়াদি সঞ্চয় থেকে অর্থাগম যোগ আছে। সন্তানের আবদার মেটাতে অর্থ ব্যয়। ধর্মকর্মে মন আকৃষ্ট হবে। ... বিশদ
রেল চলাচল শুরু
হাওড়া থেকে হুগলি প্রথম রেল চলাচল শুরু হয় ১৮৫৪ সালে ১৫ আগস্ট তারিখে। পাখি-হরিণের থেকেও ছুটন্ত গতির রেলের প্রশংসায় কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় লিখলেন ‘পক্ষী মৃগ দূরে পড়ি মানিতেছে লাজ-ধরাতে পুষ্পক রথ এনেছে ইংরাজ’। এরপর শিয়ালদহে রেল চলাচল শুরু হয় ১৮৬২ সালে।
পণ্য পরিবহণের জন্য গাড়ি
গঙ্গার ওপারে রেলযাত্রীরা নৌকো বা জাহাজে নদী পেড়িয়ে কলকাতায় আসতে হতো। হাওড়ার রেলের টিকিট কাটাতে হতো এপাড়ে স্ট্যান্ড রোডে আর্সেনিকের ঘাটে কলকাতা স্টেশনে, বৈঠকখানা বাজার, বহুরকম দ্রব্যের বহুবাজার হয়ে কলকাতা স্টেশন পর্যন্ত খাল পরিবহণের জন্য ভাবনাচিন্তা শুরু হয়।
ভারত সরকারের ভাবনা
সরকারের ভাবনার কথায় ‘ভারত সংস্কারক’ পত্রিকায় বলা হয় ‘ভারতবর্ষীয় গভর্ণমেন্টের অত্যন্ত সাধ হইয়াছিল যে, কলিকাতার রাস্তা সকল ট্রামওয়ে দ্বারা সুশোভিত করেন, ইহা দ্বারা পথিক দিগের যেমন যাতায়াতের সুবিধা, বাণিজ্য দ্রব্য সকলেরও চালান পক্ষে তেমনি সাহায্য হইবার সম্ভাবনা’ (৩ জুলাই ১৮৭৪)।
দায়িত্ব পুরসভাকে: প্রস্তাব
‘গভর্ণমেন্ট এই জন্য রাজধানীর (কলকাতার পুরসভার পরিচালক) জাস্টিসদিগকে অনুরোধ করেন এ কার্য্য সম্পন্ন করিতেই হইবে, জাস্টিসগণ ও বিষয়ে অপ্রস্তুত ছিলেন। ভারতবর্ষী ও বঙ্গদেশীয় গভর্ণমেন্টের অনুরোধ রক্ষার জন্য তাঁহারা পরীক্ষা স্বরূপ ও কার্য্যে হস্তক্ষেপ করিতে স্বীকৃত হন। (ভারত সংস্কারক ৩-৭-৭৪)।
পুরসভার প্রস্তাব
কলকাতা পুরসভা সরকারকে জানালেন—মূলধনে সরকারকে জমিদার হতে হবে। হাওড়া-শিয়ালদা দু’টি রেল কোম্পানিকেই মাল পরিবহণের জন্য দায়িত্ব নিতে হবে। ট্রাম কোম্পানির লোকশান- হলে, রেলে ট্রাম-শুল্ক চাপিয়ে সেই অর্থ পুরসভাকে দিতে হবে। প্রথম দিকে সব কিছুতেই হ্যাঁ হল। ১৮৬৩ সালে ২৬ ফেব্রুয়ারির ‘সোম প্রকাশ’ পত্রিকায় লেখা হলো ‘ভারতবর্ষীয় গভর্ণমেন্ট... ট্রামওয়ে কোম্পানির মূলধনের জামীন না হইয়া গভর্ণমেন্ট তাঁহাদিগকে ব্যয়ের জন্য কিছু টাকা দিবেন। ৫০০ ক্রোশ ট্রামওয়ের জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা দেওয়া হইবে এবং রেলওয়ের উপরে শুল্ক লওয়া হইবে না’।
ট্রাম আইন পাশ
ভারত সরকারের আগ্রহে, ১৮৬৭ সালের ৯ আইনের বলে পুরসভা কলকাতায় ট্রাম লাইন নিজেদের বসাতে বা অন্য কোন কোম্পানিকে দিয়ে বসাবার ক্ষমতা ভারত সরকার দিয়ে দেন।
কাজ শুরু করতে গিয়ে প্রথম যে অসুবিধার সম্মুখীন হল পুরসভা, তা হল—রাস্তার দু’পাশের নর্দমা, জলের পাইপ, জনসাধারণের যে সমস্ত বাড়ি ভাঙা পড়বে, তার ক্ষতিপূরণ কে দেবে?—এই বিষয়ে সরকার চিঠি পেয়ে একটি কমিটি তৈরি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
ট্রাম-কমিটি
সরকারের নির্দেশ পেয়ে ‘করপোরেসন, পোর্ট-কমিশনারগণ এবং গভর্ণমেন্টের রেলওয়ে বিভাগ হইতে কর্ম্মচারী সকল লইয়া একটা কমিটী স্থাপিত হইল। এই কমিটী গভর্ণমেন্টকে জানাইলেন, পরীক্ষার্থ প্রথম ট্রামওয়ে পথ শিয়ালদহ রেলওয়ে স্টেশন হইতে বৌবাজার দিয়া গঙ্গার ধার পর্য্যন্ত নির্ম্মিতি হউক এবং তথা হইতে উত্তরাভিমুখে আরমানিঘাট, আহিরীটোলা ঘাট ও সভাবাজার স্ট্রীট দিয়া বাগবাজার মিউনিসিপ্যাল রেল পার হইয়া চিৎপুর সেতু পর্য্যন্ত বিস্তৃত হউক’ (ভারত সংস্কারক ৩.৭.৭৪)।
ট্রাম গাড়ির প্রথম প্রদর্শন
এদেশের মানুষ রেলগাড়ি দেখেছেন, কিন্তু ট্রামগাড়ি কি তা তাঁরা জানেন না। ১৮৬৪ সালের ২১ জানুয়ারি ভারত সরকার রাজধানী কলকাতায় আলিপুরে প্রথম একটি সার্বজনীন কৃষি মেলার আয়োজন করেছিলেন। এই মেলার প্রতিদিনের বর্ণনা চিরস্থায়ী করেছেন ‘নিশাচর’ ওরফে ভুবনচন্দ্র মুখোপাধ্যায় তাঁর ‘সমাজ কুচিত্র’ নকশায়। এই মেলায় বিদেশি এক কোম্পানি ঘোড়ায় টানা ট্রাম গাড়ির প্রদর্শন করেছিলেন বলে ক্ষিতীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘কলিকাতায় চলাফেরা’ গ্রন্থে জানিয়েছেন, ‘আমাদের সময়ে প্রথম ঘোড়ার ট্রাম খুলিবার পূর্ব্বে ১৮৬৪ খৃষ্টাব্দে যখন কলিকাতায় প্রথম প্রদর্শনী খোলা হয়, সেই সময়ে সর্ব্ব প্রথম কলিকাতায় ঘোড়ায় টানা ট্রাম কোন এক কোম্পানি খুলিয়া ছিল।’
কেমন ছিল ট্রাম গাড়ি
প্রথম যুগে ট্রামের লাইন, চাকা, বগি ও বগির ছাদ সবই ছিল কাঠের। বগির চারপাশ খোলা। সামনে চালকের আসন (ডিঙ্কি সিট) ও পিছনে ওঠা-নামার জন্য ছিল পাদানি। কন্ডাক্টরের এই পাদানিতে দাঁড়িয়ে যেতে হতো। প্রতি বগিতে ৮ থেকে ১০ জন যাত্রী বসে যেতে পারত। যাত্রাপথ ছিল ২.৪ মাইল দীর্ঘ। এক মিটার গেজের লাইনে ঘণ্টায় গড়ে ৬-৭ মাইল বেগে ছুটত ঘোড়ায় টানা ট্রাম গাড়ি।
এবার সেকালের একজন বিখ্যাত মানুষের অভিজ্ঞতা শোনাব। তিনি প্রমোদকুমার চট্টোপাধ্যায়। স্মৃতিকথায় লিখেছেন, ‘তখন ঘোড়ায় টানা ট্রাম, একখানি, তার পাঁচটি করে দু’দিকে দশটি খোলা দরজা ঢুকেই বেঞ্চিতে সামনা-সামনি বসবার জায়গা-দু’দিক দিয়েই নামা-ওঠা যায়। দুটি কান বার করা, ঘাড়ে সোনার টুপি, একজোড়া অসট্রিলিয়ান ঘোড়া ঐ ট্রাম গাড়ি টানত। বড় রাস্তার এক মাইল অন্তর আস্তাবল, সেখানে ঘোড়া বদল হয়। আমাদের জোড়াসাঁকোয় একটা, হ্যারিসন রোডের মোড়ে একটা, তারপর লালবাজারের মোড়ে একটা-শেষে ডালহৌসি স্কোয়ারে একটা ঘোড়া বদলের আড্ডা (ছিল)।’
তখন ট্রাম গাড়ির কন্ডাক্টর ও ড্রাইভাররা নির্দিষ্ট পোশাক ও পাহারাওয়ালাদের মতো মাথায় লাল পাগড়ি পড়তেন। ট্রাম গাড়ির গায়ের রঙ ছিল ‘পাঁশুটে’। বিশেষ ধরনের এই রঙটির নাম ‘কলকাতা ট্রাম কোম্পানির গ্রে’ কালার, সংক্ষিপ্ত পরিচয় ‘CTC Grey’।
ট্রামের চালক ঘোড়া
ট্রাম গাড়ির চালক রূপে ঘোড়ার গুরুত্ব ছিল সবার উপরে। একালে বসে তো সেকালকে ছোঁয়া যাবে না, তাই সেকালের শ্রদ্ধেয় ক্ষিতীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শরণাপন্ন হচ্ছি। তিনি তাঁর ‘কলিকাতায় চলাফেরা’য় জানিয়েছেন—‘ট্রাম গাড়ি টানিবার জন্য কোম্পানি অস্ট্রেলিয়া হইতে ওয়েলার (Waler) ঘোড়া রাশি রাশি আমদানী করিলেন। ঘোড়াগুলি বেশ গাট্টাগোট্টা। শীতকালে তাহারা বিশেষ কোনই গোলযোগ করিত না। কিন্তু গ্রীষ্মকালে তাহাদের কষ্ট দেখিলে অশ্রু সম্বরণ করা যাইত না... বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠের রৌদ্রে এবং ভাদ্রের প্রখর তাপে কত ঘোড়া যে সর্দি-গর্ম্মিতে মারা পড়িত তাহার ঠিকানা নাই। তদ্ব্যতীত নূতন ভাঙ্গা (আসা) ঘোড়াগুলি পিছন দিকে লাথি ছোঁড়া, যোতশিকলির বাইরে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা, এই রকম কত খেলাই খেলিত। সম্মুখে যে লোহার চাদর থাকিত, সহসা ঘোড়া তাহাতে এক লাথি মারিল, আর আরোহীরা চমকাইয়া উঠিলেন। চালক হইতে প্রথম বেঞ্চ বেশী দূরে ছিল না, তাই অনেক সময়ে সম্মুখের বেঞ্চের আরোহীরা ঘোড়ায় লাথি দৈবাৎ মাথায় পড়িবার আশঙ্কায় অনেক সময়ে গাড়ী হইতে নামিয়া পড়িতে বাধ্য হইতেন। বেচারী চালকেরই বড় মুস্কিল হইত—লাথি খাইবার আশঙ্কা সত্ত্বেও তাঁহাকে ঘোড়ার যে যোতশিকল খুলিয়া ঘোড়াকে যথাস্থানে সরাইয়া আবার সেই শিকলটী যথাস্থানে লাগাইয়া দিতে হইত। অনেক সময় এক একটা ঘোড়া কিছুতেই চলিতে চাহিত না। তখন সেটী খুলিয়া পশ্চাতে যে সমস্ত গাড়ী দাঁড়াইয়া গিয়াছে, তাহারই কোন একটি হইতে এক ঘোড়া যুতিয়া দেওয়া হইত। কখনও বা তাহাতে একটা ফল ফলিত, কখনও ফলিত না। তাহাতেও যদি না চলিত, তাহা হইলে আরোহীরা অনেক সময় চালককে প্রাণের সাধ মিটাইয়া গালি দিয়া নামিয়া পড়িতেন। পরে অনেক সময়ে নিজেরাই গাড়ী ঠেলিয়া চালককে সহায়তা করিতেন।’
ট্রাম লাইন পাতা শুরু
কলকাতায় ট্রাম লাইন বসানোর প্রস্তাব পাশ হয়ে যাওয়ার পর, কলকাতার পৌর প্রতিনিধিগণ ১৮৭০ সালে ট্রামের বিষয়ে কলকাতার জনগণের মতামত আদান-প্রদান করার জন্য ১৮৭০ সালে টাউনহলে এক জনসভার আহ্বান করা হয়। সেই সভায় বিশিষ্ট নাগরিক, ব্যবসায়ী ও জনসাধারণের সামনে কীভাবে ট্রাম কমিটির পরিচালনায় শিয়ালদহ থেকে বন্দর এলাকা পর্যন্ত ট্রাম লাইন বসানোর কাজ শুরু হবে। ঠিক হয় আগামী ২৪ আগস্ট তারিখে একটি পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা তৈরি করে সরকারের কাছে পেশ করা হবে। সেই মতো কাজ হয়, ১৮৭১ সালের মার্চ মাসে ঐ পরিকল্পনা মঞ্জুর করে কাজ শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
প্রথম ট্রাম গাড়ির উদ্বোধন
১৮৭৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় প্রথম চলাচল শুরু হয়। সেদিন শিয়ালদা স্টেশনে কাকভোর থেকেই উৎসাহী মানুষের উচ্ছাসের ভীড় আছড়ে পড়ে। ৩টি ঘোড়ায় টানা ট্রাম প্রস্তুত, একটি প্রথম শ্রেণি এবং দুটি দ্বিতীয় শ্রেণির। প্রথম শ্রেণির ট্রামে মাত্র পাঁচ জন যাত্রী টিকিট কেটে বসেছিল। তার মধ্যে তিনজন ইউরোপীয় সাহেব এবং দু’জন নেটিভ নববাবু। ঠিক ৯.১৫ মিনিটে ই.বি. রেলের যাত্রীগণ শিয়ালদা স্টেশনে নেমেই ট্রামের প্রথম যাত্রী হওয়ার জন্য ট্রামের টিকিট ঘরের দিকে ছুটতে শুরু করে। মুহূর্তের মধ্যে টিকিট কাটা যাত্রী এবং বিনা টিকিটের যাত্রীরা ট্রামের দখল নিয়ে নেয়। ভিতর, ট্রামের ছাদে এবং শেষে বাদুড় ঝোলা অবস্থায় ট্রামের বাইরে ঝুলতে থাকে। ঠিক ৯.৩০ মিনিটে ট্রাম ছাড়া সংকেত পেয়ে প্রথম শ্রেণির গাড়ি চলতে শুরু করলেও, দ্বিতীয় শ্রেণির ট্রামটিকে নড়ান গেল না। শেষে মানুষই প্রায় ঠেলে শিয়ালদা থেকে ডালহৌসিতে পৌঁছে ছিল। শিয়ালদা-বউবাজারের রাস্তা দু’ধারে উপছে পরা মানুষের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রথম দিনে, ট্রাম যাত্রার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ ছাপা হয়েছিল ‘ইংলিশ ম্যান’ পত্রিকায় পরের দিন।
লোকসানে ট্রাম বন্ধ
প্রথমত পণ্য পরিবহণ রূপে ট্রাম গাড়ির যাত্রা শুরু হয়, একদিকে ঘোড়ার আচরণে ক্ষুব্ধা যাত্রী, গরমে ঘোড়াগুলির অকাল মৃত্যুর কারণে যাত্রী সংখ্যা কমে যায়। অন্যদিকে রেল কোম্পানির অসহযোগীতা, তারা নিজেরাই মালগাড়ি চালান শুরু করলে, প্রতিদিন গড়ে ৫০০ টাকা করে লোকসান মাথায় নিয়ে মাত্র ন’মাসের মধ্যেই এই ট্রাম যাত্রা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কলকাতার পুরসভা। ১৮৭৩ সালের ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত ট্রাম চালিয়ে ২১ নভেম্বর তারিখে ঘোড়ায় টানা ট্রামের প্রথম পর্ব সমাপ্ত হয়ে যায়।
ট্রাম বিক্রির প্রস্তাব
ট্রাম চলাচল বন্ধ করে দিয়ে, পুরসভা সিদ্ধান্ত নেয় ট্রাম লাইন সহ ট্রাম গাড়ি, ঘোড়া সবকিছু কোন লাভ না রেখে যা খরচ হয়েছে সেই টাকাটুকু নিয়ে ম্যাক অ্যালিস্টার নামে এক সাহেবকে সব বিক্রি করে দেবেন। এ প্রস্তাবে বাংলা সরকার রাজি না হওয়ায় তা বাতিল হয়ে যায়।
এরপর বর্তমান ট্রাম সার্ভিসের সূচনা করেন তিনজন ব্রিটিশ ব্যবসায়ী-দিলউইন প্যারিস, আলফ্রেড প্যারিস এবং রবিনসন সাউট্টর। ১৮৭৯ সালের ২ অক্টোবর এরা পুরসভার সঙ্গে চুক্তি করে, ‘দ্য ক্যালকাটা ট্রাম ওয়েজ অ্যাক্ট (১৮৮০) অনুসারে দেওয়া ক্ষমতা বলে কলকাতায় লোহার রেললাইন এবং কামরা তৈরি করা ও রক্ষণাবেক্ষণের অধিকার অর্জন করেন। এর কয়েকদিন পরে ২২ ডিসেম্বর লণ্ডনে স্থাপিত হয়, ‘দ্য ক্যালকাটা ট্রামওয়েজ লিমিটেড কোম্পানি’। এই সংস্থা কলকাতার ট্রাম ব্যবস্থার যাবতীয় আইন প্রদত্ত ক্ষমতা অধিগ্রহণ করে।
অঙ্কন : সুব্রত মাজী